এক যে আছে এই শহরে
বাপী নামের ছেলে।
বলতে পারি তুলনা তার
সহজে না মেলে।
পড়াশোনা করতো খুবই
লিখতো ছড়া কত।
ছড়াগুলো গান শোনাতো
ভোরের পাখির মতো।
স্বপ্নে-দেখা ঘোড়া উড়ে
আসতো বাপীর কাছে,
উঠোন জুড়ে ঝরতো আলো
পক্ষ্মীরাজের নাচে।
হঠাৎ কারা দিলো ছেঁটে
সেই ঘোড়াটার পাখা।
সেই ঘোড়াটা আর আসে না
বাপীর উঠোন ফাঁকা।
বাপীর সাধের স্বপ্নগুলো
থেঁতলে দিলো যারা,
লোকের পাঁজর গুঁড়িয়ে দিয়ে
মোটর হাঁকায় তারা।
বাপী এখন রোগের সাথে
লড়ছে সারাক্ষণ।
তারই জন্যে ছড়া কাটেন
আজকে কবিগণ।