বারো
দিন যেতে লাগল গড়িয়ে। আমার এক বান্ধবীর বিয়ে, স্কুলে এক সঙ্গে পড়তাম। তার জন্য একটা শাড়ি কিনে এনেছিলাম। দোকানের গ্লাস কেসে শাড়িটা ভালো লাগছিল, তাই চট করে কিনে নিলাম। এখন বাড়িতে এসে নাড়াচাড়া করে দেখবার পর আর ভালো লাগছে না। রঙটাই সবচাইতে পছন্দ হয়েছিল, এখন মনে হচ্ছে রঙটাই যেন কেমন! এত দাম দিয়ে কিনলাম, মনটা খুঁতখুঁত করতে লাগল। ফিরিয়ে আর একটি নিয়ে আসব কি না ভাবছি এমন সময়ে দেখি সাবধানে চারদিক দেখতে দেখতে ঘরে কনিজ প্রবেশ করল; তার চোখেমুখে এমন একটা সাবধানতার অভিব্যক্তি যেন চুরি করতে আসছে। কনিজ আমার পায়ের কাছে বসে পড়ল।
চারদিকে আরো একবার ভালো করে দেখে নিয়েও সে স্বস্তি পাচ্ছিল না। উঠে গিয়ে দরজাটাই বন্ধ করে এলো। আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলাম।
আমার কানের একেবারে কাছে মুখটা এনে সে ফিসফিস করে প্রশ্ন করল : আচ্ছা মা, তুমি তো অনেক লেখাপড়া করেছ, তুমি নিশ্চয়ই জানবে। একটা কথার মানে বলতে পার?
—কি কথা?
—দাঁড়াও বলছি। কথাটা হচ্ছে, কি যেন,—দাঁড়াও মনে করে নি। হ্যাঁ হ্যাঁ এবার মনে পড়ছে! বলতো মা, নি-কি যে বলে—হ্যাঁ নিত—এবার ঠিক ধরেছি—বল তো মা, নিতুমবো মানে কি?
—নিতম্ব মানে?
—হ্যাঁ হ্যাঁ নিতম্বু!
–নিতম্ব মানে—
আমাকে একবার ঢোক গিলতেই হলো। বললাম : মানে পাছা।
কনিজ মেয়েমানুষ বলেই বলতে পারলাম।
কনিজ হঠাৎ যেন খেপে গেল।
—কি বললে? মানে পাছা!
–হ্যাঁ তাই। অত চিৎকার করো না। সকলে কি মনে করবে! কনিজ সে কথায় কানই দিল না। রাগে তেমনি গরগর করতে করতে তেমনি চিৎকার করে বলে গেল : হারামজাদা আঁটকুড়ের ব্যাটার মুখে ঝাড়ু।
আমি আশ্চর্য হয়ে গেলাম।
—কার মুখে তুমি ঝাড়ু মারছ?
—কার আবার! মুখপোড়া জাফরের।
জাফর আমাদের বাড়ির চাকর।
—কেন? সে আবার কি করল?
—আমাকে বলে কি না আমার নিতম্বু খুব ভালো।
কনিজ রোষ কষায়িত দৃষ্টির স্ফুলিঙ্গ বিকীর্ণ করতে করতে চলে গেল।
পরক্ষণেই ছোট চাচা ঘরে ঢুকলেন। তাঁর কপালে চিন্তার রেখা।
—তিশনা, আমরা আলীমকে দেখতে যাচ্ছি।
—কি হলো তার?
—তুই শুনিস নি কিছু?
—না তো!
মোহররমের মিছিলে সেও ছিল। মিছিল বৌবাজার এলে হাঙ্গামা শুরু হয়। পাশের বাড়ি থেকে তার মাথার ওপর দু’তিনটা ইট পড়ে।
একটু অপেক্ষা করে আমার বললেন : ডাক্তার বলেছে নাও বাঁচতে পারে। তা তুমি থাক বাড়িতেই। আমরা দেখে আসি।
—না চলো। আমিও যাব।
ফুপুজান, ছোট ফুপু, ছোট চাচা আর আমি চললাম একটা ফিটনে করে। কামিল না কি কাল রাত থেকেই সেখানে আছে।
গাড়ির চাকা ঘুরতে থাকে। আমি বসে বসে তাই দেখি আর এক সময় একেবারে ভুলে যাই যে আলীমের অসুখ, আমরা তাকেই দেখতে চলেছি।
ছোট ফুপু দৃষ্টি নত করে বসে আছেন। তাঁর মাথায় ঘোমটা। শাড়ির সরু লাল পাড়টা মাথার কাছে জ্বলজ্বল করছে। হাত দুটি কোলের ওপর পড়ে আছে। ছোট চাচাও ফিটনের পর্দার ফাঁক দিয়ে দেখছেন, চাকা ঘুরছে। ফুপুজান নাক বরাবর তাকিয়ে আছেন, কিছু দেখছেন কি না বুঝবার উপায় নেই। তাঁর দুটি চোখের একটি কখনো-বা ছোট চাচার ওপর এবং অপরটি কখনো-বা ছোট ফুপুর ওপর প্রজাপতির দুটি ডানার মতো অলসভাবে নড়তে লাগল।
কারো মুখে একটি কথা নেই। গাড়ি চলছে হনহন করে। মাঝে মাঝে ঘোড়ার পিঠের ওপর সপাং করে চাবুক নেবে আসছে। ঘোড়ার খুরের শব্দে দুটি চোখে ঘুম জড়িয়ে আসতে চায়।
গাড়ি একটি গলির মোড়ে একতলা একটা বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পড়ল। এটা আলীমদেরই বাড়ি। বাড়ির সামনে অল্প একটু ফালতো জমি, তারপর দু’পাশে দুটি পোস্তা। পোস্তার নিচ দিয়ে নর্দমা চলে গেছে। পোস্তার ওপর বসে কয়েকজন বৃদ্ধ ভদ্রলোক গল্পগুজব করছিলেন, হাতে সেদিনকার খবরের কাগজ। আশেপাশে চীনা বাদামের খোসা পড়ে আছে। অন্য পাশে দুই বৃদ্ধ নাকের ওপর চশমা তুলে দিয়ে দাবা খেলছিলেন। দেখলাম পোস্তার তলা থেকে নর্দমার ভিতর দিয়ে একটি কালো বিড়াল এল বেরিয়ে। সেখানেই নর্দমার ধারেই এক সম্পূর্ণ দিগবসন শিশু, গায়ের রঙ তার কালো, পায়ে ঘুঙুর, খেলা করছিল; অর্থাৎ তার ছোট্ট ছোট্ট হাত দিয়ে নর্দমার পাঁক তুলে চোখে-মুখে মাখছিল। এমন সুগঠিত স্বাস্থ্যবান শিশু ছবিতেও কম দেখেছি। বাম পাশের ময়রার দোকানে চুল্লির ওপর এক বিরাট কড়াই চড়ানো আছে; ঘি কিংবা দালদাই হবে, জিলিপি ভাজা হচ্ছে, তার চড়চড় শব্দও শুনতে পাই। এক তপ্ত মিষ্ট গন্ধও নাকের কাছে ভ্রমরের মতো ঘুরঘুর করতে থাকে। দেখলাম রিকশা থেকে নাবল এক নবীন যুবক, গায়ে ফর্সা ধুতি-পাঞ্জাবি আর চকচকে পামশু পায়ে; পরমুহূর্তে ভাড়া নিয়ে যথারীতি বচসা। নবীন যুবক আশেপাশের ভদ্রমণ্ডলীকে একবার দেখে নিয়ে তার বেশের সঙ্গে ভাষ্যের সামঞ্জস্য বিধানের শত চেষ্টা করেও বিফল হচ্ছে। এক মুহূর্তে এই পারিপার্শ্বিক দৃশ্যটি চোখের সামনে ভেসে উঠল। দু’কদম এগিয়ে গিয়েই দেখতে পাব মৃতপ্রায় অথবা মৃত্যুপথযাত্রী আলীমকে। আজ লিখতে বসে মনে হয় সমস্তটা মিলে এক জগচ্চিত্র।
ঘরে ঢুকতেই আয়োডিন আর ওষুধের একটা মিশ্র গন্ধ নাকে এসে ধাক্কা মারল। দরজার পাশেই একটা সাদা গামলায় তুলো আর গজ পড়ে আছে—রক্ত মাখা; আমাদের পায়ের শব্দে একটি ইঁদুর গামলার ভিতর দিয়ে লাফ দিয়ে ছুটে চলে গেল। টেবিলের ওপর ওষুধের শিশি- বোতল, মলমের টিন, খুচরা কিছু পয়সা, ফলমূল, থার্মোমিটার একটা, নস্যির ডিবা, অজস্র মাছি এবং একটি ভাঙা টুথব্রাশও পড়ে ছিল। টেবিলের পাশেই দুটি চেয়ার, একটি কাঠের একটি বেতের, একটির পিঠ নেই অপরটির একটি হাতল নেই। কাঠের চেয়ারে বসেছিলেন আলীমের আব্বা, সম্পর্কে আমার চাচা হন। ছেঁড়া শাড়ি দিয়ে তৈরি জানালার পর্দাটিও ছিন্ন : তারই ফাঁক দিয়ে শেষ বিকেলের এক ফালি রোদ গড়িয়ে এসে মাঝবয়সী চাচার ভুরুর নিচে পর্দাটির সঙ্গেই কাঁপছিল; কেমন যেন করুণ অসহায় আর দীর্ণ মনে হচ্ছিল তাঁকে। তাঁর চোখের চশমার একটি দিক সুতো দিয়ে কানের সঙ্গে বাঁধা। মেরামত করা হয়ে ওঠে নি সময়ের অভাবে অথবা হয়তো অন্য কোনো অভাবে।
আমরা ঘরে ঢুকতেই তিনি একবার চমশা তুলে তাকালেন, তারপর যেমন বসেছিলেন তেমনি বসেই থাকলেন। ফুপুজান তাঁর চোখেমুখে দুশ্চিন্তার ঊর্ণজাল ফুটিয়ে তুলে আস্তে আস্তে সেই হাতলবিহীন চেয়ারটির দিকে এগিয়ে গেলেন। সেই চেয়ারটিতে বসে তার নড়বড়ে পায়া এবং অনুপস্থিত হাতাটির দিকে কয়েকবার সতর্ক ও সশঙ্ক দৃষ্টিতে তাকিয়ে নিয়ে এক সময় স্থির হলেন; তার দৃষ্টিতে অনুমোদনের চিহ্নমাত্র ছিল না। আমরা গিয়ে বসলাম পাশের চৌকিটিতে। চৌকিতে তোশক নেই চাদর নেই, আছে কেবল একটি সতরঞ্চি পাতা। বালিশগুলোর নেই ওয়াড়। চৌকির ওপর বহুদিনের পুরাতন খবরের কাগজ, একটা ছেঁড়া মোজা, সুতার রিলে গাঁথা ছুচ, ভাঙা টিন, রুটি বেলার বেলন আর নোংরা একটা নকশি কাঁথা পড়েছিল। তারই পাশে আমরাও একটু জায়গা করে নিলাম।
ফুপুজান কিছুক্ষণ ছটফট করলেন, কিছুক্ষণ আঁচল দিয়ে গায়ে বাতাস করলেন, চেয়ারে এপাশ-ওপাশ করলেন, অবশেষে এক সময় প্রশ্ন করলেন : মরিয়ম কোথায়?
মরিয়ম আলীমের আম্মা।
চাচা কোনো কথা বললেন না। ইশারা করে দক্ষিণ দিকটা দেখিয়ে দিলেন। সেদিকটায় একটা নিমতখানা রাখা ছিল, তার জাল ছেঁড়া। নিমতখানায় ওভালটিনের একটা টিন দেখতে পেলাম; কিন্তু সেটা এতই পুরানো যে ভিতরে আর যাই থাক ওভালটিন নেই সহজেই অনুমান করা যায়। আর ছিল কিছু হাঁড়ি খুন্তি তেঁতুলের আচার আর সেই বেলনতক্তাটা, যার বেলন এই চৌকির ওপরই দেখতে পাচ্ছি। আর কিছু না। একটা ছেঁড়া মশারির পাল্লাকে পর্দা করে টাঙানো হয়েছে—একটা দড়ি থেকে তা পার্টিশনের মতো ঝুলছে।
পার্টিশনের ওপাশে মরিয়ম চাচি আসরের নামাজে বসেছেন।
আমি যেখানটায় বসেছিলাম তারই নাক বরাবর আলীমের ঘর, তার দরজা বন্ধ; ঘরটি একেবারে নীরব।
মোনাজাত শেষ করে মরিয়ম চাচি উঠে এলেন। তাঁর মুখেও কোনো কথা নেই। ছোট চাচা জিগ্যেস করলেন : আলীম এখন আছে কেমন?
চাচি এ প্রশ্নেরও কোনো জবাব দিলেন না কিন্তু তাঁর মুখভাব দেখে বোঝা গেল আলীম মোটেই ভালো নেই।
—চিকিৎসা ঠিকমতো হচ্ছে তো?
—হচ্ছে কোনোরকম।
—হাসপাতালে পাঠিয়ে দিলেই তো পারেন ভাবি।
—হাসপাতাল! তাহলে কি আর বাঁচবে।
ছোট চাচা এবার চুপ করলেন; হাসপাতালের প্রস্তাব করে তিনি অপরাধ করেছেন বুঝতে পারলেন।
মরিয়ম চাচি এবার আলীমের ঘরের দিকে পা বাড়ালেন; পিছনে পিছনে গেলেন ছোট চাচা, তাঁর পিছনে আমি এবং সবার শেষে ছোট ফুপু; ফুপুজান সেখানেই বসে থাকলেন।
আলীমের মাথার ব্যান্ডেজটি দেখেই আমি সর্বপ্রথম তার আঘাতের গুরুত্ব উপলব্ধি করলাম। আলীম শুয়েই ছিল। তার মাথার দিকের জানালার একটি পাট খোলা।
মরিয়ম চাচিকে এক পাশে ডেকে এনে ছোট চাচা তাঁর হাতে নোটের একটি বান্ডিল গুঁজে দিলেন; চাচি সামান্য একটু ইতস্তত করে তা রেখে দিলেন। এইবার তাঁর চোখ দুটি সিক্ত হয়ে এলো।
ছোট ফুপু এই প্রথম কথা বললেন : ভাবি, আমি এক বোতল পড়া পানি নিয়ে এসেছি। খোদার ফজলে আলীম নিশ্চয়ই ভালো হয়ে যাবে।
ছোট চাচা আলীমের মাথার কাছে বহুক্ষণ স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেন। এক সময় ছোট চাচা, মরিয়ম চাচি আর ছোট ফুপু আলীমের ঘর থেকে বেরিয়ে চলে গেলেন।
আমার কি মনে হলো, আমি গেলাম না।
আলীমের খাটের পাশের টেবিলে একটা তশতরিতে বেদানার দানা রাখা ছিল; তার ওপর মাছি ভনভন করছে। বেদনা ঢেকে দেব এমন কোনো জিনিসই কোথাও দেখলাম না। তাই আমার রুমালটি দিয়েই বেদানার তশতরি ঢেকে ফেললাম।
আলীম অল্প একটুখানি চোখ খুলল। চোখ দুটিতে ঘোর; কোনো একটি বিশেষ বস্তুর ওপর সে তার দৃষ্টি স্থির রাখতে পারছে না। সে যেন আমাকে চিনতে চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না। তার চোখের মণি দুটি যেন বিশৃঙ্খলার ঘোলাটে পানিতে ভাসছে।
আমি তার কপালে একটি হাত রেখে বললাম : ভাবনা কিসের—তুমি শিগগিরই ভালো হয়ে উঠবে।
তেমনি শূন্য দৃষ্টিতে আলীম তাকিয়ে থাকল। একবার তার ঠোঁট দুটি নড়ে উঠল, যেভাবে ডোবার বুদ্বুদড়ে ওঠে।
কোনোমতে সে বললো : ভা–লো!
দুটিমাত্র শব্দ; কিন্তু একটির পর আর একটি অবলীলায় মুখ দিয়ে বেরিয়ে এলো না। এলো অনেক পরপর, অন্তত তাই মনে হলো,—কণ্ঠনালির ভিতরকার বহু প্রতিবন্ধকতা ঠেলে। জনসমুদ্রে হারিয়ে যাওয়া দুটি চেনা মুখ ভিড় ঠেলে যেন স্বস্থানে ফিরে এলো।
আলীম এবার চোখ বন্ধ করল।
আমিও বেরিয়ে এলাম।
সবাই ফিরবার জন্য প্রস্তুত; ফিটন দাঁড়িয়েই ছিল।
আলীমের আব্বা-আম্মা দরজা পর্যন্ত এগিয়ে এলেন।
অন্ধকারে ভালো দেখা যায় না। ফুপুজানের একটি পা ফস্কে নালার মধ্যে গিয়ে পড়ল। ছোট ফুপু কোনোমতে তাঁর হাত ধরে ফেললেন।
রাগে গরগর করতে করতে পা টিপে টিপে শতপ্রকার বিরক্তিসূচক উক্তি গিয়ে আবহাওয়াকে কণ্টকিত করে ফুপুজান ফিটনের দিকে এগিয়ে গেলেন।
মরিয়ম চাচি বড়ই সঙ্কুচিত হয়ে পড়লেন। ফুপুজান প্রায় আছাড় খাচ্ছিলেন এ অপরাধ যেন তাঁরই। তিনি সভয়ে প্রশ্ন করলেন : আহা লাগল?
ফুপুজান সে প্রশ্নের কোনো জবাবই দিলেন না। কিন্তু এক অপ্রত্যাশিত মন্তব্য করলেন : মরিয়ম, আল্লাহর দরবারে এই মোনাজাত করি তোমার আলীম ভালো হয়ে উঠুক। তবে সবই খোদার ইচ্ছা। শহীদে কারবালা হবার খুশনসিবই-বা ক’জনের হয় বল!
ফিটনের চাকার তলে পড়ে কয়েকটি ইট এদিক-ওদিক ছিটকে পড়ল। আমাদের কারো মুখে কোনো কথা নেই। ফিটন ছুটছে; তারই হুঁইহুঁই হিসহুশ আওয়াজ চোখের পাতা দুটিকে ভার করে দিতে চায়।
এখানে একটা কথা বলা দরকার। তোমরা যদি মনে করে থাক, বিষোদ্গার করবার জন্যই ফুপুজান কথাটি বললেন তাহলে ভুল করবে। শহীদে কারবালা হবার খুশনসিব যে বাস্তবিকই এক বিরল সৌভাগ্য ফুপুজান তা আন্তরিকভাবেই বিশ্বাস করতেন। অবশ্য, তাঁর নসিবও যদি এইভাবেই প্রসন্ন হয়ে উঠতে চায় তা হলে তাঁর মনের অবস্থা কি হবে তা আমি নিশ্চয় করে বলতে পারব না।
আলীম সে যাত্রা বেঁচে গেল।
আরো একটা সুখবর আছে। আমি ম্যাট্রিক পাস করলাম ফার্স্ট ডিভিশনে। লেটারও পেলাম দু’ দুটো; বাংলা আর ইতিহাসে।