মুরশিদের মহৎ গুণ লেনা বুঝে

মুরশিদের ঠাঁই লেনা রে সে ভেদ বুঝে

মুরশিদকে মানিলে খোদায় মান্য হয়

মুরশিদ রূপ করিলে হেলা

মুরশিদ রঙ-মহলে সদায় ঝলক দেয়

মুরশিদ মণি গভীরে চার রসের মূল

মুরশিদ বিনে কি ধন আর আছে রে মন এ জগতে

মুরশিদ বল মন পাখী

মুরশিদ জানায় যারে মর্ম সেই জানতে পায়

মলে গুরু প্রাপ্ত হবে, সে তো কথার কথা

ভবে মানব-গুরু নিষ্ঠা যার

ভজ মুরশিদের কদম এই বেলা

বল গুরুর নাম বল

না জেনে করণ কারণ কথায় কি হবে

নবীজী মরশিদ কোন ঘরে

দিবানিশি থাক মন ঐ ধ্যানে

দিন থাকতে মুরশিদ রতন চিনলে না

দয়াল আমি এই চরণদাসীর যোগ্য নই

জান গে যা গুরু দ্বারে জ্ঞান-উপাসনা

গুরুর ভাব রাখা হইল রে আমার বিষয় দায়

গুরুর নাম লইয়া তুই বস না ধ্যানে

গুরুর দয়া যারে হয় সেই জানে

গুরু, সু-ভাব দেও আমার মনে

গুরু-শিষ্য এক আত্মা যদি হওয়া যায়

গুরু রূপের পুলক ঝলক দিচ্ছে যার অন্তরে

গুরু যার কাণ্ডারী ভবে

গুরু বিনে কি ধন আছে

গুরু-বস্তু চিনলে না

গুরু বলে ধর পাড়ি মন হুঁস থেকে

গুরু বল নৌকা খোল

গুরুপদে মতি আমার হল কই

গুরুপদে নিষ্ঠা মন যার হবে

গুরুপদে ডুবে থাক রে আমার মন

গুরু দোহাই তোমার, মনকে আমার লও গো সুপথে

কোথা আছে রে সেই দীন দরদী সাঁই

কারে বলবো আমার মনের বেদনা

ও আমার মন যারে চাই

ঐ রূপ তিলে তিলে জপ মন জুতে

একবার ভবের কেনারে লাগাও তরী

আয় কে যাবি ওপারে

আমি বলি তোরে মন, গুরুর চরণ কর রে ভজন

আমি জন্ম-দুঃখী কপাল-পোড়া

আমি চরণ পাব কোনদিনে

আমারে কি রাখবেন গুরু চরণদাসী

আজব রং ফকিরি সাধা সোহাগিনী সাঁই

অমর ভেবে সার

লালন গীতি – দেহতত্ত্ব

হুজুরে কার হবে রে নিকাশ দেনা

হায় কি আজব কল বটে।

হায় একি কলের ঘরখানি বেঁধে

হাওয়ার ঘরে দম আটকা পড়েছে

সুফলা ফলাচ্ছে গুরু মনের ভাব জেনে

শহরে ষোল জনা বোম্বেটে

যে জন হাওয়ার ঘরে ফাঁদ পেতেছে

মানবদেহের ভাব জেনে কর সাধনা

লালন ফকির – লালন গীতি

মন কি তুই ভোড়ুয়া বাঙ্গাল জ্ঞান ছাড়া

মধুর দেল দরিয়ায় ডুবিয়া কর ফকিরি

বেদে কি তার মরম জানে

বসত বাড়ীর ঝগড়া-কেজে