বিভিন্ন ঘটনা থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে, এ সময়ে তাবলীগের কাজ যদিও গোপনভাবে করা হচ্ছিলো, কিন্তু কোরায়শরা কিছু কিছু বুঝতে পারছিলো। তবে তারা ব্যাপারটিকে কোন গুরুত্ব দেয়নি।
ইমাম গাজ্জালী লিখেছেন যে, কোরায়শরা মুসলমানদের তৎপরতার খবর পাচ্ছিলো। কিন্তু তার এর প্রতি কোন গুরুত্ব দেয়নি। সম্ভবত তারা মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এমন কোন ধর্মী ব্যক্তিত্ব মনে করছিলো, যারা বৈরাগবাদ এবং সংসার বিবাগী হওয়ার বিষয়ে বথাবার্তা বলে থাকেন। আরব সমাজে এ ধরণের লোক ছিলো। যেমন, উমাইয়া ইবনে আবু ছালত, কুস ইবনে সা’দাহ, আমর ইবনে তোফায়েল প্রমুখ। তবে কোরায়শরা এটা লক্ষ্যে করেছিলো যে, তাঁর তৎপরতা যেন একটু বেশী এবং ভিন্ন ধরণের। সময়ের গতিধারার সাথে সাথে কোরায়শরা প্রিয় নবী ধর্মীয় তৎপরতা এবং তাবলীগের প্রতি ক্রমে দৃষ্টি বাড়িয়ে দিচ্ছিলো।
তিন বছর যাবত দ্বীনের কাজ গোপনভাবে চললো। এ সময়ে ঈমানদারদের একটি দল তৈরী হয় গেলো। এরা ভ্রাতৃত্ব এবং সহয়তার ওপর কায়েম ছিলো। তারা আল্লাহর পয়গাম পৌছাচ্ছিলো এবং এ পয়গামক একটা পর্যায়ে উন্নীত করতে চেষ্টা করছিলেন। এরপর আল্লাহ তায়ালা ওহী নাযিল করেন এবং তাঁর কওমকে নির্দেশ প্রদান করেন। দ্বীনের দাওয়াতের সাথে সাথে কোরায়শদের বাতিল শক্তির সাথে সংঘাত এবং তাদের মূর্তির ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধারারও নির্দেশ দেয়া হয়।