জীবন ও মন
১. পার্থিব জীবন ছলনাময়।
–আল-কোরআন
২. মানুষের জীবন এক ব্যস্ত মানচিত্র, যা কাজ এবং যুক্তিতর্ক ও পরামর্শে পূর্ণ।
কুপার
৩. জীবন হচ্ছে সমুদ্রের মতো তরঙ্গবহুল। কিন্তু সতর্কতার সাথে সাঁতার কাটলে খুব সহজেই তার কূল পাওয়া যায়।
–জন হার্তে
৪. মানুষের জীবন এক চমৎকার উপকথা,যা বিধাতা নিজে লিখেছেন।
হান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসন
৫. জীবন মানেই অনিশ্চিত ভ্রমণ।
শেক্সপীয়ার
৬. জীবন হচ্ছে সাদা কাগজের পাতা। তার মধ্যে আমাদের কেউ কেউ লিখতে পারে তার দু-একটা কথা, তার পরই নেমে আসে রাত্রি।
–জে. আর. লাওয়েল
৭. জীবন হচ্ছে একমাত্র সত্য ইতিহাস।
কার্লাইল
৮. জীবন এমন একটা স্তম্ভ, যা আমরা একা বহন করতে পারি না।
জ্যাকুইন মিলার
৯. জীবন হচ্ছে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঘটনার বৃহৎ সমষ্টি মাত্র।
জন ম্যানফিল্ড
১০. জীবন সামান্য জিনিসের বৃহৎ বন্ধন।
–এ. ডব্লিউ, হালমস
১১. জীবন একটা রঙ্গমঞ্চ; সুতরাং তোমার ভূমিকাভিনয় করতে শিখে নাও, গাম্ভীর্যকে এক পাশে সরিয়ে রেখে। নতুবা জীবনের মর্মবেদনা বহন করতে শেখা অপরের মঙ্গল করতে শেখার চেয়ে প্রায়শই ঢের বেশি কঠিন।
জসুয়া লথ লিয়েবম্যান
১২. মানুষের মন আকাশের চেয়ে বড়, সমুদ্রের চেয়ে গম্ভীর হতে পারে।
টমাস চ্যাম্পিয়ান
১৩. যে-জীবনে পরিশ্রম নেই, সে-জীবন যেন একটা গুরুতর অপরাধ। এবং যে পরিশ্রমে আর্টের আনন্দ নেই তা পশুত্ব।
রাস্কিন
১৪. দুনিয়াতে মানুষের মনই বোধহয় সবচেয়ে দুর্গম ও দুয়ে।
মুহম্মদ আবদুল হাই
১৫. দিন কতকের মেয়াদের শুধু
ধার করা এই জীবন মোর, হাস্য মুখে ফেরত দেব সময়টুকু হলেই ভোর।
–ওমর খৈয়াম
১৬. মানুষের জীবন যেন কোনো অদৃশ্য চিত্রকরের স্বহস্তে রচনা।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৭. মানুষের জীবন মানচিত্রের মতো।
–শংকর
১৮. এসো সব, আশার দালান গড়া বালির উপরে আনো মদ, জীবন তো বাতাসের হঠাৎ প্রবাহ।
–হাফিজ
১৯. মৃতদের জন্য কাঁদো, কেননা, সে আলো থেকে বঞ্জিত। বোকাঁদের জন্য কাঁদো, কেননা, সে বুদ্ধি থেকে বঞ্চিত; মৃতদের জন্যে কাঁদো কম শোকে, কেননা, সে আছে বিশ্রামে, কিন্তু বোকার জীবন মৃতের চেয়েও বাজে।
বাইবেল
২০. আমরা কথার অধীন, প্রথার অধীন, অসংখ্য প্রবৃত্তির অধীন।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২১. মানুষের মনের সব থেকে বড় শত্রু হলো তার সংশয়, অবিশ্বাস, সন্দেহ।
সমরেশ বসু
২২. বয়েসের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মনের অনুভূতিও পরিবর্তিত হয়।
সিডনি স্মিথ
২৩. তিনটি অভ্যাস মানুষের জীবনকে সুন্দর করে তোলে : (১) জ্ঞানীর সাহচর্য, (২) ব্যবহারে অমায়িকতা (৩) খরচের ভারসম্য রক্ষা করা।
জুবাইর
২৪. অভ্যাস উৎকৃষ্ট চাকরের মতো নতুবা নিকৃষ্ট মনিবের মতো হয়ে থাকে।
ইমনোস
২৫. অভ্যাসই অভ্যাসকে অতিক্রম করতে পারে। –
-আইজ্যাক ইউলিয়ামস
২৬. মনের অসন্তোষকে দীর্ঘদিন জিইয়ে রাখা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।
আফরাবেন
২৭. অস্থির মানসিকতা স্বাস্থ্য এবং শান্তি দুটোতেই বিঘ্ন সৃষ্টি করে।
–ডেল কার্নেগি
২৮. জীবনে আশা সূর্যকিরণের মতো বারবার ফিরে আসে।
জুভেনাল
২৯. সর্বোৎকৃষ্টের জন্য আশা করো আর সর্বনিকৃষ্টের জন্য তৈরি থাকো।
–ইংরেজি প্রবাদ
৩০. কেবল নিজের উপরই আস্থা রাখুন, অন্যেরা আপনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারবে না।
টমাস ফুলার
৩১. এমন কেউ নেই যে কিছু হারায়নি, জীবনভর শুধু পেয়ে গেছে।
জন ক্লার্ক
৩২. আত্মহত্যা নয়, আত্মসমৃদ্ধিই জীবনের উদ্দেশ্য। আর তা কেবলমাত্র সম্ভব জীবন উপভোগের মাধ্যমে।
বার্ট্রান্ড রাসেল
৩৩. চেষ্টা করলেই মানুষ ইচ্ছানুযায়ী আনন্দ উপভোগ করতে পারে। লিঙ্কন ৩৪. জীবন ক্ষণস্থায়ী, কাজেই উপার্জনের পাশাপাশি তা ভোগ করে যাওয়া উচিত।
স্যামুয়েল জনসন
৩৫. কল্পনা বাস্তবের অভাব পূরণ। উদ্ভট কল্পনায় মন ক্যাঙ্গারুর মতো লাফিয়ে লাফিয়ে চলে।
আব্দুর রহমান শাদাব
৩৬. মানুষের কল্পনাশক্তি না থাকলে পৃথিবীর এত উন্নতি সাধিত হত না।
–মার্শাল
৩৭. জীবন খুবই সংক্ষিপ্ত। তোমার সমস্ত কাজ ঠিক সময়মতো করে ফ্যালো।
–জর্জ আর্নল্ড
৩৮. প্রাণের অবস্থাটি খুব কোমল করিতে হইবে। কাদামাটির ন্যায় মনকে গঠন করা চাই। তাহা হইলে ঐ মনের দ্বারা অনেক সুন্দর নতুন জিনিস প্রস্তুত হইতে পারে।
স্বামী দয়ানন্দ অবধূত
৩৯. মন যেন পিঞ্জরার পাখি। কল্পনায় সে ডানা মেলে উড়ে যায়। কল্পনা না থাকলে মানুষ অন্য জীবের মতো বাস্তবে বন্দি হয়ে থাকত।
আব্দুর রহমান শাদাব
৪০. দুর্ভাগ্যের শিক্ষালয়ে নিয়মানুবর্তিতা শিক্ষা করতে হয়।
মহাত্মা গান্ধী
৪১. নিষ্ঠার সাথে পরিচর্যা করলে জীবনের লালিত্য বৃদ্ধি পাবে।
রিচার্ড হেনরি
৪২. পরিবর্তন মানে প্রগতি। প্রগতিই জীবন।
রাহাত খান
৪৩. ভয় মানুষকে মুত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে।
বায়রন
৪৪. মানুষের জীবনটাই অগণিত ভুলের যোগফল।
–হোমারক্রয়
৪৫. যে-মানুষ ভুল করে না, বস্তুত সে কিছুই করে না।
–এ.জে. ফিলিপস
৪৬. জীবন ভোগের জন্য।
–চার্লস ল্যাম
৪৭. জীবনের পরিধি খুবই ক্ষুদ্র। যত শীঘ্র মানুষ তার ধনসম্পদ ভোগ করতে শুরু করে, ততই তার মঙ্গল।
–স্যামুয়েল জনসন
৪৮. যৌবনই ভোগের কাল, বার্ধক্য স্মৃতিচারণের।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৪৯. মনের সৌন্দর্যকে যে অগ্রাধিকার দেয়, সংসারে সে-ই জয়লাভ করে।
–শেক্সপীয়ার
৫০. সুন্দরভাবে বাঁচতে হলে তোমার দুটো জিনিস দরকার, তা হচ্ছে–বুদ্ধি এবং রুচিবোধ।
–জে. জি. হুইটিয়ার
৫১. কুৎসিত মন একটি সুন্দর মুখের সমস্ত সৌন্দর্য কেড়ে নেয়।
লটমাস নুন
৫২. সন্দেহপ্রবণ মন এক বৃহৎ বোঝাস্বরূপ।
ফ্রান্সিস ফুয়ারেলস
৫৩. যে-মন সুখী এবং পরিতৃপ্ত সেই মনই মহৎ।
ফার্গুসন
৫৪. আমার মনই আমার ধর্মশালা।
–টমাস পেইন
৫৫. সন্দেহপ্রবণ মন ভালো কাজের অন্তরায়।
–রবার্ট ব্রাউনিং
৫৬. খাঁটি, সরল ও সুস্থ হচ্ছে সেই মন, যে ছোট বড় সকল বস্তুকে সমভাবে গ্রহণ করতে পারে।
–স্যামুয়েল জনসন
৫৭. মানুষের মনের সবচেয়ে বড় শত্রু হলো সংশয়, অবিশ্বাস আর সন্দেহ।
–সমরেশ বসু
৫৮. তুমি যদি মনের সজীবতা ধরে রাখতে চাও, তা হলে সবকিছুকে সহজভাবে গ্রহণ করতে শেখো।
টমাস হুড
৫৯. যে মনের দিক থেকে বৃদ্ধ নয়, বার্ধক্য তার জীবনে আসে না।
–ফিলিপ ম্যাসিঞ্জার
৬০. যদি ভালোভাবে বাঁচতে চান তা হলে মনে রাখবেন–সমস্যাকে তুচ্ছজ্ঞান করতে হবে, আশীর্বাদকে গণ্য করতে হবে।
—ডেল কার্নেগি
৬১. জীবনকে যদি তুমি ভালোবাস তা হলে সময়ের অপচয় কোরো না। কেননা জীবনটা সময়ের সমষ্টি দ্বারা সৃষ্ট।
–ফ্রাঙ্কলিন
৬২. সময়ের সমুদ্রে আছি, কিন্তু এক মুহূর্ত সময় নেই।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৬৩. মৃত্যুর চেয়ে কঠিন হচ্ছে জীবন। কেননা দুঃখ-কষ্ট, বিপদ-আপদ কেবল জীবনেই ভোগ করতে হয়, মৃত্যু তা থেকে মুক্তি দেয়।
সক্রেটিস
৬৪. নদীতে স্রোত আছে তাই নদী বেগবান, জীবনে দ্বন্দ্ব আছে তাই জীবন বৈচিত্র্যময়।
–টমাস মূর
৬৫. কর্মহীন জীবন হতাশার কাফনে জড়ানো একটি জীবন্ত লাশ।
–ডেল কার্নেগি
৬৬. আমাদের জীবন আমাদের ইচ্ছার উপর নয়, আমাদের কর্মের উপর দণ্ডায়মান।
–লিথা গোরাম
৬৭. মনের উপর কারও হাত নেই। মনের উপর জোর খাটানোর চেষ্টা করা বৃথা।
–ম্যাকডোনাল্ড
৬৮. শিশুদের মনটা স্বর্গীয় ফুলের মতোই সুন্দর।
–এডমন্ড ওয়ালার
৬৯. অসি দিয়া নয়, নির্ভীক করে
মন দিয়া রণ
জয়,
অস্ত্রে যুদ্ধ জয় করা সাজে
দেশ জয় নাহি হয়।
কাজী নজরুল ইসলাম
৭০. শরীর ও শরীরের স্বাস্থ্য সম্পর্কে মনের কার্য অনেক। মন কারিগর যেমন গড়ে শরীর তেমনি হয়। মন যদি শরীর সম্বন্ধে কুৎসিত ভাবনা করে শরীর কুৎসিত হয়।
শ্রীসরলা দেবী
৭১. একটি সুখের সংসার ধ্বংস করার জন্য শয়তান যতগুলো অস্ত্র আবিষ্কার করেছে, তার মধ্যে মারাত্মক অস্ত্র স্ত্রীর ঘ্যানর ঘ্যানর।
—ডেল কার্নেগি
৭২. আনন্দ মাধুর্যহীন জীবন জীবনই নয়।
–মেসিল্ডার
৭৩. জীবন আমাদের ইচ্ছাধীন নয়।
–সমরেশ বসু
৭৪. যা পচে গেছে, যা মরে গেছে তাকে সিল্কের কাপড় দিয়ে জড়িয়ে রাখলে লাভ কী? তাতে আর নবজীবন আসবে না। আজ যাতে জীবন নেই, যাতে থেমে গেছে জীবনের স্পন্দন, তা যেমন নিজেকে চালাতে পারে না, তেমনি অপরকেও চালাতে পারে না। তেমন জিনিস যদি আমাদের অতি প্রিয় জিনিসও হয়, তবু তাকে কবর দিয়ে আমাদের এগিয়ে চলতে হবে। জীবন মানে এগিয়ে চলা।
–কামাল আতাতুর্ক
৭৫. দীর্ঘ আয়ু দীর্ঘ
অভিশাপ,
বিচ্ছেদের তাপ নাশে সেই বড়ো তাপ।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৭৬. তেরো-চৌদ্দ বৎসরের ছেলের মতো পৃথিবীতে এমন বালাই আর নাই। শোভাও নাই, কোনো কাজেও লাগে না …. তাহার মুখে আধো-আধা কথাও ন্যাকামি, পাকা কথাও জ্যাঠামি এবং কথামাত্রই প্রগলভতা। শৈশব এবং যৌবনের অনেক দোষ মাপ করা যায়, কিন্তু এই সময়ে কোনো স্বাভাবিক অনিবার্য ক্রটিও যেন অসুহ বোধ হয়।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৭৭. আগন্তুককে গালি দেয়ার জন্যে সবাই মুখিয়ে থাকে।
ইস্কিলাস
৭৮. বিদেশি সবকিছুই শ্রদ্ধেয়। একটি কারণ এটি অজানা জায়গা থেকে আসে, অন্য কারণ এটি তৈরি আর নিখুঁত।
–বালতাসার প্রাসিয়া
৭৯. মানুষ যাকে চেনে না, তার কাছে সে মানুষ নয়, চিতাবাঘ।
–পুটাস
৮০. বেঁচে থাকি, আশা করি, কষ্ট পাই, কাদি, লড়ি, আর সবশেষে ভুলে যাওয়া ..যেন কোনোদিন ছিলামই না।
–মেরি বাশকিরভ সেভ
৮১. পিঁপড়ে আর বুনোরা আগন্তুককে অক্কা পাইয়ে ছাড়ে।
বার্ট্রান্ড রাসেল
৮২. আগন্তুকের অশ্রু পানি ছাড়া কিছু নয়।
–রুশি প্রবাদ
৮৩. আগন্তুকের কোনো বন্ধু নেই, আরেকজন আগন্তুক ছাড়া।
–শেখ সাদি
৮৪. ধূসর মরুর ঊষর বুকে
বিশাল যদি শহর গড়ো
একটি জীবন সফল করা
তার চাইতে অনেক বড়ো
একটি উদাস হৃদয় যদি
বাঁধতে পারো প্রেমের ডোরে,
বন্দী শতক মুক্তিদানের
চাইতে সে যে শ্রেষ্ঠ ওরে।
–ওরম খৈয়াম
৮৫. আমি বৃদ্ধ হতে চাই না, ও-বয়সটা সুখকর নয়।
–আঁদ্রে মরোয়া
৮৬. যুবকদের তুলনায় বুড়োদের রোগব্যাধি অনেক কম। কিন্তু যা থাকে, তা আমরণ সাথি হিসেবেই বিদ্যমান থাকে।
–প্লেটো
৮৭. জরা আসে যৌবনের শেষে,
অকারণ আসে না সে, আসে সে ত কুঞ্জবীর
বেশে,
আসে সে যে হৃদয়ের বোধনের শোধনের তরে
বিধাতার শাপে নয়, বরে।
কালীদাস রায়
৮৮. যৌবনটা একটা মস্ত ভুল, জীবনটা একটা সংগ্রাম আর বার্ধক্য এক বিরাট আক্ষেপের সমষ্টি।
–ডিজরেইলি
৮৯. আমার মনই আমার ধর্মশালা।
–টমাস পেইন
৯০. মনের দিক থেকে যে দুর্বল, কর্মক্ষেত্রেও সে দুর্বল।
–জন রে
৯১. জীবনে একটি দিন চলে যাওয়া মানে আয়ু হ্রাস পাওয়া, কাজেই প্রতিটি দিনকে অর্থবহ করে তোলা উচিত।
–টমাস উইলম্বন
৯২. বয়স ভালোবাসার মতো লুকিয়ে রাখা যায় না।
–টমাস ডেক্কার
৯৩. তোমার বয়স যত বছর তত বছর কি তুমি বেঁচেছিলে?
–সুইফট
৯৪. নারীর বয়স তার দেহে, পুরুষের তার মনে।
–অজ্ঞাত
৯৫. মন্দ কাজ হতে আত্মরক্ষার জন্য পরিচ্ছন্ন মনের প্রয়োজন। মন পরিচ্ছন্ন থাকলে দেহও পরিচ্ছন্ন থাকে।
–ইমাম গাজ্জালি (রা.)
৯৬. দুনিয়াতে মানুষের চেয়ে বড় আর কিছু নেই; আর মানুষের মাঝে মনের চেয়ে বড় নেই।
–স্যার উইলিয়াম হ্যামিলন
৯৭. মন যদি চোখকে শাসন করে তবে কখনো চোখ ভুল করবে না।
–পাবলিয়াস সিরাস
৯৮. ধনের মানুষ মানুষ নয়, মনের মানুষই মানুষ। আমি ধন দেখিয়া তোমার সমাদর করিব না, জন দেখিয়া তোমার আদর করিব না, সিংহাসন দেখিয়া তোমার সম্মান করিব না, বাহুবলের জন্য তোমার সম্মান করিব না, কেবল মন দেখিয়াই তোমার পূজা করিব। তুমি যদি স্বয়ং অমানুষ হও, অথচ দণ্ডধর হইয়া আমাকে দণ্ডকরণে উদ্যত হও তথাচ আমি দণ্ড ভয়ে কদাচ তোমাকে দণ্ডবৎ করিব না। কিন্তু তুমি যদি পবিত্র চিত্তে সাধুভাবে ভিক্ষার ঝুলি ধারণ করিয়া আগমন কর, তবে তোমার দর্শনমাত্র তৎক্ষণাৎ আমি ধূলিধূসরিতাঙ্গ হইয়া পদতলে প্রণত হইব। অতএব যদি মানুষ হইবার অভিপ্রায় থাকে, তবে মনকে বিকল কর ও সরল হও। আপনি ছোট হইলেও বড় হইবে, বড় হইলে কখনও বড় হইতে পারিবে না।
–ঈশ্বর গুপ্ত
৯৯. জীবন সহজ নয়, জটিলও নয়–জীবন জীবনের মতো। আমরাই একে সহজ করি, জটিল করি।
হুমায়ূন আহমেদ
১০০. জীবনকে সহজভাবে নিতে জানলে জীবন কখনো দুঃসহ হয়ে ওঠে না।
লুইস ক্যারল
১০১. জীবনকে এক পেয়ালা চায়ের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। যতই তৃপ্তি সহকারে আমরা তা পান করি, ততই দ্রুত তলার দিকে অগ্রসর হতে থাকি।
–ক্রিনেট
১০২. দুঃখমুক্ত জীবনযাপনের ইচ্ছা না থাকলে, যা ঘটতে যাচ্ছে তাকে ঘটেই গেছে। বলে মনে করতে হবে।
–এপিকটেটাস
১০৩. জীবনের অর্থ হল গতি, অর্থাৎ কিনা ছোটাছুটি। প্রাণপণে ছোটার নাম হল বেঁচে থাকা, চুপচাপ থেমে থাকার নাম মরে যাওয়া। ছোটাছুটি না করে যারা বেঁচে আছে, তারা মরে বেঁচে আছে।
অবধূত
১০৪. জীবনকে ঘৃণা কোরো না, ভালোবাসতে শেখো। ভালোবাসা দিয়ে এবং ভালোবাসা পেয়ে তোমার জীবনকে স্বর্গীয় সুষমায় উদ্ভাসিত করে তোলো।
–মিলটন
১০৫. জীবনের মহৎ পরিণতি অভিজ্ঞতায় নয় কর্মে।
–টি, এইচ, হাক্সলি
১০৬. নদীতে স্রোত আসে তাই নদী বেগবান, জীবনে দ্বন্দ্ব আছে তাই জীবন বৈচিত্র্যময়।
টমাস মুর
১০৭. জীবনকে যে ভালোবাসে না, তার কাছে সম্পদ স্বাস্থ্য অর্থহীন।
জুভেনাল
১০৮. জীবনে যদি অগ্রগতি না থাকে, সে-জীবন অবাঞ্ছিত। –রোম্যাঁ রোলাঁ
১০৯. সকল মানসিক দুর্বলতার মধ্যে জীবনের প্রতি ভালোবাসা সবচেয়ে শক্তিশালী।
মলিয়ের
১১০. জীবনের কোনো মূল্য তখনই থাকে যখন এর লক্ষ্য হিসাবে মূল্যবান কিছু থাকে।
হেগেল
১১১. আমরা যা নই তা হবার এবং আমরা যা করতে পারি না তা করবার জন্য অবিরাম সগ্রামই হল জীবন।
উইলিয়াম হ্যাজলিট
১১২. জীবনের জন্য প্রস্তুতির শ্রেষ্ঠ উপায় হচ্ছে জীবনযাপন শুরু করা।
এলবার্ট ডুবার্ট
১১৩. বেশি যারা ভাবে তারা জীবনকে উপভোগ করতে পারে না।
বুদ্ধদেব গুহ
১১৪. সর্বদুঃখহর জীবনদর্শন বলে কিছু নেই। যখন যে সমস্যা দেখা দেয় তখন তার সমাধান করাই আমাদের সর্বক্ষেত্রে প্রযোজ্য জ্ঞান অবস্থানুযায়ী ব্যবস্থা করার যোগ্যতা।
আব্দুর রহমান শাদাব
১১৫. শিশুর ব্যক্তিত্বের প্রতি বিশ্বাসী হোন, তার উপর মাত্রাতিরিক্ত অভিভাবকত্ব করবেন না, শিশুর রাজ্যে অনধিকার প্রবেশও তার মানসিকতার পক্ষে শুভ নয়।
–ইমারসন
১১৬. শিশুরা ঈশ্বরের দূত, দিনের পর দিন যারা প্রেম, আশা আর শক্তি সম্পর্কে প্রচারের জন্য প্রেরিত হয়।
–জেমস রাসেল লোভেল
১১৭. শিশুর প্রকাশের মাধ্যম অনেক। তার ভাষার প্রয়োজন হয় না।
–চার্লস ডিকেন্স
১১৮. ফুটন্ত কলির মত শিশু মনোরম
তার চেয়ে বেশি কিছু আছে কি সুন্দর?
–আকরাম হোসেন
১১৯. আমার হৃদয় আমার হৃদয়
বেচি নি তো তাহা
কাহারো কাছে
ভাঙা চোরা হোক, যা
হোক তা হোক
আমার হৃদয় আমারি আছে।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১২০. কাব্য নয়, চিত্র
নয় প্রতিমূর্তি নয়
এ ধরণী চাহিছে শুধু হৃদয় হৃদয়।
–অক্ষয়কুমার বড়াল
১২১. ভালো করিয়া দেখিতে গেলে শিশুর মতো পুরাতন আর কিছু নাই। দেশকাল শিক্ষা প্রথা অনুসারে বয়স্ক মানবের কত নূতন পরিবর্তন হইয়াছে, কিন্তু শিশু শতসহস্র বৎসর পূর্বে যেমন ছিল আজও তেমন আছে, সেই অপরিবর্তনীয় পুরাতন বারম্বার মানবের ঘরে শিশুমূর্তি ধরিয়া জন্মগ্রহণ করিতেছে, অথচ সর্বপ্রথম দিন সে যেমন নবীন, যেমন সুকুমার, যেমন মূঢ়, যেমন মধুর ছিল; আজও তেমনি আছে। এই চির নবীনত্বের কারণ এই যে, শিশু প্রকৃতির সৃজন, কিন্তু বয়স্ক মানুষ বহুল পরিমাণে মানুষের নিজকৃত রচনা।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১২২. খোকা মাকে শুধায় ডেকে
এলেম আমি কোথা থেকে
কোথায় তুমি
কুড়িয়ে পেলে
আমারে?
মা তারে কয় হেসে কেঁদে
খোকারে তার বুকে
বেঁধে
ইচ্ছে হয়ে ছিলি মনের মাঝারে।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১২৩. আশার তপন নব যুবগণ
সমাজের ভাবী গৌরব কেতন,
তোমাদের ‘পরে জাতীয় জীবন
তোমাদের ‘পরে উত্থান পতন,
নির্ভর করিছে জানিও সবে।
–সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী
১২৪. উৎকৃষ্ট বীজ থেকেই উত্তম বৃক্ষ জন্ম নেয়।
–জন গে
১২৫. সম্ভবত পলিমাটির দেশ বলিয়াই আমাদের জীবনের কোনো বাগে কোনো বুনিয়াদ পাকা হইতে পারে না। মাটির উপরেও যেমন কোনো চিহ্ন থাকে না, মনের ভিতরও কোনো স্মৃতি পুষিয়া রাখি না।
–মোহিতলাল মজুমদার
১২৬. একটি সুন্দর মন থাকা একটি সুন্দর রাজ্যে বসবাস করার আনন্দের মতো।
–জন ওয়েসলে
১২৭. দুর্বল দেহ মনকে দুর্বল করে দেয়।
রুশো
১২৮. একটি মহৎ অন্তর, পৃথিবীর সমস্ত মাথার চেয়ে ভালো।
বুলার লিটন
১২৯. যুবকদের জন্য চল্লিশ বয়স্ক হওয়াটাই বার্ধক্য, কিন্তু বৃদ্ধদের জন্য পঞ্চাশ বছর বয়সটাই পূর্ণ যৌবন।
ভিক্টর হুগো
১৩০. জীবন ছোট বলেই মহান।
–ডিজরেইলি
১৩১. সংগ্রামী জীবন দীর্ঘ এবং আনন্দপূর্ণ জীবন প্রায়শই ক্ষণিকের হয়।
জ্যাকব এ. রিস
১৩২. জীবনের প্রতি মানুষের মায়া অপরিসীম। জীবনকে ভালোবাসে বলেই এত দুঃখ-কষ্ট সংগ্রামের মধ্যেও মানুষ বেঁচে থাকে।
–জর্জ হারবার্ট
১৩৩. জীবন মানেই সাফল্য এবং সাফল্য মানেই দুর্ভোগ।
–এইচ. ডব্লিউ. ভ্যানলুন
১৩৪. শান্ত এবং পরিচ্ছন্ন জীবন স্বাস্থ্যরক্ষার উৎকৃষ্ট খাদ্যের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
–উইলিয়াম ল্যাং ল্যান্ড
১৩৫. জীবনের পিছে মরণ দাঁড়ায়ে
আশার পিছনে ভয়
ডাকিনীর মতো রজনী ভ্ৰমিছে
চিরদিন ধরে দিবসের পিছে
সমস্ত ধরণীময়।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৩৬. এই তো জীবন
পাওয়া আর হারানোর
–তবু হাত বাড়ানোর
ভুল আশা-নিরাশার কাঁটার দহন।
দীনেশ গঙ্গোপাধ্যায়
১৩৭. জীবন যতক্ষণ আছে, বিপদ ততক্ষণ থাকবেই।
ইমারসন
১৩৮. জীবনের নিগূঢ় সত্যটি হচ্ছে, কখনো এমন কোনো আবেগকে প্রশ্রয় না দেওয়া যা অশোভন।
–অস্কার ওয়াইল্ড
১৩৯. আজ যারা নবীন, যাদের চোখে নতুন আলো, নব উদ্যম ও অনুপ্রেরণা, কাল তারা পকূকেশ ও প্রবীণ; সংসার থেকে তাদের প্রয়োজন নিঃশেষে ফুরিয়ে গেল, তারা আবার ছুটল মৃত্যুর গর্ভে। দুরন্ত উল্লাসে বারেবারে ছুটে আসে, দুর্দান্ত তাড়নায় বারেবারে তারা ছুটে পালায়। এর নাম জীবন।
–প্রবোধকুমার সান্যাল
১৪০. খাও, পান করো আর ভালবাসো। কারণ জীন ক্ষণস্থায়ী।
বায়রন
১৪১. মানুষের জীবনে বিশ বছর পর্যন্ত ইচ্ছার রাজত্ব চলে, তিরিশ বছর বয়স পর্যন্ত চলে বুদ্ধির রাজত্ব এবং চল্লিশ বছর বয়সে আসে বিচার-বিবেচনার রাজত্ব।
ফ্রাংকলিন
১৪২. একটা সুন্দর মন অন্ধকারে আলোর মতো, যার মাধ্যমে কলুষতার মাঝেও নিজের অস্তিত্বকে মর্যাদাসম্পন্ন রাখা যায়।
দানিয়েল
১৪৩. মন যখন ঘুরে বেড়ায়, কান আর চোখ তখন অকেজো হয়ে দাঁড়ায়।
অজ্ঞাত
১৪৪. একটা মন আর একটা মনকে খুঁজিতেছে নিজের ভাবনার ভার নামাইয়া দিবার জন্য, নিজের মনের ভাবকে অন্যের মনে ভাবিত করিবার জন্য।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৪৫. আত্মা কুলুষিত হতে আরম্ভ করলেই মন আকারে সরু হতে থাকে।
–রুশো
১৪৬. মনের অনেক দরোজা আছে, সেখান দিয়ে অসংখ্যজন প্রবেশ করে এবং বের হয়ে যায়, তাই সবাইকে মনে রাখা সম্ভব হয় না।
–টমাস কেসি
১৪৭. যৌবন করে না ক্ষমা
প্রতি অঙ্গে অঙ্গীকার করে মনোরমা বিশ্বের নারীরে। অপরূপ উপহারে কখন সাজায় বোঝাও না যায়।
–বুদ্ধদেব বসু
১৪৮. ছোট ছোট হাসি মুখ, জানে না ধরার দুখ,
হেসে আসে তোমাদের দ্বারে।
নবীন নয়ন তুলি, কৌতুকেতে দুলি দুলি
চেয়ে চেয়ে দেখে চারিধারে।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৪৯. শিশুদের ভালো করতে হলে তাদের সুখী করতে হবে।
অস্কার ওয়াইল্ড
১৫০. হয়তো হারানো মণি ফিরে তারা পায়,
কিন্তু হায়, যে অভাগা
হৃদয় হারায়
হারায় সে চিরতরে! এ জনমে তার
দিশা নাহি মিলে বন্ধু।
কাজী নজরুল ইসলাম
১৫১. আহত হৃদয় নিয়ে মানুষ বাঁচতে পারে, কিন্তু তাকে বাঁচা বলে না।
–ডব্লিউ. বি. ইয়েমে
১৫২. অল্পবয়সি মনটা হিসেবে বড় হতে পারে যদি সে সময় নষ্ট না করে। বেকন ১৫৩. যেমন কর্তব্যরত নয় সে-মন অনুপভোগ্য।
বেভো
১৫৪. মানুষ দ্বিমনা। তার ভেতরে দুইটি মন আছে, একটা খোলা মন, একটা ভালো মন; তার একটা অবজাত, একটা অভিজাত, তাদের একজন ছোটলোক, একজন ভদ্রলোক।
–শ্রীসরলা দেবী
১৫৫. মন দিয়ে মন বোঝা যায়
গভীর বিশ্বাস শুধু নীরব প্রাণের
কথা
টেনে নিয়ে আসে।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৫৬. শিয়ালের মতো একশো বছর জীবন ধারণ করার চাইতে সিংহের মতো একদিন বাঁচাও ভাল।
–টিপু সুলতান
১৫৭. ছোট ছোট মুধর কর্মেভরা একটি প্রেমময় জীবনই আমার অধিক কাম্য।
সুইনবার্ন
১৫৮. জীবনকে ঘৃণা কোরো না, জীবনকে ভালবাসতে শেখো। ভালবাসা দিয়ে এবং ভালবাসা পেয়ে তোমার ক্ষণিক জীবন স্বর্গীয় সুষমায় উদ্ভাসিত করে তোলো।
–মিল্টন
১৫৯. মানুষের জীবন কত সংক্ষিপ্ত আর বিশ্বাস কত ক্ষণভঙ্গুর!
–জন গে
১৬০. মানুষ বলে–নিমেষে শেষে জীবন কিছু নয়,
রক্ত-রাঙ্গা মেঘের মতো ক্ষণিকে পায় লয়।
শেখ ফজলল করিম
১৬১. আমি সংক্ষিপ্ত অথচ আনন্দমুখর জীবন চাই।
–আব্রাহাম কাওলে
১৬২. তোমার জীবন একটি জাজ্বল্যমান বিরাট গ্রন্থ, যাহার অক্ষর হইতে গুপ্ত তথ্যসমূহ প্রকাশ পায়।
–আল-হাদিস
১৬৩. বৃদ্ধেরা জীবনকে যত বেশি ভালবাসে, যুবকেরা ততখানি বসে না।
–ক্রেডিক হার্বার্ট
১৬৪. মানুষের সুখ আর পরিশ্রম তার জীবন গড়ে তোলে।
টলস্টয়
১৬৫. যৌবনের শেষে শুভ্র শরৎকালের ন্যায় একটি গভীর প্রশান্ত প্রগাঢ় সুন্দর বয়স আসে যখন জীবনের ফল ফলিবার এবং শস্য পাকিবার সময়।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৬৬. আমি তোমাকে চোখ দ্বারা দেখি, কিন্তু বুঝি মন দ্বারা।
–জন স্টিল
১৬৭. বৃদ্ধ হওয়ার সুখ অনেকের মধ্যেই দেখা যায়, কিন্তু সকলেই বার্ধক্য সম্পর্কে ভীত।
–জন উভরে
১৬৮. বয়সকে বেশিদিন গোপন করে রাখা যায় না।
স্কট
১৬৯. বিশ্বে দুটি শক্তি রয়েছে–এগুলো হচ্ছে অসি ও মন। কিন্তু পরিণামে এ দুয়ের দ্বন্দ্বে মনের কাছে অসি শেষ পর্যন্ত পর্যদুস্ত হয়।
–নেপোলিয়ন
১৭০. পাঁচটি ঘটনার পূর্বে পাঁচটি জিনিসকে মূল্যবান মনে করবে? তোমার বৃদ্ধ বয়সের পূর্বে তোমার যৌবনকে, ব্যাধির পূর্বে স্বাস্থ্যকে, দরিদ্রতার পূর্বে সচ্ছলতাকে, কর্মব্যস্ততার পূর্বে অবসরকে এবং মৃত্যুর পূর্বে জীবনকে।
–আল-হাদিস
১৭১. যুবকদের গায়ের জোরে আস্থা খুব বেশি। বিচার বুদ্ধি বিবেকের দাবি তাদের কাছে নাই। ঔদ্ধত্য প্রকাশ তাদের স্ব-প্রকৃত।
–ডা. লুৎফর রহমান
১৭২. সৃষ্টির কালই হল যৌবনকাল।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১৭৩. মা ছেলেকে স্নেহ দিয়া মানুষ করিয়া তোলে, যুগে যুগে গৌরবগাথা তাই সকল জনমনের বার্তায় ব্যক্ত। কিন্তু শিশু যা মাকে দেয়, তা কি কম? সে নিঃস্ব আসে বটে, কিন্তু তার মন কাড়িয়া লওয়া হাসি, শৈশবতারল্য চাঁদ-ছানিয়া গড়া মুখ, আধ আধ আবোল-তাবোল বকুনির দাম কে দেয়? ওই তার ঐশ্বর্য, ওরই বদলে সে সেবা নেয়, রিক্ত হাতে ভিক্ষুকের মতো সে নেয় না।
–বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
১৭৪. নতুন কিছু করাই তরুণের ধর্ম।
–জর্জ বার্নার্ড শ
১৭৫. আমি যৌবনের লাগি করিব তপস্যা ঘোর
কালে না করিবে ক্ষয় জীবন-বসন্ত
মোর,
জীবনের অবসান যেদিন হোক হবে
যাবৎ জীবন মোর তাবৎ যৌবন রবে।
–মানকুমারী বসু
১৭৬. চোখ কতটুকুই দেখে, কান কতটুকুই শোনে, স্পর্শ কতটুকুই বোধ করে। কিন্তু মন এই আপন ক্ষুদ্রতাকে কেবলই ছড়িয়ে যাচ্ছে–অর্থাৎ সে যা, সে তার চেয়ে অনেক বড়ো।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৭৭. মনের কলুষতাই মানুষের আত্মা ও দৃষ্টিকে কদর্যতা দান করে এবং সেই কদর্যতাই নিজের এবং পরিবারের লোকদের জীবনকে বিভীষিকাময় করে তোলে।
স্যার জন ফিলিপস
১৭৮. বৃদ্ধেরা সবকিছুই বিশ্বাস করে, মধ্যবয়সি লোক সবকিছুতে সন্দেহ প্রকাশ করে, আর কমবয়সি লোকেরা সবই জানে।
অস্কার ওয়াইল্ড
১৭৯. পরলোকের ভরসায় জীবনকে সুখ হইতে বঞ্চিত করিও না। মহূর্ত পরমহূর্তের ভিতর দিয়া জীবন ক্রমে নিঃশেষ হইয়া আসিতেছে। এ-জীবন সার্থক করো। প্রতি মুহূর্তটি আঁকড়িয়া ধরিয়া উপভোগ করো, ফুর্তি করো, আনন্দ করো। যে-মুহূর্ত পিছনে পড়িল উহা আর ফিরিয়া আসিবে না, উহার জন্য অনুশোচনা করিও না।
–ওমর খৈয়াম
১৮০. মানুষের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হচ্ছে জীবন, এবং এই জীবন তাকে একবারই ধারণ করতে দেয়া হয়। তাকে এমনভাবে বাঁচতে হবে, যেন বছরের পর বছর অনর্থক অনুতাপ ভোগ করতে না হয়, জঘন্য ও নিকৃষ্ট অতীতের জন্যে কখনো গ্লানি বোধ করতে না হয়; এমনভাবে বাঁচতে হবে যেন মৃত্যুর সময় সে বলতে পারে, আমার সমগ্র শক্তি আমি উৎসর্গ করেছি বিশ্বের সুন্দরতম আদর্শের জন্য মানুষের মুক্তির সংগ্রামে।
–এন, অস্ত্রোভস্কি
১৮১. বৃক্ষের সার্থকতা যেমন ফল ধারণে, সেইরকম নৈতিক গুণাবলির সার্থকতা শান্তিলাভে। চরম ও পরম শান্তিলাভের পথ হচ্ছে ক্রমাগত সৎ জীবনযাপন করা।
–আল-ফারাবি
১৮২. গৌরবময় জীবনের একটি মুহূর্ত সাধারণ জীবনের বিরাট অংশ হতে অনেক বেশি মূল্যবান।
১৮৩. শৈশবে লজ্জা, যৌবনে ভারসাম্য এবং বার্ধক্যে ব্যয়সংকোচন ও দূরদর্শিতার প্রয়োজন।
সক্রেটিস
১৮৪. জীবন ও মৃত্যু একটা ব্যাপারের-ই বিভিন্ন নাম মাত্র। একই টাকার এপিঠ ওপিঠ। উভয়েই মায়া। এ-অবস্থাটাকে পরিষ্কার করে বোঝাবার জো নেই। একসময় বাঁচাবার চেষ্টা হচ্ছে, আবার পর মুহূর্তেই বিনাশ বা মৃত্যুর চেষ্টা।
স্বামী বিবেকানন্দ
১৮৫. মাটির ঢেলা, মাটির ঢেলা,
রক্ত দিলে কে তোমার গায়ে?
গড়লে তোরে কোন আদলের ছাঁচে?
ভুখ দিলে যে বুক দিলে যে
দুখ দিতে সে ভুলল না,
মৃত্যু দিলে লেলিয়ে পাছে পাছে।
–প্রেমেন্দ্র মিত্র
১৮৬. আমাদের জীবনকে এরূপভাবে পরিচালিত করব যেন আমাদের মৃত্যুর পর ভৃত্যটিও অশ্রুবর্ষণ করে।
–মার্ক টোয়েন
১৮৭. বৃদ্ধেরা যেহেতু অন্যায় বা বিশৃঙ্খলাপূর্ণ কোনো কাজ করতে পারে না, সেজন্যই নিজেদেরকে সান্তনাদানের উদ্দেশ্যে অন্য লোককে তারা সৎ উপদেশ বিতরণের শখ পূরণে লিপ্ত হয়।
–লাডলে ফোকাল।
১৮৮. দোষ, গুণ, ভুল, ভ্রান্তি মিলেই মানুষের জীবন। অন্যকে ক্ষমা করার মতো মহৎ মন প্রত্যেকের থাকা চাই।
রবার্ট ক্যাম্বারস
১৮৯. যৌবনকালটাই মাধুর্যমণ্ডিত, যদিও এই সময়েই সাবধানতা অবলম্বন করতে হয় বেশি।
–প্রিন্সেস এমিলিয়া
১৯০. নিম্নশ্রেণীর জন্তুরা ভূমিষ্ঠকাল অবধি মানবশিশুর অপেক্ষা অধিকতর পরিণত। মানবশিশু একান্ত অসহায়। ছাগশিশুকে চলিবার আগে পড়িতে হয় না।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৯১. বন্ধু, হৃদয় এমনি
অবুঝ কারো সে অধীন নয়।
যারে চায় শুধু
তারেই চায় নাহি মানে লাজ ভয়।
কাজী নজরুল ইসলাম
১৯২. মন যদি পরিষ্কার হয় তবে চোখের দৃষ্টি স্বচ্ছ হবে।
–টমাস পেইন
১৯৩. বৃদ্ধ লোকের মতো কেউ জীবনকে ভালোবাসে না।
–সোফোক্লেস
১৯৪. বংশের বৈশিষ্ট্য লইয়া প্রত্যেককে জীবনযুদ্ধে প্রবৃত্ত হইতে হয়। প্রাকৃতিক ও সামাজিক পরিবেশের সহিত যুদ্ধ করিতে করিতে তাহার এই উত্তরাধিকার বিনষ্ট হইতে পারে, সমৃদ্ধ হইতে পারে, ঈষৎ পরিবর্তিত হইতে পারে, কিংবা যেমন ছিল তেমনি থাকিতে পারে। কিন্তু এই উত্তরাধিকারের প্রভাব অতিক্রম করিবার উপায় নাই।
–বনফুল
১৯৫. যৌবন যার সৎ, সুন্দর ও কর্মময়, তার বৃদ্ধবয়সকে স্বর্ণযুগ বলা যায়।
–জর্জ গ্রসভিল
১৯৬. জীবনটাকে হরি ঘোষের গোয়ালের মতো দুষ্ট গরুর উৎপাতে ফেলো না। জন্মগতসূত্রে মানসিক গুণাবলি যা পেয়েছে তার মর্যাদা দাও। মরে গিয়েও যেন তোমার মনে না হয়, তোমার জীবনের জন্য তুমি লজ্জিত।
ইলা. কে. মেইলার্ট
১৯৭. জীবনের যত পূজা হল না সারা;
জানি হে জানি তাও হয় নি হারা।
যে ফুল না ফুটিতে ঝরেছে ধরণীতে
যে নদী মরুপথে হারাল ধারা।
জানি হে জানি তাও হয়নি হারা।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৯৮. তোমার যদি পরিতৃপ্ত মন থাকে তবেই তুমি জীবনকে উপলদ্ধি করতে পারবে।
–পুটাস
১৯৯. কারও কারও জীবনে বসন্ত একান্ত নিভৃতে আসে, বাইরে প্রকাশ পায় না। তার আমেজে সে নিজেই পুলকিত হয়।
–জন ফ্রেচার
২০০. কল্পনাশক্তিই পৃথিবীকে শাসন করে।
নেপোলিয়ন
২০১. কল্পনাশক্তিই হল আত্মার দৃষ্টিশক্তি।
–জোবার্ট
২০২. মন হল সবচেয়ে বড় তর্কশাস্ত্রবিদ।
–ওয়েন্ডেল ফিলিপস
২০৩. জীবন তৃপ্তি দেয় যতটু, অতৃপ্তি দেয় তার চেয়ে বেশি।
ক্রিস্টিনা রসোর্ট
২০৪. জীবনকে যেমন মৃত্যুকে তেমনি স্বাভাবিক বলে মেনে নিতে হবে।
–শহীদুল্লাহ কায়সার
২০৫. বলির পাঁঠারা সবসময়েই ধারণ করেছে মানুষের অত্যাচার, দুর্নীতি আর নষ্ট করার হিংস্র প্রবণতাকে মুক্তি দেয়ার রহস্যময় ক্ষমতা।
ফ্রাঁসোয়া মারিয়াক
২০৬. হোটেলের সেরা ব্যাপার হলো এটি নিজের ঘর নয়। জর্জ বার্নার্ড শ
২০৭. সকল সাধুই মাজেজা দেখাতে পারেন, কিন্তু খুব কম সাধুই আছেন যারা হোটেল চালাতে সক্ষম।
–মার্ক টোয়েন