যশ ও অপযশ
১. যশ হলো মহৎ কাজের সুগন্ধি।
সক্রেটিস
২. যা মানবজাতির সুখ বর্ধন করে, তেমন কর্মের ভিত্তি ছাড়া কোনো সত্যিকার খ্যাতি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না।
চার্লস সামনার
৩. নিজেকে বড় মনে করা অন্যায়। কেননা, বড়ত্ব একমাত্র আল্লাহরই সম্পদ।
ইমাম গাজ্জালি (র.)
৪. প্রশংসা হচ্ছে আদর্শের ছায়া।
–এম. এফ. টুপার
৫. পরের প্রশংসা পেতে হলে, অপরকে প্রশংসা করতে হয়।
বি. সি. রায়
৬. কারও সীমাতিরিক্ত প্রশংসার নাম চাটুকারিতা এবং যতটুক প্রাপ্য তার কম প্রশংসা করার নাম হিংসা। সুতরাং যার যতটুকু প্রাপ্য ততটুকু প্রশংসাই করো, কমবেশি কোরো না।
–হযরত আলি (রা.)
৭. প্রত্যেকেই প্রশংসা চায়।
লিংকন
৮. যশ ধৈর্য ও সাধনার সন্তান।
–মেসফিল্ড
৯. বোকা লোকদের প্রশংসা থেকে তুমি আমাকে সর্বদা দূরে রেখো।
–বেন জনসন
১০. যে নিজের প্রশংসার পঞ্চমুখ, সে মস্ত আহাম্মক।
কুইন্টিলিয়ান
১১. সমস্ত নিকৃষ্ট কর্ম একত্রে করিলেও রসনার একটি নিন্দাবাদের প্রায়শ্চিত্ত হইবে।
–আল-হাদিস
১২. নাম মানুষকে বিখ্যাত করে না, বরং মানুষ বিখ্যাত হলেই তার নাম সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।
ডেভিড এভারেট
১৩. আমরা সবাই চালিত হই প্রশংসিত হওয়ার সুপ্ত ইচ্ছায়। আর উত্তম লোক তিনিই যিনি গৌরবময় হওয়ার ইচ্ছায় চালিত হয়েছেন বেশি। এমনকি দর্শনিকেরা পর্যন্ত, তাঁদের সুখ্যাতি পাওয়ার কামনায় লেখা বইগুলোতেও, তুলে ধরেছেন নিজের নিজের নাম।
সিসেরো
১৪. আপন শ্রদ্ধা অর্জনের অধিকতর সুযোগ লাভকারী ব্যক্তি সবচেয়ে সুখী।
স্যামুয়েল জনসন
১৫. গৌরব এলে স্মৃতি পালায়।
ফারাসি প্রবচন
১৬. গৌরবের পথ চলে কবরের দিকে।
টমাস গ্রে
১৭. আত্মমর্যাদা হারালেই লোকের শ্রদ্ধা হারাবে। উদার হও, লোকের হৃদয় জয় করতে পারবে। সত্যবাদী হও, লোকের বিশ্বাস পাবে।
কনফুসিয়াস
১৮. আমি আমার নিজের প্রশংসা নিজে করি না বলে, লোকে আমাকে সম্মান দেয় বেশি।
ক্যালডিরন
১৯. এমনকি বোকা লোকও যতক্ষণ চুপ করে থাকে, জ্ঞানবান বলে মর্যাদা পেয়ে থাকে।
বাইবেল
২০. সুনাম মূল্যবান মলম অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।
বাইবেল
২১. সুন্দর নির্মল ব্যবহার এবং অবিরাম কর্তব্যসাধনে মানুষ মৃত্যুর পরও নিজের স্থায়ী সিংহাসনে ইতিহাসের বুকে সমাসীন থাকে।
জুমুর
২২. একজন মহৎ ব্যক্তি সুনামের জন্য বাঁচতে পারে এবং সুনামের জন্যই মরতে পারে।
–জে পি ল্যাথারপ
২৩. বিখ্যাত লোকদের শুধু প্রশংসাই করবে না, তাদের অনুসরণও করবে। ২৪. প্রশংসা না করতে চাইলে চুপ করে থেকো, কিন্তু অহেতুক কারও নিন্দা কোরো।
-ওয়েলস-এর প্রবাদ
২৫. ক্ষমতা মানুষকে খারাপ করে, চূড়ান্ত ক্ষমতা চূড়ান্তভাবেই খারাপ করে।
আবুল মনসুর আহমদ
২৬. ক্ষমতার মদ অত্যন্ত কড়া, সেলামের মোহ মজ্জার মধ্যে জড়িত হইয়া যায়, এই প্রেস্টিজের অভিমান ধর্মের কাছেও মাথা হেঁট করিতে দেয় না।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২৭. ক্ষমতার নেশার অট্টহাস্য করা দুর্বলতারই লক্ষণ।
ইবনে আবদে রাব্বি
২৮. দশের বাহবায় মহত্ত্বের মোহ সৃষ্টি হয়। জ্ঞানীর কাম্য সত্যানুভূতি।
–আবদুর রহমান শাদাব
২৯. নির্বোধের মুখে বুদ্ধির তারিফ শোনা বুদ্ধিমানের দুর্বলতা।
–আবদুর রহমান শাদাব
৩০. সন্তানদের দ্বারা অমরত্ব লাভের বাসনা কত-না মানুষের মনে বদ্ধমূল, অথচ তাঁরা সবাই দেখেছেন যে, নিজের প্রপিতামহের নামটুকু জানা মানুষের সংখ্যা কত নগণ্য।
রাহুল সাংকৃত্যায়ন
৩১. যে-নাম শুধু বালি দিয়ে লেখা হয়, সে নামের স্থিতি নেই।
–পুটাস
৩২. সব সাফল্যই আপেক্ষিক এবং কালের সীমায় আবদ্ধ। শিয়রে মৃত্যু নিয়ে যে মানুষ দিন গুনছে, চিরস্থায়িত্ব তার কাছে এক মনোরম স্বপ্ন। আবদুর রহমান
শাদাব
৩৩. অমরত্বের জন্য মানুষ মৃত্যুকেও বরণ করে। কিন্তু তাতে লাভ হয় জীবিতের। যার দৈহিক অস্তিত্ব আছে, ভালো মন্দ তাকেই স্পর্শ করে।
আবদুর রহমান শাদাব
৩৪. সবাই না হলেও কেউ কেউ অমর হতে পারে। বিশাল সুকীর্তি কখনো বিফলে যায় না।
সত্যেন সেন
৩৫. আমরা যে মূর্তি গড়িতেছি, চবি আঁকিতেছি, কবিতা লিখিতেছি, পাথরের মূর্তি গড়িতেছি, দেশ-বিদেশে চিরকাল ধরিয়া অবিশ্রাম এই যে একটা চেষ্টা চলিতেছে, ইহা আর কিছুই নয়, মানুষের হৃদয়ে মানুষ অমরতা প্রার্থনা করিতেছে।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৩৬. মানুষের অর্থোপার্জন, প্রতিপত্তি, যশোলিসমস্তই আত্মপ্রতিষ্ঠার জন্য।
মোঃ বরকতুল্লাহ
৩৭. অবজ্ঞার নিয়ামত ক্ষণস্থায়ী, আর কৃতজ্ঞতার নিয়ামত চিরস্থায়ী।
লোকমান হাকিম
৩৮. যারে তুমি নীচে ফেল, সে
তোমারে বাঁধিবে যে নীচে।
পশ্চাতে রেখেছ যারে, সে
তোমারে পশ্চাতে টানিছে।
অজ্ঞানের অন্ধকারে,
আড়ালে ঢাকিছ যারে,
তোমার মঙ্গল ঢাকি, গড়িছে সে ঘোর ব্যবধান।
অপমানে হতে হবে তাহাদের সবার সমান।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৩৯. নাম আর কিছুই নয়, কেবল একটা শব্দ। যা দিয়ে বোঝা যায় বহুর মধ্যে একজন আর একজনকে আহ্বান করছে। তবে অনেক লোকের অভ্যাসে বাধে একথাও সত্যি। তারা এই শব্দটিকে নানারূপে অলংকৃত করে শুনতে চায়। দেখেন না রাজারা তাদের নামের আগে পিছে কতগুলি নিরর্থক বাক্য নিয়ে কতগুলি শ্ৰী জুড়ে তবে অপরকে উচ্চারণ করতে দেয়। নইলে তাদের মর্যাদা নষ্ট হয়।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
৪০. পরছিদ্র অন্বেষণকারীর সঙ্গ ত্যাগ করো, সে তোমার দোষ সকলের কাছে প্রকাশ করিবে।
–হযরত আলি (রা.)
৪১. নিন্দা! তারে আর নাহি ডরি–
নিন্দারে করিব ধ্বংস রোধ করি।
নিস্তব্ধ করিয়া দিব মুখরা নগরী।
স্পর্ধিত রসনা তার দৃঢ় বলে চাপি
মোর পদপীঠ তলে।
–শৈলজানন্দ
৪২. প্রশংসা করতে না চাইলে চুপ করে থোকো, কিন্তু নিন্দে কোরো না।
লর্ড জ্যাকি
৪৩. মানুষের জীবনের গভীরতম নীতি হল প্রশংসার জন্য চেষ্টা।
–উইলিয়াম জেমস
৪৪. অন্যের সুকর্মের প্রশংসা যে করে না, সে নিঃসন্দেহে অহংকারী।
উইলিয়াম ওয়াটসন
৪৫. যে সর্বক্ষণ অন্যের প্রশংসায় পঞ্চমুখ থাকে, মনে রাখবে সে সুযোগের সন্ধানী।
সিনেকা
৪৬. কোনো প্রশংসাকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থ দুইবার প্রশংসা পাবার আকাঙ্ক্ষা।
লা রশফুকো
৪৭. বধিরতম লোকও প্রশংসা শুনতে পায়।
–ওয়ান্টার স্যাভেজ ল্যান্ডব
৪৮. সুন্দর রুচির অধিকারী ব্যক্তিরা নির্বোধ প্রশংসার চাইতে বরং নির্বোধ সমালোচনা বেশি পছন্দ করেন।
-জোসেফ রুক্স
৪৯. মোটের ওপর প্রশংসা আমাদের জন্যে সবচেয়ে ভালো খাদ্য।
সিডনি স্মিথ
৫০. মানুষের প্রশংসা যাকে দুর্বল করে, সে ভালো কাজ করতে পারে না।
–ডেভিড হিউম
৫১. কিছুসংখ্যক লোক আছে যারা নিজের প্রশংসা শুনে উৎফুল্ল হয়ে ওঠে, কিন্তু সে সেই প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য কি না তা চিন্তা করে দেখে না।
বাটলার
৫২. আমি যত বেশি মানুষের সঙ্গে মিশছি, তত বেশি কুকুরের প্রশংসা করতে শুরু করেছি।
–ভাবরো
৫৩. মিথ্যা প্রশংসা করার চেয়ে নিন্দা করা অনেক ভালো।
–স্টেডখ্যান
৫৪. খুব কম লোকই তাদের চাকরের প্রশংসা পেয়ে থাকে।
–মোন্টেগন
৫৫. অনুকরণ করে কোনো মানুষ কখনোই বড় হতে পরে না। স্যামুয়েল জনসস
৫৬. ধনে এবং মানে বড় হলেই মানুষ অন্তরের দিক দিয়ে বড় হয় না।
স্মিথ
৫৭. যে প্রশংসা ভালোবাসে সে প্রলোভন ভালোবাসে।
টমাস উইলসন
৫৮. নিন্দার চাইতে প্রশংসা অধিকরত অবাঞ্ছিত।
নিৎসে
৫৯. যার প্রাপ্য নয় তাকে প্রশংসা করা একটি বড়ো প্রহসন।
বেঞ্জামিন ফ্রাংকলিন
৬০. যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি মারা না যাচ্ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত ঈর্ষাহীন প্রশংসা প্রত্যাশা করবেন না।
চার্লস কালের কন্টন
৬১. প্রশংসা ভালো লোককে করে উন্নততর, আর খারাপ লোককে করে আরও খারাপ।
টমাস ফুলার
৬২. তুমি যত বড় নও, যদি কোনো ব্যক্তি তোমাকে তার চাইতে বড় বলে তবে তার সংস্পর্শ হতে দূরে সরে থাকবে।
–হযরত আলি (রা.)
৬৩. শ্রম ব্যতীত স্থায়ী এবং সত্যিকারের যশ পাওয়া যায় না এবং যশই মনুষ্যসমাজকে সত্যিকারের সুখের দিকে নিয়ে যায়।
চালর্স সামনার
৬৪. মানবজাতির মধ্যে বেঁচে থাকা, একটা নামে বেঁচে থাকার চেয়ে অনেক বেশি।
–ভ্যাচেল লিন্ডস
৬৫. বিরাট সুনাম হল বিরাট হুল্লোড়। হুল্লোড় যত বেশি, সুনাম তত মোটা। পাহাড়েরও পতন হয়, কিন্তু হুল্লোড় থেকে যায়, পৌঁছায় পরের প্রজন্মে।
–প্রথম নেপোলিয়ন
৬৬. এমন কে আছে সুনামের স্বার্থে নিজেকে অন্তত একবার বলি দেননি।
–নিৎসে
৬৭. আমাদের নিজেদের ভেতরে, সত্তার ভেতের যা আছে আমরা তাতে সন্তুষ্ট নই, তাই থাকতে চাই অন্য মানুষের কাল্পনিক ধারণায়, তাই হতে চাই উজ্জ্বল চরিত্রের।
–পাসকেল
৬৮. যেখানে সম্মান নেই, সেখানে দুঃখও নেই।
জর্জ হার্বার্ট
৬৯. যে নিজের সম্মান উদ্ধার করতে পারে না, এ পৃথিবীতে সে সম্মান পায় না।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৭০. মানুষের কল্যাণের জন্য করা প্রতিটি কাজই সম্মানজনক।
উইলিয়াম ওয়াটসন
৭১. যখন মানুষ বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে তখন তার সম্মান বিনষ্ট হয়, তখন তার মৃত্যু
হুইটার
৭২. সম্ভ্রম যাওয়ার পরে পুরুষমানুষের বেঁচে থাকা বিড়ম্বনা। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ৭৩. সুখ্যতি হচ্ছে মনের জীবন এবং শ্বাস-প্রশ্বাস হচ্ছে দেহের জীবন।
–গ্রেসিয়ান
৭৪. ভালোমানুষ হওয়াই খ্যাতি অর্জনের সংক্ষিপ্ত উপায়।
হেরাক্লিটাস
৭৫. মানুষের বড় সম্পদ তার সুনাম।
শেক্সপীয়ার
৭৬. সুমান অর্জন করাটা যত কঠিন নষ্ট করাটা তত সহজ।
ইউরিপিডিস
৭৭. সৎস্বভাব ও পরিত্রমনা ব্যক্তি স্বীয় সুনামের ক্ষেত্রে মাতৃজাতির চেয়েও অধিক লজ্জিত হয়ে গড়ে।
হযরত আবুবকর সিদ্দিক (রা.)
৭৮. যে-লোক প্রশংসা ভালোবাসে না সে পরিপূর্ণ মানুষ নয়।
হেনরি ওয়ার্ড বিচার
৭৯. যাহারা এ পৃথিবীতে
হয়ে গেছেন
চিরধন্য
নিজের জন্য ভাবেননিকো
ভেবেছিলেন পরের জন্য।
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
৮০. স্বর্ণ ও হীরকের মতো প্রশংসা এর মূল্য পায় কেবল তখন, যখন তার অভাব দেখা দেয়।
স্যামুয়েল জনসন ৮১. শক্রর কাছ থেকে পাওয়া প্রশংসাই যথার্থ।
টমাস ফুলার
৮২. সাধারণত আমরা প্রশংসা পাবার জন্যে প্রশংসা করি।
–লা রশফুকো
৮৩. সবসময় চমৎকারভাবে প্রশংসা করা মধ্যমানের ব্যক্তির বড় লক্ষণ।
ভভেনারগস
৮৪. সুনাম মূল্যবান মলম অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।
বাইবেল
৮৫. প্রত্যেক মানুষের কাছে তার সুনামই হল বড় ঐশ্বর্য। যে আমাদের টাকাকড়ি কেড়ে নেয়, সে আমাদের কিছুই নিতে পারে না। কারণ টাকার নিজের কোনো মূল্য নেই–আজ যে তোমার, কাল সে আমার। আবার পরশু দিন আরেক জনের হবে। কিন্তু যে আমার সুনাম কেড়ে নেয় সে আমর যথাসর্বস্বই কেড়ে নেয়। তাতে সে ধনী হয় না বটে, কিন্তু আমাকে একেবারে নিঃস্ব করে দেয়।
শেক্সপীয়ার
৮৬. সূদৃঢ় কেল্লা ধ্বংস হয়ে যাবে। কিন্তু কোনো প্রসিদ্ধ নাম ধ্বংস হয়ে যায় না।
–পার্ক বেনজমিন
৮৭. আমাকে কি মনে রাখা হবে মৃত্যুর পরে? কখনো তেমনই ভাবি, আশা করি। কিন্তু এমনও ভাবি হয়তো কেউ মৃত্যুর আগে আমাকে খুঁজেই পাবে না।
স্যামুয়েল বাটলার
৮৮. পুরুষ নিজের দুর্বলতা অক্ষমতার চাইতে বরং অপরাধকেই প্রকাশিত হতে দেয়।
–লর্ড চেস্টারটন
৮৯. নিজেকে পেছনে ফেলে না এসে আমি কখনোই অভ্যর্থনার দিকে ছুটিনি।
ফ্রাঙ্ক মুর
৯০. সুনাম অর্জনের দুটো পথ; সৎ লোকদের প্রশংসা পাওয়া কিংবা বদমাশদের আক্রমণের লক্ষ্য হওয়া।
–চার্লস কালের কোন্টন
৯১. কলঙ্ক বহন করিয়া বাচিয়া থাকা হইতে সুনাম লইয়া মরা অনেক শ্রেয়।
সম্রাট বাবর
৯২. তুমি যদি উচ্চ সম্মান লাভ করতে চাও, তবে অধীনস্থ ব্যক্তিকে নিজের মতো দেখতে অভ্যাস করো। তাকে সামান্য মনে না করে সম্মান করবে।
শেখ সাদি
৯৩. হীন ব্যক্তিকে সম্মান করা ও সম্মানীয় ব্যক্তির অপমান করা একই প্রকার দোষ।
–হযরত আলি (রা.)
৯৪. সবার কাছে যে-নাম প্রসিদ্ধি লাভ করে, সে-নাম খুব বড় বোঝা হয়ে দাঁড়ায়।
ভলতেয়ার
৯৫. যারা সত্যিকারভাবে দেখতে জানে না তারাই প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয় বেশি।
–এনডিউ ল্যাংগ
৯৬. যত প্রকারের স্বর আছে তার মধ্যে প্রশংসার স্বরই সবচেয়ে মধুর।
–জেনে ফোন
৯৭. যা অনেককে তুষ্ট করে তার মধ্যে নিশ্চিত ভালো কিছু আছে, একে ব্যাখ্যা করা গেলেও তার দ্বারা আনন্দিত হওয়া যায়।
বালতাসার গ্রাসিয়াঁ
৯৮. যে-ভোজপাত্রের চারপাশে বেশি লোক ভিড় করে সেটি আমাকে কৌতূহলী করতে পারে না।
জুলিয়ান গ্রীন
৯৯. জনপ্রিয়তা? তিন আনার সুখ্যাতি।
ভিক্টর হুগো
১০০. যার কোনো শত্রু নেই,তার মতো অসুখীও নেই পৃথিবীতে।
–পাবলিলিয়াস সাইরাস
১০১. সর্বাপেক্ষা শ্রুতিকটু হল নিজ কর্ণে শত্রুর প্রশংসা শ্রবণ করা এবং সর্বাপেক্ষা শ্রুতিমধুর হল পরের মুখে নিজের প্রশংসা শোনা।
–বি. সি. রায়
১০২. কাউকে তোষামোদ করা খুব সোজা; কিন্তু কাউকে সত্যিকারের প্রশংসা করা খুবই কঠিন।
–জন পিটার
১০৩. তুমি যদি আশা কর যে মানুষ তোমার সম্বন্ধে ভালো বলুক এবং প্রশংসা করুক, তা হলে নিজে কখনো তোমার নিজের সম্বন্ধে ভালো বোলো না বা প্রশংসা কোরো না।
পাসকেল
১০৪. নিন্দা না থাকিলে পৃথিবীতে জীবনের গৌরব কি থাকিত? একটা ভালো কাজে হাত দিলাম, তাহার নিন্দা কেহ করে না, সে ভালো কাজের দাম কী!…শিকার কিছুমাত্র সুখের হইত না, যদি মৃগ যেখানে-সেখানে থাকিত এবং ব্যাধকে দেখিয়া পালাইয়া না যাইত!.. মানুষের চরিত্রে, বিশেষত তাহার দোষগুলি ঝোঁপঝাড়ের মধ্যেই থাকে এবং পায়ের শব্দ শুনিলেই দৌড় মারিতে চায়, এজন্যই নিন্দায় এত সুখ!… তুমি তোমার যে অংশটা দেখাইতে চাও না, আমি সেইটাকেই তাড়াইয়া ধরিয়াছি!.. যাহা লুকায় তাহাকে বাহির করা, যাথা পালায় তাহাকে বাঁধা, ইহার জন্য মানুষ কী না করে।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১০৫. আজ হয়তো এটি আগুন–কাল হয়ে যাবে ছাই।
আরবি প্রবাদ
১০৬. একিলিস বেঁচে আছে স্রেফ হোমারের দয়ায়। লেখায় সমস্ত শিল্পকৌশল মুছে ফেলা হোক পৃথিবী থেকে, হয়তো একই সঙ্গে মুছে যাবে তাঁর গৌরবও।
–শাতোব্রিয়ী
১০৭. যে না জেনে সম্মান দেখায় তার সম্মানে গর্ববোধ করার কিছু নেই।
স্যামুয়েল জনসন
১০৮. পরনিন্দা বড় পাপ। কিন্তু অত্যাচারিত ও নির্যাতিত ব্যক্তি অত্যাচারীর অত্যাচার সম্বন্ধে লোকের নিকট কিংবা বিচারকের নিকট নিন্দা করলে, বিচারক নরপতি বা নেতার অবিচার, অত্যাচার বা উৎকোচ গ্রহণ সম্বন্ধে লোকমুখে নিন্দা করলে, ধর্মের বিরুদ্ধে প্রচার কার্যকারীর নিন্দা করলে পরনিন্দা হয় না!
–আল-হাদিস
১০৯. যাহারা সংসার হইতে চলিয়া গিয়াছে তাহাদের দোষকীর্তন করিও না।
–আল-হাদিস
১১০. একজন মহৎ ব্যক্তিত্বই নামের জন্য বাঁচতে চায় এবং নামের জন্য মরতে চায়।
জি. পি. ল্যাথরপ
১১১. জীবনের গৌরবময় একটি ঘণ্টা, নামহীন দীর্ঘ সময়ের চেয়ে শ্রেয়।
স্কট
১১২. যদি তুমি কখনো অপমানিত বোধ কর, তবুও অন্যকে সেটা বুঝতে দেবে না।
১১৩. অন্যকে অপমান করাটা কালো মুদ্রার মতো। এর দ্বারা আমরা কারও বা নিজের কোনো উপকার করতে পারি না।
সিনেকা
১১৪. যে অনেক বন্ধু পোষে, যে-কারও সঙ্গে দেখা হোক সবারই যে পিঠ চাপড়ায়, বুঝতে হবে তার কোনো বন্ধু নেই।
অ্যারিস্টটল
১১৫. অনেকের সঙ্গে যে মেশে, বহু অপছন্দের জিনিস মেনে নেয়ার জন্যে তাকে প্রস্তুত থাকতে হয়।
–জেমস বসওয়েল
১১৬. আমাদের সংস্কৃতিতে তাকেই সকলে পছন্দের লোক মনে করে, যর মধ্যে আছে জনপ্রিয় হওয়ার স্বভাব আর যৌন আবেদনের মিশ্রণ।
–এরিক ফ্রম
১১৭. অপমান হচ্ছে এমন এক ধরনের মুদ্রা যা দিয়ে কাউকে সাহায্য করা যায় না, নিজের জীবনেই যা প্রযোজ্য।
টিমন
১১৮. আপনারে বড় বলে বড় সে
নয়,
লোকে যারে বড় বলে বড় সেই
হয়।
কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
১১৯. আল্লাহ
ছাড়া কারো কাছে চেয়ো না বড় কিছু
আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে
করো না নিজেরে নিচু।
কাজী নজরুল ইসলাম
১২০. তোমার কীর্তির চেয়ে তুমি যে মহৎ
তাই এক জীবনের রথ
পশ্চাতে ফেলিয়া যায় কীর্তিরে
তোমার।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১২১. বোকার গলায় ঘন্টা বাঁধার দরকার হয় না।
–ডেনিশ প্রবাদ
১২২. বোকার চুল কখনো পাকে না।
–ইংরেজি প্রবাদ
১২৩. এমন অনেকেই আছেন প্রতিবেশীরা কী ভাববে এই ভেবে যারা ভয় পান আত্মহত্যা করতে।
সিরিল কনোলি
১২৪. কোনো কাজ যদি আপনাকে পরিচিত না করে, সে-কাজ কখনো করবেন না।
ইমারসন
১২৫. জীবন এক প্রজন্মের, সুনাম চিরস্থায়ী।
জাপানি প্রবাদ
১২৬. মৃত্যু ছোট একটি শব্দ। কিন্তু মৃত্যুকে জয় করতে হলে এমন কিছু কাজ করে যেতে হবে, যাতে মানুষ মরেও অমর হয়ে থাকে।
–আর. এইচ. বারহাম
১২৭. আমি যা তার জন্যে আমি ঘৃণিত হলে ক্ষতি নেই, কিন্তু আমি যা নই, তার জন্যে শ্রদ্ধাভাজন হতে চাই নে।
আদ্রে জিদ
১২৮. খ্যাতিকে ধরে রাখতে জানলে তা ক্রমশ বৃদ্ধি পাবেই।
টমাস স্পার্ট
১২৯. খ্যাতি হচ্ছে ঘূর্ণায়মান চাকতির উপর রক্ষিত গোলাকার বস্তুর মতো।
টমাস ফুলার
১৩০. পরিচিত অনেকেই হতে পারে, কিন্তু সুপরিচিত হতে অতিরিক্ত গুণের প্রয়োজন।
টমাস বুকম্যান
১৩১. প্রায়শই যোগ্যতা ছাড়াই খ্যাতি পাওয়া যায়, আর কোনো ত্রুটি ছাড়াই তা হারায়।
ইংরেজি প্রবাদ
১৩২. আমাদের নিজেদের জীবন ও অস্তিত্ব নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট নই; আমরা চাই অন্যদের কল্পনায় বাস করতে, আর তাই আমরা সাফল্য অর্জন করি।
–পাসকেল
১৩৩. কখনো সুখ্যাতি অর্জন না করার চাইতে তা হারানো অনেক বেশি লজ্জাজনক।
ইয়াদার
১৩৪. তুমি যদি তোমার নিজের খ্যাতিকে উচ্চমূল্য দাও, তবে সদ্গুণসম্পন্ন ব্যক্তিগণের সাথে মেশো। কারণ মন্দ সাহচর্যের চাইতে একাকীত্ব অনেক শ্রেয়।
জর্জ ওয়াশিংটন
১৩৫. প্রচুর ধনসম্পদের চাইতে বরং যশ বেশি পছন্দ হওয়া উচিত। বাইবেল ১৩৬. নিজেকে অন্যের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। –ডেল কার্নেগি ১৩৭. স্মৃতি হবার আশায় মানুষ বেঁচে থাকে।
আস্তোনিও পোরচিয়া
১৩৮. অর্থ ও যশ মানুষের জীবনে সব নয়। স
–স্কট
১৩৯. আত্মবিশ্বাস, আত্মজ্ঞান, আত্মনিয়ন্ত্রণ–শুধুমাত্র এই তিনটিতেই মানুষ রাজকীয় সম্মানের অধিকারী হতে পারে।
টেনিসন
১৪০. পৃথিবীতে দুটো কাজ খুবই শক্ত–একটা হচ্ছে নিজের জন্য খ্যাতি অর্জন করা, অপরটি হচ্ছে সেটা আগাগোড়া ধরে রাখা।
রবার্ট সুম্যান
১৪১. কেউ যদি জনপ্রিয় হতে চায়, তবে তাকে দুটি কাজ করতে হবে। একটি হচ্ছে সুনামের উচ্চ মূল্যায়নের জন্য যাবতীয় জনকল্যাণের কাজ করা এবং সদ্গুণান্বিত ব্যক্তিদের সাথে মেশা।
জর্জ ওয়াশিংটন
১৪২. আজ যে রাজা, আগামীকাল হয়তো তাকে সিংহাসন ত্যাগ করতে হবে, কিন্তু আজকের কর্মই তাকে মৃত্যুঞ্জয় করে রাখতে পারে।
ফিলিপ সিডনি
১৪৩. বুদ্ধি বা অর্থবলে নয়, কর্মের দ্বারাই মানুষ অমর হতে পারে।
সৈয়দ সব্যসাচী
১৪৪. জ্ঞান জীবনকে পূর্ণতা দান করে, সুখ জীবনকে দীর্ঘস্থায়ী করে এবং সুকর্ম মানুষকে অমর করে।
এস. টি. কোলরিজ
১৪৫. মানুষের সবচেয়ে বড় সম্পদ হল তার সুনাম।
শেক্সপীয়ার
১৪৬. যশকে বীরত্বপূর্ণ কর্মের সৌরভ বলা যেতে পারে।
সক্রেটিস
১৪৭. সম্পদ অস্থায়ী, কিন্তু সুনাম দীর্ঘস্থায়ী।
–এস. গিলবার্ট
১৪৮. সুকীর্তি কখনো হারিয়ে যায় না।
–বেসিল
১৪৯. সদাচার দ্বারা সর্বপ্রকার পাপের ক্ষয় হইলেই অন্তঃকরণ বিমল হইয়া থাকে।
–স্বামী দয়ানন্দ অবধূত
১৫০. একজন আহত ব্যক্তি তার যন্ত্রণা যত সহজে ভুলে যায়, একজন অপমানিত ব্যক্তি তত সহজে অপমান ভোলে না।
জর্জ লিললো