রবীন্দ্রসংগীত (রবীন্দ্র সঙ্গীত) – Rabindranath Tagore Songs – Page 21

ফুল তুলিতে ভুল করেছি প্রেমের সাধনে

ফুল বলে, ধন্য আমি মাটির ‘পরে

ফুলটি ঝরে গেছে রে

ফেলে রাখলেই কি পড়ে রবে ও অবোধ

বঁধু তোমায় করব রাজা তরুতলে

বঁধু মিছে রাগ কোরো না

বকুলগন্ধে বন্যা এল দখিন হাওয়ার স্রোতে

বজ্রমানিক দিয়ে গাঁথা আষাঢ় তোমার মালা

বজ্রে তোমার বাজে বাঁশি

বনে এমন ফুল ফুটেছে

বনে যদি ফুটল কুসুম

বন্ধু রহো রহো সাথে

বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি

বর্ষ গেল, বৃথা গেল, কিছুই করি নি হায়

বর্ষণমন্দ্রিত অন্ধকারে এসেছি তোমারি এ দ্বারে

বল তো এইবারের মতো

বল দাও মোরে বল দাও

বলি ও আমার গোলাপ-বালা

বলি গো সজনী যেয়ো না যেয়ো না

বলেছিল ‘ধরা দেব না’, শুনেছিল সেই বড়াই

বলো সখী বলো তারি নাম

বল্‌ গোলাপ মোরে বল্

বসন্ত তার গান লিখে যায় ধূলির ‘পরে

বসন্ত তোর শেষ করে দে

বসন্ত সে যায় তো হেসে

বসন্তপ্রভাতে এক মালতীর ফুল

বসন্তে আজ ধরার চিত্ত হল উতলা

বসন্তে কি শুধু কেবল ফোটা ফুলের মেলা রে

বসন্তে ফুল গাঁথল আমার জয়ের মালা

বসন্তে-বসন্তে তোমার কবিরে দাও ডাক

বসে আছি হে কবে শুনিব তোমার বাণী

বহু যুগের ও পার হতে

বহে নিরন্তর অনন্ত আনন্দধারা

বাঁচান বাঁচি, মারেন মরি

বাঁধন কেন ভূষণ-বেশে

বাঁধন ছেঁড়ার সাধন হবে

বাঁশরি বাজাতে চাহি বাঁশরি বাজিল কই

বাঁশি আমি বাজাই নি কি পথের ধারে ধারে

বাংলার মাটি, বাংলার জল

বাকি আমি রাখব না কিছুই

বাজাও আমারে বাজাও

বাজাও তুমি কবি, তোমার সঙ্গীত সুমধুর

বাজিল কাহার বীণা মধুর স্বরে

বাজে করুণ সুরে হায় দূরে

বাজে গুরু গুরু শঙ্কার ডঙ্কা

বাজে বাজে রম্যবীণা বাজে

বাজে রে বাজে ডমরু বাজে হৃদয়মাঝে, হৃদয়মাঝে

বাজে রে বাজে রে

বাণী তব ধায় অনন্ত গগনে লোকে লোকে

বাণী মোর নাহি

বাদল-দিনের প্রথম কদম ফুল

বাদল-ধারা হল সারা

বাদল-বাউল বাজায় রে একতারা

বাদল-মেঘে মাদল বাজে গুরুগুরু গগন-মাঝে

বাধা দিলে বাধবে লড়াই, মরতে হবে

বারে বারে পেয়েছি যে তারে

বারে বারে ফিরে ফিরে তোমার পানে

বাসন্তী হে ভুবনমোহিনী

বাহির হলেম আমি আপন ভিতর হতে

বাহির-পথে বিবাগি হিয়া