শীতের বনে কোন্‌ সে কঠিন আসবে ব’লে

শীতের হাওয়ার লাগল নাচন

শুক্‌নো পাতা কে যে ছড়ায় ওই দূরে

শুধু যাওয়া আসা শুধু স্রোতে ভাসা

শুধু কি তার বেঁধেই তোর কাজ ফুরাবে

শুধু তোমার বাণী নয় গো

শুন নলিনী খোলো গো আঁখি

শুনি ক্ষণে ক্ষণে মনে মনে

শুনেছে তোমার নাম অনাথ আতুর জন

শুভ কর্মপথে ধর’ নির্ভয় গান

শুভ মিলনলগনে বাজুক বাঁশি

শুভদিনে এসেছে দোঁহে চরণে তোমার

শুভ্র আসনে বিরাজ’ অরুণছটামাঝে

শুভ্র নব শঙ্খ তব গগন ভরি বাজে

শুষ্কতাপের দৈত্যপুরে দ্বার ভাঙবে ব’লে

শূন্য প্রাণ কাঁদে সদা– প্রাণেশ্বর

শূন্য হাতে ফিরি, হে নাথ, পথে পথে

শেষ গানেরই রেশ নিয়ে যাও চলে

শেষ নাহি যে, শেষ কথা কে বলবে

শেষ বেলাকার শেষের গানে

শোনো তাঁর সুধাবাণী শুভমুহূর্তে শান্তপ্রাণে

শোন্‌ রে শোন্‌ অবোধ মন

শ্যামল ছায়া নাইবা গেলে

শ্যামল শোভন শ্রাবণ তুমি নাই বা গেলে

শ্রান্ত কেন ওহে পান্থ, পথপ্রান্তে বসে একি খেলা

শ্রাবণ তুমি বাতাসে কার আভাস পেলে

শ্রাবণবরিষন পার হয়ে কী বাণী আসে ওই রয়ে রয়ে

শ্রাবণমেঘের আধেক দুয়ার ওই খোলা

শ্রাবণের গগনের গায় বিদ্যুৎ চমকিয়া যায়

শ্রাবণের ধারার মতো পড়ুক ঝরে

শ্রাবণের পবনে আকুল বিষণ্ন সন্ধ্যায়

শ্রাবণের বারিধারা ঝরিছে বিরামহারা

সংশয়তিমিরমাঝে না হেরি গতি হে

সংসার যবে মন কেড়ে লয়, জাগে না যখন প্রাণ

সংসারে কোনো ভয় নাহি নাহি

সংসারে তুমি রাখিলে মোরে যে ঘরে

সকরুণ বেণু বাজায়ে কে যায়

সকরুণ বেণু বাজায়ে কে যায় বিদেশী নায়ে

সকল গর্ব দূর করি দিব

সকল জনম ভ’রে ও মোর দরদিয়া

সকল ভয়ের ভয় যে তারে কোন্‌ বিপদে কাড়বে

সকল হৃদয় দিয়ে ভালোবেসেছি যারে

সকলই ফুরাইল যামিনী পোহাইল

সকলকলুষতামসহর, জয় হোক তব জয়–

সকাল-বেলার কুঁড়ি আমার বিকালে যায় টুটে

সকাল-সাঁজে ধায় যে ওরা নানা কাজে

সকালবেলায় আলোয় বাজে বিদায়ব্যথার ভৈরবী

সখা আপন মন নিয়ে কাঁদিয়ে মরি

সখা হে কী দিয়ে আমি তুষিব তোমায়

সখা, সাধিতে সাধাতে কত সুখ

সখী আমারি দুয়ারে কেন আসিল

সখী তোরা দেখে যা এবার এল সময়

সখী বলো দেখি লো

সখী প্রতিদিন হায় এসে ফিরে যায় কে

সখী আঁধারে একেলা ঘরে মন মানে না

সখী ওই বুঝি বাঁশি বাজে

সখী বহে গেল বেলা

সখী সে গেল কোথায়

সখী, ভাবনা কাহারে বলে। সখী, যাতনা কাহারে বলে

সখী, আর কত দিন সুখহীন শান্তিহীন