শেষ অশুভ সংকেত – ৫

পাঁচ

অ্যানড্রু ডয়েলের এই অদ্ভুত মৃত্যুকে বিভিন্ন লোকে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করল। থিওরির কোন অভাব ঘটল না। তার কর্মচারীদের বিশদভাবে জেরা করা হল। একটা টেরোরিস্ট অরগ্যানাইজেশনের লোক গোপনে ঘরে ঢুকে জোর করে অ্যামব্যাসেডরকে ড্রাগ করে চেয়ারে বসিয়ে টাইপরাইটার রিবন দরজার হাতলে বেঁধে রেখেছিল বলে স্থানীয় একটা পত্রিকা মত প্রকাশ করল। অন্যান্য কাগজে আরও উদ্ভট আর অস্বাভাবিক সব মতামত প্রকাশিত হল। কয়েক বছর আগে প্রকাশ্য দিবালোকে বিষমাখা ছাতার খোঁচায় একজন বুলগারিয়ান লোককে হত্যা করা হয়েছিল লণ্ডন শহরের মাঝখানে। এখানে কোন কিছুই অসম্ভব নয়—যুক্তি দেখাল ওরা।

বাকি সবাই অ্যানড্রর অতীত আর পারিবারিক জীবন নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেও কোন সূত্র খুঁজে পেল না। লম্বা কূটনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে তার অবসর নেয়ার সময় ঘনিয়ে আসছিল। গোপন করার মত কোন দুর্বলতা ওর ছিল না। তাদের বিবাহিত জীবনও ভালই কেটেছে। হঠাৎ আত্মহত্যা করার স্বপক্ষে কোন যুক্তি তার স্ত্রীর কাছে পাওয়া গেল না। ইদানীং রাতে দুঃস্বপ্ন দেখে চেঁচিয়ে ওঠার কথা সে উল্লেখ করেনি। এই বিপর্যয়ে বিমর্ষ হয়ে তার নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে—কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও নিজের তেমন কোন ত্রুটি খুঁজে পেল না। অন্য সবার মত ব্যাপারটা তার কাছেও দুর্বোধ্য রয়ে গেল।

.

ওয়াশিংটনে কবর দেয়ার জন্যে ডয়েলের কফিনটা যখন প্লেনে তোলা হচ্ছে, ঠিক সেই সময়ে, হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে ডেস্কের পাশে নিশ্চিন্ত আয়েশে দাঁড়িয়ে আছে ডেমিয়েন। ফোনে প্রেসিডেন্টের কথা শেষ হবার অপেক্ষা করছে সে।

ডেস্কের ওপর সস্নেহে একটা হাত রাখল ডেমিয়েন। রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রায় শীর্ষে পৌঁছেছে সে। এখান থেকেই কিউবা প্রশ্নে ক্রুশ্চেভের মিথ্যা হুমকির যথাযথ মোকাবিলা করেছিল কেনেডি। নিক্সন কিসিঞ্জারের সাথে অশ্রু ভেজা চোখে হাঁটু গেড়ে প্রার্থনায় বসেছিল। কার্টার ইরানে আটক জিম্মিদের নিয়ে বিব্রত হয়েছিল। প্রত্যেক প্রেসিডেন্টকেই বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। আজকাল কোন দেশেই সমস্যার অভাব নেই। NATO দুর্বল হয়ে পড়ছে-এর প্রতিক্রিয়া বেলফাস্ট থেকে তেহরান আর মিয়ামি থেকে কাবুল পর্যন্ত সবখানেই দেখা যাচ্ছে। দাঙ্গা চলছে—রক্তপাত হচ্ছে।

সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দু কিন্তু সেই মধ্যপ্রাচ্য। মানুষ উৎকণ্ঠার মধ্যে টিকে থাকতে গিয়ে অকালে বুড়িয়ে যাচ্ছে—চুলে পাক ধরছে। বাঁধ ভেঙে সৃষ্টি হয়েছে চরম বিশৃঙ্খলা।

সহজ স্বাভাবিক বোধ করছে ডেমিয়েন। যেন ওটাই নিজের বাড়ি—ওখানেই বড় হয়েছে, আর ওখান থেকে পৃথিবী জোড়া মানুষের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করার জন্যেই জন্ম হয়েছে তার। জানালা দিয়ে বাইরে গোলাপ বাগানটা দেখা যাচ্ছে, ওদিক থেকে চোখ ফিরিয়ে দেয়ালে টাঙানো জন এফ কেনেডির ছবিটার দিকে চাইল ডেমিয়েন। টেলিভিশন আর দৈনিক কাগজের অনেক মহারথী রবার্ট কেনেডির সাথে তার তুলনা করেছে বহুবার।

একটা সাদৃশ্য অবশ্যই আছে। ডেমিয়েনের রঙ রবার্ট কেনেডির তুলনায় বেশ একটু গাঢ় হলেও দু’জনের চেহারাতেই একটা কচি ভাব রয়েছে যা নারী পুরুষ সবাইকে সমান ভাবে আকৃষ্ট করে-কাছে টানে।

প্রেসিডেন্টের দিকে ঘুরল ডেমিয়েন। কাঁধ ঝাঁকিয়ে নিজের নিরুপায় অবস্থা বোঝানোর চেষ্টা করল সে।

….সেকথা আমি ভাল করেই জানি,’ একটু বিরক্ত ভাবেই বলল প্রেসিডেন্ট ‘কিন্তু শুধু তাকে নয় কাউকেই কোন বিবৃতি আমি দেব না। এতে ব্যাপারটা শুধু ঘোলাটেই হবে।’ টেবিলের ওপর আঙুল দিয়ে কয়েকবার ড্রাম বাজাল। ‘টেলিগ্রামটা ছকবাঁধা হবেঃ ‘প্রেসিডেন্ট গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন, ইত্যাদি।’ পাঠাবার আগে আমাকে একবার দেখিয়ে নিও।’

রিসিভার রেখে ক্লান্তভাবে চেয়ারে পিঠ ঠেকিয়ে বসল প্রেসিডেন্ট। গত ছয়মাসে তার চুল পেকে সব সাদা হয়ে গেছে।

‘বিশ্বাস করতে পার?’ ডেমিয়েনের দিকে মুখ তুলে চাইল সে। মিশরের বিরোধী দল আসওয়ান বাঁধ উড়িয়ে দেয়ার জন্য ইসরাইলীদের দোষী সাব্যস্ত করতে বলছে।’ মাথা নাড়ল সে, ইসরাইলীরা যে এটা করেছে তার প্রমাণ কই?’

কাঁধ ঝাঁকাল ডেমিয়েন। আমার ধারণা ওটা এন. এল. এফ-এর কাজ,’ বলল সে।

শূন্য দৃষ্টিতে ওর দিকে চাইল প্রেসিডেন্ট। পূর্ববর্তী আর সব প্রেসিডেন্টের মত বৈদেশিক নীতিতে তারও দৌড় সীমিত।

‘নুবিয়ান লিবারেশন ফ্রন্ট,’ বলে চলল ডেমিয়েন। ‘ওরা কিছুটা মার্ক্স পন্থী। বাঁধ তৈরির পর থেকেই কায়রোর ওপর ওরা বিরূপ। ওরা বলে বাঁধ দেয়ায় ওদের অর্ধেক জমি পানির তলায় ডুবে গেছে—কথাটা অবশ্য মিথ্যা নয়। হাজার হাজার নুবিয়ান বাঁধ দেয়ায় তাদের ঘর হারিয়েছে।

ইউনাইটেড নেশনস এই ব্যাপারে একটা আপীল করেছিল না?’ প্রশ্ন করল প্রেসিডেন্ট।

‘ঠিক বলেছেন, স্যার।’

সামনে ঝুঁকে এল প্রেসিডেন্ট। চোখ কুঁচকে নিচু গলায় সে প্রশ্ন করল, ‘এসব খবর তুমি কিভাবে জোগাড় করলে?’

জানালা দিয়ে বাইরে বাগানের দিকে চাইল ডেমিয়েন। ‘আর কেউ পৌঁছবার আগেই আমাদের রিলিফ টিম ওখানে হাজির হয়েছে। ওরাই স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে বিভিন্ন খবর সংগ্রহ করে পাঠিয়েছে।’

‘ওদের রিপোর্টটা আমি দেখতে চাই।’

‘ব্যাপারটা কিন্তু একান্ত ব্যক্তিগত।’

মাথা ঝাঁকাল প্রেসিডেন্ট। ‘এতে ইসরাইলীদের কোন হাত নেই প্রমাণ করতে পারলে একটা প্রচণ্ড বিস্ফোরণ আমরা এড়িয়ে যেতে পারি।’

অল্পক্ষণ চুপ করে থেকে মনে মনে কথাটার যথাযথ তাৎপর্য ভাল মত বুঝে নিল ডেমিয়েন। ‘তাহলে রিপোর্টটা আগে একবার আমাকেই চেক করে দেখতে হবে,’ বলল সে। ‘ভুল করেও হোয়াইট হাউসে ভুল তথ্য সরবরাহ করতে আমি চাই না।’

প্রেসিডেন্টের দিক থেকে চোখ সরিয়ে নিল সে। কেনেডির ছবির ওপর আবার স্থির হল ওর দৃষ্টি।

‘আগে যা আলাপ হচ্ছিল,’ সাবধানে আরম্ভ করল ডেমিয়েন। ‘আমার পক্ষে ওই দায়িত্ব নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। গ্রেট বৃটেনের অ্যামবাসেডর হলে আমাকে থর্ন কর্পোরেশনের কর্তৃত্ব হারাতে হবে। আমি…’

‘আরে, না,’ বাধা দিয়ে বলে উঠল প্রেসিডেন্ট। ‘ওটার একটা ব্যবস্থা আমরা করব।’

প্রেসিডেন্টের দিকে চাইল ডেমিয়েন। চোখে কপট বিস্ময়। ‘কিন্তু তা আইন সঙ্গত হবে না…’

হাসল প্রেসিডেন্ট। ডেমিয়েনের কথায় খুশি হয়েছে সে। কেউ এতে আপত্তি করবে না। হাজার হলেও পৃথিবীর প্রথম সারির হৃদয়বান দয়ালু লোক বলে ডেমিয়েনের সুনাম আর জনপ্রিয়তা রয়েছে। কারও যদি চুল পরিমাণ আপত্তি থাকেও, তা তোড়ের মুখে কুটোর মতই ভেসে যাবে। তবু নিজে থেকে কথাটা তুলে সে তার বড় মনেরই পরিচয় দিয়েছে।

‘প্রয়োজন মত আইনের একটা ফাঁক বার করে নেয়া হবে,’ আলোচনা সমাপ্ত করার সুরে বলল প্রেসিডেন্ট। কিন্তু ডেমিয়েনের বক্তব্য এখনও শেষ হয়নি।

‘আরও দুটো শর্ত আছে,’ প্রেসিডেন্টের চোখে চোখ রেখে বলল সে।

‘বল, শুনি।’

প্রেসিডেন্টের চেহারায় একটা বিজয়ের হাসি ফুটে উঠেছে। ডেমিয়েন থর্নকে সে শেষ পর্যন্ত রাজি করাতে পেরেছে। আমেরিকার দুটো রাজনৈতিক দলই ডেমিয়েনকে দলে টানার জন্যে অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়েও ওকে টলাতে পারেনি। এতদিন নিরপেক্ষ থাকার পর এবার সে দল বেছে নিতে যাচ্ছে। সন্দেহ নেই এখন থেকে ডেমোক্র্যাটিক দলের ভাণ্ডার ডেমিয়েনের দরাজ হাতে দেয়া চাঁদায় ভরে উঠবে।

‘প্রথমত, দুবছর পর সিনেট নির্বাচনের আগেই আমাকে অব্যাহতি দিতে হবে।‘

মাথা ঝাঁকিয়ে সম্মতি জানাল প্রেসিডেন্ট। এই অনুরোধ যে আসবে তা সে আগেই জানত।

‘দ্বিতীয় শর্ত, আমাকে ইউথ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট করতে হবে।’

ভুরু কুঁচকাল প্রেসিডেন্ট। অপ্রত্যাশিত অনুরোধ। ওটার প্রেসিডেন্ট হয়ে কি লাভ? মনে পড়ল-ডেমিয়েন ইদানীং তরুণদের নিয়ে মেতেছে। ওর বক্তৃতায় এখন নবীন আর কচি-কাঁচার বিষয় বিশেষ প্রাধান্য পায়। কেউ সঠিক বলতে পারে না এর অন্তর্নিহিত কারণটা কি। হতে পারে তার ছেলেবেলার স্মৃতিই এর কারণ। মাত্র সাড়ে চার বছর বয়সে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে সে তার বাবাকে হারিয়েছে। ছেলেবেলাটা তার চাচার কাছে কেটেছে—কিন্তু সেও এখন আর নেই। নিশ্চয়ই এসব তার মনে গভীর দাগ কেটেছে। পরিচয় আরও ঘনিষ্ঠ হলে একদিন জিজ্ঞেস করা যাবে। কিন্তু আপাতত এই অনুরোধ রক্ষা করা মুশকিল হবে।

মুখ তুলে ডেমিয়েনের দিকে চেয়ে মাথা নাড়ল প্রেসিডেন্ট। ‘ওটা ফস্টারকে দেব বলে আমি কথা দিয়েছি,’ বলল সে।

‘বুঝছি আপনার কিছু সমস্যা হবে,’ বলল ডেমিয়েন। সরাসরি প্রেসিডেন্টের চোখে চোখে চেয়ে আছে ডেমিয়েন। অল্পক্ষণ চেয়ে চোখ নামিয়ে একটা নোটপ্যাড টেনে নিল প্রেসিডেন্ট। ডেমিয়েন বুঝল তার জিত হয়েছে।

‘এন এল কি?’ জিজ্ঞেস করল সে।

‘এফ,’ জবাব দিল ডেমিয়েন। ‘নুবিয়ান লিবারেশন ফ্রন্ট।’

কাগজে নোট করে নিয়ে ইন্টারকমের সুইচ টিপে দিল প্রেসিডেন্ট।

‘সান্দ্রা,’ ইন্টারকমে নির্দেশ দিল সে। ‘ক্রেগকে পাঠিয়ে দাও।’ সুইচ বন্ধ করতে গিয়ে কি যেন মনে পড়ল তার। ‘আর শোন, শনিবারে বগেমের টিকিট কাটতে ভুল না।’ আড়চোখে ডেমিয়েনের দিকে চেয়ে বলল, ‘শনিবারে জুডি আর ছেলেমেয়েদের বাস্কেটবল খেলা দেখাতে নিয়ে যাচ্ছি, তুমি যাবে আমাদের সাথে?’

মাথা নাড়ল ডেমিয়েন। ‘না, ওদিন বিভিন্ন কাজে সারাদিন ব্যস্ত থাকব আমি।’

‘ঠিক আছে, তাহলে পাঁচটা টিকিটের ব্যবস্থা কর।

ইন্টারকমের সুইচ বন্ধ করা মাত্র দরজায় টোকা শোনা গেল। কম বয়সী একটা লোক দরজা খুলে দাঁড়িয়ে আছে অনুমোদনের অপেক্ষায়।

‘ক্রেগ,’ হাতের ইশারায় তাকে কাছে আসার নিদের্শ দিল প্রেসিডেন্ট।

ইনি আমাদের সেইন্ট জেমস কোর্টের নতুন অ্যামব্যাসেডর—ডেমিয়েন থর্ন।’

অভিনন্দন জানাতে হাত বাড়িয়ে দিল কেতাদুরস্ত যুবক।

‘আইসেনবার্গকে এই মর্মে একটা প্রেস বিজ্ঞপ্তি তৈরি করে ফেলতে বল।’

‘এক্ষুনি বলছি, মিস্টার প্রেসিডেন্ট! ‘

রওনা হল যুবক। চট করে প্রেসিডেন্টের দিকে ফিরে চাইল ডেমিয়েন।

‘হ্যাঁ, আর শোন, ক্রেগ,’ বলল প্রেসিডেন্ট। ‘মিস্টার থর্নকে সেই সাথে ইউনাইটেড নেশনস ইয়ুথ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট করা হয়েছে বলেও জানিয়ে দাও।’

বিস্মিত হয়ে ঘুরে দাঁড়াল ক্রেগ। ‘কিন্তু আমি শুনেছিলাম…’

‘যা বললাম তাই কর,’ বিরক্ত স্বরে ধমকে উঠল প্রেসিডেন্ট।

নিশ্চয়ই, মিস্টার প্রেসিডেন্ট।’ আর দ্বিরুক্তি না করে নীরবে বেরিয়ে গেল ক্রেগ।

লোকটা বেরিয়ে দরজা বন্ধ করা পর্যন্ত অপেক্ষা করে ডেমিয়েনের দিকে ফিরল প্রেসিডেন্ট। বিখ্যাত মন-ভুলানো হাসিটা তার মুখে লেগে রয়েছে। টেলিভিশন দর্শকদের কাছে ওটা খুব পরিচিত। কোন কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হলে হাসিটা আরও চটকদার হয়। ধীরে নিজের চেয়ার ছেড়ে উঠে ডেমিয়েনের দিকে হাত বাড়িয়ে দিল প্রেসিডেন্ট।

‘আজ তোমার বাবার বুক ছেলের গর্বে ফুলে উঠত।’ আরও কিছু হয়ত বলত সে, কিন্তু ডেমিয়েন তাকে সুযোগ দিল না।

আমার দিক থেকে চেষ্টার ত্রুটি নেই, স্যার,’ প্রেসিডেন্টের বাড়ানো হাতটা গ্রহণ করে বলল ডেমিয়েন 1

দু’জনেই হাসছে। একটা ঠাণ্ডা স্রোত বয়ে গেল প্রেসিডেন্টের শিরদাঁড়া বেয়ে। আশ্চর্য আত্মবিশ্বাস লোকটার। তার মনে হচ্ছে যেন এটা ডেমিয়েনেরই অফিস আর সে দেখা করতে এসেছে। বিদায় নিয়ে চলে যাবার পর তার মনে পড়ল যে একবারও অ্যানড্র ডয়েলের কথা তোলেনি ডেমিয়েন। সে ছাড়া আর সবাই তার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে অবাক হয়ে দুঃখ প্রকাশ করছে। কিন্তু ডেমিয়েন একটা কথাও বলেনি।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *