শক্তি ও সংগ্রাম
১. মানুষের জীবনে বাধাবিঘ্ন আসবেই, তাতে যে দমে যায় সে কখনো জীবনে উন্নতি করতে পারে না।
–নেপোলিয়ন বোনাপার্ট
২. পৃথিবী শক্তির পদানত।
–ইমারসন
৩. শক্তি হচ্ছে অভ্যন্তরীণ আলোর ছটা।
–ড্রেটন
৪. শক্তির দুটো অংশ আছে–এক অংশ ব্যক্ত, আর এক অংশ অব্যক্ত…। এক অংশ প্রয়োগ, আরেক অংশ সম্বরণ। শক্তির এই সামঞ্জস্য যদি নষ্ট কর তা হলে সে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে, সে ক্ষোভ মঙ্গলকর নয়।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৫. সংগ্রাম করা, ব্যর্থ হওয়া–আবার সংগ্রাম করা, আবার ব্যর্থ হওয়া, আবার সংগ্রাম করা, বিজয় অবধি এটাই হচ্ছে জনগণের যুক্তি, তারা কখনো এই শক্তি লংঘন করবেন না।
মাও-সে-তুং
৬. আমরা যখন কর্তব্যকর্মে অবহেলা দেখাই, কোনো দায়িত্বকে নিষ্ঠার সঙ্গে গ্রহণ করি না,তখনই অকৃতকার্যকতা আসে।
–ডেল কার্নেগি
৭. অকৃতকার্যতায় ভেঙে পড়লে চলবে না। একবারে না পারিলে দেখ শতবার। অকৃতকার্যতার পরেই আসবে কৃতকার্যতা।
অজ্ঞতা
৮. আমরা যখন আমাদের আদর্শ, উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ভুলে গিয়ে বিপথগামী হই, তখনই প্রকৃত অকৃতকার্যতা আসে।
জ্যাকুলিন মিলার
৯. উদ্যমের অভাবেই সবসময় অকৃতকার্যতা দেখা দিয়ে থাকে, পুঁজির অভাবে নয়।
ডানিয়েল ওয়েস্টার
১০. লক্ষ্য অর্জনের জন্য যে-কোনো ত্যাগ স্বীকারে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। ঘরে ঘরে গড়ে তুলতে হবে প্রতিরোধের দুর্গ, আমাদের দাবি ন্যায়সঙ্গত। তাই সাফল্য আমাদের সুনিশ্চিত। জয় বাংলা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
১১. বাংলাদেশের শতকোটি মানুষের সার্বিক মুক্তির জন্যে আমাদের আজকের এই সংগ্রাম। অধিকার বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চলবে। বুলেট, বন্দুক, বেয়োনেট দয়ে বাংলাদেশের মানুষকে আর স্তব্ধ করা যাবে না। জনতা আজ ঐক্যবদ্ধ।
বঙ্গবন্ধু
১২. জীবিকার জন্য কোনোরূপ চেষ্টা সাধনা না করে নিশ্চেষ্ট বসে থাকার নাম কোনো অবস্থাতেই আওয়াক্কুল হতে পারে না। কেননা, জীবিকার জন্য চেষ্টা-তদবির ছেড়ে দেয়া বড় রকমের গুনাহ্।
ইমাম গাজ্জালী (রহ.)
১৩. বিপদ উপেক্ষা করলে বেড়ে যায় আরও।
–এডমন্ড বার্ক
১৪. ক্ষমতামদমত্ত জালেমের জুলুমবাজির প্রতিবাদে সত্য কথা ও সত্যের প্রচারই সর্বোৎকৃষ্ঠ জেহাদ।
–আল-হাদিস
১৫. ভিক্ষা না করে নিজের প্ররিশ্রম দ্বারা যারা জীবিকার ব্যবস্থা করে, আল্লাহ্ তাদের প্রতি প্রসন্ন থাকেন।
–আল-হাদিস
১৬. সুন্দর জীবন কোনো ভাগ্যের লিখন নয়। কাজ আর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সুন্দর জীবন গড়ে তুলতে হয়। ভালোভাবে বাঁচতে হলে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়।
কালিনিন
১৭. সংগ্রামী জীবনই যথার্থ জীবন।
সি. সি. কল্টন
১৮. ভিক্ষা না করে একখানি রশি নিয়ে পিঠে করে এক বোঝা কাঠ এনে বিক্রি করা অনেক ভালো।
–আল-হাদিস
১৯. আমার পরাজয় বোঝায় না যে বিজয় অসম্ভব। এভারেস্ট চূড়ায় চড়তে গিয়ে মার খেয়েছেন অনেকেই, কিন্তু শেষ পর্যন্ত এভারেস্ট বিজিত হয়েছিল।
চে গুয়েভারা
২০. নিজেকে জয় করাই সব জয় করার মতো বিজয়।
প্লেটো
২১. যারা বিশ্বাস করে যে, তারা জয় করতে পারে, তারাই জয় করতে পারে।
ড্রাইডেন
২২. যুবকরাই যুদ্ধের যোগ্য। লড়াই করা, নিজের জীবনের মায়া না করা ওদের স্বভাব। নিজে ছোট বা দুর্বল। পরাজয়ের বিপদ তার ভাগ্যেও ঘটতে পারে একথা সে মোটেই বিশ্বাস করে না।
–ডা. লুৎফর রহমান ২৩. যে-ব্যক্তি জীবনে শক্তির স্বাদ পায়নি, তার জীবন বৃথা।
সক্রেটিস
২৪. একটি সরল জীবন্ত যুবক সমাজের দরকার হইয়াছে। গণ্ডিছাড়া স্বাধীন শিক্ষালাভের জন্য উৎসুক কম্যোৎসাহে চিরনবীন যুবক সম্প্রদায় চাই। তাহারাই এদেশকে নূতন করিয়া গড়িবে, নূতন মহিমায় মহিমান্বিত করিয়া তুলিবে।
–আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়
২৫. দুঃখকষ্টে ভয়, এমনকি মৃত্যুভয়ও তরুণকে লক্ষ্যভ্রষ্ট করতে পারে না, বরং তরুণবয়সে বিপদের মোহ হৃদয়কে প্রবলভাবে আকর্ষণ করে।
হুমায়ূন কবীর
২৬. বিজয় মহান, কিন্তু বিজয়ের জন্য সংগ্রাম মহত্তর।
দ্য কুবার্তা
২৭. ভীরুরা ভয়ে পিছিয়ে পড়ে, সাহসীরা ভয়কে মাড়িয়ে এগিয়ে যায়।
–বদরুদ্দীন উমর
২৮. সৌভাগ্য প্রত্যেকের সঙ্গে দেখা করার জন্য প্রতীক্ষা করে, কিন্তু যে পরিশ্রম করে একমাত্র তার সঙ্গেই দেখা করে।
–সিনেকা
২৯. আমরা সবাই অবিরত জীবনের সাথে যুদ্ধ করে বাঁচি।
গ্রাহাম গ্রীন
৩০. দুর্বলেরা ভাগ্য বিশ্বাস করে, সবলেরা ভাগ্য ছিনিয়ে আনে।
আগাস্টিন
৩১. যে ভাগ্য বিশ্বাস করে সে ভাগ্য গড়তে জানে না।
মেরি বেকার
৩২. সমস্যার মধ্যে বোকা এবং ভীরুরাই তলিয়ে যায়। সাহসী এবং বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা সমস্যার মোকাবেলা করে।
–বিল জোনস
৩৩. সমস্যা যত জটিল হোক না কেন, চেষ্টা এবং পথ জানা থাকলে সমাধান সহজেই হয়।
–ডিকেন্স
৩৪. আপনি যদি প্রতিভাবান হোন তো আপনার কাজ হবে লোকের অবজ্ঞাকে অবজ্ঞা করে সামনে এগিয়ে চলা–আর প্রতিভাবান না হলে কাজ ছেড়ে দেওয়াই ভালো।
বার্ট্রান্ড রাসেল
৩৫. সাহসী ও বুদ্ধিমানের সঙ্গে দেখা করার জন্য সৌভাগ্য ব্যাকুল হয়ে থাকে।
–লিও ওয়ালেস
৩৬. আজ সংগ্রাম নিজেকে চেনার
মানবতা নিয়ে বেচা ও কেনার
হাটের ভিড়ে,
সময় এসেছে
সকল দেনার
সকল হিসাব মেটাতে ফিরে।
ফররুখ আহমদ
৩৭. নাই, নাই ভয়, হবে
হবে জয় খুলে যাবে এই দ্বার–
জানি, জানি তোর বন্ধন ডোর
ছিঁড়ে যায় বারে-বার।
ক্ষণে ক্ষণে তুই হারায়ে আপনা
সুপ্তি নিশীথ করিস যাপনা—
বারে বারে তোরে ফিরে পেতে
হবে বিশ্বের অধিকার।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৩৮. যে সাহসের দ্বারা পূর্ণ সে বিশ্বাসের দ্বারাও পূর্ণ।
সিসেরো
৩৯. লক্ষ্যে পৌঁছানোর চেষ্টাতেই গৌরব নিহিত, লক্ষ্যে পৌঁছানোতে নহে।।
মহাত্মা গান্ধী
৪০. ভায়েরা আমার, প্রস্তুত হও–এবারের সংগ্রাম মুক্তির সঙগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
৪১. রক্ত যখন আমরা দিতে শিখেছি তখন আর আমাদের কেউ ঠেকাতে পারবে না।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
৪২. কোনো অবস্থাতেই তোমরা কাফেরদের আনুগত্য স্বীকার করিও না, বরং কোরআনের বিধান সম্মুখে লইয়া উহাদের সঙ্গে সর্বাত্মক জেহাদে অবতীর্ণ হও।
–আল-কোরআন
৪৩. নিশ্চয়ই নিজের মনের বিরুদ্ধে জেহাদ করাই শ্রেষ্ঠ জেহাদ।
–আল-কোরআন
৪৪. সম্মান, শৌর্য, জনপ্রিয়তা, ভালোবাসা অনেক সময় এমন দুর্বল লোকের নিকট আসে, যে তা ধরে রাখতে পারে না।
মিল্টন ৪৫. একমাত্র নির্ভীকতার ধর্ম সকলকে শিক্ষা দিতে হইবে। ভয়ই অধঃপতন ও পাপের কারণ। ভয় হইতেই আসে দুঃখ, অশুভ ও মৃত্যু।
স্বামী বিবেকানন্দ
৪৬. প্রতিবাদ, তর্ক ইত্যাদি করলে কখনো জয়লাভ হতে পারে, কিন্তু সে-জয়লাভের কোনো মূল্য থাকবে না, কারণ প্রতিপক্ষের হৃদয় তাতে পাওয়া যায় না।
ফ্রাংকলিন
৪৭. দুনিয়ার বুকে আমরা দেখি যে, কোনো বিদ্রোহীকে দুনিয়ার কোনো সরকারই প্রশ্রয় দেয় না। তদ্রুপ খোদ্যদ্রোহীদের জন্যও সৃষ্টির সকল কল্যাণের দ্বার রুদ্ধ হয়ে যায়। তাদের কোনো প্রচারেই ফললাভ হয় না।
–আবুল কালাম আজাদ
৪৮. নিজের অধিকার আদায় করে নিতে হয়।
মওলানা ভাসানী
৪৯. বিদ্রেহী হইলে মানুষ বিরক্ত হয়–বিরদ্ধে কথা শুনিলে উগ্র হওয়া মানুষের স্বভাব, ইহা সত্য, কিন্তু বিদ্রোহ ও সমালোচনা ব্যতীত মানবসমাজ বা জগতের কোনো কল্যাণ হয় না।
–ডা. লুৎফর রহমান
৫০. বিপদকে ভয় করা মানেই পৌরুষকে খর্ব করা।
বালগঙ্গাধর তিলক
৫১. জীবন যতক্ষণ আছে বিপদ ততক্ষণ থাকবেই।
–ইমারসন
৫২. রক্ত যখন দিয়েছি, আরও দেব, তবু দেশকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ্।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
৫৩. বিদ্রোহ আজ বিদ্রোহ চারিদিকে,
আমি যাই তারি দিন-পঞ্জিকা লিখে,
এত বিদ্রোহ কখনো দেখেনি কেউ,
দিকে দিকে ওঠে অবাধ্যতার ঢেউ;
স্বপ্ন-চূড়ার থেকে নেমে এসো সব–
শুনেছ? শুনছ উদ্দাম কলরব?
নয়া ইতিহাস লিখছে ধর্মঘট,
রক্তে রক্তে আঁকা প্রচ্ছদপট।
সুকান্ত ভট্টাচার্য
৫৪. বাঁচিয়া থাকার জন্য লাঙল নিয়া মাটির সাথে মানুষের যে-সংগ্রাম ইহাই বৃহত্তম সংগ্রাম।
–কাশতকার
৫৫. বিপ্লবের কোনো পদ্ধতি অথবা দর্শন রাতারাতি জন্ম বা স্বীকৃতি লাভ করে না। আত্মপ্রকাশের সময় থেকেই তা কঠিন পরীক্ষা, প্রতিকূলতা, উপহাস ও সংস্কারের সম্মুখীন হয়। সমাজের পুরনো কর্মীরা নতুন কোনো পদ্ধতির প্রতি সর্বদাই বিদ্বেষ পোষণ করেন, কেননা চিরাচরিত পদ্ধতিতে সংগ্রাম পরিচালনা করেই তারা কৃতিত্বের অধিকারী হয়েছেন।
মার্টিন লুথার কিং
৫৬. বাধা-বিপত্তি আর বিপদকে আপন ভেবে এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করবেন না। কারণ আপনার চরিত্র মজবুত করে গড়ে তোলার জন্য এগুলো হচ্ছে প্রয়োজনীয় লোহার কড়িবর্গা।
–চেস্টারটন
৫৭. কবি, তুমি প্রাণ খুলে শুধু সামাজিক বিপ্লবের গান শুরু করে দাও। যা কিছু সনাতন, যা কিছু প্রাচীন, জীর্ণ, পুরাতন, সমাজ, সংস্কার–সবকিছু ভেঙ্গেচুরে ধ্বংস হয়ে যাক।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
৫৮. আমি বেদুইন, আমি চেঙ্গিস,
আমি আপনারে ছাড়া করি না কাহারে
কুর্নিশ,
আমি বজ্র, আমি ঈশান বিষাণে ওঙ্কার,
আমি ইস্রাফিলের শিঙ্গার মহা হুঙ্কার।
কাজী নজরুল ইসলাম
৫৯. বিশ্বে যারা নিঃস্ব তাদের
চির নিদ্রা হতে জাগিয়ে দাও
শোষক ধনীর প্রাসাদ
প্রাচীর
জয়হুংকারে টলিয়ে দাও।
ইকবাল
৬০. সামান্য কয়েকজন লোভী
অনেক অভাবীর বিরুদ্ধে–
আর স্বাস্থ্যবানদের বিরুদ্ধে
ক্ষয়ে-যাওয়ার দল।
সূর্যালোকের পথে যাদের যাত্রা
তাদের বিরুদ্ধে তাই সাপেরা।
অতীতে অবশ্যই এই সাপেরা জিতেছে বহুবার।
কিন্তু এখন সেই সময়,
সচেতন মানুষ! এখন ভুল করো না–
বিশ্বাস করো না সেই সব সাপেদের
জমকালো চামড়ায় যারা নিজেদের ঢেকে রাখে,
বিপদে পড়লে যারা ডাকে
তাদের চেয়ে কম চটকদার বিষাক্ত অনুচরদের।
এতটুকু লজ্জা হয় না তাদের ধর্মঘট ভাঙতে যে
ধর্মঘট বেআব্রু ক্ষুধার চূড়ান্ত চিহ্ন।
সুকান্ত ভট্টাচার্য
৬১. আনো তোমার হাতুড়ি, ভাঙ ঐ উৎপীড়কের প্রাসাদ–ধুলায় লুটাও অর্থপিশাচ বলদর্পীর শির। ছোড়ো হাতুড়ি, চালাও লাঙল, উচ্চে তুলে ধরো তোমার বুকের রক্তমাখা লালে লাল-ঝাণ্ডা। যারা তোমাদের পায়ের তলায় এনেছে, তাদের তোমরা পায়ের তলায় আনো। সকল অহঙ্কার তাদের চোখের জলে ডুবাও। নামিয়ে নিয়ে এসো ঝুঁটি ধরে ঐ অর্থপিশাচ যক্ষগুলোকে। তোমার পিতৃপুরুষের রক্ত-মাংস-অস্থি দিয়ে ঐ যক্ষের দেউল গড়া, তোমাদের গৃহলক্ষ্মীর চোখের জল আর দুধের ছেলের হৃৎপিণ্ড নিংড়ে ঐ লাবণ্য, ঐ কান্তি।
কাজী নজরুল ইসলাম
৬২. যে বিপদে ধৈর্য ধারণ করে আল্লাহ্ তাকে উত্তমরূপে পুরস্কৃত করেন।
–আল-কোরআন
৬৩. ভীরুলোক বিপদ আসার আগেই ভয় পেয়ে থাকে, কাপুরুষেরা বিপদের সময় এবং সাহসী লোক বিপদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলে ভয় পায়।
জীন পল রিচটার
৬৪. শক্তির প্রয়োগ সুষ্ঠু সংহত হওয়া চাই।
কর্নেলি
৬৫. স্ফুলিঙ্গের সঙ্গে শিখার যে প্রভেদ, উত্তেজনার সঙ্গে শক্তির সেই প্রভেদ।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৬৬. আমাদের আয়ত্তের বাইরে বিধাতা অনেক কিছুই রাখেন আমাদের শক্তি পরীক্ষার জন্য।
আফরাবেন
৬৭. সংগ্রাম করে যে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়, যুদ্ধবিজয়ী সৈনিকের চেয়ে তার মর্যাদা কোনো অংশে কম নয়।
হুইটম্যান
৬৮. আজ তোমাদের মুক্তিসভায় তোমদের সম্মুখে,
শপথ নিলাম আমরা হাজার মুখে :
যতদিন আছে আমাদের প্রাণ, আমাদের সম্মান,
আমরা রুখব গৃহযুদ্ধের কালো রক্তের বান।
অনেক রক্ত দিয়েছি আমরা, বুঝি আরো দিতে হবে
এগিয়ে চলার প্রত্যেক উৎসবে।
তবু আজকে ভরসা, যেহেতু তোমরা রয়েছ পাশে,
তোমরা রয়েছ এদেশের নিঃশ্বাসে।
সুকান্ত ভট্টাচার্য
৬৯. রক্তের শোধ রক্তে শুধবো মাগো
রক্তের শোধ সমস্ত সগ্রাম
সহস্র যুবা সূর্য সোনালি আজ
স্মরণে তাদের উদাত্ত বহু জাগো।
আনছার আলী
৭০. যতকাল বেঁচে আছি ততকাল যেন কোনো অন্যায় না করি, জীবনে যে মহত্ত্ব মনুষ্যত্বের পরিচয় দেব, সেই স্মৃতিটুকু মৃত্যুকালে আমাদের প্রাণে যথার্থ আনন্দ আনবে। যতক্ষণ বেঁচে আছি ততক্ষণ পাপ অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করব। যথাসাধ্য মানুষের দুঃখ-কষ্ট মোচন করতে চেষ্টা করব। তারপর মৃত্যুর দ্বারা আমাদের মুক্তি হবে। এ জগতে অনন্ত কোটি মানুষ এসেছিল, কোথায় তারা? কত যুবক-যুবতী এ জগতে কত হাসি হেসেছে, কোথায় সেসব হাসি? কেন মিছে এই স্বপ্ন ভস্মের জন্য এত পাপ, এত মারামারি
ডা. লুৎফর রহমান
৭১. পাথরের মতো কঠিন ও হীরার মতো দামি হও।
তার দ্বারাই ইহলোক পরলোক আলোকিত হয়
যে জন কর্মী ও কৃচ্ছসাধক হয়
জীবনের সম্মান দৃঢ়তাতেই নিহিত–
দুর্বলতাই তো তুচ্ছতা ও
অপরিপক্বতা।
ইকবাল
৭২. এই পৃথিবীতে সাহসের বড় পরীক্ষাই হল দৃঢ় মনে পরাজয়বরণ করা।
আর. জি. ইন্দার সোল
৭৩. ক্ষমতার আসন মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় পরীক্ষাক্ষেত্র।
–হযরত আলি (রা.)
৭৪. পৃথিবীতে উন্নতির পথে কেবল যে বিদ্যা বা বুদ্ধিই সহায়তা করে তা নয়, তার জন্য একটি বড় প্রয়োজন হচ্ছে সাহসের। সাহস মানুষকে দেয় সফলতার পথে এগিয়ে। বাধা-বিপদ, ঝড়, ঝঞ্ঝা, ঘূর্ণি, সবকিছুকে জয় করে সার্থকতার দিকে পৌঁছাবার সোপান হচ্ছে সাহস। এ-পৃথিবীতে যে ভীরু, যে দুর্বল, সে অসহায়। প্রকৃতিদেবী ভালোবাসেন সাহসীকে, সাহসী তাই সর্বত্র পায় সফলতার জয়মাল্য। দুর্বলের জন্য শুধু জমা রয়েছে ঘৃণা আর ব্যর্থতা।
স্যার ওয়াল্টার স্কট
৭৫. ক্ষমতা না থাকলে শত্রুর সম্মুখীন হয়ো না।
–হযরত আলি (রা.)
৭৬. এদশে কৃষক আছে, এদেশে মজুর
আছে জানি,
এদেশে বিপ্লবী আছে, জনরাজ্যে মুক্তির সন্ধানী।
দাসত্বের ধুলো ঝেড়ে তারা আজ আহ্বান পাঠাক,
ঘোষণা করুক তারা এ মাটিতে আসন্ন বৈশাখ।
তাই এ অবরুদ্ধ স্বপ্নহীন নিবিড় বাতাসে,
শব্দ হয় মনে হয়, রাত্রিশেষে ওরা যেন আসে।
ওরা আসে কান পেতে আমি তার পদধ্বনি শুনি।
সুকান্ত ভট্টাচার্য
৭৭. সতেচনতা আমাদের সবাইকে কাপুরুষ বানিয়ে দিয়েছে।
শেক্সপীয়ার
৭৮. রাজা রাজত্বের জন্য সংগ্রাম করেন, আর একটি সাধারণ মানুষ বেঁচে থাকার জন্য, এক মুঠো ভাতের জন্য সংগ্রাম করে।
ম্যাকিউস
৭৯. মুক্ত মানুষের জীবন একটা চিরন্তন সংগ্রাম।
মুহম্মদ আকরাম খান
৮০. এ আগুন নির্ভীক
দাউ দাউ জ্বলবে
এ জীবন চায় আজ সংগ্রাম
দাসত্ব শৃঙ্খল ছিঁড়তে।
আহমদ মনসুর
৮১. গোলাপ জল দিয়ে না ধুয়ে কখনো সগ্রাম করা যায় না।
বুলওয়ার লিটন
৮২. শক্তিমানের শক্তির অধিকারের চেয়ে বড় অধিকার নাই। বিধাতা যে অধিকারের দাতা–শক্তিমানও সেই অধিকারে দণ্ডদাতা রাজা। সিংহ যে অধিকারে পশুরাজ–মানুষও সেই অধিকারে মানুষের ভাগ্যবিধাতা–প্রভু।
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
৮৩.
দৈন্য যদি আসে আসুক লজ্জা কিবা আছে?
মাথা উঁচু রাখিস।
সুখের সাথী মুখের পানে যদিও নাহি চাহে,
ধৈর্য ধরে থাকিস।
বিজয়চন্দ্র মজুমদার
৮৪. মুক্ত করো ভয়
আপনা মাঝে শক্তি ধরো নিজেরে করো জয়।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৮৫. অস্ত্র হচ্ছে যুদ্ধের একটা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, কিন্তু নির্ধারক উপাদান নয়, নির্ধারক উপাদান হচ্ছে মানুষ, বস্তু নয়। সামরিক ও অর্থনেতিক শক্তি অপরিহার্যরূপেই মানুষের দ্বারা পরিচালিত হয়।
–মাও-সে-তুং
৮৬. আত্মসমর্পণ কখনো কখনো আত্মহননের পর্যায়ে চলে যেতে পারে।
লিউড বেকন
৮৭. ওহে দয়াময় কর
আশীর্বাদ।
ঘুচে যাক কলহ বিবাদ
কোটি কোটি ভাই এক প্রাণ,
বরি দম্ভে করি আত্মবলিদান,
সাধি যেন সবে জাতীয় কল্যাণ,
হেন শক্তি আজি কর দান।
ইসমাইল হোসেন সিরাজী
৮৮. আমরা চলি পশ্চাতে ফেলি পচা অতীত
গিরিগুহা ছাড়ি খোলা প্রান্তরে গাহিব গীত
সৃজীব জগৎ বিচিত্রতর বীর্যবান,
তাজা জীবন্ত সে নবসৃষ্টি শ্রম-মহান
চলমান বেগে প্রাণ উচ্ছল।
কাজী নজরুল ইসলাম
৮৯. যে যুদ্ধ করে ও পালিয়ে যায়, সে অন্যদিকে যুদ্ধ করার জন্য বেঁচে থাকে। কিন্তু যে যুদ্ধে হত হয় সে আর কখনোই যুদ্ধ করতে পারে না।
অলিভার গোল্ডস্মিথ
৯০. আবু বকর ওসমান ওমর আলী হায়দার
দাঁড়ি এ যে তরণীর, নাই ওরে নাই ডর।
কাণ্ডারী এ তরণীর পাকা মাঝিমাল্লা
দাঁড়ী মুখে সারী গান ‘লা শরীক আল্লাহ্’।
কাজী নজরুল ইসলাম
৯১. জীবনসংগ্রামে ঘাত-প্রতিঘাত থাকবেই, তাই বলে মুষড়ে পড়াটা ভীরু, কাপুরুষতার লক্ষণ।
–বেকন
৯২. গতিই জীবন। গতির অভাব মৃত্যু। যুবশক্তি নিরন্তর গতিশীল। সেই যুবশক্তি জীবনের ভুয়োদর্শন দ্বারা পরিচালিত হলে পৃথিবীতে অসাধ্য সাধন করতে পারে।
–ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
৯৩. অসত্যের আস্ফালন ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু সত্য চিরকালের। বাংলাদেশের মানুষ একদিন সেই সত্যের জয়ধ্বনি করবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
৯৪. হে নাবিক, আজ কোন্ সমুদ্রে
এল মহাঝড়,
তারি অদৃশ্য আঘাতে অবশ
মরু-প্রান্তর।
এই ভুবনের পথে চলবার
শেষ সম্বল
ফুরিয়েছে, তাই আজ
নিরুক্ত
প্রাণ চঞ্চল।
আজ জীবনেতে নেই অবসাদ,
কেবল ধ্বংস; কেবল বিবাদ
এই জীবনের একী মহা উৎকর্ষ?
পথে যেতে যেতে পায়ে পায়ে সংঘর্ষ?
সুকান্ত ভট্টচার্য
৯৫. কারার ঐ লৌহ কপাট
ভেঙে ফেল কররে লোপাট,
রক্ত জমাট
শিকল পুজোর পাষাণ বেদী।
কাজী নজরুল ইসলাম
৯৬. রাজ্যের মধ্যে কখনো কখনো বিদ্রোহ দেখা দেওয়াটা ওষুধের মতো কাজ করে, এবং যে-কোনো সরকারকে স্বাস্থ্যবান রাখার জন্য এটি প্রয়োজনীয়।
জেফারসন
৯৭. বিপদ হল কঠোর শিক্ষাদাতা, অন্যের বিপদ দেখে বিপদ থেকে সাবধান হয়ে তোমার বিপদ যেন কারও শিক্ষার বিষয় না হয়।
শেখ সাদি
৯৮. যে-ব্যক্তি বিপদগ্রস্ত হয় নাই সে প্রকৃত সহিষ্ণু হইতে পারে না, যেমন বহুদর্শিতা ও অভিজ্ঞতা ব্যতীত কেহ সুচিকিৎসক হইতে পারে না।
–আল-হাদিস
৯৯. পৃথিবীর বহু পরাক্রান্ত জাতি ও সভ্যতা উন্নতির চরম শিখরে আরোহণ করেও শুধুমাত্র দৈহিক শক্তিকে অবহেলা করার দরুন পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
রুডিয়ার্ড কিপলিং
১০০. রক্তে আমার লেগেছে আবার
সর্বনাশের নেশা
রুধীর-নদীর পার হতে ঐ
ডাকে বিপ্লব-হ্রেসা।
কাজী নজরুল ইসলাম
১০১. বিপদ ভয়কে ডেকে আনে ঠিকই, কিন্তু ভয়ই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিপদকে ডেকে আনে।
রিচার্ড বাক্সটার
১০২. বীরত্বের নির্যাস হল আত্মবিশ্বাস।
ইমারসন
১০৩. ভয় অনেক সময় মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ
১০৪. শত্রুকে যদি একবার ভয় কর তবে বন্ধুকে অন্তত দশবার ভয় করো, কারণ বন্ধু যদি কোনো সময় শক্র হয়, তখন তার কবল থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে না।
ইবনুল ফুরাত
১০৫. যে পেষণকারীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে না সে নিজেকে ক্ষুদ্র কীটে রূপান্তরিত করে।
ইমানুয়েল কান্ট
১০৬. বিদ্রোহ? আগুন বিজলি মৃত্যু আন্ধি আমার নাম,
আছে পাছে শমন আমার হত্যালীলার নাই
বিরাম,
জীবনের ওই বদনখানি মোর সম্মুখে হয় জরদ।
ক্রোধের আমার কুঞ্চনে নিখিল ভয়ে হয় সরদ।
কাজী আকরাম হোসেন
১০৭. বিল্পব মানে আমূল পরিবর্তন।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১০৮. মানুষ তখনই বিপ্লবে ঝাঁপিয়ে পড়ে, যখন সে তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়।
ডানিং
১০৯. বিপ্লব তৈরি হয় না, বিপ্লব ঘটে।
ওয়েনডেল ফিলিপস
১১০. যুদ্ধের মাঠে ভীতুর উপস্থিতি গণনার বাইরে।
ই. এম. রুট
১১১. মুমিনগণ, তোমারা সংগ্রামে ধৈর্য ধারণ করো, অন্যকে ধৈর্য ধারণ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করো ও দৃঢ়তা প্রদর্শন করো। আল্লাহর ভয় অন্তরে স্থান দাও। অবশ্যই তোমরা জয়যুক্ত হবে।
–আল-কোরআন
১১২. যুদ্ধের সময় শত্রুকে ছোট করে না দেখাই বুদ্ধিমানের কাজ। এ ছাড়া তার পন্থা ও মনের ভাব জানাও একান্ত আবশ্যক। তা জানা থাকলে আগেই তার উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে সময় থাকতে তাকে যথোচিতভাবে বাধা দেবার চেষ্টা করা যায়।
এলিডেল হান্ট
১১৩. পৃথিবীতে যে শক্তিমান কেবলমাত্র তারই পৃথিবী ভোগ করার অধিকার রয়েছে। দুনিয়াতে দুর্বলের কোনো স্থান নেই।
ইকবাল
১১৪. সংসার সমরাঙ্গনে যুদ্ধ কর দৃঢ় পণে
ভয়ে ভীত হয়ো না মানব।
কর যুদ্ধ বীর্যবান যায় যাবে যাক প্রাণ,
মহিমাই জগতে দুর্লভ।
–হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
১১৫. আমাদের এখন আবশ্যক শক্তিসঞ্চার। আমরা দুর্বল হইয়া পড়িয়াছি। সেইজন্যই আমাদের মধ্যে এই সকল গুপ্তবিদ্যা, ভুতুড়ে কাণ্ড সব আসিয়াছে। উহাদের মধ্যে অনেক মহান সত্য থাকিতে পারে, কিন্তু ঐগুলিতে আমাদিগকে প্রায় নষ্ট করিয়া ফেলিয়াছে।
–স্বামী বিবেকানন্দ
১১৬. আমের মাঝখানটাতে থাকে আঁটি, সেটা মিষ্টিও নয়, নরমও নয়, খাদ্যও নয়, কিন্তু ঐ শক্তটাই সমস্ত আমের আশ্রয়, ওইটাতেই সে আকার পায়। –রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১১৭. চল্ চল্ চল্
ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল,
নিম্নে উতলা ধরণীতল
অরুণ প্রাতের তরুণ দল
চলরে চলরে চল
চল্ চল্ চল্।
ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙা প্রভাত
আমরা টুটাব তিমির রাত,
বাধার বিন্ধ্যাচল।
কাজী নজরুল ইসলাম
১১৮. যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতিই সবচেয়ে কার্যকরভাবে শান্তিরক্ষার উপায়।
জর্জ ওয়াশিংটন
১১৯. জীবনের মালিক তুমি–দুঃখ-বেদনা ও অভাবকে বাধা না মনে করে সেগুলিকে বরং আশীর্বাদরূপে ধরে নাও। কিছুই তোমার গতিকে রোধ করতে পারবে না। যেমন করে তোক তুমি বড় হবেই। বুক ভেঙে গেছে, ভয় নাই। ভাঙা বুক নিয়ে খোদা ভরসা করে দাঁড়াও।
–ডা. লুৎফর রহমান
১২০. পর্বতের উচ্চশৃঙ্গ আর খরস্রোতা নদী
তুচ্ছ তোমাদের কাছে,
ভুলিয়াং পর্বতমালা ঐ আকাশ ছুঁয়ে দাঁড়িয়ে,
ঐ আবার নামছে, ঢালু হয়ে চলে
গেছে
অনস্ত ঢেউয়ের মতো।
চারদিকে সবুজ ঘাসে ঢাকা ভুমেং পর্বতের পাদদেশ
স্বর্ণালু নদীর ঢেউ আছড়ে পড়েছে
কঠিন পাহাড়ের গায়ে।
মাও সে-তুং
১২১. পাপের সহিত সংগ্রাম করিতে না পারিলে পুণ্যের বল বাড়ে না।
শিবনাথ শাস্ত্রী
১২২. ওঠো সম্মুখে এবার এগিয়ে চলো
কাঁদুনে গ্যাস ও বোমার আঘাত
যতই যাতনা দিক
মৃত্যুর মত চাবুক চলিতে দাও
কোথা প্রদীপ্ত বিজয় বলতো ত্যাগের
মূল্য বিনা?
শত বয়সের আর দাসত্ব নয়
আর নয় একটিও
দিন একটি ঘণ্টা নয়।
সুকান্ত ভট্টাচার্য
১২৩. আমরা যদি পুঞ্জীভূত অন্যায় ও উৎপীড়নের হাত থেকে মুক্তি পেতে চাই তবে সেজন্য আমাদের মূল্য দিতেই হবে। আমাদের তা সাধন করতে পরিশ্রম, কষ্ট ও ত্যাগ, এমনকি যদি প্রয়োজন হয় নিজের ও অন্যের জীবন পর্যন্ত বিসর্জন দিতে হবে।
–ফ্রেডারিক ডগলাস
১২৪. কী করে চূর্ণ হবে আমার বিশ্বাস?
বুলেটে ওড়াবে?
অর্থহীন বৃথাই খরচ হবে গুলি।
হৃদয়ের অন্তস্তলে
অভেদ্য বর্মে ঢাকা বিশ্বাস আমার
এ বর্মভেদী বুলেট
এখনো তৈরি হয়নি
তৈরি হয়নি আজো।
–তাপৎসারোব (বুলগেরিয়ান কবি)
১২৫. কমরেড আজ নবযুগ আনবে না?
কুয়াশা কঠিন বাসর যে সম্মুখে।
লাল উল্কিতে পরস্পরকে চেনা–
দলের টানো হতবুদ্ধি ত্রিশঙ্কুকে।
সুভাষ মুখোপাধ্যায়
১২৬. তোমার বীভংস হাত দুটো ক্ষতের ওপর চাপা
যতক্ষণ না রক্ত বার হয়
দাঁত দিয়ে ঠোঁট কামড়ে
দারুণ যন্ত্রণা দিয়ে সহ্য
করো,
এখন আশা বলতে শুধুমাত্র
একটা কর্কশ চিৎকার
দাঁত আর নখ দিয়ে
ছিনিয়ে নিতে হবে জয়
আমরা কিছুই ক্ষমা করব না।
–নাজিম হিকমত
১২৭. আমি দেখেছি কর্মরত স্বেদসিক্ত খনি-শ্রমিক
এবং দেখেছি কেমন ফুটে উঠেছে
কোদালের হাতে কাঠে শক্ত হাতের পূর্ণছাপ।
–পাবলো নেরুদা
১২৮. বিদ্রোহ মানে কাউকে না মানা নয়, বিদ্রোহ মানে যেটা বুঝি না সেটাকে মাথা উঁচু করে ‘বুঝি না’ বলা। যে লোক তার নিজের জন্য নিজের কাছে লজ্জিত নয়, সে ক্রমে উচ্চ হতে উচ্চতর স্বর্গের পথে উঠে চলবে। আর যাকে পদে পদে ফাঁকি অর। মিথ্যার জন্য কুণ্ঠিত হয়ে চলতে হয় সে ক্রমইে নীচের দিকে নামতে থাকে, এটাই তো নরক যন্ত্রণা।
কাজী নজরুল ইসলাম
১২৯. পরাধীন দেশের বড় অভিশাপ এই যে, মুক্তিসংগ্রামে বিদেশীদের অপেক্ষা দেশের লোকের সঙ্গেই মানুষকে বেশি লড়াই করিতে হয়। এই লড়াইয়ের প্রয়োজন যেদিন শেষ হয়, শৃখল আপনি খসিয়া পড়ে।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১৩০. ভাই আমার
: এই লড়াই চলবে
আমাদের লড়াই চলবে দেশময়,
তৃণ প্রান্তর অথবা সোনার খনি
কারখানা ও কৃষি-খামারে
সড়কে চৌরাস্তায় চলবে লড়াই।
–পাবলো নেরুদা।
১৩১. দিনগুলি মেঘাচ্ছন্ন
মৃত্যুর খবর দিচ্ছে দিনগুলি
দুশমনেরা নিষ্ঠুর
হৃদয়হীন শয়তান
লড়াইতে প্রাণ দিচ্ছে আমাদের লোকগুলো
অথচ বাঁচবার কথা তাদেরই।
নামিজ হিকমত
১৩২. পৃথিবীতে বিপ্লবের কারণ বহুদূর পর্যন্ত ব্যাপক হয়ে থাকে; কিন্তু এরা একটা জায়গায় ঘনীভূত হয়ে ওঠে। সমস্ত শরীরের রক্ত দূষিত হয়ে উঠলে এক একটা দুর্বল জায়গায় ফোড়া হয়ে লাল হয়ে ওঠে।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৩৩. সংগ্রাম করে বাঁচাটাই সত্যিকার বাঁচা।
উইনস্টন চার্চিল
১৩৪. জীবনের সবচাইতে মূল্যবান জিনিস হচ্ছে সংগ্রাম। সাধনার সাফল্যে পৌঁছানোর চাইতেও প্রয়োজনীয়।
–ফ্রিৎস ল্যাং
১৩৫. ভয়ের কারণটাকে ভয় করা ভালো।
যতক্ষণ তাহা অনাগত,
ভয়ের কারণ যদি ঘাড়ে এসে পড়ে
নাশো তারে নির্ভীকের মতো।
চাণক্য পণ্ডিত
১৩৬. প্রতাপশালী লোককে সবাই ভয় পায়, কিন্তু শ্রদ্ধা করে না।
এজন রে
১৩৭. প্রতিবাদ যে করতে জানে না, প্রতিকার তার আশা করা উচিত নয়।
জন অ্যাডামস
১৩৮. আমি অবিনশ্বর! আমাদের একজন যায়, একশত জন আসে। আমাদের এক বিন্দু রক্ত ভূতলে পড়লে এক লক্ষ বিদ্রোহী নাগশিশু বসুমতী বিদীর্ণ করে উঠে আসে।
কাজী নজরুল ইসলাম
১৩৯. নও কারবালা বুকেতে অশ্রু ঝড়েছে ক্রন্দসীর
অসহায় জাতি ছিড়িবারে চায় জুলুমের জিঞ্জির।
আজিজুল হাকিম
১৪০. শোষকশ্রেণীর মুখের উপর সত্য ও ন্যায়ের কথা বলাটাই বিপ্লব।
রবার্ট হিথ
১৪১. মশা মেরে ঐ গরজে কামান–বিপ্লব
মারিয়াছি
আমাদের ডান হাতে হাতকড়া বাম হাতে মারি মাছি।
কাজী নজরুল ইসলাম
১৪২. ভীতুরা নিষ্ঠুর হয় কিন্তু সাহসীরা ক্ষমা করতে ও অন্যকে রক্ষা করতে জানে।
–জন গে
১৪৩. বাধা পেলে নিজেকে চিনতে পারে, চিনতে পারলেই আর ঠেকানো যায় না।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৪৪. মহৎ কাজ করে যশ অর্জন করতে হলে প্রথম থেকেই সংগ্রাম করতে হবে।
–হোমার
১৪৫. ভালোই করেছো তোমরা এমনি করে
আমাদের ভয় দেখিয়ে নেহাৎ
বন্ধুর কাজ করেছে।
তোমরা ভয় না
দেখালে
আমাদের ভয় ভাঙতো কেমন করে?
ভালোই করেছো তোমরা এমনি করে
আগুন জ্বালিয়ে ভালোই করেছে।
তোমরা আগুন না
দিলে
আমরা রাগে ও ঘৃণায়
জ্বলে উঠতাম কখনো এমন করে?
ভালোই করেছো তোমরা এমনি করে
আমাদের মেরে পথ দেখিয়েছে।
তোমরা যদি না
মারতে
আমরা এমন সহজে
মৃত্যুকে পার হতাম কেমন করে?
–আবুল হোসেন
১৪৬. মনের চাঞ্চল্য ও ধৈর্যশূন্যতা মানুষের অনিষ্টের মূল। বছরের পর বছর চলে যাক–পল্লীর শান্ত শীতল গৃহের বারান্দায় বসে তুমি তোমার পবিত্র নিরীহ জীবন, তোমার কার্য, তোমার জ্ঞানানুশীলনের সাধনা দিয়ে কাটিয়ে দাও। কি ব্যবসা ক্ষেত্রে, কি শারীরিক পরিশ্রমে, পাঠকার্যে কখনো ধৈর্য হারিও না। যেতে দাও বছরের পর বছর। তোমার জন্য গৌরব অপেক্ষা করছে।
–ডা. লুৎফর রহমান
১৪৭. সাহস অসুবিধার হ্রাস ঘটায়।
–ডেমোক্রিটাস
১৪৮. সাহসী ব্যক্তিরা জয় করতে জানে, ক্ষমা করতে জানে, ভালোবাসতে জানে এবং আনন্দ দিতে জানে।
ম্যারিডন
১৪৯. পৃথিবীর অধিকারে বঞ্চিত যে ভিক্ষুকের দল–
জীবনের বন্যাবেগে তাহাদের করো বিচঞ্চল।
অসত্য অন্যায় যত ডুবে যাক, সত্যের প্রাসাদ
পিয়ে লভ অমৃতের স্বাদ।
অজস্র মৃত্যুরে লঙ্ঘি; হে নবীন, চলো অনায়াসে
মৃত্যুঞ্জয়ী জীবন-উল্লাসে।।
আব্দুল কাদির
১৫০. দুর্গম গিরি, কান্তার মরু, দুস্তর পারাবার
লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি-নিশীথে, যাত্রীরা
হুঁশিয়ার।
দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল, ভুলিতেছে মাঝি পথ,
ছিঁড়িয়াছে পাল, কে ধরিবে হাল, আছে কার হিম্মত?
কে আছ জোয়ান, হও আগুয়ান, হাঁকিছে
ভবিষ্যৎ।
এ তুফান ভারী, দিতে হবে পাড়ি, নিতে হবে তরী পার।
তিমির রাত্রি, মাতৃমন্ত্রী সান্ত্রীরা সাবধান।
যুগ-যুগান্ত সঞ্চিত ব্যথা ঘোষিয়াছে অভিযান।
ফেনাইয়া উঠে বঞ্চিত বকে পুঞ্জিত অভিমান,
ইহাদের পথে নিতে হবে সাথে, দিতে হবে অধিকার।
কাজী নজরুল ইসলাম
১৫২. যুদ্ধের সম্মুখীন হবার মতো সাহস যাদের আছে তাদের বরাতেই মহত্ত্বের চিহ্ন আঁকা হয়।
মুসোলিনি
১৫৩. আমরা চলি সম্মুখ পানে
কে আমাদের বাধবে রইল যারা পিছুর
টানে,
কাদবে তারা কাঁদবে। ছিঁড়ব বাধা রক্তপায়ে,
চলব ছুটে রৌদ্রে ছায়ে,
জড়িয়ে ওরা
আপন পায়ে
কেবল ফাঁদ ফাঁদবে।
কাঁদবে ওরা কাঁদবে।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৫৪. যে ক্ষমতাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে না তার ক্ষমতা অর্থহীন।
হ্যারি উইলসন
১৫৫. একজনমাত্র সাহসী ব্যক্তি সংখ্যাগরিষ্ঠের সমতুল্য।
এন্ড্রু জ্যাকসন
১৫৬. সাহসীরা অন্যকে বিপদ থেকে রক্ষা করে আনন্দ পায়।
জন গে
১৫৭. সাহসীরা ক্ষমা করে এবং অন্যকে বিপদ থেকে উদ্ধার করে বেশি আনন্দ পায়।
স্যালভিলি
১৫৮. কন্টকময় অরণ্য
পার হতে কাটা পায়ে ফুটবেই
কিন্তু অরণ্য তো পার হতে হবেই।
টফিল
১৫৯. উদয়ের পথে শুনি কার বাণী
ভয় নাই ওরে ভয় নাই,
নিঃশেষে প্রাণ, যে করিবে দান,
ক্ষয় নাই, তার
ক্ষয় নাই।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৬০. মিথ্যাকে মিথ্যা বললে, অত্যাচারীকে অত্যাচারী বললে যদি নির্যাতন ভোগ করতে হয়, তাতে তোমার আসল নির্যাতন ঐ অন্তরের যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে না। প্রাণের আত্মপ্রসাদ যখন বিপুল হয়ে ওঠে, নির্যাতনের আগুন ঐ আনন্দের এক ফুতে নিভে যায়।
কাজী নজরুল ইসলাম
১৬১. আমি একজন লুপ্তগর্ব রাজার তনয়
এত অন্যায় সহ্য করব কোনোমতে নয়–
তাই আমি যেতে চাই সেখানেই যেখানে পীড়ন
যেখানে ঝলসে উঠবে আমার অসির কিরণ।
সুকান্ত ভট্টাচার্য
১৬২. দুর্বার তরঙ্গ এক বয়ে গেল তীব্র বেগে,
বলে গেল? আমি আছি যে মুহূর্তে আমি গতিমান;
যখনি হারায় গতি সে মুহূর্তে আমি আর নাই।
ইকবাল
১৬৩. শুনিতেছি আমি শোন ঐ দূরে তূর্যনাদ
ঘোষিছে নবীন ঊষার উদয় সুসংবাদ।
ওরে ত্বরা কর। ছুটে চল আগে আরো আগে।
কাজী নজরুল ইসলাম
১৬৪. কেন পান্থ ক্ষান্ত হও হেরি
দীর্ঘ পথ
উদ্যাম বিহনে কার পুরে মনোরথ।
কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে
দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহীতে?
কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
১৬৫. যে-হাতে সন্ধির সফেদ পতাকা রয়েছে তা বড়ই পবিত্র হাত। কিন্তু পৃথিবীতে বেঁচে থাকার অধিকার তারই রয়েছে যার হাতে রক্তলোলুপ তরবারি রয়েছে। এটাই হচ্ছে সব জাতীয় জীবনের উৎস, ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার সূত্র। মানবীয় হিংস্র ও কঠোরতার প্রতিকার এবং নিপীড়িতের আত্মরক্ষার একমাত্র ঢাল। মওলানা আবুল কালাম আজাদ
১৬৬. আমাদের ক্ষমতা আশাতীতভাবে আমাদের সাহায্য করে।
উইলিয়াম জেমস
১৬৭. নাহি ভয় নাহি ভয় আর–
পশুর পাশব-বল অজ্ঞানের শত অত্যাচার
অক্ষমের বক্ষ-হানা রুধিরক্ত ভীমখড়গ-ভার
দুঃখ-দুস্থ দুর্বলের হৃদি-রক্তপান
আজি তার চির অবসান।
–বেনজীর আহমদ
১৬৮. ভাগ্যের পায়ে দুর্বল প্রাণে ভিক্ষা না যেন যাচি
কিছু নাই ভয়, জানি নিশ্চয় তুমি আছ, আমি
আছি।
উড়াব ঊর্ধ্বে প্রেমের নিশান দুর্গম পথ মাঝে
দুর্দম বেগে, দুঃসহতম কাজে।
রুক্ষ দিনের দুঃখ পাই তো পাব,
চাই না শান্তি, সান্ত্বনা নাহি চাব।
পাড়ি দিতে নদী হাল ভাঙে যদি ছিন্ন পালের কাছি।
মৃত্যুর মুখে দাঁড়ায়ে জানিব তুমি
আছ, আমি আছি।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৬৯. আগুনকে যে ভয় করে সে আগুনকে ব্যবহার করতে পারে না।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৭০. আত্মবিশ্বাসহীন পাখায় ভর করে আকাঙ্ক্ষা চরিতার্থ করা যায় না।
শেক্সপীয়ার
১৭১. আদর্শের লড়াইয়ে মানুষ কখনো পিছপা হতে পারে না। আর আদর্শের লড়াইই প্রকৃত লড়াই।
–এডমন্ড বার্ক
১৭২. আত্মবিশ্বাসের অভাব থাকলে কোনো কাজেই কৃতিত্ব দেখানো যায় না।
থিওডোর মুর
১৭৩. আত্মবিশ্বাসই বীরত্বের মূলমন্ত্র।
ইমারসন
১৭৪. তুমি সবকিছু করিতে পার, অনন্ত শক্তিকে বিকশিত করিতে যথোচিত যত্নবান হও না বলিয়াই বিফল হও। যখনই কোনো ব্যক্তি বা জাতি আত্মবিশ্বাস হারায়, তখনই তাহার বিনাশ।
–স্বামী বিবেকানন্দ
১৭৫. অভিযান সেনা আমরা ছুটি দলে দলে
বনে নদীতটে গিরি সংকটে জলে-স্থলে
পতিত করিয়া শুষ্ক বৃদ্ধ অটবীরে
বাঁধ বাধি দুস্তর খরস্রোতা নীরে?
কাজী নজরুল ইসলাম
১৭৬. জীবনের সর্ব গ্লানি সকল জড়তা দৈন্য বাধা
বিচূর্ণিত করি
আবির্ভূত হও তুমি যত কিছু ক্লেদ বিঘ্ন
বাধা দূরে অপসরি।
রাধারানী দেবী
১৭৭. নিজের সঙ্গে যতক্ষণ না যুদ্ধ হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত আত্মোপলব্ধি ঘটে না।
জন গে
১৭৮. যে তার সুন্দর আকাঙ্ক্ষাগুলোকে চরিতার্থ করতে পারে সে-ই প্রকৃতপক্ষে সাহসী।
স্যামুয়েল রজার
১৭৯. জীবনকে গড়তে হলে ঝুঁকি নিতেই হবে।
উইলিয়াম ওয়াকার
১৮০. ধৈর্যই মানুষের জীবনে সবচেয়ে বেশি সফলতা আনতে পারে।
–টেরেস
১৮১. যারা অধিকারের কথা বলে এবং অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করে তারা সকলের নিকটই সহজবোধ্য।
–হেনরিক ইবসেন
১৮২. জীবনে যেমন উন্নতি আছে, তেমনি ভোগান্তিও থাকবে।
লিওনার্ড রাইট
১৮৩. যে সংগ্রাম করে সে পরাজিত হলেও মন খারাপ করে ন।
–রাবর্ট ফ্রস্ট
১৮৪. যার আত্মবিশ্বাস আছে, সে একদিন জয়ী ও কৃতকার্য হবেই।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১৮৫. হয় অবিশ্রাম চলো এবং জীবনচর্চা করো, নয় বিশ্রাম করো এবং বিলুপ্ত হও, পৃথিবীর এইরূপ নিয়ম।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৮৬. আলস্য ঝেড়ে ফ্যালো। উঠে দাঁড়াও। মন স্থির করে দৌড় দাও। তুমি অবশ্যই তোমার গন্তব্যে পৌঁছতে পারবে।
—ডেল কার্নেগি
১৮৭. আলস্য আমাদের পিছিয়ে দেয়। আলস্যের পায়ে কুড়াল মারো।
প্লেটো
১৮৮. লক্ষ্যে পৌঁছানোর চেষ্টাতেই গৌরব নিহিত, লক্ষ্যে পৌঁছানোতে নয়।
মহাত্মা গান্ধী
১৮৯. চতুর এবং বুদ্ধিমানেরাই চিরকাল জীবনযুদ্ধে জয়ী হয়। সফল হয়। বোকারা কুয়োর মধ্যে পড়ে থেকে কেবলই হা-হুঁতাশ করে। চাঁচায়। অভিযোগ জানায়। কিন্তু তার মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজে পায় না।
–আলবার্তো মোরাভিয়া
১৯০. ফুলিঙ্গের সঙ্গে শিখার যে প্রভেদ উত্তেজনার সঙ্গে শক্তির সেই প্রভেদ। চকমকি ঠুকিয়া যে স্ফুলিঙ্গ বাহির হইতে থাকে, তাহাতে ঘরের অন্ধকার দূর হয় না।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৯১. উত্তেজনা শক্তিকে ক্ষয় করে।
–আফরা বেন
১৯২. শক্তিকে সুলভ করিয়া তুলিবার চেষ্টায় মানুষ উত্তেজনার আশ্রয় অবলম্বন করে।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৯৩. দুর্বলের পক্ষে সবলের অনুকরণ ভয়াবহ।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৯৪. যারা ভীরু, কাপুরুষ–তারা কখনেই অগ্রসর হতে পারে না।
স্টমাস হার্ডি
১৯৫. অপর ব্যক্তির কোলে-পিঠে চড়িয়া অগ্রসর হওয়ার কোনো মাহাত্ম নাই– কারণ চলিবার শক্তি লাভই যথার্থ লাভ, অগ্রসর হওয়া মাত্র লাভ নহে।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৯৬. সাধনার কোনো কোনো ব্যাপারে যদি প্রথমবারে ব্যর্থমনোরথ হও,পরাশ্রুখ হয়ো না–বারে বারে আঘাত করো, দুয়ার ভেঙে যাবে। তাড়াতাড়ি না করে ধীরে ধীরে অগ্রসর হও, ধরে থাকো, ক্রমশ তোমার শক্তি ও সুবিধা বাড়তে থাকবে।
–ডা. লুৎফর রহমান
১৯৭. অধিকারলাভের যে মর্যাদা আছে সেই মর্যদা রক্ষা করিতে হইলে অধিকার প্রয়োগকে সংযত করিতে হয়।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৯৮. যে মরিতে জানে, সুখের অধিকার তাহারই। জয় করা, ভোগ করা তাহাকেই সাজে।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৯৯. দূরত্ব অতিক্রিম করার মতো সাহস ও শক্তি না থাকলে সে দূরত্বকে দূরত্বই মনে হবে।
অজ্ঞাত
২০০. অলসরাই অপারগতার কথা বলে। সবল যারা তারা ছিনিয়ে জয় করে আনে।
আশুতোষ মুখোপাধ্যায়
২০১. পারব না এটা একটা খোঁড়া যুক্তি। কেন পারব না এটা পুরুষকার যুক্তি।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২০২. যারা মূর্খ, যারা কোনকালেই কিছু করবে না, তারাই শুধু বলে অসম্ভব। এ জগতে মানুষের কাছে অসম্ভব বলে কিছুই নেই, কিছু থাকতেও পারে না। পৃথিবীর কোথাও অসম্ভব নেই, আছে শুধু যারা মূর্খ, যারা অলস তাদের অভিধানে।
নেপোলিয়াম বোনাপার্ট
২০৩. ভীরু ও দ্বিধাগ্রস্তের কাছে সব কিছুই অসম্ভব বলে মনে হয়।
স্কট
২০৪. সব অসম্ভব একদিন সম্ভব হয়ে দেখা দেয়।
গ্যালিলিও
২০৫. প্রত্যেক মহৎ কাজের সূচনাতেই অসম্ভব এসে পথরোধ করে। যারা দক্ষ ও অধ্যবসায়ী, তাদের কাছে খুব কম জিনিসই অসম্ভব বলে মনে হয়।
স্যামুয়েল জনসন
২০৬. যাহারা মানুষকে দুর্গম পথে ডাকেন, মানুষ তাহাদিগকে শ্রদ্ধা করে, কেননা মানুষকে তাঁহারা শ্রদ্ধা করেন। তাঁহারা মানুষকে দীনাত্মা বলিয়া অবজ্ঞা করেন না।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২০৭. জনপ্রিয়তা বাড়ানোর চাবিকাঠি লুকিয়ে আছে এই সত্যের মধ্যে যে, জীবনকে একটি শর্তেই ধরতে হবে, সেটা এই যে, শেষ পর্যন্ত তার জন্য লড়াই করতে হবে।
ডিকেন্স
২০৮. যে-কোনো মহৎ কাজ সম্পন্ন করার পূর্বে তোমাকে প্রথমে সংগ্রাম করতে হবে।
–জে. জি. হল্যাণ্ড
২০৯. আত্মবিশ্বাসই হলো বীরত্বের নির্যাস।
ইমারসন
২১০. যাহার আত্মবিশ্বাস নাই, তাহার অন্য গুণ যতই থাকুক না কেন, চিরকাল আশ্রয়হীনা লতার ন্যায় শোচনীয় দুর্গতিগ্রস্ত হইয়াই কাল কাটাইবে।
ইসমাইল হোসেন সিরাজী
২১১. যখনই কোনো ব্যক্তি বা জাতি আত্মবিশ্বাস হারায় তখনই তাহার বিনাশ।
–ইসমাইল হোসেন সিরাজী
২১২. নিজের শক্তি-সামর্থ্যের ওপর যার বিশ্বাস নেই, সে ব্যর্থ হবেই।
রিজিয়া রহমান
২১৩. শক্তির চেয়ে আত্মবিশ্বাস বড়ো।
শংকর
২১৪. আত্মবিশ্বাসের কোনোই বিকল্প নেই জীবনে। আত্মবিশ্বাস কোনোদিন বালি বা দলাদলির উপর গড়ে ওঠে না।
বুদ্ধদেব গুহ
২১৫. যে পালায়, সে আবার লড়বে।
অরতুলিয়ান
২১৬. সংগ্রামের ইতিহাস হচ্ছে মূলত প্রতিরোধের ইতিহাস।
জন ম্যাকি
২১৭. গণসংগ্রাম সর্বোৎকৃষ্ট ও সবচেয়ে দ্রুত পদ্ধতি, যদিও জনগণকে রাজনৈতিক শিক্ষাদান সম্ভবত একটি বেদনাদায়ক ব্যাপার।
–জওহরলাল নেহরু