সংগ্রামী সমাজ ও স্বাধীনতা

সংগ্রামী সমাজ ও স্বাধীনতা

যদিও স্বাধীনতা লাভের উদ্দেশ্যে জনমত গঠনের জন্য ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দেই ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস স্থাপিত হয়ে গিয়েছিল, তা হলেও ওটা বিপ্লববাদী সংস্থা ছিল না। জাতীয় কংগ্রেস স্থাপনের পূর্বে সংঘটিত যে সব ঘটনাকে আমরা স্বাধীনতা লাভের পদক্ষেপ বলে চিহ্নিত করি, সেগুলো বিপ্লব নয়, বিদ্রোহ মাত্র। প্রকৃত বিপ্লববাদের আগুন জ্বলে ওঠে বঙ্গভঙ্গকে উপলক্ষ করে। বঙ্গদেশের আয়তন এককালে অনেক বড় ছিল। কিন্তু তাকে ক্রমশ ছোট করে আনা হয়েছিল বঙ্গ, আসাম, বিহার, ওড়িশা ও ছোটনাগপুরে তারপর আসাম প্রদেশকেও পৃথক করে একজন চীফ কমিশনারের শাসনাধীনে ন্যস্ত করা হয়েছিল। মোট কথা নানারকম রাজনৈতিক কারণে ব্রিটিশ সরকার বঙ্গদেশকে খর্ব করার অপচেষ্টায় ব্যস্ত ছিল। ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দে মধ্যপ্রদেশের চীফ কমিশনার স্যার এনড্রফ্রেজার প্রস্তাব করেন যে, বঙ্গদেশকে দু-খণ্ডে বিভক্ত করা হোক। প্রস্তাবটা বঙ্গদেশের সর্বত্র গভীর অসন্তোষ সৃষ্টি করে। এমনকি ইংরেজ মালিকানাবিশিষ্ট ও ইংরেজ কর্তৃক সম্পাদিত ‘ইংলিশম্যান’ পত্রিকাতেও বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে লেখা হয়। কিন্তু এসব প্রতিবাদ সত্ত্বেও ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ১৭ অক্টোবর তারিখে বঙ্গদেশকে দ্বিখণ্ডিত করে দেওয়া হয়। পূর্বদিকে সৃষ্ট হল আসাম ও পূর্ববঙ্গ প্রদেশে ও পশ্চিমে বাকি অংশ। চতুর্দিকে বিদ্বেষের বহ্নি জ্বলে উঠল। বিলাতী পণ্য বর্জন করা হল। স্বদেশীয় শিল্পগঠন ও জাতীয় শিক্ষাপ্রসারের জন্য ‘স্বদেশী আন্দোলন’ শুরু হল। যারা বিলাতী জিনিসের দোকানে পিকেটিং করল, তাদের ওপর পুলিস নিষ্ঠুর অত্যাচার করল। এর প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষিত সমাজের মধ্যে ভীষণ অসন্তোষ প্রকাশ পেল।

দুই

স্বদেশী আন্দোলন থেকে উদ্ভূত হল জাতীয়তাবাদ আর জাতীয়তাবাদ এক শ্রেণীর মধ্যে বীজ বপন করল বিপ্লববাদের। বিপ্লববাদ প্রসারের জন্য প্রথম যে সমিতি গঠিত হল, তা হচ্ছে অনুশীলন সমিতি। এর শাখা-প্রখাশা চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ল। এদিকে অরবিন্দের (১৮৭২-১৯৫০) ছোট ভাই বারীন্দ্রের (১৮৮০-১৯৫৯) নেতৃত্বে গঠিত হল এক সশস্ত্র বিপ্লবীদল। তারা তাদের গোপন কেন্দ্র করল মানিকতলার ওপারে মুরারিপুকুরে এক নিভৃত বাগানবাড়িতে। বারীন্দ্রের নেতৃত্বে যে দল গঠিত হল, তারা দু’জন সদস্যকে বিদেশে পাঠিয়ে দিল বোমা তৈরী করবার প্রণালী শিখে আসবার জন্য। তারপর মুরারিপুকুরের বাগানবাড়িতে বোমা তৈরীর আয়োজন চলতে লাগল। বারীন্দ্রের দলের দু’জন প্রফুল্ল চাকী (১৮৮৮-১৯০৮) ও ক্ষুদিরাম বসু (১৮৮৯-১৯০৮) মুজাফ্ফরপুরের দিকে রওনা হল প্রাক্তন প্রেসিডেন্সী ম্যাজিস্ট্রেট মিস্টার কিংসফোর্ডকে হত্যা করবার জন্য। ভুল করে কিংসফোর্ডের গাড়ির মত দেখতে অন্য একখানা গাড়ির ওপর বোমা নিক্ষেপ করল। নিহত হল মিস্টার কেনেডি নামে এক আইনবিদের স্ত্রী ও কন্যা। প্রফুল্ল ধৃত হল বটে, কিন্তু সে আত্মঘাতী হল। ক্ষুদিরামের বিচার হল এবং তাকে ফাঁসি দেওয়া হল।

এরপর এল বিশ্বাসঘাতকের পালা। নরেন্দ্র গোস্বামী নামে দলের একজন সদস্য পুলিশের কাছে গোপন তথ্য সরবরাহ করে বারীন্দ্রের দলকে ধরিয়ে দিল। কানাইলাল দত্ত ও সত্যেন বসু নামে দলের দু’জন বন্দি জেলখানার মধ্যেই নরেন্দ্রকে হত্যা করল। বিচারে বারীন্দ্র সমেত ১৪ জন অপরাধী সাব্যস্ত হল। তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল। কিন্ত এই সঙ্গে বিপ্লবের পরিসমাপ্তি ঘটল না। ১৯০৭ থেকে ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ন্যূনাধিক ৬৩ জন নিহত হল। সংগ্রামের জন্য অর্থসংগ্রহের প্রয়াসে বিপ্লবীদল রাজনৈতিক ডাকাতি শুরু করল। ১৯০৭ থেকে ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ১১২টা ডাকাতি হল, এবং ডাকাতরা এভাবে সাত লক্ষ টাকা সংগ্রহ করল।

তিন

ভারতের স্বাধীনতার জন্য বিদেশেও বিপ্লবাত্মক কাজ শুরু হয়েছিল। এর সূত্রপাত করেছিলেন শ্যামজী কৃষ্ণবর্মা নামে একজন বিপ্লবী। ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি লণ্ডনে গিয়ে বসবাস শুরু করেন। সর্দার সিং রাণা নামে আর একজন বিপ্লববাদী প্যারিসে গিয়ে আস্তানা গাড়েন। শ্যামজী বিলাতে এক বিপ্লববাদী দল গড়ে তোলেন। এই দলের মধ্যে ছিলেন সাভারকার, হরদয়াল ও মদনলাল। প্যারিসে শ্যামজীর উপযুক্ত সহকর্মী ছিলেন এক মহিলা। নাম মাদাম ভিখাজী রুস্তম কামা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও ভারতীয় বিপ্লববাদ অগ্রগতি লাভ করে। সেখানে হরদয়ালের নেতৃত্বে ‘গদর’ নামে একটি দল গঠিত হয়। মার্কিন সরকার হরদয়ালকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করে। হরদয়ালের পর ‘গদর’ দলের নেতৃত্ব পড়ে রামচন্দ্রের ওপর।

এরই কিছুদিন পরে ইউরোপে আরম্ভ হয় প্রথম মহাযুদ্ধ। জারমানিতে অবস্থিত ভারতীয় বিপ্লববাদীরা সহানুভূতিশীল জারমান সরকারের কাছ থেকে অস্ত্রসম্ভার সংগ্রহ করে, যুদ্ধে নিরপেক্ষ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে তা ভারতে পাঠাবার মতলব করে। জারমানি থেকে ভারতে অস্ত্রশস্ত্র পাঠাবার পথ সুগম করবার জন্য ভারতীয় বিপ্লবীদের পাঠানো হল জাপান, চীন, ফিলিপাইন, শ্যাম প্রভৃতি দেশে। আশী হাজার রাইফেল ও চল্লিশ লক্ষ কার্তুজ ভারতে পাঠাবার জন্য ‘আন লারসেন’ নামে এক ছোট জাহাজে বোঝাই করে, ‘ম্যাভেরিক’ নামে এক বড় জাহাজে তুলে দেবার পরিকল্পনা হল। কিন্তু নির্দিষ্ট দিনে ‘ম্যাভেরিক’ না পৌঁছানোর ফলে ওই অস্ত্রসম্ভার আর ভারতে এসে পৌঁছাল না।

এদিকে অস্ত্রশস্ত্র আসছে, এই খবর পেয়ে সেগুলো কোন নিভৃত স্থানে নামাবার জন্য যাদুগোপাল মুখুজ্যে (১৮৮৬-১৯৭৬) গেলেন সুন্দরবনে ও যতীন মুখুজ্যে গেলেন বালেশ্বরে। বালেশ্বরে যতীন মুখুজ্যের (১৮৮০-১৯১৫) কাছে বাটাভিয়ায় অবস্থিত জারমান সরকারের প্রতিভূরা বিপ্লবে সাহায্য করবার জন্য টাকা পাঠাতে লাগল। কিন্তু শেষ কিস্তির দশ হাজার টাকা ব্রিটিশ সরকারের হাতে গিয়ে পড়ল। সেই সূত্র অবলম্বন করে পুলিশ যতীন মুখুজ্যের তল্লাসে বেরিয়ে পড়ল। বুড়িবালামের তীরে যতীন মুখুজ্যে ও তার সহকর্মীদের সঙ্গে পুলিসের এক ভীষণ সংঘর্ষ হল। পুলিসের সঙ্গে তিনি সর্বশক্তি দিয়ে যুদ্ধ করেন। শেষে আহত অবস্থায় হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয় (১৯১৫)

এদিকে রাসবিহারী বসু (১৮৮৫-১৯৬৫) ভারতীয় সৈন্যবাহিনীকে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে উদ্বুদ্ধ করলেন। বিদ্রোহের দিন ধার্য হল ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দের ১৯ ফেব্রুয়ারি তারিখে। কিন্তু রাসবিহারীর দলে কি পাল সিং নামে পুলিশের একজন গুপ্তচর যোগদান করেছিল। তার মারফত সরকার আগে থাকতেই খবর পেয়ে এ চেষ্টা বিফল করে দিল।

চার

১৯২০ খ্রিস্টাব্দের পর থেকে গান্ধীজী (১৮৬৯-১৯৪৮) হলেন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অপ্রতিদ্বন্দ্বী নেতা। গান্ধীজী অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে স্বাধীনতা লাভের পথ ঘোষণা করলেন। কিন্তু বিধানসভার মাধ্যমে স্বরাজ লাভের আন্দোলন পরিচালনা করবার জন্য দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ (১৮৭০-১৯২৫) গঠিত করলেন ‘স্বরাজ্য পার্টি’। তাঁরা বিধানসভার মধ্যে নানাভাবে ব্রিটিশ সরকারকে বিপর্যস্ত করে তুললেন।

এর মধ্যে কংগ্রেসের মধ্যে বামপন্থী দলের প্রাদুর্ভাব ঘটল। সূর্য সেন (১৮৯৩-১৯৩৪) বা মাস্টারদার নেতৃত্বে তারা ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রাম শহরের এক প্রান্তে সরকারী রেলের টাকা লুণ্ঠন করে। ১৯৩০-খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রামে দু’টি অস্ত্রাগার ও পুলিশ লাইন এবং ‘ডাক ও তার’ অফিস দখন করে। বিনয় (১৯০৮-১৯৩০), বাদল (১৯১২- ১৯৩০), ও দীনেশ (১৯১১-১৯৩১) রাইটার্স বিল্ডিং-এর অভ্যন্তরে সিমপসন সাহেবকে হত্যা করল। ঢাকায় পুলিশ সুপারিনটেণ্ডেণ্ট লোম্যান সাহেবও নিহত হল (১৯৩০)। মেদিনীপুরে পরপর তিনজন জেলা: ম্যাজিষ্ট্রট নিহত হল।

আইন অমান্য করে লবণ প্রস্তুতের উদ্দেশ্যে গান্ধীজী ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে ডাঞ্জি অভিমুখে যাত্রা করলেন। ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে আইন অমান্য আন্দোলন দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ল। দলে দলে লোক কারারুদ্ধ হল।

পাঁচ

তারপর এল দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ। কংগ্রেস প্রথমে যুদ্ধে সহযোগিতার প্রস্তাব করেছিল, কিন্তু সরকার তাতে সাড়া না দেওয়ায়, ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে আবার সত্যাগ্রহ আন্দোলন শুরু হল। সেদিন সমস্ত দেশবাসী আত্মবলে বলীয়ান হয়ে উচ্চকণ্ঠে বলে উঠল—’করেংগে ইয়া মরেংগে’। সরকার নেতৃবৃন্দকে কারারুদ্ধ করলেন। বিক্ষুব্ধ দেশবাসী সংগ্রাম শুরু করল ইংরেজের বিরুদ্ধে। ‘আগস্ট বিপ্লব’ নামে আখ্যাত এই সংগ্রাম তীব্র আকার ধারণ করল মেদিনীপুর জেলায়। সতীশচন্দ্র সামন্তের অধিনায়কত্বে বিপ্লবীরা সেখানে প্রতিষ্ঠিত করল এক স্বাধীন সরকার। প্রায় দেড় বৎসর ইংরেজ শাসন সেখানে বিলুপ্ত হল। ইংরেজ চালালো অমানুষিক অত্যাচার ও ব্যাপক নারীধর্ষণ। পুলিশের গুলি অগ্রাহ্য করে অপূর্ব দেশপ্রেম ও সাহস দেখাল মাতঙ্গিনী হাজরা (১৮৭৬-১৯৪২)। সত্তর বৎসর বয়স্কা এই বীরাঙ্গনা মহিলা ললাটে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জাতীয় পতাকা দৃঢ়মুষ্টিতে ধরে মৃত্যুবরণ করল। ইংরেজ সরকারী রিপোর্টে লিখল—”In Midnapore in Bengal the operation of the rebels indicated considerable care and planning, effective warning system had been devised, elementary tactical principles were observed, for instance, encirclement and flanking movements clearly on pre-arranged signals. The forces of disorder were accompanied by doctors and nursing orderlies to attend the casualties and its intelligence system was effective”. বিপ্লব মাত্র মেদিনীপুরেই কেন্দ্রীভূত হয়নি। কলকাতা, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোহর, বগুড়া, মালদহ, নদীয়া, বরিশাল, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান, দিনাজপুর, দার্জিলিং সকল স্থানেই চলল জনসাধারণের উত্তেজনা ও পুলিশের অকথ্য অত্যাচার।

ইতিমধ্যে ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের মে মাসে ঘটল দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের অবসান। যুদ্ধে জয়লাভ করলে ভারতকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেবে, এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ইংরেজ। কিন্তু স্বাধীনতার ব্যাপার নিয়ে বিবাদ বাধল কংগ্রেস ও মুসলিম লীগে। ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে এল ক্যাবিনেট মিশন, হিন্দু- মুসলমানের মধ্যে মীমাংসা করবার জন্য। কিন্তু মীমাংসার সব চেষ্টাই হল ব্যর্থ। এরই পদাঙ্কে লাগল হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে দাঙ্গা (১৯৪৬-৪৭)। নোয়াখালি ও পূর্ববঙ্গের অন্যত্র দাঙ্গা চরম আকার ধারণ করল। কলকাতাতে দাঙ্গার তীব্রতা শীর্ষে উঠল।

ছয়

ইতিমধ্যে লড়াইয়ের মধ্যেই ঘটে গেল এক চমকপ্রদ ঘটনা। আগেই বলেছি যে ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে ‘আগস্ট বিপ্লব’-এর সময় সরকার নেতৃবৃন্দকে কারারুদ্ধ করেছিল। তার আগেই তারা কারারুদ্ধ করেছিল নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুকে (১৮৯৭-১৯৪৫)। কিন্তু অসুস্থতার জন্য নেতাজীকে জেলখানা থেকে এনে নিজগৃহে অন্তরীণ করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু ইংরেজের চোখে ধুলো দিয়ে তিনি অন্তর্হিত হলেন ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারী মাসের ১৮ তারিখে। আফগানিস্তানের ভিতর দিয়ে তিনি গিয়ে পৌঁছলেন জারমানিতে। সেখান থেকে জাপানে গিয়ে তিনি গঠন করলেন ‘আজাদ হিন্দ ফৌজ’। জাপানী সৈন্যবাহিনীর সঙ্গে আজাদ হিন্দ ফৌজ আক্রমণ হানল ব্রহ্মদেশের ওপর। তাসের বাড়ির মতো টলমল করে পড়ে যেতে লাগল শহরের পর শহর ও গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিসমূহ। নেতাজী এসে উপনীত হলেন আসাম সীমান্তে। ধ্বনি তুললেন, ‘দিল্লী চলো’। ‘লালকেল্লায় গিয়ে স্বাধীন ভারতের পতাকা তোল।’ কিন্তু যুদ্ধের পর নেতাজী আবার হলেন অদৃশ্য।

এদিকে যুদ্ধ শেষ হয়ে গেলে নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দেওয়া হল। ব্রিটিশ সরকার প্রস্তাব করলেন যে ভারতবাসীরা নিজেরাই দেশের সংবিধান রচনা করুক। তারপর নানারকম কুটিল ঘটনার বিপাকে দেশকে দু’ভাগ করা হল। ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৫ই আগস্ট তারিখে ইংরেজ ভারতের শাসনভার দেশবাসীর হাতে তুলে দিল। ভারত পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করল। কিন্তু বঙ্গদেশ দ্বিখণ্ডিত হল।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *