প্ৰথম পৰ্ব - ইসলামের আবির্ভাবের পটভূমি
দ্বিতীয় পৰ্ব - হযরত মুহাম্মদের (স) মক্কা জীবন
তৃতীয় পৰ্ব - হযরত মুহাম্মদের (স) মদিনা জীবন
চতুর্থ পর্ব - খোলাফায়ে রাশেদূন (৬৩২-৬৬৩ খ্রি.)
পঞ্চম পর্ব - উমাইয়া রাজবংশ (৬৬১-৭৫০ খ্রি.)
ষষ্ঠ পর্ব - আব্বাসীয় সাম্রাজ্য (৭৫০-১২৫৮ খ্রি.)
পরিশিষ্ট

প্রথম অধ্যায় : আরব ভূখণ্ডের ইতিহাসের উৎসসমূহ

আরব ভূখণ্ডের ইতিহাসের উৎসসমূহ

‘জাজিরাতুল আরব’ নামে ভূখণ্ড প্রাক-ইসলামি যুগের আরব দেশ হিসেবে পরিচিত। আক্ষরিক অর্থে ‘জাজিরা’ বলতে দ্বীপ বুঝায়। কিন্তু তিনদিক জল এবং উত্তর- পশ্চিম-দিক স্থল দ্বারা বেষ্টিত আরব ভূখণ্ড ‘জাজিরাতুল আরব’ নামে অভিহিত হয়। এশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে শুষ্ক আবহাওয়া দ্বারা পরিবেষ্টিত এই আরব ভূখণ্ডই ইসলামের জন্মভূমি কারণ ইসলামের প্রবর্তক মহান নবী হযরত মুহাম্মদ (স) মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন। এই ভূখণ্ডের প্রাচীন ইতিহাস খুবই প্রাচীন। পি. কে. হিট্টি এই ভূখণ্ডের প্রাচীন ইতিহাস, সমাজ ও সংস্কৃতির বিষদ বিবরণ দেন। তিনি বলেন, “আধুনিক ঐতিহাসিকদের অন্বেষণে আরব ইতিহাসের উৎস সন্ধান বিশেষ গুরুত্ব পায়নি। ভাবতে অবাক লাগে আরবদেশের মত বিশাল এক রাষ্ট্র এবং তার জনগণ সাম্প্রতিক ইতিহাস চর্চায় সম্পূর্ণ উপেক্ষিত। শুধু ভৌগোলিক আয়তনের বিচারেই আরব দেশের তুলনা নেই। ক্ষুদ্র অন্যান্য অনেক রাষ্ট্র অনুসন্ধিৎসু ঐতিহাসিকদের কাছে গুরুত্ব পেয়েছে অনেক বেশি।” কিন্তু গ্রিক ঐতিহাসিকসহ পরবর্তীকালের অনেক ঐতিহাসিক, ভৌগোলিক, অনুসন্ধানকারী, আবিষ্কারণ ও গবেষক আরব ভূখণ্ডের গুরুত্ব উপলব্ধি করে বিষদ বিবরণ দিয়ে গেছেন। হেরোডোটাস সর্বপ্রথম আরব ভূখণ্ডের পশ্চিম উপকূলের মূল্যবান মশলা এবং সুগন্ধি দ্রব্যের কথা উল্লেখ করেন।

১৭৬১ সালে ডেনমার্কের রাজার উদ্যোগে কার্সটেন নাইবুহরের নেতৃত্বে এক অভিযাত্রী দল আরবদেশে পাঠানো হয়। নাইবুহর দক্ষিণ আরব বা ইয়েমেনে সফর করে অনেক নতুন তথ্য দেন। পরবর্তীকালে বিধর্মীদের জন্য নিষিদ্ধ হলেও অনেক ইউরোপীয় ভৌগোলিক ও অভিযাত্রীক হিজাজে আগমন করে পবিত্র মক্কা নগরীর বিবরণ রেখে গেছেন। হিট্টির মতে, তাদের সংখ্যা হবে বারো। সর্বপ্রথম যে ইউরোপীয় এই দুঃসাহসিক অভিযানে অংশগ্রহণ করেন তিনি হচ্ছেন সুইডেনবাসী লুডউইগ বার্কহার্ড। তিনি ইব্রাহিম বিন আবদুল্লাহ নাম ধারণ করে ছদ্মবেশে আরবি ভাষা শিখে আরবি পোষাকে সজ্জিত হয়ে মক্কা ও মদীনায় ভ্রমণ করেন। তিনি বর্তমানে কায়রোতে সমাহিত আছেন। তিনিই প্রথম আরবদেশের উত্তরাঞ্চলের রক্ত গোলাপ শহর পেট্রা আবিষ্কার করেন। এরপর ইউরোপ থেকে দলে দলে আরবদেশে ভৌগোলিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানের জন্য অভিযাত্রীক দল আসতে থাকেন। ১৮১১ থেকে ১৮৩৬ সাল পর্যন্ত ফরাসী ও ইংরেজগণ আরবদেশে এসেছিলেন। কিন্তু তারা পবিত্র মক্কা নগরী পরিদর্শন করতে পারেন নি। ১৮১২ সালের পর মাত্র তিন জন এই বিরল সম্মানের অধিকারী হয়েছিলেন। ১৮৫৩ সালে রিচার্ড বার্টন মক্কা ও মদিনা সফর করে ভ্রমণ কাহিনী লিখে গেছেন। ওলন্দাজ অধ্যাপক স্নাউক হুরগ্রোরনজে ১৮৮৫-৮৬ সালে মক্কায় যান এবং চাক্ষুস অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে হারাম শরীফের বর্ণনা দেন। এরপর ১৯২৫-২৬ সালে এলডন বাটার নামে একজন ইংরেজের মক্কা ও মদিনায় সফর করার সৌভাগ্য হয়। ১৮৪৫ সালে সুইডেনের তরুন পণ্ডিত জর্জ অগাস্টন ওয়ালিন নামে এক তরুন সুইডিশ ভাষাতত্ত্বের গবেষণা চালাতে নাজদে পৌঁছান। ১৮৬৩ সালে ইহুদি বংশোদ্ভূত ইংরেজ উইলিয়াম জিফোর্ড পালগ্রেভ লেবাননে বসবাস করে নাজদের প্রত্যন্ত অঞ্চলসমূহের তথ্য সংগ্রহ করেন। ১৮৫৩ সালে “আরব্য রজনীর” বিখ্যাত অনুবাদক স্যার রিচার্ড বার্টন ছদ্মবেশে আল-হাজ্জ আবদুল্লাহ নাম ধারণ করে বিধর্মীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ মক্কা ও মদিনায় আগমন করে নির্ভরযোগ্য ভ্রমণকাহিনী রচনা করেন। গ্রন্থটির নাম “Personal Narrative of a Pilgrim to Mecca and Medina”। ঊনবিংশ শতাব্দীতে দুজন ইউরোপীয় মহিলা উত্তর আরবে ভ্রমণ করেন তাদের একজন হচ্ছেন অ্যানি ব্রান্ট। তিনি ১৮৭৯ সালে নেজদে আগমন করেন। ১৮৭৫ সালে চার্লস এম. ডাউটি নামে এক ইংরেজ অভিযাত্রীক উত্তর আরব অঞ্চল সফর করে ভ্রমণ কাহিনী লিখেন। এটি “ট্রাভেলস ইন অ্যারেবিয়া ডেজার্ট” নামে পরিচিত। এটি ইংরেজি সাহিত্যের এক ধ্রুপদী রচনা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের (১৯১৪-১৯১৯) সময়ে টি. ই. লরেন্স “ সেভেল পিলারস্ অব উইজডম” রচনা করেন। অন্যান্য যে সমস্ত ইউরোপীয় পর্যটক আরবভূখণ্ডে ভ্রমণ করেন তাদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিলেন অ্যালোয়েস মুসিল, যিনি ১৮৯৮ উম্মাইয়া প্রাসাদ মাসাত্তা আবিষ্কার করেন। তিনি জাতিতে ছিলেন চেকোস্লোভাক। ব্রাট্রাম থমাসই প্রথম ইউরোপীয় যিনি ১৯৩১ সালে সর্বপ্রথম আরব ভূখণ্ডের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত “আল-রাব আল-খালি” মরুভূমি অতিক্রম করেন। ঠিক এক বছর পরে ১৯৩২ সালে এইচ. সেন্ট. জে. বি. ফেলবি থমাসের পথ অনুসরণ করে পারস্য উপসাগরের নিকটবর্তী আল-হুফুফ থেকে যাত্রা করে পশ্চিম দিকে “আল-রাব আল-খালি” নব্বই দিনে অতিক্রম করেন।

প্রাক-ইসলামি যুগের ইতিহাস ধূম্রজালে আবৃত। প্রাক-ইসলামি যুগের আরবদের মধ্যে পৌত্তলিকতা বিরাজ করে এবং হিশাম আল-কালবী ‘কিতাবুল আসনাম’ নামে যে গ্রন্থ রচনা করেন তাতে পৌত্তলিকতা সম্বন্ধে বিষদ বিবরণ পাওয়া যায়। এ ছাড়া আজরাকী ‘কিতাব আখবার’ মক্কা গ্রন্থে মক্কার সামাজিক, রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় অবস্থার কথা বলা হয়েছে। নবী করিমের জীবনচরিত ‘সিরাতুন নবী’ নামে পরিচিত। সর্বপ্রথম যে আরব ঐতিহাসিক নবী করিমের জীবন বৃত্তান্ত রচনা করেন তিনি হচ্ছেন ইবন ইসহাক (মৃত ৭৬৮)। বর্তমানে এই গ্রন্থটি বিলুপ্ত। কিন্তু ইবন হিশামের ‘সিরাতুন নবী’ (মৃ. ৮৩৩ খ্রি.) গ্রন্থে ইবন ইসহাকের গ্রন্থটির বহু উপকরণ সন্নিবেশিত রয়েছে। ইবন ইসহাক এবং ইবন হিশামের পরেই ইবন সা’দের স্থান। ইবন সা’দ (মৃত্যু ৮৪৫ খ্রি.) প্রখ্যাত আরব ঐতিহাসিক আল-ওয়াকিদির সচিব ছিলেন। তিনি ‘তাবাকাত’ নামে যে গ্রন্থ রচনা করেন তাতে নবী করিমের জীবনী ছাড়াও সাহাবীদের এবং পরবর্তীকালে ইসলামের মহান ব্যক্তিদের জীবনীও সংকলিত হয়েছে। নবী করিমের মৃত্যুর বহু পরে বিশেষ করে আব্বাসীয় খিলাফতে (৭৫০-১২৫৮ খ্রি.) ‘সিরাতুন নবী’ রচিত হয়। আল-ওয়াকিদি ‘মাগাজী’ নামে নবী করিমের জীবনবৃত্তান্ত নিয়ে যে গ্রন্থ রচনা করেন তার মূল উদ্দেশ্য ছিল তাঁর সময়ের যুদ্ধ-বিগ্রহসমূহের তথ্যবহুল আলোচনা করা। Wellhausen তার Muhammad in Medina গ্রন্থে আল-ওয়াকিদির গ্রন্থ থেকে অনেক অংশ প্রকাশ করেন। আত-তাবারী (মৃত্যু ৯২২ খ্রি.) ‘তারিখে আল-রসুল ওয়াল মূলক’ রচনা করেন। দশম শতাব্দীতে রচিত তাবারীর ইতিহাস গ্রন্থে পূর্ববর্তী গ্রন্থাবলীর উদ্ধৃতি রয়েছে। মোট চার খণ্ডে রচিত ‘তারিখের’ রচনা ছিল সমালোচনাধর্মী। তিনি হঠাৎ করে কোন সিদ্ধান্তে আসতেন না। তাবারী উরওয়া বিন আল-যুবাইর (মৃত্যু ৭২২) নামের এক গ্রন্থকারের উল্লেখ্য করেন। অন্য কোন গ্রন্থে উরওয়ার উল্লেখ পাওয়া যায় না। মন্টোগোমারী ওয়ার্ট উরওয়ার কথা উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে বলা যায় যে, ৬৩২ সালে নবী করিমের মৃত্যুর নব্বই বছর পরে সর্বপ্রাচীন তিনি এই আরবি গ্রন্থ রচনা করেন। কুরআন এবং হাদিস ছাড়া বিভিন্ন ইতিহাস গ্রন্থে নবী করিমের জীবনচরিত উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন জীবনকোষে নবী করিমের জীবনবৃত্তান্তের উল্লেখ আছে, যেমন সাহাবীদের উপর রচিত ইবন আল-আতিরের (মৃত্যু ১২৩৪ খ্রি.) ‘উসাদ আল-গাবা’ এবং ইবন হাজরের (মৃত্যু ১৪৪৭ খ্রি.) ‘ইসাব’ বিশেষভাবে তথ্যসূত্র হিসেবে পরিচিত।

আত-তাবারীর পর আরব ঐতিহাসিকদের মধ্যে আল-মাসুদীর স্থান। তাঁকে ‘Herodotus of the Arabs’ বলা হয়। তাঁর মূল্যবান গ্রন্থে ইসলামের ইতিহাসের মূল্যবান তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়া ইতিহাস গ্রন্থ রচনায় যারা খ্যাতি অর্জন করেন তারা হচ্ছেন ইবন আসির, আবু আল-ফিদা, ইয়াকুত।

শুধুমাত্র আরব ঐতিহাসিকগণই রসুলে করিমের জীবনচরিত রচনা করেননি। বহু ইউরোপীয় ও আমেরিকান গবেষকগণ ইতিহাস রচনা করে যশস্বী হয়েছেন। ইংরেজি, ইতালী, জার্মান, ফ্রেন্স ভাষায় রসুলে করিমের জীবনী রচিত হয়েছে। এ সমস্ত লেখকদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য Ahrens, Muhammad (1935), Buhl, Muhammad (1930 ), Caetani, Annali dell Islam (1905 ) এবং Studi di Storia Orientale, (vols I-III, 1911-14). Wustenfeld, Mekka (Vols I-IV 1838-61) Wellhausen, Reste Arabischen Heidentums (1897), Lammens, L ́Arabie Occidentale avant Hegira (1928), La Mecque a la verlle dell Hegira (1924), Nicholson, Literary History of the Arabs, E.G Brown, Literary History of the Persians, Noldeke-Schwally, Geschichete de Qoran (2 vols, 1909-19 ); Sale and Wherry, A Comprehensive commentary on the Quran ( 1882 – 6), Torrey, Jewish Foundation of Islam.

বিংশ শতাব্দীর অমুসলিম ইসলামি গবেষকদের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিটিক সাহিত্যের অধ্যাপক ফিলিপ. কে. হিট্টির নাম সর্বাগ্রে উচ্চারণ করতে হয়। তাঁর সুলিখিত “হিস্টি অব দি আরবস্” গ্রন্থের ১৯৬১ থেকে বহু সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে, যা তথ্যবহুল গ্রন্থের জনপ্রিয়তাকে প্রমাণিত করে। ইংরেজ লেখকদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা ইসলাম বিদ্বেষী লেখক হচ্ছেন উইলিয়াম মুইর। ১৮৫৮ সালে প্রকাশিত তাঁর Life of Mahomet গ্রন্থটিতে তিনি নবী করিমের নাম বিকৃত করে বলেছেন Mahomet, শুধু তাই নয় নবী করিমকে (নাউজুবিল্লাহ) ভণ্ড নবী বলে আখ্যায়িত করেন। তার গ্রন্থ শয়তানের তথাকথিত বাণীর (Satanic verses) যে উল্লেখ আছে তা মুসলিম ও অমুসলিম (কারেন আমসস্ট্রং) লেখক কর্তৃক বহু পূর্বে বর্জিত হয়েছে। নবী করিমের জীবনচরিত রচনায় বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি অনেক অমুসলমান ইউরোপীয় লেখক, গবেষক ঐতিহাসিক গ্রহণ করেন, যেমন চালর্স হুয়ার্ট (The Hundred), মার্টিন লিং, গ্রুনিবাম, এইচ. এ. আর, গীব; স্মীথ, আরভিন, টি. ডাব্লুউ আরনল্ড এবং মন্টোগোমারী এম, ওয়ার্ট। উল্লেখ্য যে, মন্টোগোমারী ওয়ার্ট নবী করিমের উপর দুটি প্রামাণ্য গ্রন্থ রচনা করেন। একটি Muhammad at Mecca, যার বাংলা অনুবাদ মল্লিক ব্রাদার্স কর্তৃক ২০০৩ সালে প্রকাশিত হয়েছে এবং দ্বিতীয়টি Muhammad at Medina। উভয় গ্রন্থ ইবন ইসহাক, ইবন হিশাম, ইবন সা’দ, আত-তাবারি এবং আল-ওয়াকিদির রচনাবলীর উপর ভিত্তি করে রচিত। চার্লস হুয়ার্ট বিশ্বের একশত মনীষীর মধ্যে নবী করিমের জীবদ্দশায় তৌহিদ প্রতিষ্ঠার অসামান্য কৃতিত্বের জন্য তাঁকে শীর্ষস্থানে রেখেছেন।

মুসলিম লেখকদের মধ্যে যারা নবী করিমের জীবনচরিতের যথার্থ মুল্যায়ন করেন তাঁর মধ্যে রয়েছেন স্যার সৈয়দ আমীর আলী। ব্রিটিশ শাসনামলে মুসলিম জাগরণের পথিকৃত আমীর আলী তাঁর দুটি অমর গ্রন্থ রচনা করে অসামান্য অবদান রাখেন; এ দুটি হচ্ছে— History of the Saracens এবং The Spirit of Islam। মৌলানা মুহাম্মদ আলী, যিনি তার ভাই সৈয়দ শওকত আলীকে নিয়ে ভারতবর্ষে খিলাফত আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন, Muhammad (sm) the Prophet রচনা করেন। এ ছাড়া তাঁর আর একটি প্রামাণ্য গ্রন্থ হচ্ছে “The Religion of Islam”। বাঙ্গালি লেখক-ঐতিহাসিকদের মধ্যে অনেকেই নবী করিমের জীবনবৃত্তান্ত রচনা করেন। তাদের মধ্যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন মৌলানা মুহাম্মদ আক্রম খান। তাঁর গ্রন্থের নাম “মোস্তফা চরিত”। এছাড়া ইয়াকুব আলী “নূরনবী” এবং গোলাম মোস্তাফা “বিশ্বনবী” রচনা করেছেন।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *