আয় গো যাই নবীর দীনে

আশেক বিনে ভেদের কথা কে আর পোছে

আপন সুরাতে আদম গঠলো দয়াময়

আদমে আহমদ এসে নবী নাম সে জানালে

আকার নিরাকার সেই রব্বানা

আছে রে ভাবের গোলা আশমানে

অপারের কাণ্ডারী নবীজী আমার

হরদম পড় ইল্লাল্লা আরও রাখিয়ে বরজখ মনরে ভোলা

হলাম নারে রসিক ভেয়ে

হতে চাও হুজুরের দাসী

স্বরূপ রূপ দর্পণে সেই রূপ দেখেছে যে জন

সেই অটল রূপের উপাসনা

সে যারে বোঝায় সেই বোঝে

সে ভাব সবাই কি জানে

সে ভাব উদয় না হলে, কে পারে সেই অধর চাঁদের

সে করণ সিদ্ধি করা সামান্যে কি হয়

সে কথা কি কবার কথা জানিতে হয় ভাবাবেগে

সাধন বিফল বরজখ বিনে

সাঁই দরবেশ যারা, আপনারে ফানা করে

সমুদ্রের কিনারে থেকে জল বিনে চাতকী ম’ল

সময় বুঝে বাঁধাল বাধলে না

সময় গেলে রে, ও মন সাধন হবে না

সমঝে কর ফকিরি মন রে

সবায় কি তার মর্ম জানতে পায়

রসের রসিক না হলে কে গো জানতে পায়

রসিকের ভঙ্গিতে যায় চেনা

যেও না আন্দাজি পথে মন-রসনা

যে সাধন জোরে কেটে যায় কর্ম-ফাঁসি

যে রূপে সাঁই আছে মানুষে

যে পথে সাঁই চলে ফিরে

যে পথে এসেছ রে মন যেতে হবে সেই পথে

যে জানে ফানার ফিকির সেই ফকির

যে জন সাধকের মূল গোড়া

যে জন ডুবে আছে সেই রূপ-সাগরে

যে জন পদ্মহীন সরোবরে যায়

যাক না মন একান্ত হয়ে

যা যা ফানার ফিকির জান গে যারে

যদি শরায় কার্য সিদ্ধি হয়

যদি ফানার ফিকির জানা যায়

মেরে সাঁইর কুদরতি তা কেউ বুঝতে পারে

মারুফত কারে বলে জান মন

মানুষ ঝলক দিবে নেহারে

মাঝি ভাই উজান চালাও তরী

মরার আগে মলে শমন জ্বালা ঘুচে যায়

মরে ডুবতে পারলে হয়

মর জেন্দেগির আগে

মনে না দেখলে নেহাজ করে

মন রে, কবে ভবে সূর্যের যোগ হয়

মন-চোরা রে ধরবি যদি মন

মধুর দিল-দরিয়ায় যেজন ডুবেছে

ভাল জল ছেঁচা কল পেয়েছ মনা

ভাল রে এক ব্যাধ বটে

ভাবের নদীতে আমি ডুব দিলাম না

ভজ রে জেনে শুনে নবী রসুল নিজ প্রাণে

ভজ মুরশিদের কদম এই বেলা

ভজনের নিগূঢ় কথা যাতে আছে

বিষামৃত আছে রে মাখাজোখা

বিনা মেঘে বরষে বারি

ফেরেব ছেড়ে কর ফকিরি

ফের পলো তোর ফিকিরেতে