০৪. মানুষ ও মনুষ্যত্ব

মানুষ ও মনুষ্যত্ব

১. মানুষই হল একমাত্র প্রাণী যারা খাদ্যবস্তু রান্না করে খায়।

ব্রুক

২. মানুষ আপনাকে যা বলে জানে, মানুষ তা নয়; সেইজন্যই এত অঘটন ঘটে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩. নিজেদের পছন্দমাফিক সমাজ ব্যতীত মানুষ কখনও পরিতৃপ্ত হয় না।

–জেফারসন

৪. মৃত্যুর ভয় থেকে মুক্তি পাওয়াকেই মানুষ হওয়া বলে।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

৫. বাঘকে খেয়ে বাঘ বড় হয় না; কেবল মানুষই মানুষকে খেয়ে ফুলে ওঠে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৬. অন্যের নিকট হাত পাতার ফলে মানুষের সর্বোত্তম সম্পদ বিনষ্ট হয়ে যায়। সে সম্পদ হচ্ছে আত্মমর্যাদাবোধ।

–হযরত আলি (রা.)

৭. অভাবে যার স্বভাব ঠিক থাকে, সে-ই যথার্থ চরিত্রবান।

সিনেকা

৮. তুমি তোমার ব্যক্তিত্বকে দৃঢ় করে তোলো। কেউ তোমার উপর অন্যায় আধিপত্য করতে পারবে না।

–জন স্টুয়ার্ট মিল

৯. এক ঘণ্টা যদি গরিব লোকের দুঃখমোচনের জন্য ব্যয় করা হয়, তবে তা ছয়মাস মসজিদে বসে ইবাদত করার সমান।

–আল-হাদিস

১০. প্রতিটি মানুষের জীবনের পথ চিহ্নিত হয় তার নিজস্ব পছন্দের কবর দিয়ে।

–আলেকজান্ডার স্মিথ

১১. মানুষকে সমান করেই সৃষ্টি করা হয়েছে, স্রষ্টা তাকে কতিপয় অবিচ্ছেদ্য অধিকারে ভূষিত করেছেন। আর সেগুলোর মধ্যে রয়েছে জীবন, স্বাধীনতা ও সুখ-শান্তির সন্ধান।

টমাস জেফারসন

১২. মানুষ একে অপরের ভাই।

–আল-হাদিস

১৩. সামান্য ব্যাপারে যে বিশ্বস্ত, বড় ব্যাপারেও সে বিশ্বস্ত হবে; সামান্য ব্যাপারে যে অবিশ্বস্ত, বড় ব্যাপারেও সে অবিশ্বস্ত।

বাইবেল

১৪. পরমুখাপেক্ষিতায় মানুষের ধর্ম শিথিল, বুদ্ধি দুর্বল এবং চক্ষুলজ্জা দূর হয়ে যায়।

হযরত লোকমান (রা.)

১৫. মানুষ নিজের মাত্র অর্ধাংশ, বাকি অর্ধেক তার অভিব্যক্তি।

–এমারসন

১৬. পরোপকারার্থে যদি জীবনের অবসান হয়, তবে তাহাতে আনন্দ ছাড়া নিরানন্দের কোনো কারণ নেই।

–স্বামী দয়ানন্দ অবধূত

১৭. যে-ব্যক্তি পাপের মতো পুণ্যকেও গোপন রাখে সেই খাঁটি লোক।

সুফি ইয়াকুব

১৮. পৃথিবীতে কিছুসংখ্যক লোক আছে, তাদের যতক্ষণ অনুগ্রহ করা যায় ততক্ষণই খুশি থাকে।

–আর্নল্ড বেনেট

১৯. আত্মজয়ের চেষ্টাই সর্বশ্রেষ্ঠ জেহাদ।

–আল-হাদিস

২০. ছাঁচেঢালা মনুষ্যত্ব কখনো টেঁকে না–সজীব মনের তত্ত্বের সঙ্গে বিদ্যার তত্ত্ব যদি না মেলে তা হলে হয় একদিন ছাঁচ হবে ফেটে চুরমার, নয় মানুষের মন যাবে মরে আড়ষ্ট হয়ে। কিম্বা কলের পুতুল হয়ে দাঁড়াবে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২১. ভালোবাসা, আশা, দুঃখ এবং বিশ্বাস দিয়ে গড়া মানুষের চরিত্র।রাবর্ট ব্রাউনিং

২২. মানবসন্তান স্বাধীনভাবেই এই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে। কাজেই এই স্বাধীনতা মানুষমাত্রেরই জন্মগত অধিকার।

–আল-হাদিস

২৩. জটিলতা অক্ষমতারই পরিচয়।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৪. মানুষ একবার জন্মায় গর্ভের মধ্যে, আবার জন্মায় মুক্ত পৃথিবীতে।…মানুষের এক জন্ম আপনাকে নিয়ে, আরেক জন্ম সকলকে নিয়ে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৫. উৎকৃষ্ট বীর থেকেই উত্তম বৃক্ষ জন্ম নেয়।

–জন গে

২৬. যেখানেই জন্মাক মানুষ মানুষই।

মার্টিন লুথার কিং

২৭. কোনো প্রাণীকেই নীচ প্রকৃতির বলা চলে না,–নীচতা হল কেবলমাত্র মানুষের বৈশিষ্ট্য।

–জিম করবেট

২৮. প্রত্যক মানুষের মধ্যেই কিছু পশুপ্রবৃত্তি থাকে। মাঝে মাঝে সে প্রবৃত্তির প্রকাশ হওয়া দরকার। যারা প্রথমের দিকে প্রকাশ করে না, চেপে রাখে, পরবর্তী জীবনে তারাই আগ্নেয়গিরির মতো ফেটে পড়ে।

নিমাই ভট্টাচার্য

২৯. আমরা যখন তৃষ্ণার্ত নই তখন জল পান করা এবং সকল মরসুমে ভালোবাসাবাসিতে মেতে থাকা–এসবই অন্যান্য পশুদের থেকে মানুষকে আলাদা বৈশিষ্ট্য দিয়েছে।

–বিউমার কাইস

৩০. তোমার শত্রু যদি ক্ষুধিত হয়, তাহাকে আহার করাও, যদি সে পিপাসিত হয়, তাহাকে পান করাও।

বাইবেল

৩১. খাঁটি যে-মানুষ তার একার অন্তরের শক্তিকে পৃথিবীর কোনো সাম্রাজ্যের সশস্ত্র বাহিনীও হার মানাতে পারে না। সেই একটি মানুষই শেষ পর্যন্ত হবে জয়ী। ম্যাকসুইনি

৩২. মানুষমাত্রই মানবকল্যাণের কথা চিন্তা করতে পারে না। মানবকল্যাণের আদর্শে উদ্বুদ্ধ যিনি, কেবল তিনিই মানবকল্যাণের বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা করতে সক্ষম।

–শোপেনহাওয়ার

৩৩. নম্রতা ও ভদ্রতাগুণ দুটো মানুষের জীবনের পুরাতন ঐশ্বর্য।

জন স্টুয়ার্ট মিল

৩৪. মনের উদারতার সাথে ঐশ্বর্যের তুলনা করা চলে না।

মার্শাল

৩৫. কর্তৃত্বের অধিকারই মনুষ্যত্যের অধিকার।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩৬. মানুষের কল্যাণের জন্য করা প্রতিটি কাজই সম্মানজনক।

রিচার্ড বাক্সটার

৩৭. খারাপ লোকেরা তাদের অন্যায় কাজকে বারবার ক্ষমা করতে থাকে আর ভালো লোকেরা পরিত্যাগ করে।

বেন জনসন

৩৮. সারা বিশ্বের জন্যে কারও পক্ষে কাঁদা সম্ভব নয়। ব্যাপারটা মানুষের ক্ষমতার বাইরে। মানুষকে তাই বেছে নিতেই হয়।

–জা সানুই

৩৯. পৃথিবী কণ্টকময় হচ্ছে তার অকৃতজ্ঞ সন্তানদের জন্য।

টামাস বার্থ

৪০. যে-ব্যক্তির বেশভূষার মধ্যে শৃঙ্খলা নেই, সে মানসিকভাবে অসুস্থ।

–বেন জনসন।

৪১. অকৃতজ্ঞ মানুষ পরিপূর্ণরূপে মানুষ নয়।

স্টামাস হার্ডি

৪২. মানুষের শ্রদ্ধার জন্য লালয়িত হয়ো না, তুমি শুধু তোমার কাজ করে যাবে। সাধনাপথে শ্রদ্ধা-সম্মানের জন্য লালায়িত হলে তোমার সাধনা পণ্ড হয়ে যাবে।

–ডা. লুৎফর রহমান

৪৩. জীবনের মহৎ বিকাশের জন্য সুখ ও সম্পদ আমাদের সহায় নহে, কেবল আঘাত ও দুঃখ দ্বারাই মানুষ শক্তি সঞ্চয় করিয়া জগতের উপর তাহার প্রভাব বিস্তার করে।

–জগদীশচন্দ্র বসু

৪৪. দোসর খুঁজি ও বাসর বাঁধিগো
জলে ডুবি বাচি পাইলে ডাঙা।
কালো আর ধলো বাইরে কেবল
ভিতরে সবারি সমান রাঙা।

–সত্যেন্ত্রনাথ দত্ত

৪৫. জ্ঞান জীবনকে পূর্ণতা দান করে, সুখ জীবনকে দীর্ঘস্থায়ী করে, শুভকর্ম জীবনকে মৃত্যুহীন করে।

–এন. টি. কোলরিজ

৪৬. অকৃতজ্ঞ হচ্ছে অহংকারের অন্যতম সন্তান।

–এস. গার্থ

৪৭. অকৃতজ্ঞ মানুষের মতো অকৃতজ্ঞ জাতিও আছে। যারা তাদের দেশের শ্রেষ্ঠ সূর্য-সন্তানদের সম্মান করে না, তারাই সবচেয়ে নিকৃষ্টতম অকৃতজ্ঞ জাতি।

–আহমদ শরীফ

৪৮. যে নিজেকে অপমানিত হতে দেয় সে অপমানিত হওয়ার যোগ্য।

কোরনেলি

৪৯. একজন মহান ব্যক্তিত্বকে বোঝা যায় ছোট ব্যক্তিদের সঙ্গে তার সার্বক্ষণিক ব্যবহার দেখে।

—ডেল কার্নেগি

৫০. অপমানের প্রতিশোধ নেওয়াটা সহাসের বড়াই নয়, সঙ্গত।

–শরশ্চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

৫১. শ্রদ্ধা ও স্নেহের অভিনন্দন মন দিয়ে গ্রহণ করতে হয়, তার জবাব দিতে নেই।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

৫২. মানুষ অশান্তি চায় না, আবার মানুষই অশান্তির কারণ।

–আবু জাফর শামসুদ্দীন

৫৩. অসহায়কে অবজ্ঞা করা উচিত নয়। কারণ মানুষমাত্রই জীবনের কোনো-না কোনো সময়ে অসহায়ত্বের শিকার হবে।

–গোল্ডস্মিথ

৫৪. গড়িয়া তুলিতে সংযম দরকার হয়, নষ্ট করিতে অসংযম। ধারণা করিতে সংযম চাই, আর মিথ্যা বুজিতেই অসংযম।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৫৫. সাধারণের মধ্যে অসাধারণ–এ এক অনন্য গুণ।

–দিব্যেন্দু পালিত

৫৬. অহঙ্কারী ব্যক্তিমাত্রই ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি।

–লর্ড হেলিফক্স

৫৭. অহঙ্কার থেকেই বেশির ভাগ অনিষ্টের সৃষ্টি হয়।

–টি. এ. কেম্পিস

৫৮. অহঙ্কার পতনের মূল।

প্রবাদ

৫৯. অহঙ্কার এবং দারিদ্র্য পাশাপাশি বাস করতেই পছন্দ করে।

–লর্ড হ্যালিফক্স

৬০. আমি স্বপ্নবিলাসী নহি। আমি নিজেকে একজন কুশলকর্মা আশীর্বাদী বলিয়া দাবি করি। অহিংসা কেবল ঋষি ও মুনিগণের ধর্ম নহে, ইহা সাধারণ মানুষের ধর্ম। বলপ্রয়োগ পশুর ধর্ম, মানুষের ধর্ম অহিংসা। পশুর মধ্যে আত্মিক শক্তি নিদ্রিত। সে বাহুবল ছাড়া আর কিছু বুঝে না; কিন্তু মানুষের মর্যাদা তাহাকে উচ্চতর নীতি ও আত্মিক শক্তি গ্রহণ করিতে প্রেরণা দেয়।

মহাত্মা গান্ধী

৬১. আমি বুঝতে শিখেছি যে, কেউ আর কারও কথা ভাবে না। সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে। প্রাতঃরাশের আগে, প্রাতঃরাশের পরে, এমনকি মাঝরাতেও তারা নিজেদের কথাই ভাবে। নিজেদের মথায় যন্ত্রণা হলে তারা যতখানি ব্যস্ত হয়, আপনার মৃত্যুসংবাদও তাদের অতটা বিচলিত করতে পারে না।

—ডেল কার্নেগি

৬২. আত্মকেন্দ্রিক লোক দ্বারা সমাজের কোনো উপকার হয় না।

জর্জ ব্রো

৬৩. যার আত্মমর্যাদা বোধ নেই, সে পদে-পদে মাথা হেঁট করে চলতে পারে।

–ড. আহমদ শরীফ

৬৪. আদর্শ হচ্ছে এমন এক প্রহরী যা মানুষকে সৎ পথে চলতে শেখায়।

স্পেন্সর

৬৫. যে আদর্শ যথার্থ মহান তাহা কেবল কাল বিশেষ বা অবস্থা বিশেষের উপযোগী নহে। তাহা মনুষ্যকে মুনষ্যত্ব দান করে, সে মানুষ সকল কালে সকল অবস্থাতেই আপন শ্রেষ্ঠতা রাখিতে পারে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৬৬. মানুষ সবসময় সর্বাবস্থায় আমিকে খোঁজে। আমি কে, আমি কী, আমি কোথায়? এই আমিত্ব নিয়েই মানুষের জীবনসাধনা। যেখানে আমি নেই, যেখানে আমি স্বার্থ নেই, সেখানে মানুষমাত্রই নির্বিকার। সবকিছু তছনছ হয়ে গেলেও সেখানে মানুষ আগ্রহ প্রকাশকে অকারণ বলে মনে করে চরম উপেক্ষা দেখায়।

–ডেল কার্নেগি

৬৭. আমি আছি তো সব আছে। যেখানে আমি নেই সেখানে কিছুই নেই। মানুষমাত্রই এমন স্বার্থান্ধ।

সৈয়দ মুজতবা আলী

৬৮. একথা চিন্তা করে বার মিলিয়ন নিগ্রো অধিবাসীর লজ্জিত হওয়ার কোনো হেতু নেই যে, তারা ক্রীতদাসের বংশধর। ক্রীতদাস হওয়ার মধ্যে কোনো অগৌরব নেই, অগৌরব রয়েছে ক্রীতদাসের মালিক হওয়ায়।

মহাত্মা গান্ধী

৬৯. নিগ্রোদের সঙ্গে আমাদের গায়ের রঙ যে এক নয় তা নিশ্চিত সত্য। হয়তো আরও বহু কিছুতেই তারা এক নয়, কিন্তু সাদা-কালো নির্বিশেষে অন্যসব মানুষের মতো তাদেরও রুটিরুজির সংস্থানের অধিকার রয়েছে।

আব্রাহাম লিঙ্কন

৭০. যার বুদ্ধি নেই, তার থেকে কৃতজ্ঞতা আশা কোরো না।

–হযরত আলি (রা.)

৭১. মানুষকে বিশ্বাস করো, তারা তোমার প্রতি সৎ হবে, তাদের প্রতি মহৎ আচরণ করো, তারা তোমার প্রতি মহত্ত্ব দেখাবে।

–ইমারসন

৭২. দেশ বা জাতি, ধর্ম বা সম্প্রদায় মানুষের জন্য যত বড় সম্পদই হোক না কেন, মনুষ্যত্ব বা মানবধর্ম তার চেয়ে অনেক বড়, বহু উর্ধ্বে তার স্থান।

–আবুল ফজল

৭৩. মানুষ মানুষের অসহায়ত্বের কথা ভাববে, মানুষ মানুষের দুরবস্থায় চিন্তিত হবে, মানুষ মানুষের পরাজয়ে বেদনা বোধ করবে, মানুষ মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করবে, মানুষ মানুষের সুখের পথ বাতলে দেবে–এটাইতো মানবতা। এটাইতো মানবতন্ত্র।

মুস্তাফা নূরউল ইসলাম

৭৪. মানুষই মানুষের ভবিষ্যৎ। মানুষের বিকাশই মানুষের অস্তিত্ব। মানুষ তার নিজের অস্তিত্বের জন্য দায়ী। স্বীয় কর্মকাণ্ডের যোগফল ব্যতীত সে আর কিছু নয়।

–জাঁ পল সার্ত্র

৭৫. পরিপূর্ণ মনুষ্যত্ব সতীত্বের চেয়ে বড়।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

৭৬. মানুষ পঙ্কিলতা বা সৌন্দর্য যার মধ্যেই জন্মগ্রহণ করুক না কেন, সে মানুষই।

স্যার জন ডেভিস

৭৭. মানুষকেই বিদ্রোহ করতে হয়–কখনো নিজের জন্য, কখনো পরের জন্য।

–বার্নস

৭৮. আমরা যা করতে পারি তার তুলনায় কিছুই করা হয়ে ওঠেনি। বলা যায় আমরা অর্ধেক জেগে আছি মাত্র। আমাদের দৈহিক ও মানসিক ক্ষমতার সামান্য এক অংশকে আমরা কাজে লাগাতে পারি। মানুষের মধ্যে প্রবল প্রচণ্ড এক শক্তি ঘুমিয়ে আছে, কিন্তু সহজে জাগে না।

–ডেল কার্নেগি

৭৯. আমি মুসলমান সমাজের বটে, কিন্তু তারও উপর আমি মানুষ; আমি ভারতবাসী বটে, কিন্তু তার উপর আমি মানুষ, আমি বাঙালী বটে, কিন্তু তারও উপর আমি মানুষ। একটা গোলাপের গাছ যেমন সাধারণ উদ্ভিদের ধর্ম অবহেলা করে গোলাপের গাছরূপে আত্মপ্রকাশ করতে পারে না, তেমনি একজন মানুষ মানুষের ধর্ম অবহেলা করে আদর্শ মুসলমান, আদর্শ ভারতবাসী কিংবা আদর্শ বাঙালী হতে পারে না।

–এস. ওয়াজেদ আলী

৮০. মা, মাটি, মানুষ ও মাতৃভূমিকে যে ভালোবাসে না, সে মানুষ নয়।

–জাহানারা ইমাম

৮১. মহৎ মানুষদের নিজস্ব একটা জাত আছে–যেখানে সহজে কেউ প্রবেশ করতে পারে না।

জন ওয়াল্টার

৮২. যার দ্বারা জগতের কল্যাণ সাধিত হয়, মানুষের মধ্যে সেই ব্যক্তিই মহীয়ান।

–জালালউদ্দিন রুমি

৮৩. একজন মানুষ যত বেশি মহৎ তত বেশি সুখী।

–ইয়ং

৮৪. মানুষকে বড় করে দেখা এবং মানুষকে ভালোবেসে তা কল্যাণচিন্তা করাটাই মানবতন্ত্র।

-–লেনিন

৮৫. পৃথিবীটা আমার দেশ, সমস্ত মানব জাতি আমার ভাই এবং সবার মঙ্গল করাই আমার ধর্ম।

–টমাস পেইন ৮৬. আমাদের মন্ত্র হবে মানবতন্ত্র। কোনো ধর্মের মহৎ শিক্ষাকেই আমরা বিসর্জন দেব না।

–আবুল ফজল ৮৭. ভুল করা কোনো সমস্যা নয়, কারণ যে ভুল করে না সে মানুষই নয়।

–ডেল কার্নেগি

৮৮. নিজের মর্যদা যে বোঝে না, তার শক্তিকেও সে বোঝে না। জন রাসেল ৮৯. সৎবিবেক শ্রেষ্ঠতম স্বর্গীয় গুণ।

–টমাস ফুলার

৯০. বংশবৃদ্ধি অব্যাহত রাখা পশুদের বেলায় সত্য, কিন্তু স্মৃতিশক্তি, গুণ এবং মহৎ কাজ এসব হলো মানবজীবনের বৈশিষ্ট্য।

ফ্রান্সিস বেকন

৯১. মানুষের ব্যক্তিত্ব ফুলের সৌরভের মতো।

চার্লস এম. স্কয়ার

৯২. সবার সঙ্গে যে তাল মিলিয়ে কথা বলে সে ব্যক্তিত্বহীন। –মার্ক টোয়েন

৯৩. মানুষ আগের চাইতে খারাপ থাকার জন্য, আগের চাইতে কম অধিকার পাবার জন্য সমাজবদ্ধ হয়নি, বরং অধিকারের নিশ্চয়তার জন্যই সমাজবদ্ধ হয়েছে।

–টমাস পেইন

৯৪. সমাজ এবং সংসারের কাছ থেকে মানুষ অনেক কিছু আশা করে। সমাজব্যবস্থা তেমন হওয়া উচিত যাতে মানুষ আশা থেকে বঞ্চিত না হয়।

–ভিক্টর হুগো

৯৫. সমাজের মধ্যে মানুষ হারায় প্রাকৃতিক স্বাধীনতা আর সে যা-কিছু পেতে চায় কিংবা তার উপর অসীম অধিকার, কিন্তু তার বদলে পায় সভ্যতা স্বাধীনতা আর যা-কিছু তার আছে তার স্বত্বাধিকার।

–জা জ্যাক রুশো

৯৬. আমরা সমাজের মধ্যে বাস করি। সুতরাং যা-কিছু সমাজের জন্য ভালো নয়, তা আমাদের জন্যও ভালো নয়।

ভলতেয়ার

৯৭. পশুর মতো সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে আমাদের লাভ কি, যদি আমাদের গৌরব করার মতো কিছুই না থাকে।

–কাজী নজরুল ইসলাম

৯৮. সঙ্কীর্ণ মানসিকতা যতখানি অশান্তি ডেকে আনে, ততখানি আর কিছুতে আনে না।

ফ্রাঙ্ক পুটনার

৯৯. একজন সঙ্কীর্ণ সানসিকতাসম্পন্ন মানুষ সংসারে যতখানি অসুখী, ততখানি আর কেউ নয়।

–কিপলিং

১০০. পরিবারের জন্য উৎসর্গ করো ব্যক্তিকে,
আর সমাজের জন্য করো পরিবারকে,
 সমাজকে করো দেশের জন্য উৎসর্গ,
কিন্তু আত্মার জন্য উৎসর্গ করো সারা বিশ্বকে।

সংস্কৃত আর্য উক্তি

১০১. আত্মমর্যাদাই মানুষের বড়ো গৌরব। সেই আত্মমর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হলে তার বেঁচে থাকা অর্থহীন হয়ে ওঠে।

–মহাশ্বেতা দেবী

১০২. যার আত্মমর্যাদা বোধ আছে, সে অন্যায়ের কাছে মাথা হেঁট এবং অপরাধীর সাথে আপোস করতে পারে না।

বুদ্ধদেব বসু

১০৩. আত্মমর্যাদা হারাইলেই লোকের শ্রদ্ধা হারাইবে। উদার হও, লোকের হৃদয় জয় করিতে পারিবে। সত্যবাদী হও, লোকের বিশ্বাস পাইবে।

কনফুসিয়াস

১০৪. প্রত্যেকের আত্মমর্যাদাবোধ থাকা উচিত।

–কিপলিং

১০৫. আত্মসম্মান নিয়ে বেঁচে থাকতে না পারলে তার জন্য মৃত্যুই শ্রেয়।

–ডেল কার্নেগি

১০৬. মানুষ বেশিক্ষণ আপনাকে দোষী করিয়া বসিয়া থাকিতে পারে না; এবং নিজের প্রতি দোষারোপ করিয়া অম্লানবদনে বসিয়া থাকাও তাহারা পক্ষে মঙ্গলজনক নহে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১০৭. নিজে ঠিক থাকলেই হল, লোকে কী বলে না-বলে তা নিয়ে মাথা ঘামানো উচিত নয়।

রুজভেল্ট

১০৮. প্রতিজ্ঞার দিক দিয়ে প্রতিটি মানুষ সমান, তারা আলাদা কেবল তাদের কর্মে।

–মলিয়ের

১০৯. দ্ৰতা করা ভাল, কিন্তু তা যেন আন্তরিকতাবর্জিত না হয়। –জর্জ হার্বার্ট ১১০. বই অধ্যয়ন করার চেয়ে মানুষ অধ্যয়ন করাটাই সর্বাগ্রে প্রয়োজনীয়।

–জর্জ ব্রো

১১১. ভদ্রলোক মানে সদাশয় লোক। যিনি দয়ালু, যিনি নিজের উন্নতির চিন্তা করেন এবং পরের মঙ্গল কামনা করেন, তিনিই প্রকৃত ভদ্রলোক।

বুকার ওয়াশিংটন

১১২. সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বরই খোদার কণ্ঠস্বর।

–অ্যালকুইন

১১৩. পৃথিবীতে মাত্র দুটি গুণের সমন্বয় দেখা যায়–যোগ্যতা আর অযোগ্যতা। আর দুটিমাত্র শ্রেণীর লোকও দেখা যায়–যোগ্য ও অযোগ্য ব্যক্তি।

জর্জ বার্নার্ড শ

১১৪. মানুষের সমস্ত প্রয়োজনকে দুরূহ করিয়া দিয়া ঈশ্বর মানুষের গৌরব বাড়াইয়াছেন। পশুর জন্য মাঠ ভরিয়া তৃণ পড়িয়া আছে, মানুষকে অন্নের জন্য প্রাণপণ করিয়া মরিতে হয়। আমাদের অন্নমুষ্টি আমাদের গৌরব। পশুর গাত্রবস্ত্রের অভাব একদিনের জন্যও নাই। গাত্রবস্ত্র মানুষের গৌবর। আত্মরক্ষার উপায় সঙ্গে লইয়া মানুষ ভূমিষ্ঠ হয় নাই। কোমল ত্বক এবং দুর্বল শরীর লইয়া মানুষ যে আজ সমস্ত প্রাণিসমাজের মধ্যে আপনাকে জয়ী করিয়াছে, ইহা মানবশক্তির গৌরব।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১১৫. খোদাতা’আলায় সম্পূর্ণরূপে আপনাকে অর্পণ করা, সেই মহাসম্রাটের দরবার হইতে যাহা কিছু আসে, ফুলুমনে তাহাই গ্রহণ করা–তাঁহারই ইচ্ছা–সিন্ধু নীরে আপন ইচ্ছাম্বুদ মিশাইয়া দেওয়া–ইহাই ইসলাম।

–এয়াকুব আলী চৌধুরী

১১৬. যাকে মান্য করা যায় তার কাছে নত হও।

টেনিস

১১৭. পরলোকে সেই অনন্ত শান্তি-রাজ্যে যদি সত্যসত্যই তোমার বিশ্বাস থাকিত, ধর্ম যদি তোমার নিকট সত্য জিনিস হইত, তবে কি সামান্য দুই হাত জমি লইয়া, একটা আল লইয়া মানুষ হইয়া মানুষের মাথায় লাঠি মারিতে?

শ্রীক্ষিতিনাথ ঘোষ

১১৮. যে কর্ম করে, কৃতকর্মের জন্য সে-ই দায়ী, কিন্তু কর্মের আর একটা দিক চিন্তা করিবার আছে। ব্যক্তিগত কর্ম ব্যতীত পারিবারিক কর্ম এবং জাতীয় কর্মের ফলও মানুষকে ভোগ করিতে হয়।

শ্রীক্ষিতিনাথ ঘোষ

১১৯. যারা আত্মপ্রসংশা করে, খোদা তাদের ঘৃণা করেন। সেন্ট ক্লিমেন্ট ১২০এ জগতে একজন সৎলোকই ঈশ্বরের সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি।

পোপ

১২১. সভ্যসমাজে শৃঙ্খলিতভাবে বাস করা, অসভ্যসমাজে স্বাধীনভাবে বাস করার চেয়ে ভালো।

–এডিট কলিন্স

১২২. যে ভদ্র, কথায় সে।

–হযরত আলি (রা.)

১২৩. মনুষ্যত্বকে যারা শ্রদ্ধা করতে শেখে নাই, তাদের স্বাধীনতা পাবার কোনো অধিকার নাই; মনুষ্যত্ব মানবজীবনের উচ্চাঙ্গের ভদ্রতা ছাড়া আর কিছু নয়।

–ড. লুৎফর রহমান

১২৪. একজন উৎকৃষ্ট ভদ্রলোক হতে হলে অনেক জিনিসের প্রয়োজন হয়ে থাকে। কিন্তু সবচেয়ে প্রথমে যে-জিনিসের প্রয়োজন হয় সে হচ্ছে নাপিতের। –গোল্ডস্মিথ

১২৫. যে সৎ ব্যক্তি অসৎ ব্যক্তির পেছনে ঘোরে, সে সত্যি করুণার পাত্র।

সক্রেটিস

১২৬. সূর্যের যেমন তাপ আছে, তেমনি সৎলোকের মধ্যেও নির্ভীক দীপ্তি আছে।

জন স্টিল

১২৭. পৃথিবীতে সৎলোকের সংখ্যা বড়ই নগণ্য।

–সুইফট

১২৮. যেদেশে অসংখ্য দরিদ্র লোক আছে, তাদের সভ্যজাতি বলে গর্ব করা উচিত নয়।

–জন ডেনহাম

১২৯. অরণ্যে পশু-সহবাসে স্বাধীন বিচরণ করা অপেক্ষা বান্ধবসমাজে শৃঙ্খলিত জীবন-যাপন সহস্র গুণে শ্রেয়।

–শেখ সাদি

১৩০. সমাজ ও সংসারের কাছ থেকে মানুষ অনেক কিছু আশা করে। সমাজব্যবস্থা তেমন হওয়া উচিত যাতে মানুষ তার আশা থেকে বঞ্চিত না হয়। ভিক্টর হুগো

১৩১. তুমি সমাজসেবা নিজ গৃহ থেকে শুরু করো, তা হলে সামগ্রিকভাবে দেশের কল্যাণ আসবে।

রিচার্ড গ্রেড

১৩২. যে-ব্যক্তি সমাজের অন্তর্ভুক্ত নয়, হয় সে দেবতা–নয়তো পশু।

–অ্যারিস্টটল

১৩৩. আমি একজন লর্ড তৈরি করতে পারি; কিন্তু বিধাতাই একজন ভদ্রলোক তৈরি করতে পারেন।

–জন সেলডন

১৩৪. একটি সুন্দর মুখের কুৎসিত কথার চেয়ে একটি কুৎসিত মুখের মধুর কথা অধিকতর সুন্দর।

-ইমারসন

১৩৫. ভদ্রতার আর এক নাম সহানুভূতি ও প্রেম। যে-পরিবারে ভদ্রতা নাই, সেই পরিবারের সদস্যরা সাধারণত নিষ্ঠুরহৃদয়, কাণ্ড-জ্ঞানহীন, স্বার্থপর, কটুভাষী ও অসহিষ্ণু।

–ডা. লুৎফর রহমান

১৩৬. ঔদ্ধত্য মানুষের জীবনে দুঃখ আনে।

–টমাস ক্যাম্বেল

১৩৭. চরিত্রবল সৃষ্টি করতে হলে জনসমাজে মেলামেশা করো, কিন্তু যদি প্রতিভার সম্যক প্রস্ফুরণ তোমার কাম্য হয়, তবে সাধনা করো নির্জনে।

–গ্যেটে

১৩৮. কারও ধনসম্পদ নষ্ট হলে কিছুই ক্ষতি হয় না; স্বাস্থ্য নষ্ট হলে কিছুটা ক্ষতি হয়, সময় নষ্ট হলে আরও বেশি ক্ষতি হয়, চরিত্র নষ্ট হলে সবকিছুই নষ্ট হয় আর ক্ষতি হয়।

–অজ্ঞাত

১৩৯. মানুষকে যারা শ্রদ্ধা করতে শেখে নাই তাদের স্বাধীনতা পাবার কোনো অধিকার নেই, মনুষ্যত্ব মানবজীবনের উচ্চাঙ্গের ভদ্রতা ছাড়া আর কিছুই নয়।

–ড. লুৎফর রহমান

১৪০. সমাজের সবচেয়ে বড় আশাই ব্যক্তিগত চরিত্র।

–চ্যানিং

১৪১. জনসাধারণের লজ্জা বা কৃতজ্ঞতা বলে কিছু নেই।

–হেজলিট

১৪২. জনতা সবচেয়ে জ্ঞানী সমালোচকের থেকেও বিজ্ঞ।

ব্যান ক্রোফট

১৪৩. মানুষের অনুধাবন করার মতো সাতটি প্রয়োজনীয় জিনিস আছে। যেমন : (ক) হাড়কিপটেমি করে অগাধ অর্থ লাভ করা যায় না। (খ) সবলকে দুর্বল করার মাধ্যমে দুর্বলকে সবল করা যায় না। (গ) বড় মানুষকে নিচে নামালেই নিচের মানুষকে উপরে তোলা যায় না। (ঘ) মালিকের বিনাশ করে শ্রমিককে ধনী করা সম্ভব নয়। (ঙ) মানুষের উৎসাহ ও স্বাধিকার কেড়ে নিয়ে নিজের চরিত্রের ও সাহসের দ্বিকরণ সম্ভব নয়। (চ) ধনীকে মারলেই গরিব বেঁচে যাবে, এটা ঠিক নয়। (ছ) কাউকে চিরদিন সাহায্য করা সম্ভব নয়, যদি সেই লোক নিজেকে নিজে সাহায্য করে।

–Argonaut পত্রিকার সৌজন্যে

১৪৪. শ্রেষ্ঠ মানুষের তিনটি চিহ্ন থাকে, ধার্মিক হওয়ার দরুন তিনি দুশ্চিন্তামুক্ত, জ্ঞানী হওয়ার জন্য তিনি হতবুদ্ধিতা থেকে মুক্ত এবং সাহসী হওয়ার জন্য তিনি ভয়মুক্ত হয়ে থাকেন।

কনফুসিয়াস

১৪৫. জগত জুড়িয়া এক জাতি আছে,
সে জাতির নাম ‘মানুষ’ জাতি;
এক পৃথিবীর স্তন্যে লালিত
একই রবি-শশী মোদের সাথী।

–সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত

১৪৬. একজন ভালো আইনবিদ প্রতিবেশী হিসেবে ভালো নয়।

ফ্রাংকলিন

১৪৭. মৃত্যুর পরে যার জন্য মানুষ মানুষের হৃদয়ে অম্লান হয়ে থাকে, সে হচ্ছে তার ব্যবহার।

–এডওয়ার্ড জন

১৪৮. সংসারে প্রত্যেকের সাথে ভালো ব্যবহার করো; কারণ কখন কার সাহায্য তোমার প্রয়োজন হয়ে পড়বে বলা যায় না।

–কিমার

১৪৯. ভদ্র হতে হলে নম্র হতে হবে। কেননা, বীজ মাটিতে না পড়লে অঙ্কুরোদগম হয় না।

–শেখ সাদি

১৫০. শ্রদ্ধা করতে জানলেই অন্যের শ্রদ্ধাভাজন হওয়া যায়।

–জন রে

১৫১. শ্রেষ্ঠ মানুষ এবং শ্রেষ্ঠ সত্য সবসময়ই সরল হয়ে থাকে।

–এ. ডব্লিউ. হেয়ার

১৫২. লোক যদি তোমাকে অভদ্র বলে তবে তোমার শিক্ষা, আভিজাত্য ও অর্থের কোনো মূল্যই রইল না।

–জি. জে. নর্থান

১৫৩. সুন্দর পোশাক পরিহিত ব্যক্তিমাত্রই ভদ্রলোক নয়।

–জন রে

১৫৪. কোনো মহৎ ব্যক্তির জীবনই নিরর্থক নয়। পৃথিবীর ইতিহাস বৃহৎ ব্যক্তিবর্গের ইতিহাস ছাড়া আর কিছুই নয়।

–কার্লাইল

১৫৫. কোনো মহৎ লোকের জীবনই বৃথা যায় না, সেখানে কেউ সহজে প্রবেশ করতে পারে না।

–জন ড্রিংক ওয়াটার

১৫৬. মর্যাদা লাভ হয় জ্ঞানের মাধ্যমে, রক্ত-সম্পর্কের মাধ্যমে নয়; সৌন্দর্যের সুষমা বিকশিত হয় শিষ্টাচারের মাধ্যমে, উত্তম পোশাকে নয়।

–ইমাম গাজ্জালি (রহ.)

১৫৭. যে বিশ্বমানবের হিতসাধন করে সে-ই শ্রেষ্ঠ মানুষ।

–আল-হাদিস

১৫৮. আমি আমার পরিবার-পরিজনের চাইতে আমার দেশকে অধিক ভালবাসি; আর ততোধিক ভালোবাসি মানবজাতিকে।

ফেনিলোনা

১৫৯. অভাবেও যার স্বভাব ঠিক থাকে, সে-ই যথার্থ চরিত্রবান।

–সেনেকো

১৬০. চরিত্র ছাড়া মানুষের গৌরব করার কিছুই নেই। মানুষের শ্রদ্ধা যদি মানুষের প্রাপ্য হয়, মানুষ যদি মানুষকে শ্রদ্ধা করে, সে শুধু চরিত্রের জন্য। অন্য কোনো কারণে মানুষের মাথা মানুষের সামনে নত হবার দরকার নেই।

–ডা. লুৎফর রহমান

১৬১. তোমার প্রতিবেশীর ঘরে যখন আগুন জ্বলে, তোমার নিজেরই নিরাপত্তা তখন বিপন্ন।

–হোরেস

১৬২. যে-প্রতিবেশী তোমার নিকট শান্তি প্রত্যাশা করে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ো না।

-হযরত সোলায়মান (আ.)

১৬৩. অপরের জন্য উৎসর্গীকৃত জীবনই হচ্ছে সার্থক জীবন।

–আইনস্টাইন

১৬৪. মহৎ কারণে যার মৃত্যু ঘটে, সে অপরাজেয়।

–বায়রন

১৬৫. সূর্য যেমন অনন্তকাল ধরে মাথার উপরে আলো দান করে যাচ্ছে, তেমনি মহৎ কাজ চিরদিন মানুষের মনে শ্রদ্ধার সঙ্গে বিরাজ করবে।

লঙফেলো

১৬৬. যা ন্যায় নয়, তেমন কোনোকিছুই সত্যিকারভাবে মহৎ হতে পারে না।

–জনসন

১৬৭. মানুষের প্রধান লক্ষণ এই যে, মানুষ একলা নয়। প্রত্যেক মানুষ বহু মানুষের সঙ্গে যুক্ত, বহু মানুষের হাতে তৈরি।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৬৮. তুমি যদি অভুক্ত কোনো কুকুরকে তুলে নাও এবং তাকে আদরযত্ন করে সমৃদ্ধ কর তা হলে সে তোমাকে কামড়াবে না। এখানেই মানুষ ও কুকুরের সাথে আদর্শগত পার্থক্য।

–মার্ক টোয়েন

১৬৯. আমি বিশ্বাস করি প্রত্যেক অধিকারের মধ্যে নিহিত রয়েছে একটা দায়িত্ব। প্রত্যেক সুযোগ-সুবিধার মধ্যে একটি নৈতিক বাধ্যবাধকতা, প্রত্যেক স্বত্বাধিকারের মধ্যে একটা কর্তব্য।

জন. ডি. রকফেলার জুনিয়র

১৭০. মানুষকে সমান করে সৃষ্টি করা হয়েছে। স্রষ্টা তাকে কতিপয় অবিচ্ছেদ্য অধিকারে ভূষিত করেছেন; আর তাদের মধ্যে রয়েছে জীবন, স্বাধীনতা ও সুখ-শান্তির সন্ধান।

–টমাস জেফারসন

১৭১. মানুষ যখন কষ্ট সহ্য করতে পারবে, তখনই মনে করতে হবে সে নৈতিক চরিত্রের দিক দিয়ে অনেক উন্নততর হয়েছে।

–জন স্টুয়ার্ট মিল

১৭২. চরিত্রগঠনের কাজ শিশুকাল থেকে মরণের আগ পর্যন্ত চলতে থাকে।

–মিসেস ফ্রাংকলিন ডি. রুজভেল্ট

১৭৩. প্রত্যেক ব্যক্তির প্রত্যহ কমপক্ষে একটি গান শোনা, একটি কবিতা পড়া, একটি সুন্দর চিত্র দেখা এবং সম্ভব হলে কিছু সৎ বাক্য বলা উচিত।

গ্যেটে

১৭৪. শত্রুর সঙ্গে সবসময় ভালো ব্যবহার করলে সে একদিন বন্ধুতে পরিণত হবে।

–এডমন্ড বার্ক

১৭৫. বন্ধুর সাথে এরূপ ব্যবহার করো যাতে বিচারকের শরণাপন্ন হতে না হয়, আর শত্রুর সাথে এরূপ ব্যবহার করো যাতে বিচারকের দ্বারস্থ হলে তুমিই জয়ী হও।

–প্লেটো

১৭৬. মানুষের সাথে নিষ্ঠুর ব্যবহার করে যে খোদার সাথে প্রেম করতে চায়, তার বুদ্ধি খুব কম।

–ডা. লুৎফর রহমান

১৭৭. ভালো ব্যবহার করতে গেলে ছোট ছোট স্বার্থ ত্যাগ করতেই হবে।

–ইমারসন

১৭৮. ধার্মিক হবার আগে ভদ্র হবার চেষ্টা করুন।

–ডা. লুৎফর রহমান

১৭৯. তুমি যদি অন্য কোনো কাজ করতে না পার তবে প্রতিবেশী বৃদ্ধাকে জল তুলতে সাহায্য করো।

–ওয়েন মেরিডিল

১৮০. মানুষ প্রকৃতিগতভাবেই অকৃতজ্ঞ, অবিশ্বাসী, ধোঁকাবাজ, মিথ্যাবাদী ও স্বার্থান্বেষী হতে চায়।

–মেকিয়াভেলি

১৮১. মানুষ হল রাজনৈতিক জীব।

–প্লেটো

১৮২. এমন কোনো মানুষ নেই, যাকে দুঃখ এবং রোগ স্পর্শ করেনি।

ইউরিপাইডাস

১৮৩. যে মানুষ হিসেবে ভালো, সে নাগরিক হিসেবেও ভালো।

সুইনবার্ন

১৮৪. প্রত্যেক মানুষই অদ্ভুত।

–শেক্সপীয়ার

১৮৫. ঈশ্বর নিশ্চয়ই সাধারণ লোককে ভালোবাসেন, এজন্য তিনি তাদের এত বেশি করে তৈরি করেছেন।

লিংকন

১৮৬. মানুষ চার ধরনের হয়ে থাকে। যে লোক অজ্ঞ এবং সে জানে না যে সে অজ্ঞ–সে বেওকুফ, তাকে পরিত্যাগ করো। যে অজ্ঞ এবং যে জানে যে সে অজ্ঞ–সে। সরল লোক। যে জানে এবং সে জানে যে সে জানে–সে জ্ঞানী; তাকে অনুসরণ করো।

আরবি প্রবাদ

১৮৭. কিছুটা পাগলামো ছাড়া বড় কোনো প্রতিভাবানের দেখা মেলে না।

অ্যারিস্টটল

১৮৮. নশ্বরদের মধ্যে প্রতিভাবানরা সবচেয়ে ভাগ্যবান এজন্যে যে তারা যা অবশ্যই করবে তারা সবাই সেটিই করতে চায়।

ডব্লিউ. এইচ. অডেন

১৮৯. জীবনেই হোক, জীবনাবসানেই হোক, একজন উত্তম ব্যক্তির মন্দ কিছুই ঘটতে পারে না।

সক্রেটিস

১৯০. ব্যক্তিত্ব গঠন এবং মর্যাদাপ্রাপ্তির সর্বোত্তম পন্থা হল উদারতা।

–হযরত ইমাম হোসেন (রাঃ)

১৯১. উকিল বা ডাক্তারদের ট্রজেডি এই যে, মামলা জেতার পর কিংবা রোগ সেরে যাওয়ার পর মক্কেল বা রোগীর কোনো খোঁজ পাওয়া যায় না।

–শংকর

১৯২. যারা দোকানে বসে খায়, ধর্মশালায় গিয়ে ঘুমোয়, প্রমোদাগারে গিয়ে লীলাবিলাস করে, যথেচ্ছ ভ্রমণে বেরোয়, রুগ্ন অবস্থায় হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হয়, তারা স্বাধীন হতে পারে, কিন্তু তারা দুর্ভাগা।

–প্রবোধকুমার সান্যাল

১৯৩. প্রতিটি মানুষ চাঁদের মতো যার একটা অন্ধকার দিক আছে, সেদিক সে কাউকে দেখাতে চায় না।

–মার্ক টোয়েন

১৯৪. মানুষ যতই ছোট হোক, যতই সে অবজ্ঞাত হয়ে থাকুক–তার মধ্যে অসীম ক্ষমতা, অনন্ত প্রতিভা ঘুমিয়ে আছে–অনুকূল পরিবেশ পেলে তার ভেতরকার রূপ ও মহিমা অনন্ত শিখায় ফুটে উঠবে।

–ডা. লুৎফর রহমান

১৯৫. মানবতা শিক্ষা দেবার বড় শিক্ষক হল মহাপুরুষদের জীবন।

ফাউলার

১৯৬. ভীরুরা তাদের প্রকৃত মৃত্যুর আগেই বহুবার মরে। কিন্তু সাহসীরা জীবনে মাত্র একবারই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে থাকে।

শেক্সপীয়ার

১৯৭. জগতে যে-সকল মহাপুরুষ জন্মগ্রহণ করেছেন, তাঁদের গৌরবের মূল এই চরিত্রশক্তি। তুমি চরিত্রবান লোক–একথার অর্থ এই নয় যে, তুমি শুধু লম্পট নও। তুমি সত্যবাদী, বিনয়ী এবং স্বাধীনতাপ্রিয় চরিত্রবান মানে এই।

–ডা. লুৎফর রহমান

১৯৮. আমরা নিজেদের ক্ষতি না করে কখনো অন্যের ক্ষতিসাধন করতে পারি না।

ডেসম্যাহিস

১৯৯. মাটির সারই হল মানুষ।

–কাশতকার

২০০. ধনে কি মানুষ বড় মানুষ হয়? ধনের বড় মানুষ কখনোই মনের বড় মানুষ নহে। আমি ধন দেখিয়া তোমাকে সমাদর করিব না, বাহুবলের জন্য তোমাকে সম্ভ্রম করিব না, কেবল মন দেখিয়াই পূজা করিব।

–ডা. লুৎফর রহমান

২০১. পরশ্রীকাতর লোভী ব্যক্তি কখনো শান্তি পায় না।

রাবেয়া বসরি (রহ.)

২০২. একজনমাত্র সাহসী ব্যক্তি সংখাগরিষ্ঠ জনসংখ্যার সমতুল্য।

এন্ড্রু জ্যাকসন

২০৩. পৃথিবীতে জনমত-নির্বিশেষে তিনটি জিনিস সব মানুষকে প্রতিনিয়ত আকর্ষণ করে চলে। তা হল : (ক) যৌনসম্পর্ক। নর-নারীর যৌনসম্পর্কিত বিষয়। (খ) বিষয়, সম্পদ, অর্থ। (গ) ধর্ম বা ধর্মীয় বিষয়মূলক চেতনার বিশ্লেষণ।

–ডেল কার্নেগি

২০৪. আমি মানুষের সঙ্গ পছন্দ করি। তাই নিজেকে দুর্বোধ্য করে তুলতে চাই না।

–সি. কলিন্স

২০৫. সময় এবং পরিবেশ মানুষের দৃষ্টিকে প্রসারিত করে।

এলবার্ট হার্বার্ট

২০৬. সুস্থ চিন্তা নিয়ে অসুস্থ সমাজে বাস করেও তৃপ্তি আছে। স্যা

মুয়েল লাডার

২০৭. বৃদ্ধবয়সের জীবনদান অনেক বেশি রহস্যময়।

–জন ড্রিংক ওয়াটার

২০৮. হিংসুক ব্যক্তি তিন প্রকার কষ্টে নিপতিত হয় ও আত্মদহন, মানুষের ঘৃণা এবং আল্লাহর গজব।

-ইবনে মুয়াইদ

২০৯. মানুষের মনটা মাটির মতো, কিন্তু তা থেকেই ক্রমশ অদ্ভুত এবং সুন্দরতম জিনিস আসে।

–ডব্লিউ. জে. টারনার

২১০. ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি প্রতিটি মানুষের জীবনেই আনন্দ আনে।

টমসন

২১১. কোনো মহৎ লোকের জীবন বৃথা যেতে পারে না। ইতিহাস তাকে পূর্ণ মর্যাদা দান করবে।

কার্লাইল

২১২. অতিরিক্ত পরিশ্রম জীবনে পূর্ণতা আনে সত্যই, কিন্তু আয়ুকে খর্ব করে।

স্কট

২১৩. তোমরা পিতৃ-পিতামহের তাঁবুতে পড়ে থেকে নিদ্রা যেয়ো না। পৃথিবী এগিয়ে চলছে, তার সঙ্গে সঙ্গে এগিয়ে যাও।

–ম্যাজিনি

২১৪. সন্দেহপ্রবণ মন সবসময় পাথরের মতো ভারী থাকে।

ফ্রান্সিস কোয়ারলেস

২১৫. দুনিয়ার সব মানুষ মাটির ভাষায় কথা বলে।

ফ্রিম্যান

২১৬. সমাজসেবার নামে মানুষকে ঠকিও না, এর চেয়ে বড় অন্যায় নেই।

অস্টন

২১৭. মানুষ একই রকম থেকে যায়। এমনকি যখন তার চেহারা শত খণ্ডে ভেঙে পড়ে তখনও।

–বেট্রোল্ট ব্রেখট ২১৮. মানুষ কদাচিৎ একই সঙ্গে সৌভাগ্য ও শুভবুদ্ধি আশীর্বাদস্বরূপ লাভ করে।

–লিভি ২১৯. তিনটি বিশেষ সময়ে তিন প্রকার লোকের প্রয়োজন দেখা যায়? যুদ্ধে বীরপুরুষের, ব্যাপক সংকটের সময় ধৈর্যশীলের এবং বিপদে ভ্রাতার।

ইমাম গাজ্জালি (রহ.)

২২০. আনন্দের সময় মানুষের মুখে খই ফোটে; কিন্তু দুঃখের ক্ষণে কথার/সব হারিয়ে যায়।

–হেসেন হান্ট জ্যাকসন

২২১. অনাবিল সুন্দরের প্রত্যাশা নিয়েই পৃথিবীতে একটি শিশু জন্মগ্রহণ করে।

–ক্রিস্টোফার মারলে

২২২. মানুষেরাও একধরনের কয়েদি; কারণ তারা যা ইচ্ছা তা-ই করতে পারে না।

প্লেটো

২২৩. জীবন হচ্ছে সামান্য জিনিসের বৃহৎ বন্ধন।

–ও. ডব্লিউ হোমস

২২৪. মানুষের বড় সম্পদ হল তার সুনাম।

–শেক্সপীয়ার

২২৫. অসৎলোকের জনপ্রিয়তা নিজের সঙ্গে প্রতারণা করার মতোই দুর্বিষহ।

–রবার্ট লুজেন্টে

২২৬. বিধাতার জন্য কিছু করতে চাইলে মানুষের কল্যাণের জন্য কিছু করো।

–আর. জি. ইংগার সেলি

২২৭. মানুষের কল্যাণের জন্য করা প্রতিটি কাজই সম্মানজনক।

-উইলিয়াম ওয়াটসন

২২৮. তিনটি অভ্যাস মানুষের জীবনকে সুন্দর করে তোলে–(১) জ্ঞানীর সাহচর্য (২) ব্যবহারের আমায়িকতা ও (৩) খরচের ভারসাম্য রক্ষা করা।

জুহাইর

২২৯. অভ্যাসই অভ্যাসকে অতিক্রম করতে পারে।

–আইজ্যাক উইলিয়াম

২৩০. অন্যের কল্যাণ করবার সময় অন্তরে বিশ্বাস রেখো যে, তুমি নিজেরই কল্যাণ সাধন করছ।

–ফারাবি

২৩১. সঙ্গীসাথিরা খারাপ হলে অপরাধপ্রবণতা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে।

–রবার্ট ই. শেরউড

২৩২. হিংসা মানুষকে এমনভাবে ধ্বংস করে, যেভাবে মরিচা লোহাকে ধ্বংস করে।

–ইবনুল খাতিব

২৩৩. একজন লোভী এবং অহংকারী মানুষকে বিধাতা সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করেন।

–জন রে

২৩৪. যার ব্যক্তিত্ব নেই, তাকে কখনো অনুসরণ করার চেষ্টা করবে না।

–লুইস ক্যারল

২৩৫. মাধুর্যমণ্ডিত ব্যক্তিত্বের সংস্পর্শে থেকেও যদি তোমার ব্যবহার মধুর না হয়, তবে তা দুঃখজনক।

–জে. এ. গুডচাইল্ড

২৩৬. যারা নিজেদের নিয়ে সারাক্ষণ ব্যস্ত সমাজ, তাদের কাছ থেকে কিছু আশা করতে পারে না।

–ডা, লুৎফর রহমান

২৩৭. আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে
আসে নাই কেহ অবনী ‘পরে,
সকলের তরে সকলে আমরা
প্রত্যেকে মোরা পরের তরে।

কামিনী রায়

২৩৮. তুমি সবকিছু করে ফেলার পর রয়ে যাও অবিকল তুমি।

–গ্যেটে

২৩৯. তুমি যা তা-ই হও; নিজের চেয়ে উন্নত হওয়ার এটাই প্রথম ধাপ।

–জুলিয়াস হেয়ার এবং অগাস্টাস হেয়ার

২৪০. তুমি কী হতে চাও, সেটা বড় নয়; তুমি কী, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।

–পাবলিলিয়াস সাইরাস

২৪১.–আমার ঘর ভাঙ্গিয়াছে যেবা
আমি বাঁধি তার ঘর,
আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই
যে মোরে করেছে পর।

জসীম উদ্দীন

২৪২. প্রতিভাবান ব্যক্তিরাই ধৈর্য ধারণ করতে পারে।

ই. সি. স্টেটম্যান

২৪৩. মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের নিদর্শন পাওয়া যায় তাদের ভেতরের গুণাবলি থেকে; আর পশু-পক্ষীর শ্রেষ্ঠত্বের নিদর্শন পাওয়া যায় তাদের বাইরের গুণাবলি থেকে।

–রাশিয়ান প্রবাদ

২৪৪. আমি দোষবর্জিত মানুষ নই; আমি অন্যায় করতে পারি–এ-চিন্তা সর্বক্ষণ স্মরণ করতে হবে।

ডব্লিউ. জি. বেনহাম

২৪৫. শান্তিতে প্রতিবেশীর সঙ্গে বসবাস করতে হলে সবসময় তার খোঁজখবর রাখতে হবে।

–জন ক্লার্ক ২৪৬. অসৎ ব্যক্তি সৎ ব্যক্তির কাজের মধ্যে মহৎ উদ্দেশ্য খুঁজে পায় না।

–জন বেকার

২৪৭. পৃথিবীতে দু-ধরনের মানুষ আছে। এদের একদল বেঁচে থাকার জন্য খায়: আর একদল আছে, যারা খাওয়ার জন্য বেঁচে থাকে। পৃথিবীর যা-কিছু মহৎ কাজ, তা প্রথম দলের লোকেরাই করে।

বি. সি. রায়।

২৪৮. সব মানুষেরই কান আছে, কিন্তু সবাই সুষ্ঠুভাবে শুনতে পায় না। তার ফলেই পৃথিবীতে এত অশান্তি।

সিসতো

২৪৯. কুলীনের ঘরে জন্মিলেই সে প্রকৃত কুলীন নয়। যে সব কুলীন করতে পেরেছে–সে-ই প্রকৃত কুলীন।

–আরবি সাহিত্য থেকে

২৫০. মানুষের মধ্যে যদি কৃতজ্ঞতাবোধের অভাব থাকে, তবে সে মানুষ হিসেবে পরিপূর্ণতা লাভ করতে পারে না।

–ওয়াল্ট হুইটম্যান

২৫১. সে-ই যথার্থ মানুষ, যে জীবনে অনেক পরিবর্তন দেখেছে এবং পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেও পরিবর্তিত হয়েছে।

বায়রন

২৫২. বুড়ো মানুষকে কথা বলতে দেওয়া ভালো, তাতে তাদের মনে হবে তারাও বুঝি সংসারের কলে দম দিচ্ছে। বেচারারা জানতে পারে না, তাদের রসনা যেখানে চলছে, সংসার তার থেকে অনেক দূরে চলছে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৫৩. অন্য লোকে মানুষকে যত ঠকায়, মানুষ নিজেই নিজেকে তার চেয়ে বেশি ঠকায়।

গ্রিভিল

২৫৪. নাম মানুষকে বড়ো করে না, মানুষই নামকে জাঁকাইয়া তোলে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৫৫. তিন কারণে মানুষের চরিত্রে পরিবর্তন হয় : রাজার সঙ্গলাভ, ক্ষমতালাভ, দারিদ্রের পর প্রচুর ধনলাভ। এই তিন অবস্থার কোনো এক বা একাধিক অবস্থাসম্পন্ন। হয়েও যদি কোনো ব্যক্তির চরিত্রে পরিবর্তন না হয়, তবে জানবে সে-ব্যক্তি বুদ্ধিমান।

–হযরত আলি (রা.)

২৫৬. মানুষ তার প্রভুত্বকে জাহির করতে ভালোবাসে আর জীবজন্তুরা তা গোপন রাখাই পছন্দ করে।

রাশিয়ান প্রবাদ

২৫৭. মানুষই একমাত্র প্রাণী যে খিদে না পেলেও খায় এবং তৃষ্ণা না পেলেও পানি পান করে।

–অলিভার কুক

২৫৮. মানুষের মধ্যে সাদা-কালোর কোনো তফাত নেই; নেই কোনো তফাত রক্তগত কিংবা বংশগত আভিজাত্যের। কেননা, সব মানুষই এক আল্লাহর সৃষ্টি।

–আল-হাদিস

২৫৯. মানুষ বুড়ো হলেও তার দুটি বিষয় বুড়ো হয় না–ধনসম্পত্তি উপার্জনের লোভ এবং জীবনের আশা।

–আল-হাদিস

২৬০. যুবকেরাই বৃদ্ধদের অবহেলা করে বেশি, শিশুরা তাদের অত্যধিক পছন্দ করে।

–কুপার

২৬১. প্রভাবশালী লোককে সবাই ভয় পায়, কিন্তু কেউ শ্রদ্ধা করে না।

–জন রে

২৬২. মানুষের মৃত্যু আমাকে আঘাত করে না। কিন্তু মনুষ্যত্বের মৃত্যুকে আমি সইতে পারি না।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

২৬৩. মনুষ্যত্বের শিক্ষাটাই চরম শিক্ষা আর সমস্ত শিক্ষাটাই তার অধীন।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৬৪. ভালুক ধরার আগে তার চামড়া বেচো না।

–টমাস ফুলার

২৬৫. রাত নামার আগে প্রশংসা কোরো না দিনের।

–টমাস ফুলার

২৬৬. দূর থেকে মহাপুরুষদের যতই বড় দেখাক না কেন, আমরা যতই তাদের নিকটে আসি এবং যতই তাঁদের সংস্পর্শে আসি, ততই বেশি করে আমরা বুঝতে পারি যে, তাঁরা আমাদের মতোই মানুষ।

–আব্রু ইরে

২৬৭. মানুষের শ্রেণিবিন্যাস একমাত্র তার মর্যাদানুসারেই করা উচিত।

–আর. জি. ট্রেস

২৬৮. মানবতার সেবায় যিনি নিজের জীবন নিঃশেষে বিলিয়ে দিতে পারেন, তিনিই মহামানব।

–আল-হাদিস

২৬৯. পৃথিবীটা আমার দেশ, সমস্ত মানবজাতি আমার ভাই এবং সবার ভালো করাই আমার ধর্ম।

–টমাস পেইন

২৭০. মানুষ নির্মাণ করে প্রয়োজনে, সৃষ্টি করে আনন্দে, বুদ্ধির পরিচয় দেয় জ্ঞানের বিষয়ে, যোগ্যতার পরিচয় দেয় কৃতিত্বে এবং আপনার পরিচয় দেয় সৃষ্টিতে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৭১. একজন মানুষের কাছে তার একমাত্র পথপ্রদর্শক হচ্ছে তার বিবেক। তার মরণোত্তর খ্যাতির একমাত্র ধর্ম হচ্ছে তার সততা এবং তার আচরণের আন্তরিকতা।

–চার্চিল

২৭২. মানুষ যতই ছোট হোক, যতই সে অবজ্ঞাত হয়ে থাকুক, তার মধ্যে অসীম ক্ষমতা, অনন্ত প্রতিভা ঘুমিয়ে রয়েছে–অনুকূল পরিবেশ পেলে তার ভেতরকার রূপ ও মহিমা অনন্ত শিখায় ফুটে উঠবে।

–ডা. লুৎফর রহমান

২৭৩. মানুষকে জানো এবং তাকে মানুষ হিসেবে মর্যাদা দিতে শেখো।

–শেলি

২৭৪. নিশ্চয়ই আমি মানুষকে শ্রেষ্ঠভাবে গড়েছি। তারপর তাকে নীচতম স্তরেও নামিয়েছি। যারা আমাকে বিশ্বাস করে ভালো কাজ করবে, নিশ্চয়ই তাদের জন্য পুরস্কার থাকবে।

–আল-কোরআন

২৭৫. আমি মানুষকে তার কাজের দ্বারা বিচার করতে চাই।

ম্যান কেন

২৭৬. শুধু মানুষেরে পায় না মানুষ
নাহি কারো অধিকার,
মানুষ সবারে পাইল এ ভবে
মানুষ হ’ল না কার।

জসীম উদ্দীন

২৭৭. মানুষমাত্রই আল্লাহর সৈনিক। অসুন্দর পৃথিবীকে সুন্দর করতে, সব নির্যাতন, সব অশান্তি থেকে মুক্ত করতেই মানুষের জন্ম।

কাজী নজরুল ইসলাম

২৭৮. বৃদ্ধ বয়স ও সময়ের অগ্রগতি মানুষকে অনেককিছু শেখায়। –

-সোফোক্লেস

২৭৯. বাপ-মা তোমার যে-নাম রেখেছেন সে শুধু অন্যের থেকে পৃথক করে ডাকবার উপায়। পৃথিবীর কাছে তোমর মনুষ্যত্বের পরিচয় হচ্ছে তোমার সত্যিকারের নাম।

–পারস্য উপদেশ

২৮০. ব্যক্তিগত স্বাধীনতা মানুষের সুখ ও মর্যাদার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয়।

বুলওয়ার লিটন

২৮১. আমাদের কোনো ভরসা নেই। প্রাকৃতিক বিশ্বে আমাদের জন্য এতটুকু সুখের স্থান নেই। তথাপি মানুষ হয়ে জন্মেছি বলে আমরা দুঃখিত নই। পশু হিসেবে বেঁচে থাকার চেয়ে মানুষ হিসেবে মরে যাওয়া অনেক ভালো।

কুচ

২৮২. উপরে উঠতে হলে আগে নিচে নামুন।

–জর্জ এড

২৮৩. মানুষ কোনো বিষয় থেকে বাস্তবতাকে মুছে দিয়ে তাকে সংস্কার করে, এরপর আর বুঝতে পারে না এই অলীক জিনিসটা নিয়ে সে কী করবে।

–জি. কে. চেস্টারটন

২৮৪. জাতি ধর্ম রাষ্ট্র ন্যায়
যে মানুষের তরে।
মানুষ সবার উর্ধ্বে,
নহে কিছু তার অধিক।

–সুফী মোতাহার হোসেন

২৮৫. যুবকরাই হচ্ছে গোটা সমাজের সবচেয়ে সক্রিয় আর সবচেয়ে সজীব শক্তি। তবে অবশ্যই বৃদ্ধ ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে যুবকদের শিক্ষাগ্রহণ করতে হবে।

–মাও সে-তুং

২৮৬. আয় ছুটে ভাই, হিন্দু-মুসলমান,
ঐ দেখ ঝরছে মায়ের দু’নয়ান।
আজ এক করে দে সন্ধ্যা নামায
মিশিয়ে দে আজ, বেদ-কোরান।

–রজনীকান্ত সেন

২৮৭. যে-লোক মানবতার শর্তগুলো নিয়ে সবসময় পীড়িত, হয় তার নিজের কোনো সমস্যা নেই, নয়তো সেটির মুখোমুখি হতে চায় না।

–হেনরি মিলার

২৮৮. দানবের সঙ্গে যে যুদ্ধ করে তার খেয়াল রাখা উচিত এভাবে যেন সে নিজেই দানব না হয়ে ওঠে।

–নিৎসে

২৮৯. আজকের মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় প্রয়োজন সর্বজাতীয় সমঝোতার। মানুষে-মানুষে বোঝাঁপড়া যেমন প্রয়োজন, তার চেয়ে বহুগুণে বেশি প্রয়োজন তেমনি জাতিতে জাতিতে বোঝাঁপড়া।

মুহাম্মদ মনসুরউদ্দীন

২৯০. সমাজসংস্কারকদের সবসময় গোড়ার দিকে দৃষ্টি রাখতে হয়। কারণ মূল উৎপাটন করতে না পারলে কোনো সমস্যার সমাধান স্থায়ী হয় না।

–জেফারসন

২৯১. কোনো মানুষেরই মনটা ষোল আনা তার নিজের নয়, তবে তার পনের আনা সমাজের।

–নরেশ গুপ্ত

২৯২. সমাজ যতই অগ্রসর হয় ততই অনধিকারী এবং অধিকারী, রসিক এবং অরসিক–এই দুই সম্প্রদায়ের সৃষ্টি হতে থাকে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৯৩. বাল্যকাল দেখলেই বোঝা যায় ছেলেটি ভবিষ্যতে কী ধরনের মানুষ হবে, যেমন সকাল দেখলেই বোঝা যায় দিনটা কেমন যাবে।

–মিল্টন

২৯৪. একজন লোককে খুন করলে কোনো ব্যক্তি খুনি বলে চিহ্নিত হয়, কিন্তু যে শত মানুষ খুন করে সে বীররূপে আখ্যায়িত হয়।

–পোরটেস

২৯৫. প্রাণী হিসেবে মানুষ একটা Species বা প্রজাতি। এ কারণে মানুষমাত্রেরই জীবন-চেতনায় কতকগুলো মৌলিক ঐক্য রয়েছে। ঘৃণায় ও ভালোবাসায়, লোভে ও ত্যাগে, ক্ষমায় ও প্রতিহিংসায়, সমাজবিরোধে ও সহযোগিতায়, দায়িত্ব সচেতনতায় ও কর্তব্যবোধে, দ্বন্দ্বে ও সংগ্রামে মানুষ প্রায় সর্বত্রই অভিন্ন। জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও বোধের তারতম্য বা মতভেদ আছে মাত্র।

–ড. আহমেদ শরীফ

২৯৬. অভিজ্ঞতা আমাদের দুটো জিনিস শিক্ষা দেয়। প্রথমটি হল, শুধরে নেয়ার জন্যে বহু জিনিস বাকি রয়ে গেছে আমাদের; দ্বিতীয়টি হল, খুব বেশি পরিমাণে শোধরানো আমাদের উচিত নয়।

দেলাক্রোয়া

২৯৭. লোকদের সুখী করবার জন্যে যারা নিজেরাই দায়িত্ব তুলে নেয়, প্রতিবেশীদের জীবন তারাই দুর্বিষহ করে তোলে সবচেয়ে বেশি।

–আনাতোল ফ্রাস

২৯৮. কিছু-কিছু ভুল আছে যা প্রতিটি রক্তমাংসের মানুষই করে থাকে। স্যামুয়েল ২৯৯. চরম ধ্বংসের মধ্যে দাঁড়িয়ে মানুষ মহৎ দৃষ্টান্ত রেখে যেতে পারে।

হান্নামুর

৩০০. যিনি ভালো লোক নন, তিনি কখনোই মহৎ লোক হতে পারেন না।

শেক্সপীয়ার

৩০১. কিছু লোক আছে যারা মহৎ হয়েই জন্মায়, কিছু লোক আছে যারা মহত্ত্ব অর্জন করে এবং কিছু লোক আছে যাদের উপর মহত্ত্ব অর্পিত হয়।

শেক্সপীয়ার

৩০২. মানুষকে তার প্রকৃত প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত কোরো না। আর কুকাজ করে দেশে কোনোরকম অশান্তি সৃষ্টি করবে না।

–আল-কোরআন

৩০৩. মানুষের মধ্যে সে-ই সর্বোত্তম, যে উপদেশসমূহ অনুসরণ করে চলে।

জুবার্ট

৩০৪. সমস্ত সংস্কারই চরিত্র পায় উৎকাল্পনিক রণকৌশল আর কূটকৌশলগত সুযোগ-সন্ধানের মধ্য দিয়ে।

–ফরাসি ছাত্র বিদ্রোহীদের দেয়াল-লিখন

৩০৫. অন্যদের যদি তুমি পরিচ্ছন্ন করতে চাও, তা হলে নিজেই ক্ষয়ে যাবে, সাবানের মতো।

মাদাগাস্কারীয় প্রবাদ

৩০৬. হে খোদা, তুমি দুষ্ট প্রকৃতির লোকদের উপর করুণাবর্ষণ করো। কারণ, যারা ভালো, তারা তোমার করুণা ছাড়া ভালো হয়নি।

–শেখ সাদি

৩০৭. আমি সেরকমই মানুষ, যেরকম করে আমার মা আমাকে তৈরি করেছেন।

ইমারসন

৩০৮. মানুষের জীবন সংক্ষিপ্ত আর কর্ম ব্যাপক।

–জন গে

৩০৯. মানুষের মধ্যে যখন লজ্জা বলতে আর কিছু অবশিষ্ট থাকে না, তখনই সে পশুতে পরিণত হয়।

–এডিউ ল্যাং

৩১০. যুগের দুঃসময় তখনই আসে যখন সমাজ যুবকদের আশা-আকাঙ্ক্ষা, ব্যথা বেদনা স্বপ্নকে উপেক্ষা করতে থাকে।

–জর্জ চ্যাপমেন

৩১১. মানুষের পরশেরে, প্রতিদিন
ঠেকাইয়া দূরে,
ঘৃণা করেছ তুমি মানুষের প্রাণের ঠাকুরে।
বিধাতার রুদ্ররোষে
দুর্ভিক্ষের দ্বারে বসে
ভাগ করে খেতে হবে সকলের সাথে অন্ন পান
অপমানে হতে হবে তাহাদের সবার সমান।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩১২. মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে মানুষ প্রকৃতি শত্রুতা করলে তার বিনিময়ে সে কিছু দেয়। কিন্তু মানুষের শত্রুতা মানুষকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়।

স্যার রিচার্ড বার্টন

৩১৩. সকল মানুষই একে অপরের অঙ্গবিশেষ। কেননা তারা একই উপাদানে সৃষ্ট।

–শেখ সাদি

৩১৪. বিকাশের প্রধানতম শর্ত নিহিত থাকে মানবীর পছন্দের ভেতরে।

–জর্জ এলিয়ট

৩১৫. সর্পের চক্ষুর আকর্ষণে আকৃষ্ট হইয়া বনের পশু যেমন অবশভাবে তাহার দিকে ছুটিয়া যায়, তেমনি উড্রান্ত হইয়া সংসারের মানুষ দিনরাত স্বার্থের পশ্চাতে ছুটিয়া বেড়াইতেছে।

–এয়াকুব আলী চৌধুরী

৩১৬. ধর্ম নাই, পাপ-পুণ্য নাই, ন্যায় নাই, বিচার নাই, সকাল ছয়টা হইতে রাত দশটা পর্যন্ত সংসারের মানুষ পৃথিবীর বুকে রক্তলোলুপ ব্যাঘ্রের ন্যায় ছুটাছুটি করিয়া বেড়াইতেছে–কিসে সংসারে দু’টি পয়সা আয় হয়–কিসে বড় হওয়া যায়।

–এয়াকুব আলী চৌধুরী

৩১৭. মানুষের যত প্রকার শক্তি আছে, তন্মধ্যে চিন্তাশক্তি প্রধান। এই শক্তির দ্বারা মানুষ দেবত্ব লাভ করিতে পারে–অসাধ্য সাধন করিতে পারে এবং সর্বজয়ী হইতে পারে। চিন্তার গভীরতা এবং ঐকান্তিকতার উপর তাহার ফলাফল নির্ভর করে।

শ্রীক্ষিতিনাথ ঘোষ

৩১৮. যে-ব্যক্তি সাম্প্রদায়িকতা করে সে মনুষ্য নামের উপযোগী নয়।

–বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব

৩১৯. অন্যের নিকট হাত পাতার ফলে মানুষের সর্বোত্তম সম্পদ বিনষ্ট হয়ে যায়। সে-সম্পদ হচ্ছে আত্মমর্যাবোধ।

–হযরত আলি (রা.)

৩২০. মনের মানুষ মেলে না সংসারে, মানুষের মন তাই সঙ্গীহীন। আসলে আমরা সবাই একা। মানুষের সঙ্গে মানুষের মিলন হয় বাইরের প্রয়োজনে–বন্ধুত্বের প্রয়োজনে, সৃষ্টির প্রয়োজনে, স্বার্থের প্রয়োজনে।

–প্রবোধকুমার সান্যাল

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *