এক মুখ দাড়ি দু হাতে গীটার

হাসি-গানে কত না জীবন্ত এ-শহর প্রান্ত

স্বাগত ম্যান্ডেলা স্বাগত ম্যান্ডেলা

একটু রক্ত দাও একটু রক্ত দাও

এসো আমরা তরী বেয়ে যাই

কেউ বা করে চণ্ডীপাঠ কেউ দেয় আজান

ম্যান্ডেলা আফ্রিকা ম্যান্ডেলা

মনে রেখ লিখে রেখ হৃদয়েতে এই নাম

কৃষ্ণকায়া আফ্রিকা মোর কৃষ্ণকলি মা

আকাশে গুরু-গুরু মেঘের কথা শুরু

সামনে সামনে এগিয়ে যা খুশিতে গান গেয়ে যা

আনন্দ আজ ধরে না আর

ঝড় উঠেছিল ঝড় নীল-সমুদ্রে ঝড়

এই তো এলে এখনই প্রিয় যাবার কথা বোলো না

এ কোন ভারতবর্ষে আমরা আছি

গঙ্গার জল পদ্মার পানি আলাদা কি করা যায়

এই ভারতের শহরে নগরে গ্রামে রক্তপিপাসু দানবের করাঘাত

ভাল করে তুমি চেয়ে দ্যাখো

নাম আমার কিশোরকুমার গাঙ্গুলী

একটু গেলেই অথৈ সাগর পা বাড়ালেই নদী

যাওয়ার আগে যাব না আমি তোমাকে না বলে

আগুন ঝরছে কবিতার সংসারে

কোলকাতা কোলকাতা কিছু গান কিছু কথা

আমার কবিতা ছবি আঁকে সঞ্চিত ব্যথা

একদিন চলে যাব অন্য পথে

হাওয়া ঝির্ ঝির্ খুশি রিম ঝিম

কবিতা কি তাই ? কবিতা কি শুধু তাই ?

আকাশের সিঁড়ি বেয়ে যখন সন্ধ্যা-মেয়ে

এই কি পৃথিবী সেই

সামনে পিছে ডাইনে বামে চলতি বাসে কিংবা ট্রামে

প্রেম বড় মধুর কভু কাছে, কভু সুদূর

যখন আমি অনেক দূরে থাক্ বো না এই মাটির ঘরে

কত রাজপথ জনপথ ঘুরেছি

শোন শোন শোন সবাই সাতের পাঁচালী

তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা মেঘনা যমুনা

গঙ্গা আমার মা পদ্মা আমার মা

সবার হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ চেতনাতে নজরুল

ও বেহুলা বাংলা আমার দুখিনী বাংলা

এই পৃথিবীটা যে এক মস্ত বড় বায়োস্কোপের এক বাক্স

কারও কেনা নয় এই পৃথিবী

জীবন বাবু নমস্কার তোমার মত বন্ধু এমন

একখানা মেঘ ভেসে এল আকাশে

শরৎবাবু খোলা চিঠি দিলাম তোমার কাছে

জীবন যদি জীবন হয় ‘জয়’ কে তুই আপন কর

এই পৃথিবীর থেকে ঐ আকাশ বড়

ভারত আমার ভারতবর্য স্বদেশ আমার স্বপ্ন গো

ভারতবর্ষ : সূর্যের এক নাম

এক এক্কে এক দুই এক্কে দুই

সইরে চোখ দুটো তোর চৌকাঠে রাখ চৌকিদারীতে

ও ননদী বল দেখি তুই

ও বাবু পান খেয়ে যান

বলি ও খোকার মা পান খেয়ে গাল পুড়েছে

আমার বেটার বিয়া দিব সময় হয়েছে

দয়ার সাগর বিদ্যাসাগর লোকে তোমায় বলে

ও ঠাকুর পো, আমার মাথা খাও

মায়াবতী মেঘে এল তন্দ্রা

ঢেউ তুলে তুলে হয় সাগর নদী

ও কুহু কুহু কুহু ডাকে কোয়েলিয়া

সাগর সঙ্গমে সাঁতার কেটেছি কত কখন তো হই নাই ক্লান্ত

এ কেমন রঙ্গ যাদু এ কেমন রঙ্গ