২১. কালনির্ঘণ্ট

২১. কালনির্ঘণ্ট

[এই বইয়ে সমস্ত তারিখ ব্যবহৃত হয়েছে পুরনো রীতিতে বা অসংশোধিত ক্যালেন্ডার অনুসারে। সেগুলোকে নতুন রীতিতে পরিবর্তিত করতে চাইলে দশ দিন (কখনো কখনো এগারো) যোগ করুন ।]

১৬১৮ অক্টোবর ২৪, আওরঙ্গজেবের জন্মগ্রহণ।

১৬২৭ এপ্রিল ১০, শিবাজীর জন্ম।

১৬২৮ ফেব্রুয়ারি ৪, শাহজাহানের সিংহাসনারোহণ।

[১৬২৭ সালের ২৯ অক্টোবর, জাহাঙ্গীরের মৃত্যু।

১৬৩৩ মে ২৮, হাতির সঙ্গে আওরঙ্গজেবের লড়াই।

১৬৩৫ সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর, বুন্দেলা যুদ্ধে আওরঙ্গজেবের সেনাপতিত্ব।

১৬৩৬ মে, আদিল শাহের সঙ্গে শাহজাহানের বিভাজন সন্ধি।

১৬৩৬ জুলাই-১৬৪৪ মে, দাক্ষিণাত্যে আওরঙ্গজেবের প্রথম সুবাদারি।

১৬৩৬ অক্টোবর, মোগলদের বশ্যতা স্বীকার করে শাহজী ভোঁসলের বিজাপুরের সেবা।

১৬৩৭ মে ৮, দিলরাস বানুর (মৃত্যু, অক্টোবর, ১৬৫৭) সঙ্গে আওরঙ্গজেবের বিয়ে।

১৬৩৮ ফেব্রুয়ারি ১৫, আওরঙ্গজেবের সর্ব জ্যেষ্ঠ সন্তান জেব-উন-নিসার জন্ম, মৃত্যু, ২৬ মে,১৭০২)।

জুন, আওরঙ্গজেবের বাগলানা সংযুক্তি।

১৬৩৯ ডিসেম্বর ১৯, মুহম্মদ সুলতানের জন্ম, মৃত্যু, ৩ ডিসেম্বর, ১৬৭৬)।

১৬৪৩ অক্টোবর ৪, মুয়াজ্জমের (শাহ আলম ১ম) জন্ম।

১৬৪৪ মে, আওরঙ্গজেব বরখাস্ত এবং অপমানিত।

নভেম্বরে পদে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত।

১৬৪৫ ফেব্রুয়ারি-১৬৪৭ জানুয়ারি, আওরঙ্গজেব গুজরাটের সুবাদার।

১৬৪৭ মার্চ, দাদাজি কোন্দদেবের মৃত্যু; শিবাজী স্বাধীন, আদিল-শাহি দুর্গ দখল।

মে ২৫, আওরঙ্গজেবের বলখ শহরে গমন; অক্টোবরে প্রত্যাবর্তন।

১৬৪৮ মার্চ-১৬৫২ জুলাই, আওরঙ্গজেব মুলতান আর সিন্ধের সুবাদার।

১৬৪৯ মে ১৪-সেপ্টেম্বর ৫, আওরঙ্গজেবের প্রথম কান্দাহার অবরোধ।

১৬৫২ মে ২-জুলাই ৯, আওরঙ্গজেবের দ্বিতীয় কান্দাহার অবরোধ।

১৬৫২-১৬৫৮, দাক্ষিণাত্যে আওরঙ্গজেবের দ্বিতীয় সুবাদারি।

১৬৫৫ নভেম্বর ২১, কুতব শাহের হাতে মীর জুমলার পুত্র বন্দী।

১৬৫৬ জানুয়ারি ১৫, শিবাজীর জাবলি সংযুক্তি, রাইগড় লাভ ৬ এপ্রিল।


জানুয়ারি, আওরঙ্গজেবের গোলকুপ্তা আক্রমণ; মোগলদের হায়দরাবাদ দখল ২৩ জানুয়ারি, আওরঙ্গজেবের গোলকুপ্তা অবরোধ ফেব্রুয়ারি ৭-মার্চ ৩০।

শান্তি স্থাপন এপ্রিল।

জুলাই, মীর জুমলার দিল্লি গমন, উজির নিযুক্ত ।

নভেম্বর ৪, মো. আদিল শাহের মৃত্যু, আলী ২য় সিংহাসন লাভ।

১৬৫৭ বিজাপুরের সঙ্গে যুদ্ধ: আওরঙ্গজেবের অবরোধ করে বিদার দখল ২-২৯ মার্চ,
কালিয়ানি ৪ মে-১অগাস্ট, প্রত্যাবর্তন অক্টোবর ৪।

সেপ্টেম্বর ৬, দিল্লিতে শাহজাহানের অসুস্থতা, আগ্রা গমন অক্টোবর ২৬।

নভেম্বর, সুজার বাংলায় নিজেকে সম্রাট ঘোষণা।

ডিসেম্বর ৫, মুরাদের নিজেকে সম্রাট ঘোষণা, সুরাট দখল ও লুট ডিসেম্বর ২০।

১৬৫৮ ফেব্রুয়ারি ৫, সিংহাসন লাভের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আওরঙ্গাবাদ থেকে আওরঙ্গজেবের রওনা।

ফেব্রুয়ারি ১৪, বাহাদুরপুরে সুলাইমান শুকোর কাছে সুজার পরাজয়।

এপ্রিল ১৫, ধর্মাতে আওরঙ্গজেব আর মুরাদের কাছে যশোবন্তের পরাজয়।

মে ২৩, সরকারিভাবে আওরঙ্গজেবের শাসনামলের প্রথম বছর শুরু।

মে ২৯, শামুগড়ে দারার পরাজয়।

জুন ৮, আগ্রা দুর্গে শাহজাহান বন্দী।

জুন ২৫, আওরঙ্গজেবের হাতে বন্দী মুরাদ, (হত্যা, ডিসেম্বর ৪, ১৬৬১)।

জুলাই ২১, আওরঙ্গজেবের প্রথম সাম্রাজ্যাভিষেক।

১৬৫৯ জানুয়ারি ৫, খাজওয়ায় সুজা পরাজিত।

মার্চ ১৩, দেওরাইয়ে দারার পরাজয়।

জুন ৫, আওরঙ্গজেবের জাকজমকপূর্ণ সাম্রাজ্যাভিষেক।

জুন ৯, দারা আর শিপির শুকো বন্দী।

অগাস্ট ৩০, দারার মৃত্যু কার্যকর।

নভেম্বর ১০, শিবাজীর হাতে আফজাল খান নিহত।

১৬৬০ মে ৯, শায়েস্তা খানের পুনা দখল, ঝটিকা আক্রমণে চাকন দখল অগাস্ট ১৫।

মে ৬, ঢাকা থেকে সুজার পলায়ন, মীর জুমলার ঢাকা দখল।

(আরাকানে সুজার মৃত্যু, ফেব্রুয়ারি, ১৬৬১) ডিসেম্বর ২৭, সুলাইমান শুকোকে বন্দী করে দিল্লি আনয়ন (হত্যা, মে ১৬৬২)।

১৬৬১ ফেব্রুয়ারি ৩, উম্বরখিন্দে শিবাজীর কাছে কর তলব খানের পরাজয় ।

মে, শিবাজীর কাছ থেকে মোগলদের কালিয়ান দখল।

মে, ২২ পারস্যের কূটনীতিক বুদাক বেগের সঙ্গে আওরঙ্গজেবের সাক্ষাৎকার।

ডিসেম্বর ১৯, মীর জুমলার কুচবিহার শহর দখল।

১৬৬২ মার্চ ১৭, মীর জুমলার আসামের রাজধানী গড়গাঁ দখল।

মে ১২, আওরঙ্গজেবের অসুস্থতা, সম্পূর্ণ সুস্থ জুন ২৪।

১৬৬৩ জানুয়ারি ১, মীর জুমলার সঙ্গে আসামের রাজার সন্ধি, মীর জুমলার প্রত্যাবর্তন শুরু জানুয়ারি ১০, কিন্তু মৃত্যু মার্চ ৩১।

এপ্রিল ৫, শায়েস্তা খানের ওপর শিবাজীর নৈশ আক্রমণ।

মে ১৪-অগাস্ট ১৬, আওরঙ্গজেবের কাশ্মির ভ্রমণ।

১৬৬৪ জানুয়ারি ৬-১০, শিবাজীর সুরাট লুট (প্রথম বার)।

জানুয়ারি ২৩, শাহজী ভোঁসলের মৃত্যু।

১৬৬৫ মার্চ ৩০, জয় সিংহের পুরন্দর অবরোধ শুরু; শিবাজীর সঙ্গে জয় সিংহের সাক্ষাঙ্কার ১১ জুন, পুরন্দরের সন্ধি ১৩ জুন।

এপ্রিল ১০, আওরঙ্গজেব কর্তৃক হিন্দুদের আমদানি-রপ্তানি শুল্ক দ্বিগুণ।

নভেম্বর ২০, জয় সিংহের বিজাপুর আক্রমণ শুরু, প্রত্যাবর্তন শুরু ৫ জানুয়ারি ১৬৬৬; মৃত্যু ২৮ অগাস্ট ১৬৬৭।

১৬৬৬ জানুয়ারি ২২, শাহজাহানের মৃত্যু।

জানুয়ারি ২৬, শায়েস্তা খানের চাটগাঁ বিজয়।

মে ১২, আওরঙ্গজেব সকাশে শিবাজী, পলায়ন ১৯ অগাস্ট, রাজগড়ে প্রত্যাবর্তন
১২ সেপ্টেম্বর ১৬৬৬, মোগলদের বশ্যতা স্বীকার সেপ্টেম্বর ১৬৬৭।

১৬৬৭ ফেব্রুয়ারি ২৪, কাম বখশের জন্ম।

মার্চ, পেশোয়ারে ইউসুফজাঈ বিদ্রোহ।

১৬৬৭ ফেব্রুয়ারি, আওরঙ্গজেব কর্তৃক দরবারে গানবাজনা নিষিদ্ধ।

ফেব্রুয়ারি, আওরঙ্গজেবের শিবাজীকে রাজা বলে মেনে নেওয়া ।

১৬৬৯ এপ্রিল ৯, আওরঙ্গজেবের সাম্রাজ্য জুড়ে মন্দির ধ্বংসের আদেশ, আগস্টে বেনারসের বিশ্বনাথ মন্দির ধ্বংস, পরবর্তী বছরের জানুয়ারিতে ধ্বংস মথুরার কেশব মন্দির।

১৬৭০ জানুয়ারি ১, মোগলদের সঙ্গে শিবাজীর আবার যুদ্ধ, তার দুর্গগুলো পুনরুদ্ধার, ব্যাপক আক্রমণ।

অক্টোবর ৩-৫, শিবাজীর সুরাট লুট (দ্বিতীয় বার)।

অক্টোবর ১৭, দিন্দোরিতে শিবাজীর কাছে দাউদ খানের পরাজয়।

ডিসেম্বর, শিবাজীর খান্দেশ আর বেরারে লুটতরাজ ।

১৬৭১ জানুয়ারি, আওরঙ্গজেবের রাজস্ব বিভাগ থেকে সমস্ত হিন্দু অফিসার বরখাস্ত ।

বুন্দেলখণ্ডে আওরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে ছত্র শালের যুদ্ধ শুরু, (১৭৩১ সালে রাজা হিসেবে মৃত্যু)।

১৬৭২?… আকমলের অধীনে আফ্রিদি বিদ্রোহ।

মার্চ, সাতনামি বিদ্রোহ।

এপ্রিল ২১, আবদুল্লাহ কুতব শাহের মৃত্যু, আবুল হাসানের সিংহাসন লাভ।

নভেম্বর ২৪, ২য় আলী আদিল শাহের মৃত্যু, সিকান্দারের সিংহাসন লাভ, উজির হলো খাবাস খান (পদচ্যুত ১১ নভেম্বর ১৬৭৫)।

১৬৭৩ শিবাজীর পানহালা দখল ৬ মার্চ, পার্লি ১ এপ্রিল, সাতারা ২৭ জুলাই।

১৬৭৪ ফেব্রুয়ারি ২৪, নাসেরিতে প্রতাপ রাও নিহত, নতুন সেনাপতি হাম্বির রাও।

এপ্রিল ৭, হাসান আবদালের উদ্দেশে আওরঙ্গজেবের দিল্লি ত্যাগ, সেখানে ১৬৭৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত অবস্থান।

জুন ৬, শিবাজীর রাজ্যাভিষেক; জিজা বাইয়ের মৃত্যু ১৮ জুন।

১৬৭৫ এপ্রিল-মে, শিবাজীর ফন্দা দুর্গ আর কারওয়ার জেলা দখল।

নভেম্বর ১১, বাহলুল খান হলো বিজাপুরের উজির, (মৃত্যু ২৩ ডিসেম্বর ১৬৭৭)।

ডিসেম্বর, গুরু তেগ বাহাদুরের শিরচ্ছেদ।

ভ্যাঙ্কোজীর তাঞ্জোর দখল ও সংযুক্তি।

১৬৭৬ জুন ১, হালসাঙ্গিতে বাহলুলের কাছে বাহাদুর খান পরাজিত, ইসলাম খান নিহত।

অক্টোবর ৮, আসাদ খান আওরঙ্গজেবের উজির নিযুক্ত।

১৬৭৭ জানুয়ারি ১, শিবাজীর কর্ণাটক অভিযান শুরু, ফেব্রুয়ারিতে হায়দরাবাদে থামা, শ্রী শৈলতে ২৪ মার্চ-১ এপ্রিল, জিনজি দুর্গ দখল ১৩ মে, ভেলোর অবরোধ ২৩ মে (পতন ২১ জুলাই ১৬৭৮), তিরুবাদিতে শের খানকে চরমভাবে পরাজিত করা ২৬ জুন, তিরুমালাবাদিতে ভ্যাঙ্কোজীর সঙ্গে সাক্ষাৎ ১৮-২৩ জুলাই, বাড়ি ফেরার পথে মহীশূর মালভূমিতে আরোহণ ৫ নভেম্বর, ভ্যাঙ্কোজীর সান্তাজীকে আক্রমণ ১৬ নভেম্বর, শিবাজীর গৃহ প্রত্যাবর্তন (পানহালা) ৪ এপ্রিল ১৬৭৮।

মার্চ ১৯, আমির খান আফগানিস্তানের সুবাদার নিযুক্ত (আগমন ৮ জুন ১৬৭৮, মৃত্যু ২৮ এপ্রিল ১৬৯৮)।

জুলাই ৭, বাহাদুর খানের কুলবর্গা দখল, আগস্টে দিলির খান তার স্থলাভিষিক্ত, দিলিরের গোলকুণ্ডা আক্রমণ, সেপ্টেম্বরে মালখেদ থেকে বিতাড়িত।

নভেম্বর ১৮, দরবারে আওরঙ্গজেবের কঠোর সরলতা চালু।

১৬৭৮ ফেব্রুয়ারি ২১, সিদ্দি মাসাউদ হলো বিজাপুরের উজির, পদত্যাগ ডিসেম্বর ১৬৮৩, তার স্থলাভিষিক্ত আকা খুসরৌ, মৃত্যু ১১ অক্টোবর ১৬৮৪।

ডিসেম্বর ১০, জমরুদে যশোবন্ত সিংহের মৃত্যু।

ডিসেম্বর ১৩, শম্ভুজীর দিলির খানের কাছে গমন, পানহালায় প্রত্যাবর্তন ৪ ডিসেম্বর ১৬৭৯।

১৬৭৯ ফেব্রুয়ারি ১৯, আওরঙ্গজেবের আজমীর গমন, মারওয়ার আক্রমণ এবং সেটা ইন্দ্ৰ শালকে দান মে ২৬।

এপ্রিল ২, অ-মুসলমানদের ওপর আওরঙ্গজেবের জিজিয়া পুনরায় আরোপ।

জুলাই ১৫, অজিত সিংহকে দুর্গাদাসের দিল্লির বাইরে নিয়ে যাওয়া।

সেপ্টেম্বর ২৫, আওরঙ্গজেবের আবার আজমীর গমন, অক্টোবরে মারওয়ারকে সাম্রাজ্যের সঙ্গে সংযুক্তি।

অক্টোবর ৭-নভেম্বর ১৪, বিজাপুর দুর্গকে দিলির খানের ভীতি প্রদর্শন, চারপাশের গ্রাম লুট ।

নভেম্বর ৪, শিবাজীর মোগল জেলা আক্রমণ শুরু, জালনা ধ্বংস ১৫-১৮ নভেম্বর, রণমস্ত খানের কাছে পরাজিত, পাট্টায় ফেরা ২১ নভেম্বর।

১৬৮০ জানুয়ারি ২৩, আওরঙ্গজেবের উদয়পুরে প্রবেশ, চিতোর পরিদর্শন ২২ ফেব্রুয়ারি, আজমীরে প্রত্যাবর্তন ২২ মার্চ।

এপ্রিল ৪, শিবাজীর মৃত্যু।

জুন, ১৮, রাজা হিসেবে শম্ভুজীর রাইগড়ে প্রবেশ।

অক্টোবর ২২, মহারানা রাজ সিংহের মৃত্যু, জয় সিংহের সিংহাসন লাভ, বাংলায় শায়েস্তা খানের দ্বিতীয় সুবাদারি ১৬৮০-৮৮।

১৬৮১ জানুয়ারি ১, শাহজাদা আকবরের নিজেকে সম্রাট ঘোষণা।

জানুয়ারি ১৬, বিদ্রোহ ব্যর্থ হওয়ায় শাহজাদা আকবরের পলায়ন, মহারাষ্ট্রের পালি গমন ১ জুন।

জানুয়ারি ৩০-ফেব্রুয়ারি ১, বুরহানপুরের সমস্ত উপকণ্ঠে মারাঠিদের লুঠ।

মার্চ, গঙ্গারাম নাগরের (বিহারে বিদ্রোহ) পাটনা দুর্গ অবরোধ, (মৃত্যু ১৬৮৪)।

জুন ১৪, মহারানা জয় সিংহের আওরঙ্গজেবের সঙ্গে রাজসমুদ্র সন্ধি।

সেপ্টেম্বর ৬, জাহানারার মৃত্যু।

সেপ্টেম্বর ৮, আওরঙ্গজেবের আজমীর থেকে দাক্ষিণাত্যের উদ্দেশে যাত্রা, বুরহানপুরে গমন।

১৩ নভেম্বর, আর আওরঙ্গাবাদে ২২ মার্চ ১৬৮২।

অক্টোবর, শম্ভুজী কর্তৃক অনুজী, সয়রা বাই এবং অন্যান্য ষড়যন্ত্রকারীদের মৃত্যুদণ্ড।

নভেম্বর ১৩, শম্ভুজীর সঙ্গে পালিতে শাহজাদা আকবরের সাক্ষাৎ।

১৬৮২ জানুয়ারি, জানজিরায় শম্ভুজীর প্রচণ্ড আক্রমণ।

এপ্রিল, মোগলদের রামসেজ অবরোধ, ব্যর্থ হয়ে অক্টোবরে ফেরা।

মে ১৮, শাহুর (বা শিবাজী ২য়) জন্ম।

নভেম্বর, মোগলদের কালিয়ান দখল, পরবর্তী বছরের ২৩ মার্চ সেখান থেকে সেনা অপসারণ।

ডিসেম্বর, আকবরের পালি থেকে বান্দায় গমন।

১৬৮৩ এপ্রিল ৫, পর্তুগিজদের সঙ্গে শম্ভুজীর যুদ্ধ শুরু।

সেপ্টেম্বর, আকবরের বিকোলিম গমন আর পারস্যে যাওয়ার জন্য একটা জাহাজ ভাড়া করার চেষ্টা।

সেপ্টেম্বর ২০, রামঘাট অভিযানের জন্য শাহ আলমের আওরঙ্গাবাদ ত্যাগ।

অক্টোবর ২২, গোঁয়ার রাজ্যপালের ফন্দা অবরোধ, দুর্দশাগ্রস্ত প্রত্যাবর্তন ৩১ অক্টোবর।

নভেম্বর ১৪, মারাঠিদের স্যান্টো এস্তেভাও দখল, গোয়াকে ভীতি প্রদর্শন।

ডিসেম্বর ১, মারাঠিদের বারদেশ আর স্যালসেটি জেলা আক্রমণ (এক মাস ধরে লুটপাট)।

১৬৮৪ জানুয়ারি ৫, শাহজাদা শাহ আলম বিকোলিম পৌঁছে গোঁয়ার দিকে অগ্রসর; সাবান্তবাদি আর রত্নগিরি বিধ্বস্ত, রামঘাটে প্রত্যাবর্তন ২০ ফেব্রুয়ারি, আর আহমদনগরে ১৮ মে।

জানুয়ারি ২০, ভীমগড়ে আকবর কর্তৃক শম্ভুজী আর পর্তুগিজদের মধ্যে শান্তি স্থাপনের আয়োজন।

মে, বোম্বের ইংরেজদের সঙ্গে শম্ভুজীর বন্ধুভাবাপন্ন সন্ধি।

শ্রীনগরে শিয়া-সুন্নি লড়াই।

১৬৮৫ জানুয়ারি, ভ্যাঙ্কোজীর মৃত্যু, তাঞ্জোরে ২য় শাহজীর সিংহাসন লাভ।

ফেব্রুয়ারি, শম্ভুজীর বিরুদ্ধে খেম সাবান্তের বিদ্রোহ।

এপ্রিল ১, মোগলদের বিজাপুর অবরোধ শুরু।

রাজারামের অধীনে জাঠ বিদ্রোহ শুরু।

অক্টোবর ৮, মোগলদের হায়দরাবাদ দখল (দ্বিতীয় বার)।

অক্টোবর, খোঁজা ধর্মোন্মাদদের ব্রোচ দুর্গ অবরোধ।

ডিসেম্বর, মালওয়ায় মুলুক চাঁদের হাতে পাহাড় সিংহ গৌড় নিহত, কিন্তু ১৬৯২ সাল পর্যন্ত গৌড় বিদ্রোহ অব্যাহত।

১৬৮৬ মার্চ ৭, গোলকুণ্ডায় মদনা পণ্ডিত নিহত।

জুলাই ৩, বিজাপুর অবরোধে আওরঙ্গজেবের আগমন ।

সেপ্টেম্বর ১২, বিজাপুরের পতন, সিকান্দার আদিল শাহ পদচ্যুত, (মৃত্যু ৩ এপ্রিল ১৭০০)।

অক্টোবর ২৮, বাংলায় ইংরেজদের হুগলি ধ্বংস, যুদ্ধ শুরু।

১৬৮৭ জানুয়ারি ২৮, মোগলদের হায়দরাবাদ দখল (অবশেষে)।

ফেব্রুয়ারি ৭, গোলকুপ্তা অবরোধ শুরু, পতন সেপ্টেম্বর ২১।

ফেব্রুয়ারি ২১, শাহ আলম বন্দী।

ফেব্রুয়ারি, সমুদ্রপথে আকবরের পারস্য রওনা, ইস্পাহান আগমন ২৪ জানুয়ারি ১৬৮৮ (মৃত্যু ১৭০৪)।

মার্চ, দুর্গাদাসের মারওয়ার প্রত্যাবর্তন, মোগলদের পর রাঠোরদের তীব্র চাপ, দুর্জন শাল হাদার বুন্দি অবরোধ।

জুন ১১, ইংরেজ বিদ্রোহীদের হিজলি থেকে অপসারণ।

নভেম্বর ২৮, পাম নায়ক কর্তৃক বেরাদের রাজধানী সাগরের আত্মসমর্পণ, (মৃত্যু ১ জানুয়ারি ১৬৮৮)।

১৬৮৮ জানুয়ারি ১১, মারাঠিদের কঞ্জিভেরাম লুট।

ফেব্রুয়ারি, রাজারাম জাঠের সেকেন্দ্রায় আকবরের সমাধি লুট ।

মার্চ, শাহজাদা আজমের বেলগা দখল।

অগাস্ট ৬, সিদ্দি মাসাউদের আদোনি দুর্গ সমর্পণ।

অক্টোবর, পশ্চিম উপকূলে ইংরেজ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আওরঙ্গজেবের যুদ্ধ ।

নভেম্বর, বিজাপুরে বিউবনিক প্লেগ (দুই মাস স্থায়ী)।

১৬৮৯ ফেব্রুয়ারি ১, শম্ভুজী আর কবি-কলস বন্দী, সম্রাট-শিবিরে আগমন ১৫ ফেব্রুয়ারি, শিরচ্ছেদ ৩ মার্চ।

ফেব্রুয়ারি ৮, রাইগড়ে রাজারামের সিংহাসনারোহণ, সেখান থেকে পলায়ন ৫ এপ্রিল, জিনজি আগমন ১ নভেম্বর।

মার্চ ২৭, মাতবর খানের কালিয়ান পুনরুদ্ধার।

অক্টোবর ১৯, জুলফিকারের শাহুসহ রাইগড় দখল।

ডিসেম্বর ২৫, ইংরেজ ব্যবসায়ীদের আওরঙ্গজেবের ক্ষমা, দুই পক্ষের শান্তি।

১৬৯০ জানুয়ারি ২৮, সিনসানিতে মোগলদের ঝটিকা আক্রমণ।

মে ২১, গলগলাতে ১৬৯৫ সালের মার্চ পর্যন্ত আওরঙ্গজেবের শিবির (মার্চ ১৬৯১ থেকে মে ১৬৯২ ছাড়া)।

মে ২৫, সাতারার কাছে মারাঠিদের হাতে রুস্তম খান বন্দী।

আগস্ট ২৪, ইংরেজদের কলকাতার প্রতিষ্ঠা।

আগস্ট, জুলফিকারের কঞ্জিভেরাম আগমন।

সেপ্টেম্বর ২, জুলফিকারের জিনজিতে এসে অবরোধ শুরু।

১৬৯১ ডিসেম্বর ১৬, আসাদ খান আর কাম বখশের জিনজি আগমন।

১৬৯২ ডিসেম্বর ১৩, সান্তা ঘোড়পারের হাতে কঞ্জিভেরামের ফৌজদার আলী মর্দান খান বন্দী।

ডিসেম্বর ১৬, ধানা যাদবের হাতে জিনজির বাইরে ইসমাইল খান মাকা বন্দী।

ডিসেম্বর ২০, আসাদ খানের হাতে কাম বখশ গ্রেপ্তার।

১৬৯৩ জানুয়ারি ২৩, জুলফিকারের জিনজি অবরোধ পরিত্যক্ত এবং ওয়ান্দিওয়াশে প্রত্যাবর্তন।

? উত্তর কঙ্কানের পর্তুগিজদের সঙ্গে মাতবর খানের যুদ্ধ।

১৬৯৪ ফেব্রুয়ারি-মে, তাঞ্জোর থেকে জুলফিকারের কর আদায় আর দক্ষিণ আরকট জেলা জয়।

সেপ্টেম্বর, জুলফিকারের আবার জিনজি অবরোধ, প্রত্যাহার ডিসেম্বর ১৬৯৫, আরকটে শিবির স্থাপন (জানুয়ারি ১৬৯৬-মার্চ ১৬৯৭)।

দুর্গাদাস কর্তৃক আওরঙ্গজেবকে আকবরের কন্যা প্রত্যর্পণ।

১৬৯৫ মে ২১-১৬৯৯ অক্টোবর ১৯, ইসলামপুরীতে আওরঙ্গজেবের শিবির।

মে, শাহ আলম মুক্ত এবং পাঞ্জাবে শাসক হিসেবে প্রেরণ।

সেপ্টেম্বর ৮, গঞ্জ-ই-সওয়াইয়ে জলদস্যুতা।

অক্টোবর, মোগলদের ভেলোর অবরোধ (পতন ১৪ অগাস্ট, ১৭০২)।

নভেম্বর, দোদেরিতে সান্তা ঘোড়পারের হাতে কাসিম খান অবরুদ্ধ, খানের মৃত্যু।

১৬৯৬ জানুয়ারি ২০, বাসবপাটানে সান্তার হাতে হিম্মত খান নিহত।

মার্চ, সান্তার পূর্ব কর্ণাটকে আগমন; নভেম্বর-ডিসেম্বরে মধ্য মহীশূর আক্রমণ।

মে, শোভা সিং আর রহিম খানের বিদ্রোহ দেওগড়ে বখত বুলন্দ গোন্দের যুদ্ধ শুরু।

১৬৯৭ মার্চ, সাতারা জেলায় ধানার কাছে সান্তা পরাজিত।

জুন, সান্তা নিহত।

মে-জুন, জবরদস্ত খান কর্তৃক বিদ্রোহী রহিম খান বহিষ্কার।

নভেম্বর, বাংলার নতুন সুবাদার আজিম-উস-শানের বর্ধমান আগমন।

নভেম্বর, জুলফিকারের আবার জিনজি অবরোধ।

১৬৯৮ জানুয়ারি ৮, জুলফিকারের জিনজি দখল।

মে, দুর্গাদাস কর্তৃক আওরঙ্গজেবকে আকবরের পুত্র বুলন্দ আখতার প্রত্যর্পণ।

সম্রাটের দুর্গাদাস আর অজিতকে জায়গির আর মনসব দান।

১৬৯৯ ফেব্রুয়ারি, রাজারামের বিশালগড় আগমন।

মার্চ, সম্রাট আর ইয়োরোপিয়ান ব্যবসায়ীদের মধ্যে ভারতীয় সাগর পাহারা দেওয়ার চুক্তি।

অক্টোবর ১৯, দুর্গ অবরোধের জন্য আওরঙ্গজেবের ইসলামপুরী ত্যাগ।

অক্টোবর ২৬, রাজারামের সাতারার বাইরে আসা।

নভেম্বর, কৃষ্ণ সাবান্তের অধীনে মালওয়ায় মারাঠিদের প্রথম আক্রমণ।

ডিসেম্বর ৯, আওরঙ্গজেবের সাতারা অবরোধ শুরু, পতন ২১ এপ্রিল ১৭০০।

১৭০০ মার্চ ২, সিংহ-গড়ে রাজারামের মৃত্যু; তার পুত্র কর্ণের সিংহাসন লাভ, কিন্তু ২৩

মার্চে মৃত্যু, তখন ৩য় শিবাজীর (তারা বাইয়ের পুত্র) সিংহাসন লাভ ।

জুন ৯, আওরঙ্গজেবের পার্লি দখল।

অক্টোবর ১, খাবাসপুরের সম্রাট-শিবির বন্যায় প্লাবিত, সম্রাটের হাঁটুর হাড় স্থানচ্যুত ।

১৭০১ মার্চ ৯, আওরঙ্গজেবের পানহালা অবরোধ, পতন মে ২৮।

এপ্রিল, রাষ্ট্রদূত হিসেবে স্যার ডব্লু নরিসের আওরঙ্গজেবের সঙ্গে সাক্ষাৎ।

মুর্শিদ

কুলি খান বাংলার দেওয়ান নিযুক্ত।

১৭০২ জানুয়ারি ১৬, আওরঙ্গজেবের খেলনার সামনে আগমন, অবরোধ শুরু, পতন ৭

জুন।

দুর্গাদাস আর অজিতের আবার আওরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ।

ডিসেম্বর ২৭, আওরঙ্গজেবের কোন্দানা (সিংহগড়) অবরোধ, পতন ৮ এপ্রিল, ১৭০৩।

১৭০৩ অক্টোবর, নিমা সিন্ধিয়ার বেরার আর মালওয়া আক্রমণ, পরবর্তী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফিরুজ জং কর্তৃক বহিষ্কৃত।

ডিসেম্বর ২, আওরঙ্গজেবের রাজগড় অবরোধ, পতন ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৭০৪।

১৭০৪ ফেব্রুয়ারি ২৩, আওরঙ্গজেবের তোরনা অবরোধ, পতন ১০ মার্চ।

১৭০৫ ফেব্রুয়ারি ৮, আওরঙ্গজেবের ওয়াজিনজেরা অবরোধ, পতন ২৭ এপ্রিল।

মে–অক্টোবর, দেপুরে আওরঙ্গজেবের যাত্রাবিরতি, অসুস্থতা।

নভেম্বর, দুর্গাদাসের আবার আওরঙ্গজেবের বশ্যতা স্বীকার, কিন্তু পরবর্তী বছরের এপ্রিলে আবার বিদ্রোহ।

১৭০৬ জানুয়ারি ২০, আওরঙ্গজেবের আহমদনগর আগমন।

মার্চ, মারাঠিদের গুজরাট আক্রমণ, রতনপুর (১৫ মার্চ) আর বাবা পিয়ারা স্রোতস্বিনীর কাছে মোগলদের শোচনীয় পরাজয়; বরোদা বিধ্বস্ত ।

১৭০৭ ফেব্রুয়ারি, আওরঙ্গজেবের কাম বখশকে বিজাপুর প্রেরণ (৯ ফেব্রুয়ারি) আর আজমকে মালওয়ায় (১৩ ফেব্রুয়ারি), অসুস্থতা ১৭ ফেব্রুয়ারি, এবং ২০ ফেব্রুয়ারি, আওরঙ্গজেবের মৃত্যু।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *