শূন্য প্রাণ কাঁদে সদা– প্রাণেশ্বর

বাঁচান বাঁচি, মারেন মরি

প্রথম আদি তব শক্তি

সকল ভয়ের ভয় যে তারে কোন্‌ বিপদে কাড়বে

নিত্য তোমার যে ফুল ফোটে ফুলবনে

জয় হোক, জয় হোক নব অরুণোদয়

যদি ঝড়ের মেঘের মতো আমি ধাই চঞ্চল-অন্তর

অনেক দিয়েছ নাথ

এ মোহ-আবরণ খুলে দাও, দাও হে

সুখহীন নিশিদিন পরাধীন হয়ে ভ্রমিছ দীনপ্রাণে

সংসারে কোনো ভয় নাহি নাহি

শীতল তব পদছায়া, তাপহরণ তব সুধা

নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে, রয়েছ নয়নে নয়নে

এমনি করে ঘুরিব দূরে বাহিরে

জয় তব বিচিত্র আনন্দ, হে কবি

তুমি আমাদের পিতা

তব অমল পরশরস, তব শীতল শান্ত পুণ্যকর অন্তরে দাও

ডাকিছ কে তুমি তাপিত জনে তাপহরণ স্নেহকোলে

দূরে কোথায় দূরে দূরে

শক্তিরূপে হেরো, তাঁর

হে মহাপ্রবল বলী

দয়া দিয়ে হবে গো মোর জীবন ধুতে

কোলাহল তো বারণ হল, এবার কথা কানে কানে

সকলকলুষতামসহর, জয় হোক তব জয়–

প্রেমানন্দে রাখো পূর্ণ আমারে দিবসরাত

বীণা বাজাও হে মম অন্তরে

আজি নাহি নাহি নিদ্রা আঁখিপাতে

পিপাসা হায় নাহি মিটিল, নাহি মিটিল

শ্রান্ত কেন ওহে পান্থ, পথপ্রান্তে বসে একি খেলা

জগতে তুমি রাজা, অসীম প্রতাপ

এ মণিহার আমায় নাহি সাজে

যেথায় তোমার লুট হতেছে ভুবনে

রাখো রাখো রে জীবনে জীবনবল্লভে

মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না

শান্তি করো বরিষন নীরব ধারে, নাথ, চিত্তমাঝে

তিমিরবিভাবরী কাটে কেমনে

দিন যায় রে দিন যায় বিষাদে

গাও বীণা– বীণা, গাও রে

তুমি ধন্য ধন্য হে, ধন্য তব প্রেম

যেথায় থাকে সবার অধম দীনের হতে দীন

বিশ্বসাথে যোগে যেথায় বিহারো

হৃদয়মন্দিরে, প্রাণাধীশ, আছ গোপনে

তোমার কথা হেথা কেহ তো বলে না

হে সখা, মম হৃদয়ে রহো

অমৃতের সাগরে আমি যাব যাব রে

তোমা-হীন কাটে দিবস হে প্রভু

কে রে ওই ডাকিছে

তাঁহারে আরতি করে চন্দ্র তপন, দেব মানব বন্দে চরণ

ওই আসনতলের মাটির ‘পরে লুটিয়ে রব

প্রভু, আজি তোমার দক্ষিণ হাত রেখো না ঢাকি

ওই শুনি যেন চরণধ্বনি রে

কেন বাণী তব নাহি শুনি নাথ হে

লহো লহো তুলি লও হে ভূমিতল হতে ধূলিম্লান এ পরান

কার মিলন চাও বিরহী

বর্ষ গেল, বৃথা গেল, কিছুই করি নি হায়

মন্দিরে মম কে আসিলে হে

আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্যসুন্দর

আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার চরণধুলার তলে

অমন আড়াল দিয়ে লুকিয়ে গেলে চলবে না

বেঁধেছ প্রেমের পাশে ওহে প্রেমময়