মুর্শিদি ভক্তিমূলক বাউল জারি সারি

গানের আসরে যখন গান গাইতে যাই

তখন সুনামগঞ্জে বহু গান গেয়েছি

জীবনে কত আশার স্বপ্ন দেখলাম

ধল গ্রামে প্রথম যখন হলো ধলবাজার

আনোয়ার রাজা এক মহৎ লোক ছিলেন

মাথা নত করে আর বসব না ঘরে

আরে ও সর্বহারার দল

জয় জয় বলে এগিয়ে চল হাতে লয়ে সবুজ নিশান

সোনার বাংলার ঘরে ঘরে

জাগ রে কৃষাণ শ্রমিক মোদের এগিয়ে চল এই বার

সুর তাল ছন্দে যখন গান গেয়ে যাই

সোনা বন্ধে মোরে করিল উদাসী

আমরা স্বাধীন দেশে থাকি

প্রেম রোগের ঔষধ নি গো সখি

আর ঘুমে থেকো না চাষি ভাই

মর্ম না জানিয়া তোরা প্রেম করিও না

কত দুঃখ সইব পরানে পাকিস্তানে

মুর্শিদ বাবাজান তোমার লাগি কান্দে মনপ্রাণ

ও নওজোয়ান ভাই আমি সবারে জানাই

নাও যেন গাঙে ডোবে না

মন যদি হতে চাও মানুষ

বন্ধু তুমি জীবনের জীবন

পিরিত করে সুখ হইল না

প্রাণনাথ বন্ধু আমার কই রইল গো

সে হইল গো নিষ্ঠুর কালিয়া

এবারের দুর্ভিক্ষের আগুন লাগল কলিজায় রে

পোড়া অঙ্গ পুড়িবার বাসনা রে

আরে ও কৃষক মজুর ভাই

আর কি আশা পুরিবে আমার

স্বাধীন দেশের মানুষ আমরা দুর্দশা কেন যায় না

তোর সনে মোর ভাব রাখা দায়, সোনা বন্ধু রে

এবারের দুর্দশার কথা কইতে মনে লাগে ব্যথা

ধর্মাধর্ম নাই রে শোষকের নাই বিবেচনা

মাগো আমি কিসে দোষী

দয়াময় নামটি তোমার গিয়াছে জানা

পল্লীগ্রামের কবি আমি পল্লীর গান গাই

মনের দুঃখ কার কাছে জানাই মনে ভাবি তাই

বলো স্বাধীন বাংলা মোদের মাতৃভূমির জয়

দারুণ দুর্ভিক্ষের আগুন লাগলো কলিজায় রে

লাউ কুমড়া লাগাইও গো, ওগো ভাবী সময় আইছে

বাংলা স্বাধীন হইল রে বীর বাঙালি ভাই

আল্লায় যেন কর্জের লাগি কেউর বাড়িত নেয় না

আমি বাংলা মায়ের ছেলে

রঙিন টাকা, ও রঙিলা টাকা রে

এসো প্রাণ খুলে মিলে সকলে

আমি ঠেকলাম ভরের বুঝা লইয়া

নাইয়া রে, বাংলার নাও সাজাইয়া যাব আমরা বাইয়া

দিরাই থানায় বসত করি হাওর এলাকায়

শোষক তুমি হও হুঁশিয়ার চল এবার সাবধানে

চৈত্র মাসে বৃষ্টির জলে নিল বোরো ধান

খবর রাখনি উন্দুরে লাগাইছে শয়তানি

গানের ভিতর প্রাণের কথা বলবার মনে চায়

গরিবের দুঃখের কথা কেউ শোনে না

ও ভাই জোর জুলুমি ছাড়ো

গরিবের কী মান-অপমান দুনিয়ায়

জিজ্ঞাস করি তোমার কাছে বলো ওগো সই

ওরে মেলা দিতে জ্বালা কার মন্ত্রণা পাইলে

সালাম আমার শহীদ স্মরণে

কোন দেশে যাই বলো সুখের আশায় দুঃখের বুঝা