1 of 2

কুকুরদল – ২

অধ্যায় ২

“ছাত্ররাজনীতি করে দুই ধরণের পোলাপান।” সিগারেটে আগুন ধরাতে ধরাতে বলল শামীম। নতুন সিগারেট খাওয়া শিখেছে ছেলেটা, গাল ভর্তি করে ধোঁয়া ধরে বসে থাকে। তারপর ফু দিয়ে বের করে দেয় ওটাকে। দেখে মনে হয় স্টিমার নতুন পানিতে ছাড়া হয়েছে। ভক ভক করে ধোঁয়া ছেড়ে যাচ্ছে জলযানটা।”একদল হলো পুরাই ন্যাংটা। আরেকদল এর উল্টা। সত্যিকারের দেশপ্রেমিক। মাঝামাঝি কিছু পাবি না তুই।”

কিছু না বলে চুপচাপ ধূমপান করতে থাকলো মুহিব। আজিজ মামার দোকানটাকে ওদের নিয়মিত ডেরায় পরিণত করেছে সে। আড্ডায় ওদের সাথে নিয়মিত যোগ দিচ্ছে লিটু, শামীম আর ইলোরা। ইলোরাকে নিয়ে এখানে বসাটা একটু অস্বস্তিকর ছিল শুরুর দিকে। মফস্বলে মেয়েদের মাথা তুলে চলতে দেখলেই আঁতকে ওঠা হয়, সেখানে ওর পোষাক যথেষ্ট খোলামেলা। তার ওপর তিনটে ছেলের সাথে বসে হাহা হিহি করছে সেটা এলাকাবাসীর চোখে খুব একটা ভালো ঠেকে না। তবে কয়েক সপ্তাহ পর এরা অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে বেশ। স্থানীয় কিছু ছেলেপুলে এদিকে চা-সিগারেট খেতে একটু বেশি আসছে অবশ্য, তবে তারা ক্ষতিকর কিছু নয়।

“ন্যাংটা নেতাদের দেখবি, সব সময় ন্যাংটামি করার জন্য বসে আছে। ক্যাম্পাসে এগুলা বেশি ক্লিয়ার দেখা যায়। মূলধারায় গিয়ে তো তুই আর সরাসরি কারও কুকাম দেখতে পাবি না। ক্যাম্পাসের দেওয়ালের কান আছে।” ভাষণ অব্যবহত রাখে শামীম, “দিন দিন অবশ্য ন্যাংটামি করার মতো মানুষ বাড়তেছে।”

“ন্যাংটামিটা কি রকম?” লিটু জানতে চাইলো। মফস্বল থেকে আসার কারণে শামীমের মতো ছেলেদের কথা বার্তা একবার শুনে ধরতে পারে না সে। নগ্নতার সাথে রাজনীতির সম্পর্ক তার কাছে স্পষ্ট নয়।

“দুই চার হাজার টাকার লোভ সামলাতে পারে না।” স্টিমারের মতো ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তেই বলল শামীম, “আরে, রিকশাওয়ালারাও তো এদের চেয়ে বেশি সংযমী। সময় হলে নিজের চোখেই দেখবি, দুই-চার হাজার টাকার জন্য ন্যাংটাগুলা কিরকম কাড়াকাড়ি করতেছে। ভাইয়াদের সময় একবার হইলো কি–”

কাঁধ ঝাঁকালো ইলোরা, এতোসব রাজনৈতিক আলাপ তার ভালো লাগে না। পুরুষগুলো এতে কি মজা পায় কে জানে। প্রসঙ্গ পাল্টাতেই জানতে চাইলো, “সামনে মিড-ব্রেক একটা পড়বে। প্ল্যান কি করেছিস কিছু?”

মিড ব্রেক অর্থ নয় দিনের ঝাড়া এক বন্ধ। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রিদের জন্য দারুণ এক উপলক্ষ্য। তবে লিটু-মুহিবরা দারুণ উপলক্ষ্যের প্রসঙ্গে গদগদ হয়ে গেলো, তেমনটা না।

মুহিব বলেই ফেললো, “ইলোটা সিরিয়াস আলাপের মধ্যে খালি বাম হাত ঢুকায়। মিড ব্রেক কি আজ কালকের মধ্যে নাকি? পুরো একটা উইক বাকি।”

“এক উইক চোখের পলকে কেটে যাবে। কিছু একটা ঠিক কর। এখানে বসে হাতি ঘোড়া তো অনেক মারলাম। চল্ কোথাও থেকে ঘুরে আসি।”

সঙ্গে সঙ্গে লিটু আর শামীমের লেগে গেলো। লম্বা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিজের সিগারেটে মন দিলো মুহিব। এরা সবাই কোথাও ট্যুর দিতে চলে গেলেও সে পারবে কি না সন্দেহ আছে। ইতি খুব বিরক্ত করছে ঢাকা থেকে। কবে বন্ধ দেবে, কবে আবার ঢাকায় আসবে ইত্যাদি। মজার ব্যাপার হলো, মেয়েটা ওখানে খুব ছুটি ছাটা পায় তা না। প্রাইভেট ভার্সিটি, টাইট শিডিউল। অথচ, মুহিবেরটা বুঝবে না। একদিন ঠাট্টা করে মুহিব নিজেই ডেকেছিলো ওকে।

“চলে এসো তুমি।”

ব্যাস্, শুরু হয়ে গেছিলো তুবড়ি, “আমাদের কি কম্প্যাক্ট শিডিউল, জানো তুমি? ভাত খেতে যাওয়ার সময় দেয় না আমাদের। বাসা থেকে ভার্সিটি যেতেই তো জ্যামে চলে যায় দেড় ঘণ্টা। দিনে তিনটা ঘণ্টা থাকি রাস্তায়। তারপর ভার্সিটির প্যাড়া। টিউশনি করাই দুইটা। আমার সময় কোথায় বাবা তোমার মতো? পাবলিক ভার্সিটিতে আবার চাপ কিসের? তার ওপর টিউশনিও করাও না, বুঝবা কি করে এসব?”

মুহিব ওকে বলতে পারে না, যে টিউশনি না করালেও কিছু কাজ তাকেও করতে হয়। এমন সব কাজ, যার জন্য সময় লাগে প্রচুর। ইদানিং অবসর পেলেই গল্প লিখে মুহিব। তবে ব্যাপারটা কাউকে জানাতে চায় না। যদি গল্পগুলো বিশেষ ভালো না হয়? মানুষ পেছনে হাসবে তো। আধাআধি কিছু করায় সায় নেই মুহিবের, হয় একশতে একশ’। নয়তো শুন্য। এমনকি প্রেমিকাকেও ও জানাতে পারবে না গল্প লিখার ব্যাপারটা। যদি কোনোদিন ওর মনে হয় একশ’য় একশ’ হয়েছে, তবেই জানাবে।

“কি বলিস, মুহিব?” অবশেষে প্রশ্নটা শুনতে পেলো ও, ইলোরা করেছে।

বিকট শব্দে হাই তুললো মুহিব, “অ্যাঁ?”

“চট্টগ্রাম যাবি? ভুত দেখতে?” শামীম জানতে চাইলো এবার, “কুকুরের মতো হাই তুলছে হারামজাদা!”

“ভুত পেলি কোথায়?”

এতোক্ষণ এটা নিয়েই তো কথা হলো। তোদের ডিপার্টমেন্টের সুমন যাচ্ছে একটা স্পটে।” লিটু জানালো, “শামীমকে নাকি বলে রেখেছিলো চাইলে দুই একজনকে নিয়ে আসতে পারে। এখন তোরা যদি রাজি থাকিস, যাওয়া যায়।”

“সুমনের কথায় লাফালাফি করার দরকার নাই। ব্যাটা কি ভূতের ডিলার নাকি? পকেট ঝাড়লেই ভুত পড়বে টুপটাপ?”

হাসলো ইলোরা, “এই ছেলে কিন্তু কলেজ থেকেই ঘোস্টহান্টিং করে। ভার্সিটিতে এসেও শুরু করেছে কিন্তু মানুষ পাচ্ছে না। কতোজনকে যে রিক্রুট করার চেষ্টা করলো। সুবিধা করতে পারেনি। আমরা ওকে ডাকি ভুতবাবা সুমন।”

“ভুতবাবা তাহলে চট্টগ্রামে ভূতের বাড়ি পেয়েছে একটা?” মুহিব অন্যমনস্কতার ফাঁকে হয়ে যাওয়া সব তথ্য জানার চেষ্টা করলো।

“অবশ্যই। সীতাকুণ্ডের একটু ভেতরে। পাহাড়ের গায়ে বসানো এক বাড়ি। অস্থির জায়গা নাকি। দিনের বেলায় মানুষ যায়, কিন্তু রাতে কাবজাব আছে।”

ভুত নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা শুরু হয়ে গেলো সাথে সাথে। ভুতবাবার বর্ণনা অনুসারে যতোসব গুজব এখন পর্যন্ত শোনা গেছে একে একে বলে গেলো শামীম। তাদের এখন দেখলে কে বলবে এরা বিজ্ঞানের ছাত্র, প্রকৌশলবিদ্যা শিখতে এই মফস্বলে এসেছে? আরেকটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে নতুন করে সিগারেট আনতে গেলো মুহিব। ভুত দেখতে যাওয়ার ইচ্ছে ওরও ছিল। কিন্তু মনে হচ্ছে শেষটায় ইতির সাথেই দেখা করতে যেতে হবে। ইতি আবার বাঘিনির মতো। নাগালে পেলে আঁচড়ে কামড়ে একাকার না করে ছাড়বে না। মানে সময় যথেষ্ট হাতে রেখে ঢাকায় যেতে হবে এবার। ইতির সাথে সামান্য

সময়ের জন্য দেখা করে যে ভূত দেখতে চলে যাবে, তা হবে না।

সিগারেট নিয়ে ফিরে এসেও খুব একটা স্বস্তি পেলো না। কেমন যেন এক বন্দিত্বের অনুভূতি। কানের পাশ দিয়ে মোটরসাইকেলটা ছুটে গেলেও ওরা কেউ খেয়াল করলো না। চট্টগ্রামে কি কি নিয়ে যেতে হবে তাই নিয়েই আলোচনা চলছে এখনও। মুহিবের মনটা খুব খারাপ হয়ে যায়, ভুত দেখতে খুবই ইচ্ছে করছে ওর

বড় একটা পাক খেয়ে মোটরসাইকেলটাকে এদিকেই এগিয়ে আসতে দেখা গেলো। ওদের সামনের ফুটপাথে এসে থেমে গেলো দ্বিচক্রযান। আরোহির মুখ যেন পাথর কুঁদে বানানো হয়েছে। সানগ্লাসে ঢেকে আছে অর্ধেকটা মুখ। ধীরে ধীরে সানগ্লাসটা খুললো মানুষটা, চোখের কোণে একটা ক্ষত দেখা যায়। বেশি পুরোনো নয়। রাফ অ্যান্ড টাফ ভাবভঙ্গি, ওদের চারজনের দিকে সরাসরি তাকিয়ে আছে। কি করবে বুঝতে না পেরে গলগল করে ধোঁয়া ছাড়লো মুহিব।

তাকেই সবার আগে পাকড়ালো মানুষটা, “কোন সিরিজ?”

গোটা বাংলাদেশে সবখানে ব্যাচকে ব্যাচ বলা হলেও এখানে ব্যাচকে বলা হয় “সিরিজ”, সম্ভবত গত চল্লিশ বছর ধরেই। অর্থাৎ মোটরসাইকেল আরোহি তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গুণধর ছাত্র, যে মুহিবের সিরিজ জানতে চাইছে এখন। এর আরও একটি অর্থ আছে, এই ছাত্র তাদের সিনিয়র।

সিনিয়র ভাই দেখলে জুনিয়ররা সিগারেট এদিক ওদিক বিসর্জন দেয় কিংবা “বিড়ি সেইভ” করে। সিগারেটকে কিভাবে “সেইভ” করা হয় তার ধারণা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার আগে মুহিবের ছিল না। কলেজে থাকতে তো লুকোছাপার কিছু ছিল না, অথচ তখনই তারা ছিল “আন্ডারএজ”। এখন আঠারো পেরিয়ে তারা সিগারেটকে “সেইভ” করছে। বিষয়টা অদ্ভুত।

তাছাড়া সিগারেটকে কিভাবে সেইভ করতে হয়? সিগারেট তো আর গোলপোস্টের দিকে ধেয়ে আসা ফুটবল নয় যে তাকে সেইভ করা যাবে। সিগারেট সেইভ করার পদ্ধতিটা ওকে শিখিয়েছিলো সিভিলের জাহিদ। বর্তমানে ছুরি খেয়ে সেলেব্রিটি আসাদের রুমমেট। শিক্ষক কিংবা বড়ভাই সামনে দিয়ে গেলে চট করে কব্জি ঘুরিয়ে সিগারেট লুকিয়ে ফেলার টেকনিকটাই হলো “বিড়ি সেইভ” করা।

মুহিব জাহিদকে প্রশ্ন করেছিলো, “তোর হাত থেকে ভিসুভিয়াসের মতো ধোঁয়া বাইর হচ্ছে। এইরকম সেইভে লাভ কি? টিচাররা কি বোকাচোদা নাকি যে বিড়ি খাওয়া ধরতে পারবে না?”

জাহিদ দায়সারা ভাবে কেবল জানিয়েছিলো, “বিড়ি তো সবাই খায়। এটা লুকানোর জন্য না, রেসপেক্ট। রেসপেক্ট।”

একজন মানুষ দেশের আইনে দণ্ডনীয় নয় এমন একটু বস্তু পান করছে, তা লুকিয়ে কেন সম্মান দেখাতে হবে তা মুহিবের মাথায় কোনোদিনও ধরেনি সেদিনও নয়। তবে আজকে, মোটরসাইকেল আরোহির সামনে দাঁড়িয়ে মুহিব একটা কাজ করে ফেললো।

কজির এক মোচরে ‘বিড়ি সেইভ’ করলো মুহিব।

“ওয়ান টু, ভাইয়া।” মুহিবের হয়ে জবাবটা দিলো শামীম।

তার দিকে চোয়াল বাঁকিয়ে তাকালো কথিত বড়ভাই, “তোমাকে জিজ্ঞাসা করেছি?”

মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে গেলো শামীম। একেবারে অনুগত ভৃত্যের ভঙ্গি! বন্ধুকে রক্ষা করতে আর কি করতে হবে জানে না মুহিব। কাজেই উত্তরটা সে আবার দিলো, “ওয়ান টু সিরিজ, ভাই।”

“তা তো দেখেই বুঝেছি।” শক্ত চোয়ালেই বলে গেলো কথিত বড়ভাই, “দেখলাম তো, ওয়ান টু সিরিজের সবক’টা বেয়াদব। গত কয়টা মাস ধরে খালি দেখতেছিই।”

ওরা কেউ কিছু বলল না।

কথিত বড়ভাই অবশ্য মুহিবকে সহজে ছেড়ে দেওয়ার মানুষই না। জানতে চাইলো, “কোন ডিপার্টমেন্ট?”

“মেকানিক্যাল।”

“সবাই?” সবার মুখের দিকে তাকালো মানুষটা।

“না ভাই, আমি সিভিলে।” লিটু হাত তুলে বলল।

“গুড। গুড।” যদিও ভাইয়ের মুখে ভালোর কোনো লক্ষণ ওরা আবিষ্কার করতে পারলো না। আরও গম্ভির হয়ে গেছে চাহনি।

মুহিবের খুব বলতে ইচ্ছে হলো, বেয়াদব একটা ‘সিরিজের’ সঙ্গে দাঁড়িয়ে আলাপ করার জন্য আধ-মাইল রেডিয়াসে বাইক ঘোরানোর দরকার কি ছিল, দাদা? কিন্তু এমন কোনো কথা বলে চারজনকেই বিপদে ফেলে দিতে মন সায় দিলো না।

মুহিবের অনুচ্চারিত প্রশ্নের জবাব অবশ্য কথিত বড়ভাইয়ের পরের বাক্যগুলোতে স্পষ্ট হয়ে যায়।

সরাসরি ইলোরার দিকে তাকিয়েছে এবার সে, “হল বন্ধ হয়ে যাবে আধ ঘণ্টা পর, বাইরে কেন এখনও?”

হাতঘড়ি দেখলো মুহিব, সাড়ে পাঁচটা বাজে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরগিরা সব খোপে ফিরবে ঠিক ছয়টা বাজে। আগামিকাল সকাল ছয়টা পর্যন্ত তারা বন্দি থাকবে চারদেওয়ালে। বর্বরের প্রথা দিব্যি চলে আসছে, চল্লিশটা বছর ধরে!

“জি, ভাইয়া। চলে যাবো এখনই।”

“রিকশা পাইতেই তো তোমার লাগবে বিশ মিনিট। হলে তো পৌছাতে পারবা না।”

“না ভাইয়া, পেয়ে যাবো। ভাববেন না।”

“চলো, পৌছায় দেই তোমাকে হলে।” বাইকের পেছনদিকটা ইঙ্গিত করলো ‘ভাইয়া’।

ইলোরা যেতে চাইছিলো না, কিন্তু পরবর্তি পাঁচটা মিনিট ধরে ‘ভাইয়া’ যেভাবে চেপে ধরলো, একটা পর্যায়ে মানা করলেই তা বাড়াবাড়ি দেখাতো। অগত্যা আমসিমুখে বাইকে চেপে বসতেই হলো ওকে। আলতো করে ছুঁতে হলো ‘ভাইয়া’র কাঁধ। তবে গতির প্রাবল্যে বাধ্য হয়ে শক্ত করে ধরতে হলো তাকে। ওদের তিনজনের চোখের সামনে দিয়ে হুঁস করে চলে গেলো সিনিয়র ভাইয়ের বাইক।

পেছন থেকে হাত সামনে আনলো শামীম এতোক্ষণ “বিড়ি সেইভ” করে রেখেছিলো। বার দুয়েক তুমুল টান দিলো সিগারেটে, “সরকারি দলের নেতা। দুই ব্যাচ সিনিয়র। তোফায়েল ভাই। রাজনীতি করে বইলা…”

কথাটা শেষ না করে বড় করে সিগারেটে টান দিলো সে।

মাথা দোলালো মুহিব। সংজ্ঞাটা এখন স্পষ্ট ওর কাছে। ছোট্ট করে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারলো আজকের দিকে প্রথমবারের মতো, “ন্যাংটা পোলাপান।”

মাথা দোলালো বাকি দু’জন।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *