শব্দজাল – ৬

নতুন অফিসের কনফারেন্স রুমটা যথেষ্ট জাগজমকপূর্ণ হলেও ভেতরের মানুষগুলো আর দশটা সাধারণ সরকারি অফিসের থেকে খুব একটা অলাদা নয়। তবে একটা ব্যাপার দেখে ভালো লাগল প্রফেসরের। যাদের আসার কথা তারা সবাই যথাসময়ে চলে এসেছে।

খুব বেশি মানুষ নেই রুমের ভেতরে। দুজন সিকিউরিটি গার্ড দাঁড়িয়ে ছিল রুমের দুই কোণায়, আতিকুল আলম ইশারা করতেই তারা বেরিয়ে গেল। রুমের ভেতরে সর্বসাকুল্যে মানুষ হবে দশ জন। মারিয়াকে দেখা গেল মাল্টিমিডিয়া সাজাতে ব্যস্ত, তাকে সহায়তা করছে আফসার। তাদের সাথে আরও দুজনকে দেখা গেল। যাদের ভেতরে একজন কিছু ডকুমেন্ট লম্বা সেক্রেটারিয়েট টেবিলের দুপাশে থাকা প্রত্যেকটা চেয়ারের সামনে সাজিয়ে রাখছে।

টেবিলটার একপাশে বসা তিনজনকে দেখেই প্রফেসর বুঝতে পারল এরাই মন্ত্রণালয় থেকে আসা সরকারি লোকজন। দুনিয়া বদলে যায়, কিন্তু দুনিয়ার সব প্রান্তে এদের চেহারা একই থাকে।

আতিকুল আলম ওদেরকে নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে প্রফেসরকে বসতে ইশারা করে নিজে দাঁড়িয়ে গেল লম্বা টেবিলটার একেবারে সন্মুখভাগে। দাঁড়িয়ে বলতে শুরু করল, “উপস্থিত সুধী…”

এবার আর সহ্য করতে পারল না প্রফেসর। অনেকক্ষণ ধরেই এদের ঢং- ঢাং সহ্য করছিল এবার আর না পেরে বলে উঠল, “আতিক, আমি পরিস্থিতির ব্যাপারে যতটুকু অবগত আছি তাতে আমার মনে হয় এতসব আলগা কথাবার্তা বাদ দিয়ে আমাদের উচিত যত দ্রুত সম্ভব মূল আলোচনা শুরু করা। আমরা নিজেদের পরিচয় পরেও জেনে নিতে পারব। ঠিক আছে?”

“না আসলে…” সম্ভবত সরকারি প্রতিনিধিদের ভেতরে কেউ একজন কিছু একটা বলার চেষ্টা করছিল কিন্তু আতিকুল আলম এবার সরকারি কর্মকর্তার মতো আচরণ না করে স্বাভাবিকভাবে বলে উঠল, “হ্যাঁ, প্রফেসর জাকারিয়া ঠিকই বলেছেন। মারিয়া তুমি শুরু করো,” বলে সে মারিয়ার দিকে ফিরে ইশারা করতেই মারিয়া রুমে উপস্থিত অন্য একজন অফিসারের দিকে ইশারা করল। সে একটা রিমোটের বাটনে চাপতেই রুমের আলো কমে গিয়ে আধো অন্ধকার হয়ে গেল।

“স্যারদের অনুমতি নিয়ে আমি শুরু করছি। আমি মারিয়া শিকদার,” বলে সে আরও কিছু যোগ করতে যাচ্ছিল কিন্তু তার আগেই প্রফেসরের দিকে চোখ পড়তেই সে ভণিতা বাদ দিয়ে দ্রুত শুরু করল। “ যে বিষয়টা নিয়ে কথা বলার উদ্দেশ্যে আমরা সবাই এখানে একত্রিত হয়েছি সেটা অবশ্যই খুব সেনসিটিভ একটা বিষয় এবং এর ওপরে আমাদের প্রায় সবার ভবিষ্যৎ এমনকি আমাদের জীবনও নির্ভর করছে,” বলে সে সবাইকে এক মুহূর্তের জন্য পরিস্থিতির ঘনত্বটা অনুভব করার সুযোগ দিল। প্রফেসরের কাছে মনে হলো মেয়েটা মুখে যতই মেকাপ মাখুক তার বুদ্ধিসুদ্ধি খারাপ না

“যদিও বাইরের কেউই এখনও জানে না যে অ্যালবার্ট ফাত্তাহ নামের আন্তর্জাতিকভাবে কুখ্যাত অপরাধী আজ আমাদের দেশে ধরা পড়েছে। তবে আমার ধারণা এখানে যারাই উপস্থিত আছেন সবাই এই ব্যাপারে অবগত আছেন,” বলে সে সবার ওপরে হালকাভাবে এক পলক চোখ বুলিয়ে নিয়ে আতিকুল আলমের দিকে একবার দেখে নিয়ে যোগ করল। “আপনারা যে যেখানে বসে আছেন সবার সামনে প্লাস্টিকের ফাইলে একটা কাগজ রাখা আছে, জিনিসটা একটা অঙ্গীকারনামা। সেখানে লেখা আছে আজ রাতে এখানে, এই অফিসে যা যা শুনবেন এবং দেখবেন তার কিছুই কোনো অবস্থাতেই এই ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট বা এখানে উপস্থিত নেই এমন কারো সাথে কোনো অবস্থাতেই আলোচনা করা যাবে না। যদি এর ব্যতিক্রম হয় তবে আপনাকে এই দেশ ও জনগণের শত্রু বিবেচনা করে সরকার আপনার বিরুদ্ধে যেকোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে। এমনকি মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত। সবাই সই করবেন প্লিজ।”

প্রফেসর কাগজটাতে খুবই হালকাভাবে একবার পলক বুলিয়ে নিয়ে সই করে আবারও ফাইলের ভেতরে রাখতেই উপস্থিত দুই অফিসারের একজন এসে সবার সামনে থেকে সেগুলো নিয়ে গেল।

কাজ শেষ হতেই মারিয়া তার হাতে থাকা কলমের মতো সরু রিমোট চেপে একটা স্লাইড ওপেন করল। সেখানে একটা নাম লেখা। “অ্যালবার্ট ফাত্তাহ,” সে আরেকবার রিমোটে চাপ দিতেই একটা প্রোফাইল চলে এলো সামনে। “বয়স ষাটের আশেপাশে। উচ্চতা পাঁচ ফিট নয় ইঞ্চি, ওজন দুশো পাউন্ডের একটু বেশি। একজন ডেমোলিশন এক্সপার্ট হিসেবে তার অ্যাকটিভ থাকার বছর ধরা হয়ে থাকে কম-বেশি বিশ বছর বা কিছু বেশি। সে এমন একজন আন্তর্জাতিক অপরাধী, যে কি না গত দশ বছর ধরে এফবিআই, ইন্টারপোল থেকে শুরু করে বিশ্বের প্রায় সব আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থার টপ ওয়ান্ডেট লিস্টে রয়েছে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে এই লোকের ব্যাপারে কেউই খুব বেশি কিছু জানে না, সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, এই লোকের ব্যাকগ্রাউন্ড, কাদের সাথে সে সংযুক্ত, এমনকি মানুষটার কোনো পরিষ্কার চেহারা পর্যন্ত কারো কাছে ছিল না,” বলে সে যোগ করল, “আজকের আগ পর্যন্ত,” সে একটা স্লাইড চাপল। প্রজেক্টরে টুকরো টুকরো বেশ কিছু ছবি দেখা গেল। এগুলো সব আগের ছবি, সিসি টিভির ঝাপসা ফুটেজ থেকে নেওয়া। কোনোটাতে দূর থেকে কোনো ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা দিয়ে তোলা চেহারার একপাশ দেখা যাচ্ছে, কোনোটাতে পেছনটা, কোনোটাতে আবার সামনের ঝাপসা চেহারা।”

“এই ছবিগুলোর কোনোটাতেই মানুষটার পরিষ্কার চেহারা ছিল না, এটার আগে,” বলে মারিয়া আবারও রিমোট চাপতেই যে চেহারাটা স্ক্রিনে ফুটে উঠল সেটা দেখে অনেকেই শিউরে উঠল। “হায় খোদা,” সরকারি প্রতিনিধিদের একজন আনমনেই বলে উঠল।

স্ক্রিনের ভেতর থেকে অ্যালবার্ট ফাত্তাহ ওদের দিকে তাকিয়ে রইল, আর মারিয়া বলে চলল— “ধারণা করা হয় এই লোকের অরিজিন পাকিস্তানে, কিন্তু এই ব্যাপারেও সঠিক কোনো তথ্য নেই। এমনকি বিগত বিশ বছরে খুব বেশি অপরাধও যে সে করেছে এমন নয়। হাতে গোনা আট থেকে দশটা বোম- ব্লাস্টের জন্য তাকে দায়ী করা হয়। এতেই সে এতটা পরিচিতি পেয়েছে। প্রথমবারের মতো সে আলোচনায় আসে—-”

“জর্জিয়ার হোম মিনিস্টারকে অত্যন্ত সফলতার সাথে তার নিজের গাড়ির সাথে বোমা মেরে উড়িয়ে দিয়ে,” মারিয়ার কথার সাথে প্রফেসর যোগ করল। রুমের সবাই ফিরে তাকাল তার দিকে। প্রফেসর টেবিলের দিকে তাকিয়ে নিজের ধূসর দাড়িতে হাত বুলাচ্ছে। চশমার ঘোলা কফি কাচের ওপাশে লুকানো দৃষ্টি দেখে বোঝার উপায় নেই কী চলছে তার মনের গহিনে।

“এই লোক কি কোনো নির্দিষ্ট টেররিস্ট অর্গানাইজেশনের সাথে জড়িত?” অফিসারদের একজন জানতে চাইল।

“হ্যাঁ, আবার না,” এবার আতিকুল আলম বলে উঠল। “কারণ যদি ধর্মীয় উগ্রবাদী টেররিস্টদের কথা বিবেচনা করা হয় তবে আল-কায়েদা কিংবা আইসিস থেকে শুরু করে ফ্যানাটিক ক্রিশ্চিয়ান সংস্থা হলি ক্রশের সাথেও নাকি একে কাজ করতে দেখা গেছে। কিন্তু এই লোক নির্দিষ্ট কোনো সংস্থার নিজস্ব মানুষ কি না সেটা বলা কঠিন।”

“সে একজন প্রফেশনাল বোমারু,” অনেকটা মন্তব্য করার মতো বলে উঠল প্রফেসর। “এই লোক ভাড়ায় কাজ করে।”

আতিকুল আলম তো বটেই মারিয়া ও অন্যান্যরাও প্রফেসরের দিকে একটু অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল। কিন্তু তাদের মনোযোগ কেড়ে নিল আফসার।

“আপনাদের অনুমতি পেলে আমি একটু কথা বলতে চাই।”

আতিকুল আলম মাথা নেড়ে অনুমতি দিতেই আফসার দাঁড়িয়ে বলতে শুরু করল— “এখানে আমি প্রফেসর জাকারিয়ার সাথে একমত পোষণ করি। কারণ এই মানুষটার ব্যাপারে শুধু আমরা নই সারা বিশ্বের সেরা সংস্থাগুলোও খুব কমই জানে। কিন্তু আমি যতটুকু বুঝতে পেরেছি তাতে মনে হয়েছে এই লোক কোনো নির্দিষ্ট সংগঠনের হয়ে কাজ করে না। বরং সে ফ্রিল্যান্স মার্সিনারি।”

“এই ব্যাটার নাম এমন ক্যান?” বলে সরকারি প্রতিনিধিদের একজন মৃদু হেসে উঠল। “আধা খিষ্টান আবার আধা মুসলমান,” বলে সে আবারও হেসে উঠল।

“আসলে এই ব্যাপারেও খুব বেশি তথ্য…” আফসার বলতে শুরু করেছিল কিন্তু তাকে কথা শেষ করতে দিল না প্রফেসর। সে অত্যস্ত জোর দিয়ে বলে উঠল, “এই নামটা তার প্রকৃত নাম নয়। উজবেকিস্তানের আমেরিকান কনস্যুলেটে সে বোমা হামলা চালিয়েছিল একটা কৃত্রিম অ্যালবাট্রস পাখির আদলে তৈরি ডামি ড্রোনের ভেতরে ছোট একটা শক্তিশালী বোমা ভরে। অ্যালবাট্রস দিয়ে বোমা মারার পর থেকে তার মূল নাম ফাত্তাহ’র সাথে অ্যালবার্ট যোগ করা হয়। আমার মনে হয় আমাদের আলোচনা আরও স্পেসিফিক হওয়া উচিত। আমরা এটুকু বুঝতে পেরেছি যে, ফাত্তাহ একজন অত্যন্ত বিচক্ষণ ও দক্ষ আন্তর্জাতিক অপরাধী। কোনো না কোনোভাবে সে আজ আমাদের হাতে বন্দি। এক্ষেত্রে আমার দুটো প্রশ্ন আছে; প্রথমত, বন্দি লোকটাই যে অ্যালবার্ট ফাত্তাহ এটা আমরা নিশ্চিত হলাম কীভাবে? দ্বিতীয়ত, সে ধরা পড়ার পর কী হলো?

আফসার মারিয়ার দিকে তাকিয়ে ইশারা করল। “স্যার, অনুমতি দিলে আমি বলে যেতে পারি। সে ধরা তো পড়ল। ধরা পড়ার পর প্রথমে সে বন্দি ছিল কাস্টমস পুলিশের হাতে। সেখান থেকে র‍্যাবের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাকে। র‍্যাবই প্রথম ইন্টারপোলের সাথে যোগাযোগ করে ভেরিফাই করে এটা অ্যালবার্ট ফাত্তাহ। প্রথমত, এই লোকের পরিষ্কার ছবি না থাকলেও তার একটা চোখ যে নষ্ট এটা জানা ছিল। সেটার প্রমাণ আমরা ছবিতে দেখেছি, “ লোকটার চেহারা মনে করে আবারও অনেকেই শিউরে উঠল।

“দ্বিতীয়ত, ইন্টারপোলের একজন অফিসারের সাথে তার সামনাসামনি দ্বন্দ্ব হয়েছিল একবার। ওই লোকের দেওয়া বিবরণ অনুযায়ী আর্টিস্টের যে স্কেচ বানানো ছিল সেই ছবিটাই সব সংস্থার প্রোফাইলে দেওয়া ছিল এতদিন। ধরা পড়ার পর ফাত্তাহর ছবি তুলে পাঠানো হলে সেই ছবি দেখে ইন্টারপোলের ওই এজেন্ট ভেরিফাই করেছে। তার চেয়ে বড় কথা ধরা পড়ার একটু পরেই এই লোক নিজেই সরল মুখে হাসতে হাসতে বলেছে সে অ্যালবার্ট ফাত্তাহ, যাকে সবাই ডেমোলিশন মাস্টার ওরফে মাস্টার ডি বলে ডাকে,” বলে আফসার একবার ভুরু নাচাল।

“ এরপর কী হলো?” অনেকক্ষণ পর সরকারি কর্মকর্তাদের একজন সঠিক একটা প্রশ্ন করল।

“তো ওই সময় পর্যন্ত তাকে র‍্যাবের অধীনেই রাখা হয়েছিল। এসব ক্ষেত্রে যা যা প্রটোকল সব মেনেই কাজ চলছিল। ইন্টারপোলের সাথে আমাদের যোগাযোগ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার ভেতরেই যখন তাকে ভেরিফাই করা হলো, এরপরেই ওরা জানায় ওদের প্রতিনিধিসহ বিশেষ বিমান রওনা দেবে কাল ভোরেই। তখন এই লোককে হস্তান্তর করতে হবে ইন্টারপোলের কাছে। এমনকি ওরা এটাও জানায় এই লোকের মাথার ওপরে যে প্রাইজ মানি আছে এক মিলিয়ন পাউন্ড, সেটাও প্রদান করা হবে বাংলাদেশকে। সবই ঠিক ছিল এমন সময় শুরু হলো আসল ঘটনা।”

“এতে ঝামেলার কী আছে? সবই তো পরিষ্কার,” প্রতিনিধিদের একজন মন্তব্য করল।

“ব্যাপারটা এতটা সহজ না স্যার,” বলে আফসার আতিকুল আলমকে দেখল। প্রফেসর দেখল আতিকুল আলম একটু মাথা নেড়ে কী জানি ইশারা করল আফসারের দিকে। “যদি ব্যাপারটা এতটাই সিম্পল হতো তাহলে এই কেসটাও আমাদের হাতে আসত না আর আপনারাও এই মুহূর্তে নিজের পরিবারের সাথে বছর শুরুর অনুষ্ঠান উদযাপন বাদ দিয়ে এখানে বসে থাকতেন না।” প্রফেসরের একটু অস্বস্তি লাগছে। সে টেবিলের ওপরে রাখা কাঠের বাক্সটা থেকে পাইপ বের করে ধরাতে লাগল। প্রফেসরের পাইপ ধরানো দেখে সবাই একটু অবাক। কিন্তু প্রফেসরই হাত নেড়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে বলল।

“স্যার- মারিয়া কিছু বলতে যাচ্ছিল প্রফেসরকে কিন্তু আতিকুল আলমের ইশারা পেয়ে সে থেমে যেতেই আবারও আফসার শুরু করল। “অ্যালবার্ট ফাত্তাহকে প্রটোকল অনুযায়ী যখন জানানো হলো তাকে আগামীকাল সকালে ইন্টারপোলের কাছে হস্তান্তর করা হবে তখন সে আমাদেরকে একটা উলটো প্রস্তাব দেয়, যেটার কারণেই আমরা সবাই এখানে উপস্থিত হয়েছি। যেটার কারণেই পুরো ঢাকা শহর এই মুহূর্তে প্রচণ্ড ঝুঁকির মুখে পড়েছে,” এই পর্যন্ত বলে সে নাটকীয়ভাবে একটু থেমে যোগ করল।

“ধরা পড়ার পর একটা পর্যায়ে ফাত্তাহ আমাদেরকে জানায় সে ঢাকায় এসেছিল একটা বিশেষ কাজে। যে কাজাটা সেরে ফিরে যাওয়ার সময়ে সে ধরা পড়েছে। তার বিশেষ কাজটা হলো : সে ঢাকা শহরের বুকে দুটো শক্তিশালী বোমা সেট করে রেখেছে। যদি তাকে ইন্টারপোলের হাতে হস্তান্তর করা হয় তবে এই দুটো বোমা আগামীকাল বিস্ফোরিত হবে।”

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *