প্রসন্ন পাষাণ – ২

দুই

আমি পড়তাম ডায়োসেশন স্কুলে। এলগিন রোডে মেয়েদের অভিজাত স্কুল। সকাল ন’টা নাগাদ স্কুলের বাস আসত আমাকে নিতে। এই সময় পাড়ার ছেলেরা বড়ই উপদ্রব করত। মেয়েদের স্কুল বাস আসবে, এই উৎসবলগ্নটির জন্য ছেলেরা সকলেই উদ্গ্রীব হয়ে থাকত। এক রবিবার বাদে আর সব দিনই বাস আসত; কিন্তু ছেলেরা তাদের ‘সানডে বেস্ট’ মনডে থেকে স্যাটারডের জন্যই তুলে রাখত। বালকদের এই হাটে যারা উপস্থিত থাকত তারা সকলেই বালক নয়—সকলেই বখাটেও নয়। পাশের একটি বাড়িতে এক ডাক্তার থাকতেন, তাঁর একমাত্র পুত্র সদ্য এম.এ পাস করে কলেজের লেকচারার হয়েছেন। তিনিও তাঁর গাম্ভীর্যকে এক পাশে মুড়ে রেখে, খিড়কির ফাঁক দিয়ে তাঁর দৃষ্টি মেলে ধরতেন।

তবে ছেলে-ছোকরাই থাকত বেশি। কারো পরনে প্যান্ট, কারো কণ্ঠে গান, কারো ঠোঁটে সিগারেট, কারো কোমরে হাত; কিন্তু দৃষ্টি সকলেরই অনিমেষ

এইটেই অভিভাবকদেরও আপিস-কাছারির সময়। দোরগোড়ায়, থামের পিঠে, ল্যাম্প- পোস্টের নিচে এইসব অর্বাচীনদের বিচিত্র নট-ভঙ্গি দেখে তাঁরা মুখ নিচু আর গাম্ভীর্য রক্ষা করে যে যার কাজে চলে যেতেন।

বাসের মেয়েরা সকলের সম্মিলিত দৃষ্টির লক্ষ্যস্থল হয়ে এই অবস্থাটা উপভোগই করত; কিন্তু তাদের চোখমুখের অটল নির্লিপ্ততা দেখে তা বুঝবার উপায় ছিল না।

বাড়ির ঝি-চাকরেরা সম্মুখ দিয়ে যাতায়াত করবার সময় ছেলেদের দিকে তাকিয়ে বেশ প্রকাশ্যেই এক গাল হেসে নিতে; কিন্তু এই হাস্য ছেলেদের নিষ্ঠা বিদীর্ণ করতে পারত না। আমাদের এই গলিটিতে যেসব ফেরিঅলা ঠেলাগাড়ি করে নিত্যই বেচাকেনা করতে আসে তাদের “লে লে বাবু দো-আনা” যেমন ছেলেদের পরিচিত, ছেলেদের এই প্রাতঃকালীন অনুষ্ঠান তেমনি সেই ফেরিঅলাদের পরিচিত। ফেরিঅলারাও মুচকে হাসত। সকালবেলা পিওন আসত চিঠি বিলি করতে; সেও তার মস্ত গোঁফের আড়ালে একটা ছোট্ট হাসি গোপন করত।

বাস ছেড়ে দিত—তিনবার ভোঁ-ভোঁ শব্দ করে। সকালবেলায় ছাড়া পাওয়া হাঁস-মুরগি তারই শব্দে চকিত হয়ে এদিক-ওদিক ছুটে পালাত। ছেলেদের দলটিও ছত্রভঙ্গ হতো।

জীবলোকের এতসব বিচিত্র প্রতিক্রিয়ায় বালক সম্প্রদায়ের কোনো ভাবান্তর দেখা যেত না। তাদের দৃষ্টি আর পদযুগল সম্পূর্ণ অবিচলিত থাকত।

ঠিক সেই কারণেই ছোট ফুপু বড়ই বিচলিত হয়ে পড়তেন।

স্কুলের বাস আমাদের বাড়ির গেটের ঠিক সামনেই এসে দাঁড়াত। ফুপুজানের হিফাজত থেকে এইভাবে সকালবেলা আমি স্কুল কর্তৃপক্ষের শাসনাধীনে চলে আসতাম; কিন্তু মাঝখানে করপোরেশনের দু’গজ রাস্তা পেরোবার সময় আমার মাথার ওপর এক খোদাতালা ছাড়া আর কেউ থাকতেন না। আল্লাহর ওপর ফুপুজানের অগাধ আস্থা। তবু দু’ দণ্ডের জন্য দু’গজ পথের ওপর আমাকে একা ছেড়ে দিয়ে তিনি স্বস্তি পেতেন না। জানালার ভিতর দিয়ে তাঁর উৎকণ্ঠিত দৃষ্টি তিনি মেলে ধরতেন।

আমি যখন ফিরে আসতাম তখনো তাঁকে জানালার পাশেই দেখতে পেতাম। মাঝখানকার সমস্যাটিতে কি করতেন তিনি বলতে পারব না।

এইভাবেই আমার জীবনের প্রথমদিককার দিনগুলো একটির পর একটি গড়িয়ে গেল। সেইসব দিনে শাসনের পীড়ন ছিল—সুখের সূর্যোদয় হতো কিন্তু তোমরা শুনতে চাইবে এমন কোনো অভিনবত্ব ছিল না।

শুধু একদিনকার কথা এখানে বলব।

সেদিনও স্কুল থেকে ফিরেছি। রোজকার মতো সাবান-তোয়ালে নিয়ে গোসলখানায় এসেছি, হাত-মুখ ধোব। হাঁটুর ওপর ফ্রকটা তুলে দিয়ে গায়ে ভালো করে সাবান মাখবার জন্য পিঁড়ির ওপর বসেছি। কোনো কোনো দিন প্রথম শিফটে আমাকে বাস নিতে আসে— রোজ গোসল করা সম্ভব হয় না। তাই ফিরে এসে ভালো করে হাত-পা-মুখ ধুয়ে নি।

হঠাৎ মনে হলো পিঠের কাছে কে যেন দাঁড়িয়ে আছে। দেখলাম, ফুপুজান। ফুপুজান কোনো কথা না বলেই সেখান থেকে সরে গেলেন।

পরদিন স্কুল থেকে ফিরে এসে দেখি, বিছানার ওপর রঙ-বেরঙের নতুন শাড়ি ব্লাউজ পেটিকোট পড়ে আছে। কেন জানি না, আমার কোনো সন্দেহই থাকল না যে এগুলো আমারই জন্য।

আমাকে এবার থেকে শাড়ি পরতে হবে কে ঠিক করলেন কখন ঠিক হলো তার কিছুই জানলাম না বটে; কিন্তু ব্যবস্থাটা আমার ভালোই লাগল।

চট করে গা ধুয়ে এলাম। ঘরের দরজা-জানালাগুলো ভালো করে বন্ধ করে দিলাম। তবু স্বস্তি পাচ্ছিলাম না। কেমন যেন মনে হচ্ছিল ঘরে কে আছে; অথচ চারদিক চেয়ে দেখি কেউ কোথাও নেই। তবু সাহস করে গা থেকে কাপড় ছাড়তে পারলাম না। কিসে যেন বাধা দিতে লাগল; কুমারীর বস্ত্র পরিবর্তনের পক্ষে এখনো কোথায় যেন কি বাধা আছে। নারীর এ এক সহজাত বোধশক্তি, এক অতিরিক্ত ইন্দ্রিয়। আমি ভালো করে চারদিকে দেখে নিলাম, খাটের তলা পর্যন্ত। কিন্তু কোথাও কেউ নেই। হঠাৎ ঘরের কোণে সিন্দুকটার ওপর চোখ পড়তেই বাড়ির বিড়ালটা মিউ করে উঠল। ওঃ এরই জন্য। জানালাটি ঈষৎ ফাঁক করে তারই ভিতর দিয়ে বিড়ালটিকে তাড়িয়ে দিলাম।

আশ্চর্য লাগে ভাবতে সেদিন আমার সারাটা শরীর অমন থরথর করে কাঁপছিল কেন? এ কি অদ্ভুত অনুভূতি। এ কি অসহ্য পুলক।

শরীর থেকে ফ্রক নাববে আর শাড়ি উঠবে, পরিবর্তন তো কেবল এইটুকুই। কিন্তু মনে হতে লাগল এক বিরাট বিপ্লবের সন্ধিক্ষণে আমি দাঁড়িয়ে আছি; মুহূর্তপরই আজকের এই আমি গতকাল্যকার আমিকে আর চিনতে পারব না। আজ সন্ধ্যার আমি আজ সকালের আমিকে চিনব না। আমি যেন এতদিনকার পরিচিতি এক জগৎকে চিরকালের জন্য পিছনে ফেলে এক নতুন দুনিয়ায় প্রবেশ করতে চলেছি। সেখানে আমার অভ্যর্থনা কেমন হবে কিছুই জানি না।

চোখের সামনেই সুবৃহৎ দেয়াল-আয়নাটি ঝুলছে। তারই সামনে দাঁড়িয়ে থেকে আমি আপাদমস্তক নিজেকে একবার দেখে নিলাম। তারপর আস্তে ফ্রকটা নাবিয়ে দিলাম।

সম্মুখের বিম্ববতীটি কে। তাকে তো আমি চিনি না। প্রত্যহ তাকে দেখেছি তবু কেন তাকে আগে চোখে পড়ে নি। সে কি আমি? এই আমি। এই পরিবর্তন কখন এলো?

আমার চিন্তায় বাধা পড়ল। খিড়কির ঝিলমিল দিয়ে অস্তগামী সূর্যের শেষ রশ্মিচ্ছটা আমার কক্ষটির ভিতর শতচক্ষু বিস্তার করে প্রবেশ করছে। আমার এই মুকুলিত শরীরে তার স্পর্শও অসহ্য লাগল। আমি ভালো করে খড়খড়িগুলোকে নাবিয়ে দিলাম।

আমি খাটের ওপর থেকে ফালসাই রঙের শাড়ি তুলে নিলাম। আমার কি যে হলো, শাড়ির পাট খুলবার আগে সেটি দুটি হাত দিয়ে তুলে তারই মধ্যে আমার মুখটি গুঁজে দিলাম। এই শাড়ির স্পর্শ আমাকে মাতৃক্রোড়ের মতো শান্তি দিল। এই শাড়িটি কেবল আমার দেহাবরণ নয়, এ যেন আমার অন্তর আর ব্যক্তিত্বের সত্তা, আমার পরম মিত্র, আমার মনের ভাষা সে বুঝবে।

পাট খুলে সম্মুখে শাড়িটিকে মেলে ধরলাম। শাড়িটি লহরীর পর লহরী তুলে সম্মুখে প্রসারিত হলো। অত্যন্ত যত্ন করে ধীরে ধীরে বেশ পরিবর্তন করলাম।

তারপর আবার আয়নার সামনে এসে দাঁড়ালাম। বরং বলতে পার—আয়নার সামনে নিজেকে মেলে ধরলাম।

আশ্চর্য, সম্মুখের কিশোরীটির চোখের প্রান্তে আর অধরের কোণে এক সলজ্জ হাসি নৃত্য করছে; হাসিটি এখনো পূর্ণ প্রস্ফুটিত নয়। চোখের পাতা দুটিও ফড়িংয়ের ডানার মতো কাঁপছে।

মাথায় ঘোমটা তুলে দিলাম। ঘোমটার বৃত্তটিকে চিবুকের কাছে দু’হাত দিয়ে ধরে সেইভাবেই যে কতটা কাল কাটিয়ে দিলাম বলতে পারব না। আমার ঘোমটা-ঘেরা মুখটি ছবির ফ্রেমের মতো আয়নার ভিতর ঝুলছে। আমার দুটি চোখের দৃষ্টি আমারই ছবির ওপর অপলক হয়ে থাকল। সে ছবিতে এক আশ্চর্য গাম্ভীর্য, এক অপরূপ কৌতুক, এক অদৃষ্টপূর্ব প্রসন্নতা।

অবিশ্বাস্য মনে হয় যে সম্মুখের মেয়েটি আমিই। আজ সকালেই যে ফ্রক পরা মেয়েটি ফড়িংয়ের মতো লাফ দিয়ে বিছানা ছেড়ে উঠেছে, যার কলস্বরে সারা বাড়িটাই ছিল মুখরিত— এ কি সে? এখন যে আমার চরণে চরণে লজ্জার মঞ্জীর জড়ানো, আর কি কখনো পারব সেই চপল মেয়েটার মতো চঞ্চল কণ্ঠে কলরব করতে। কণ্ঠ যে আমার লাজনম্রতায় রুদ্ধপ্রায়।

আশ্চর্য কিশোরী হৃদয়। হঠাৎ চোখের দু’কূল ছাপিয়ে অশ্রুর ধারা নেবে এলো। খাটের ওপর আছাড় খেয়ে পড়লাম। চিরকালের জন্য এক প্রিয়জনকে হারিয়ে ফেলেছি, বুকের মধ্যে এই এক রিক্ততা হাহাকার করতে লাগল। বালিশ বুকের নিচে আঁকড়েই থাকলাম।

অনেকক্ষণ পর যখন উঠে বসলাম, বর্ষণস্নাত কিশলয়ের মতো আমার হৃদয়টিও বেশ ফুল্ল আর সজীব হয়ে উঠল।

সামনেই দেয়ালে ঝুলছে আমার মা-র ছবি। মা-র কথা আমার এতটুকু মনে নেই। মা-কে কোনোদিন পাই নি, তাই মাতৃহারা হবার সত্যিকার দুঃখও কোনোদিন তেমন করে বুকে বাজে নি। আজ অকস্মাৎ মা-র ছবির নিচে দাঁড়িয়ে হৃদয়ের প্রতিটি তন্ত্রী ঝনঝন করে উঠল। মনে হলো, এই সময়টা মা পাশে থাকলে বড় ভালো হতো। আমার কি যেন হতে চলেছে, কোনো এক নতুন পথে আমার যাত্রা শুরু—একমাত্র মা-র কাছেই যেন আমি দিশে পেতাম।

দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ছবিটি অনেকক্ষণ ধরে দেখলাম, তবু যেন আশ মিটতে চায় না। এমন তো আর কোনোদিন হয় নি। মা-র ঘোমটা-ঘেরা মাথা, কাঁধের ওপর আঁচল, কেবল মুখটুকু আর গলাটুকু অনাবৃত, গলায় একটি সরু সোনার হার চিকচিক করছে। ঐ ছবির অবগুণ্ঠিতার মধ্যে আমি আমার মা-কে কোথায় খুঁজে পাব? কেবল অনাবৃত মুখ আর গলাটুকু বড় আপন বড় প্রিয় মনে হতে লাগল—কেবল সেইটুকুই মাতা-কন্যার অন্তরঙ্গতায় উন্মুক্ত। যেন বাড়ির পিছনে সামান্য একখণ্ড খোলা জমি।

আমার আম্মার গণ্ডে আমি একটা চুম্বন এঁকে দিলাম। এ পাগলামিও আর কোনোদিন করি নি।

সন্ধ্যা হয়ে এসেছে। সম্মুখের মসজিদে লোক আসতে শুরু করেছে। মসজিদের ভিতরকার চৌবাচ্চার সামনে লোকের ভিড়—অজু করছেন তাঁরা। বাড়ির বেয়ারা জাফর পাড়া বেড়িয়ে এইমাত্র ফিরল দেখলাম। রাঁধুনি কনিজ কয়লা ভাঙতে বসেছে—স্তবে বসা প্রকৃতির স্তব্ধতায় কয়লা ভাঙার বিচ্ছিন্ন শব্দেও কেমন একরকম করুণ ফরিয়াদ যেন ধ্বনিত হচ্ছে। একটি ঘোড়ার গাড়ি দ্রুতবেগে চলে গেল; ক্লান্ত কোচোয়ান ততোধিক ক্লান্ত অশ্বটির পিঠে তার চাবুকের তড়িৎ নাবিয়ে দিল। অদূরে পুঞ্জ পুঞ্জ মেঘের মতো বৃক্ষশ্রেণীর মাথা দেখা যায়; তারই বৃন্তে নীড় প্রত্যাগত কাকপক্ষীর কলকাকলি। অফিস-ফেরত কেরানি বাবুরা কোনোমতে তাদের ক্লান্ত চরণ টেনে টেনে গৃহের সোপানে তুললেন। হঠাৎ নবজাতক শিশুর আগমন বার্তার মতো মোয়াজ্জিমের কণ্ঠে আজান ধ্বনিত হলো। আমি মাথায় ঘোমটা টেনে দিলাম। একবার মনে হলো, উঠে পড়ি, নামাজটা আমিও পড়ে নি। কিন্তু সেইখানে সেইভাবে জানালার ওপর বসে থাকতে এতই ভালো লাগছিল যে শেষ পর্যন্ত আর উঠলাম না।

এইখান থেকে রান্নাঘরটা দেখা যায়; রান্নাঘরের বালবটি বিগড়ে গিয়ে থাকবে। সেই ঘনায়মান অন্ধকারে কনিজের হাতে লণ্ঠনটি এক বৃহদাকার নক্ষত্রের মতো জ্বলে উঠল; তাও আজ চোখে এত ভালো লাগল।

হাতে নরম কি ঠেকতেই দেখি, বিড়ালটি কোনো অবসরে ফিরে এসে একেবারে আমার কোল ঘেঁষে বসেছে। এবার আমিও উঠে পড়লাম।

আমি দরজা খুলে বেরিয়ে এলাম। সামনের বারান্দায় রেলিং ধরে কে যেন দাঁড়িয়ে আছে, আঁধারে তার শরীরের রেখাগুলো কেবল দেখা যাচ্ছে। পরনে ময়লাপাঞ্জাবি আর পাজামা। মাথায় ঝাঁকড়া চুল। পদশব্দ শুনে সে ফিরে দাঁড়ালো, এক পা অগ্রসর হয়ে একেবারে স্থির হয়ে গেল। আমার কামরার খোলা দরজা দিয়ে ঘরের আলো এবার তার মুখের ওপর পড়েছে। সে এত নোংরা যে তার গায়ের রঙ কালো না ফর্সা তা বুঝবার উপায় নেই। শরীরটা কিন্তু বেশ লম্বা।

বিড়ালটি আমার কোল থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ল। তারপর আমার পায়ের কাছে দাঁড়িয়ে এই অপরিচিত আগন্তুকটিকে যেভাবে সংবর্ধনা জানাতে লাগল তাকে ঠিক সাদর বলা চলে না। আমি আর সেখানে দাঁড়ালাম না। বিড়ালটিও আমার পিছনে পিছনে নিচে নেবে এলো।

ছেলেটি কে?

আমার বয়স তখন চৌদ্দ হয়েছে, আর এই নবাগতের বয়স? ষোলো হবে।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *