০১. শিক্ষা ও জ্ঞান-বিজ্ঞান

শিক্ষা ও জ্ঞান-বিজ্ঞান
বাণী চিরন্তন
সংগ্রহ ও সম্পাদনা – ভবেশ রায় এবং মিলন নাথ

১. মহামানবের মাধ্যমে আল্লাহ্র প্রথম বাণী ও পড়ো।

–আল-কোরআন

২. বিদ্যান্বেষণের জন্যে যদি সূদূর চীনেও যেতে হয়, তবে সেখানে যাও।

–আল-হাদিস

৩. জ্ঞানের ন্যায় পবিত্র বস্তু জগতে আর কিছুই নেই।

শ্রীমদ্ভগবত গীতা

৪. নগরের দশজন বীরপুরুষের চেয়েও জ্ঞানী একজন মানুষ বেশি শক্তিশালী।

বাইবেল

৫. যে শিক্ষা গ্রহণ করে, তার মৃত্যু নেই।

–আল-হাদিস

৬. বিদ্যা অর্জন করো; কারণ যে-ব্যক্তি বিদ্যা অর্জন করে সে ধর্মকর্ম করছে। যে ব্যক্তি বিদ্যাচর্চা করে, সে আল্লাহর প্রশংসাই করছে। যে-ব্যক্তি বিদ্যা অন্বেষণ করে, সে খোদার ইবাদত করছে।

–আল-হাদিস

৭. জ্ঞানই শক্তি।

হম্বল

৮. শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জন উপাসনার চেয়ে হাজার গুণ ভালো। জর্জ ব্রাউনিং ৯. অশিক্ষিত সন্তানের চেয়ে সন্তান না-থাকা ভালো।

জন হেড

১০. সুশিক্ষিত মানেই স্বশিক্ষিত।

–প্রমথ চৌধুরী

১১. জ্ঞান অন্বেষণ করা প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ ও নারীর অবশ্যকর্তব্য।

–আল-হাদিস

১২. অজ্ঞের পক্ষে নীরবতাই হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম পন্থা। এটা যদি সবাই জানত তা হলে কেউ অজ্ঞ থাকত না।

শেখ সাদি

১৩. দেশে সর্বজনীন শিক্ষার প্রয়োজন। শিক্ষা ছাড়া গণতন্ত্র অচল।

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

১৪. অজ্ঞতার দ্বারা কোনো প্রশ্নের সমাধান হয় না।

ডিজরেইলি

১৫. অজ্ঞতা কারাবাসের সমতুল্য।

কার্ভেন্টিস

১৬. অভিজ্ঞতা হল সবচেয়ে বড় স্কুল-শিক্ষক; আর এই স্কুলের বেতনের হার খুব চড়া।

কার্লাইল

১৭. বছর হিসেবে অভিজ্ঞতার হিসেব করা অর্থহীন।

ইরাসস

১৮. অভিজ্ঞতাকে সঞ্চয় করে অনেক মহৎ কাজ করা যায়।

জোসেফ রক্স

১৯. যে নিজেকে চিনতে পেরেছে, সে আল্লাহতাআলাকে চিনতে পেরেছে।

–আল-হাদিস

২০. যে-মানুষ কুশিক্ষা পেয়েছে, সে-মানুষ নিকৃষ্ট; আর যে-মানুষ সুশিক্ষা পেয়েছে, সে-মানুষই শ্রেষ্ঠ।

–আল-হাদিস

২১. যে কাজ করে, তাকে বিশ্বাস করতে হয়; যে গবেষণা করে, তাকে সন্দেহশীল হতে হয়; আর যে বিজ্ঞানের সন্ধানী সে যুগপৎ কর্মী ও গবেষণাকারী।

চার্লস এস. পিয়ার্স

২২. শিক্ষকের মনে আগুন না থাকলে ছাত্রদের মনে আগুন জ্বালাবে কে? তাই সমস্ত শিক্ষাসংস্কারের গোড়ার কথা আদর্শবাদী এবং প্রাজ্ঞ শিক্ষক।

হুমায়ুন কবির

২৩. যে-ব্যক্তির আত্মা হতে অপর আত্মায় শক্তি সঞ্চারিত হয়, তাকে গুরু বলে।

স্বামী বিবেকানন্দ

২৪. গুরু-শিষ্যের আত্মার সম্বন্ধের ভেতর দিয়েই শিক্ষাকার্য সজীব দেহের শোণিত স্রোতের মতো চলাচল করতে পারে। কারণ, শিশুদের লালন-পালন ও শিক্ষণের যথার্থ ভার পিতামাতার উপর। কিন্তু পিতামাতার সে যোগ্যতা অথবা সুবিধা না থাকাতেই অন্য উপযুক্ত লোকের সহায়তা আবশ্যক হয়ে ওঠে। এমন অবস্থায় গুরুকে পিতা-মাতা না হলে চলে না।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৫. গায়ের জোরে সব হতে পারে, কিন্তু গায়ের জোরে গুরু হওয়া যায় না।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৬. জ্ঞানের উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি শুধুমাত্র চর্চার মাধ্যমেই ঘটে।

টমাস ফুলার

২৭. যে-কোনো শিক্ষাই চর্চা ব্যতীত বলিষ্ঠ হয় না।

ল্যাগল্যান্ড

২৮. ছাত্রজীবনের মতো মধুর জীবন আর নেই। এ কথাটা বিশেষ করে বোঝা যায় তখন, যখন ছাত্রজীবন অতীত হয়ে যায়; আর তার মধুর ব্যথাভরা স্মৃতিটা একদিন হঠাৎ অশান্ত জীবনযাপনের মাঝে ঝকঝক করে ওঠে।

কাজী নজরুল ইসলাম

২৯. অপরাধ করা ছাত্রদের এবং ক্ষমা করা শিক্ষকের ধর্ম।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩০. জানা সত্ত্বেও মেনে না-চলার চেয়ে না-জানাই ভালো।

টেনিসন

৩১. জ্ঞানই মানুষের গৌরব। শিক্ষাই মানুষের বিবেক। বিবেকই মানুষের মুনষ্যত্ব।

মহাত্মা গান্ধী।

৩২. আমরা কেবল আমাদের অতীত স্মৃতিমন্থনে জ্ঞানী হই না। জ্ঞানী হই আমাদের ভবিষ্যতের দায়িত্ব দ্বারা।

বার্নার্ড শ

৩৩. সূর্যের আলোতে যেমন পৃথিবীর সবকিছু ভাস্বর হয়ে ওঠে, জ্ঞানের আলোতে তেমনি জীবনের সকল অন্ধকার আলোতে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে।

অজ্ঞাত

৩৪. স্বাধীন যুক্তিবিচার ছাড়া কোনো জ্ঞানসাধনাই সার্থক হতে পারে না।

আবুল ফজল

৩৫. আমার জ্ঞান আর কিছুই নয়, কেবল সঞ্চিত অভিজ্ঞতা।

অ্যারিস্টটল

৩৬. মহাজ্ঞানীর মাথা বিনীত সতত
ফলভারে শাখা যথা
থাকে অবনত।

শেখ সাদি

৩৭. বোকা ব্যক্তি সম্পদ পেয়ে যতখানি খুশি হয়, জ্ঞানী ব্যক্তি জ্ঞান আহরণ করে তার চেয়ে অনেক বেশি সুখ ও আনন্দ লাভ করে।

বেকন

৩৮. জ্ঞানীরা ধনসঞ্চয় করেন অর্থপিশাচদের মুখাপেক্ষী না হওয়ার জন্য।

অ্যারিস্টটল

৩৯. বিধাতা সকল সময় জ্ঞানী লোকদের পক্ষে থাকেন।

মাইকেল ডেটন

৪০. যে-নদী গভীর বেশি, তার বয়ে যাওয়ার শব্দ কম।

জন লিডগেট

৪১. জ্ঞানের সঙ্গে সঙ্গে আত্মা নূতন নূতন প্রেরণা লাভ ও সংগ্রাম করতে শেখে। মূর্খ আত্মার চিন্তা ও সংগ্রামের মূল্য নাই।

–ডা. লুৎফর রহমান

৪২. নিজের অজ্ঞতা সম্বন্ধে অজ্ঞতার মতো অজ্ঞান আর কিছু নেই।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৪৩. অতিশয় অপরাধী লোকেরা কখনো জ্ঞানী হয় না।

টমাস ক্যাম্পবেল

৪৪. অভিজ্ঞতার অনুপাতে নয়, বরং অভিজ্ঞতা অর্জনের ক্ষমতার অনুপাতেই মানুষ জ্ঞানী।

বার্নার্ড শ

৪৫. কোনোকিছু শোনামাত্রই যে তাতে বিশ্বাস স্থাপন করে–সে সবচেয়ে নির্বোধ। জ্ঞানীরা শোনামাত্রই বিশ্বাস করে না, খতিয়ে দেখে।

বুল বার্টন

৪৬. আমি এমন একটা রাজ্যের স্বপ্ন দেখি, যে-রাজ্যে বোকা নেই।

টমাস ফুলার

৪৭. অজ্ঞ থাকার চেয়ে না জন্মানোই ভালো, কারণ অজ্ঞতা সব দুর্ভোগের মূল স্বরূপ।

প্লেটো

৪৮. জ্ঞানী লোকেরা নিজেরা যেমন কম ভোগে, তেমনি তাদের সুপরামর্শ অন্যকেও কম ভুগতে সাহায্য করে।

হিউম

৪৯. বোকা বা নির্বোধের কাছ থেকে জ্ঞানী লোকেরা বেশি জ্ঞান লাভ করে এবং জ্ঞানী লোকদের দেখে বোকারা কম জ্ঞান লাভ করে।

বাটো

৫০. বোকারা দুর্ভাগ্যোর মাধ্যমেই জ্ঞান লাভ করে।

ডেমোক্রিটাস

৫১. ইচ্ছে করলে জ্ঞানী হওয়া যায় না, খুব বেশি হলে ধূর্ত হওয়া যায়।

স্যামুয়েল জনসন

৫২. যতদিন স্ত্রীশিক্ষা সমাজে প্রচলিত করা না হইতেছে, ততদিন মুসলমানদের মধ্যে কুসংস্কারের আবর্জনা দূর হইবে না, এবং তাহা না হইলে সমাজে উন্নতি একেবারেই অসম্ভব।

কাজী ইমদাদুল হক

৫৩. অজ্ঞ মানুষেরা নিয়ম মেনে চলে আর জ্ঞানবানরা নিয়ম তৈরি করে।

ক্লাইডিয়ান

৫৪. মূর্খতার চেয়ে বড় পাপ নেই।

সহল ইবনে আব্দুল্লাহ

৫৫. নতুন কিছু জানার যেমন যন্ত্রণা আছে, তেমনি আনন্দও আছে।

ক্রিস্টোফার মর্লি

৫৬. অবশ্য নবীগণ উত্তরাধিকার হিসাবে কোনো স্বর্ণ বা রৌপ্য রেখে যাননি, রেখে গেছেন শুধু জ্ঞান। সুতরাং যে জ্ঞানলাভ করে, সে-ই ভাগ্যবান।

–আল-হাদিস

৫৭. যখন থেকে কল হল বাণিজ্যের বাহন তখন থেকে বাণিজ্য হল শ্রীহীন। প্রাচীন ভেনিসের সঙ্গে আধুনিক ম্যাঞ্চেস্টারের তুলনা করলেই তফাতটা স্পষ্ট দেখতে পাওয়া যাবে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৫৮. নির্ভুল কল ও ভ্রান্ত মানুষের মধ্যে যদি পছন্দ করিয়া লইতে হয় তবে মানুষকেই বাছিতে হয়। ভ্রম হইতে অনেক সময় সত্যের জন্ম হয়, কিন্তু কল হইতে কিছুতেই মানুষ বাহির হয় না।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৫৯. কলমকে হৃদয়ের জিহ্বা বলা যায়।

কার্ভেন্টিস

৬০. অজানাকে জানার জন্য মানুষের কৌতূহল এবং এই কৌতূহল থেকেই বিজ্ঞানের যাত্রা শুরু।

ইমারসন

৬১. হাতে কলম, পেটে বিদ্যা থাকলেই লেখা যায় না, প্রতিভা ও মগজ থাকা চাই।

গুন্টার গ্রাস

৬২. আমার মস্তিষ্ক আছে, হাতে আছে একখানা ভালো কলম, আমার ভাবনা কী?

ফ্রাঙ্কলিন

৬৩. কলম হল যন্ত্রপাতির মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক; একটা তরবারির চেয়ে ধারালো, লাঠি বা লোহার শলাকার চেয়েও ভয়াবহ।

জন টেইলার

৬৪. অজ্ঞতা থেকেই সর্বপ্রকার কুসংস্কার জন্মে থাকে।

সক্রেটিস

৬৫. কুসংস্কারজনিত কারণে অন্ধকারাচ্ছন্ন যার জীবন, তার জীবনে আলোর প্রবেশ ঘটানো কষ্টসাধ্য ব্যাপার।

উইলিয়াম হ্যাজলিট

৬৬. কুসংস্কার মানুষের জীবনে অনেক বিপদ ডেকে আনতে পারে। জর্জ লিলি

৬৭. কোনো চিন্তাবিদ বলেছেন–কুসংস্কার দূর করার চেয়ে পরমাণু বিচূর্ণ করা অনেক সহজতর।

গর্ডন এলপোর্ট

৬৮. অজ্ঞতার বাচ্চাকেই কুসংস্কার বলা হয়ে থাকে।

হেজলিট

৬৯. শিক্ষা ও জ্ঞানের আলো ব্যতীত কুসংস্কারের অন্ধকার দূর হয় না।

আবুল ফজল

৭০. সুশিক্ষিত মানুষ সর্বশ্রেষ্ঠ এবং অশিক্ষিত মানুষ সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট। যে-ব্যক্তি শিক্ষিতের সমাদর করে, সে আমাকেই (আল্লাহ) সমাদর করে।

–আল-হাদিস

৭১. জ্ঞানবানেরা যুক্তি ও বিবেক দ্বারা চালিত হয়। অজ্ঞ আর নির্বোধেরা আবেগ দ্বারা তাড়িত হয়।

আবুল ফজল

৭২. আদর্শ বিদ্যালয় যদি স্থাপন করিতে হয় তবে লোকালয় হইতে দূরে নির্জন মুক্ত আকাশ ও উদার প্রান্তরে গাছপালার মধ্যে তার ব্যবস্থা করা চাই। সেখানে –অধ্যাপকগণ নিভৃতে অধ্যয়ন করা ও অধ্যাপনায় নিযুক্ত থাকিবেন এবং ছাত্রগণ সেই জ্ঞানচর্চার যজ্ঞক্ষেত্রের মধ্যেই বাড়িয়া উঠিতে থাকিবে।

অজ্ঞাত

৭৩. যদি সম্ভব হয় তবে এই বিদ্যালয়ের সঙ্গে খানিকটা ফসলের জমি থাকা আবশ্যক। এই বিদ্যালয় হইতে বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় আহার্য সংগ্রহ হইবে, ছাত্ররা চাষের কাজে সহায়তা করিবে। দুধ, ঘি প্রভৃতির জন্য গোরু থাকিবে এবং গো-পালনে ছাত্রদিগকে যোগ দিতে হইবে। পাঠের বিশ্রামকালে তাহারা স্বহস্তে বাগান করিবে, গাছের গোড়া খুঁড়িবে, গাছে জল দিবে, বেড়া বাধিবে। এইরূপে তাহারা প্রকৃতির সঙ্গে কেবল ভাবের নহে কাজের সম্বন্ধও পাতাইতে থাকিবে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৭৪. পাঠের অভ্যাস হচ্ছে একমাত্র আনন্দ যার মধ্যে কোনো খাদ নেই। অন্যসব আনন্দ যখন মিলিয়ে যায়, এ-আনন্দ তখনও টিকে থাকে।

অ্যান্থনি ট্রালোপ

৭৫. জ্ঞান মুসলমানদের হারানো ধন, যেখানে যে তা পাবে, সে তার পাওনাদার।

–আল-হাদিস

৭৬. মহৎ ব্যক্তিদের আত্মজীবনীগুলো প্রত্যেকের পাঠ করা উচিত।

ডোরান

৭৭. আমার ব্যাপারে যদি জিজ্ঞাসা কর তা হলে আমি জানি যে, আমি কিছুই জানি

সক্রেটিস

৭৮. মূর্থের উপাসনা অপেক্ষা জ্ঞানীর ন্দ্রিা শ্রেয়।

–আল-হাদিস

৭৯. দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত জ্ঞান অন্বেষণ করো।

–আল-হাদিস

৮০. জ্ঞানসাধকের দোয়াতের কালি শহীদের রক্তের চাইতেও পবিত্র।

–আল-হাদিস

৮১. কুসংসর্গে বাস করা অপেক্ষা একা বসিয়া থাকা শ্রেয় এবং একাকী বসিয়া থাকা অপেক্ষা সৎসঙ্গে থাকা ভালো। অসৎ বাক্যলাপ হইতে মৌনতাব্ৰত শ্রেয়তর এবং মৌব্রতের চাইতে বিদ্যানেষীর সহিত বাক্যালাপ শ্রেয়।

–আল-হাদিস

৮২. বিদ্যার মতো চক্ষু আর নেই, সত্যের চেয়ে বড় তপস্যা আর নেই।

–আল-হাদিস

৮৩. মূখের জ্ঞান শোনার চেয়ে জ্ঞানীর ভৎর্সনাও অনেক ভালো।

বাইবেল

৮৪. অজ্ঞতা যে কষ্ট আনে, অজ্ঞ লোকেরা অজ্ঞতার কারণে তা বুঝতে পারে না।

অজ্ঞাত

৮৫. আমরা যতই অধ্যয়ন করি, ততই আমরা আমাদের অজ্ঞতাকে আবিষ্কার করি।

শেলি

৮৬. একজন ঘুমন্ত ব্যক্তি আরেকজন ঘুমন্ত ব্যক্তিকে জাগ্রত করতে পারে না।

শেখ সাদি

৮৭. পৃথিবীতে মানুষ কী করিয়াছে ও কী করিতে পারে, তাহা না জানা মানুষের শোচনীয় অজ্ঞতা।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৮৮. অজ্ঞতার দ্বারা কোনো প্রশ্নের মীমাংসা হয় না।

ডিজরেইলি

 ৮৯. অভিধান-ব্যাকরণ অর্থের লোহার সিন্দুক–তাহারা অর্থ দিতে পারে না, বহন করিতে পারে মাত্র। চাবি লাগাইয়া সেই অর্থ লইতে হয়।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৯০. এ জগতে তুমি মানুষকে যা কিছু দাও না, জ্ঞান দান অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ দান আর নেই। পতিতকে পথ দেখানো, জ্ঞানান্ধকে জ্ঞান দান করাই শ্রেষ্ঠ ধর্ম।

–ডা. লুৎফর রহমান

৯১. ধারণা আগে, তারপর আবিস্কার তথা বৈজ্ঞানিক সত্য।

অ্যারিস্টটল

৯২. আমাদের মধ্যে যাহা কিছু অমর এবং আমাদিগকে যাহা কিছু অমর করিবে সেই সকল মহাশক্তিকে ধারণ করিবার, পোষণ করিবার, প্রকাশ করিবার এবং সর্বত্র প্রচার করিবার একমাত্র উপায় মাতৃভাষা।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৯৩. শিক্ষায় মাতৃভাষাই মাতৃদুগ্ধ।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৯৪. মায়ের মুখের ভাষাকে আমি যেমন শ্রদ্ধা করি, তেমনি তার অশ্লীল প্রয়োগকে মনে-প্রাণে ঘৃণা করি।

টমাস ডিব ডিন

৯৫. মাতৃভাষা হচ্ছে মন্দিরের মতো পবিত্র, যার পবিত্রতা রক্ষার জন্য জীবন পণ করতে দ্বিধা করা উচিত নয়।

আরসি. ট্রেন্স

৯৬. মাতৃভাষার দাবি স্বভাবের দাবি, ন্যায়ের দাবি, সত্যের দাবি–এ দাবির লড়াইয়ে, কোনো আপোস চলে না। মৃত্যুর কুটি উপেক্ষা করেই তার সম্মুখীন হতে হয়।

আবুল ফজল

৯৭. তুমি যত বড় পণ্ডিত ব্যক্তি হও না কেন, নিজের জীবনে তার প্রতিফলন ব্যতীত তুমি মূর্খ।

–শেখ সাদি

৯৮. যারা লেখপড়া জানে না, তারাই শুধু মূর্খ নয়, যারা জানতে বুঝতে চায় না, যারা প্রশ্ন করতে পারে না, যাদের জ্ঞানতৃষ্ণা নেই–তারাও মূর্খ।

মহাশ্বেতা দেবী

৯৯. মূখের সঙ্গে বন্ধুত্ব কোরো না, সে তোমার উপকারের চেষ্টা করে তোমার ক্ষতি করবে।

–হযরত আলি (রা.)

১০০. যারা কুসংস্কারে বিশ্বাসী, তারা শিক্ষিত হলেও মূর্খ।

–এডি ফিশার

১০১. মানুষের সত্যজ্ঞান এক-একটি মতবাদকে আশ্রয় করে নিজেকে প্রকাশ করতে চেষ্টা করে। কিন্তু সেই মতবাদটি সত্যের শরীর, সুতরাং এক হিসাবে সত্যের চেয়ে অনেক ছোট এবং অসম্পূর্ণ।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১০২. কোনো মতবাদই দাবি করতে পারে না যে একমাত্র তাদের বিচারবুদ্ধি অভ্রান্ত। আমরা সকলেই ভুল করতে পারি এবং প্রায়ই আমাদের পূর্বের অভিমত পালটাতে হয়।

–মাহাত্মা গান্ধী

১০৩. মতবাদীকে হত্যা করা যায়, মতবাদকে নয়।

–ড. আহমদ শরীফ

১০৪. মনের সত্যিকার ঔষধ হচ্ছে দর্শন।

সিসেরো

১০৫. কোনো ধারণাই এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় অন্তরিত হবার সময় পরিবর্তিত হয়ে পারে না।

মিগুয়েল দে উনামুনো

১০৬. সকল মহৎ ধারণাই বিপজ্জনক।

–অস্কার ওয়াইল্ড

১০৭. চিন্তাকারী মারা যায়, কিন্তু তার চিন্তাসমূহ অবিনশ্বর। মানুষ মরণশীল, কিন্তু ধারণাসমূহ অমর।

–ওয়াল্টার লিপম্যান

১০৮. একজন লোক মারা যেতে পারে, জাতিসমূহের উত্থান ও পতন ঘটতে পারে, কিন্তু একটি ধারণা বেঁচে থাকে।

–জন এফ কেনেডি

১০৯. খারাপ ধারণার বিরুদ্ধে একমাত্র নিশ্চিত অস্ত্র হচ্ছে উন্নততর ধারণা।

হুইটনি গ্রিসওল্ড

১১০. ধারণা নিয়ত পরিবর্তনশীল। তবু বৈজ্ঞানিক সত্য সন্ধানে ধারণার গুরুত্ব অপরিসীম।

বার্ট্রান্ড রাসেল

১১১. দেখবার জন্য আমাদের চোখের যেমন আলোর প্রয়োজন, ঠিক তেমনি কোনো প্রত্যয় অর্জন করবার জন্য আমাদের ভাবনায় প্রয়োজন ধারণা।

–নিকোলাস খাব্রাশ

১১২. ধারণা কোনো বৈজ্ঞানিক সত্য নয়, তবু কেউ কেউ উদ্দেশ্যমূলকভাবে অনেক বৈজ্ঞানিক ধারণাকে বৈজ্ঞানিক সত্য বলে চালিয়ে দিতে চায়, যা নাকি পরবর্তীকালে অসত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে, হতে পারে বা হয়।

–জন লক

১১৩. যদি তা সঠিক হয় তবে মাত্র একটি ধারণা আমাদের বহুসংখ্যক অভিজ্ঞতা অর্জনের শ্রম থেকে বাঁচিয়ে দেয়।

–জ্যাক মারিতা

১১৪. সার্বিক ও বিমূর্ত ধারণাগুলো মানবজাতির সবচেয়ে ভুলের উৎস।

–রুশো

১১৫. মহৎ ধারণাগুলো দাঁতব্য নয়।

–আরি দ্য থারলা

১১৬. অজানাকে জানতে চাওয়া, অদেখাকে দেখতে পাওয়া, অশ্রুতকে শুনতে পারা, অভাবিতকে ভাবতে পারা, অস্বাভাবিককে স্বাভাবিক করে তোলা, গোঁড়ামি, অন্ধতা ও কুসংস্কার থেকে মানুষকে মুক্তির পথ বাতলানো–একমাত্র দার্শনিকের পক্ষেই সম্ভব।

আবুল ফজল

১১৭, দুর্যোগের পূর্বাভাস দানের ক্ষমতা–এ বিজ্ঞান ও মানুষেরই জয়যাত্রার প্রমাণ।

–কাম্বারল্যান্ড

১১৮. সত্যিকার দুশ্চিন্তাগ্রস্ত সেই ব্যক্তি যার কোনো সুচিন্তা নেই।

–ওসমান হারুনি

১১৯. কোনো বিষয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট জ্ঞান লাভ না করে তা অনুসরণ করা উচিত নয়।

কার্লাইল

১২০. প্রকৃত জ্ঞানী ব্যক্তিরা অদৃশ্যকেও দেখতে পান।

–এলিনস্কি

১২১. অন্ধ লোকের ছুটির দিনও অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে।

বায়রন ওয়েববার

১২২. মূর্খ লোক অন্ধের সমতুল্য।

১২৩. যাহারা কেবল নকল করিয়া শেখে, তাহারা নকলের বাহিরে কিছুই দেখিতে পারে না।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১২৪. অনুমান বা ধারণা থেকেই জ্ঞানের উৎপত্তি।

অ্যারিস্টটল

১২৫. অনুমান থেকেই বৈজ্ঞানিক সত্যের উৎপত্তি। তাই জীবনে অনুমানের গুরুত্ব অপরিসীম।

ড. আহমদ শরীফ

১২৬. বই পড়াকে যথার্থ হিসাবে যে সঙ্গী করে নিতে পারে, তার জীবনের দুঃখ কষ্টের বোঝা অনেক কমে যায়।

–শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

১২৭. পৃথিবী হচ্ছে একটি চমৎকার গ্রন্থ, কিন্তু যে পাঠ করতে জানে না, তার কাছে এর কোনো মূল্য নেই।

–গোলডেনি

১২৮. যে বই পড়ে না, তার মধ্যে মর্যাদাবোধ জন্মে না।

–পিয়ারসন স্মিথ

১২৯. আমি তাকে করুণা করি যে প্রতিদিন মাখন খায় অথচ বই পড়ে না।

–মাস হুড

১৩০. দেশে সুনাগরিক গড়ে তোলার প্রধান উপায় একটাই–তা হল সুলিখিত এবং সৃষ্টিশীল ও মননশীল বই।

ক্যালভিন কলিজ

১৩১. কিছু লোক আছে যারা বই পড়ে শুধুমাত্র বইয়ের বিষ উদ্গীরণ করার জন্য।

–চার্লস ল্যাম

১৩২. বই আপনাকে অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ সকল কালে নিয়ে যেতে পারে। যে দেশে আপনার কোনদিন যাওয়ার সম্ভাবনা নেই, বইয়ের রথে চেপে আপনি অনায়াসে সেই দেশে যেতে পারেন।

জসীমউদ্দীন

১৩৩. যে-বই সম্বন্ধে তোমার প্রকৃত ইচ্ছা ও কৌতূহল জাগবে সেই বই আগে পড়বে।

–জনসন

১৩৪. বই হচ্ছে মস্তিষ্কের সন্তান।

–সুইফট

১৩৫. আইনের মৃত্যু আছে, কিন্তু বইয়ের নেই।

–এনড্রিউ ল্যাঙ

১৩৬. গৃহের কোনো আসবাবপত্রই বইয়ের মতো সুন্দর নয়।

–সিডনি স্মিথ

১৩৭. আমার শ্রেষ্ঠ বন্ধু আমার গ্রন্থসমূহ। তোমরা আমার কাছেই থাকো এবং আমাকে আলোর রাজ্যে নিয়ে চলো।

–আব্রাহাম কাওলে

১৩৮. বই কিনলেই যে পড়তে হবে, এইটি হচ্ছে পাঠকের ভুল। বই লেখা জিনিসটা শখমাত্র হওয়া উচিত নয়, কিন্তু বই কেনাটা শখ ছাড়া আর কিছু হওয়া উচিত নয়।

–প্রমথ চৌধুরী

১৩৯. ভালো বই পড়িবার সময় মনে থাকে না বই পড়িতেছি।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৪০. বই জ্ঞানের প্রতীক, বই আনন্দের প্রতীক। সৃষ্টির আদিকাল হইতে মানুষ আসিয়াছে আর চলিয়া গিয়াছে; খ্যতি, মান অর্থ, শক্তি কিছুই কেহ রাখিয়া যাইতে পারে নাই। কিন্তু বইয়ের পাতা ভরিয়া তাহারা তাহাদের তপস্যা, তাহাদের আশা-আকঙ্কা, তাহাদের নৈরাশ্য, কি হইতে চাহিয়া কি তাহারা হইতে পারে, সবকিছু তাহারা লিখিয়া গিয়াছে।

জসীমউদদীন

১৪১. খারাপ বইয়ের চাইতে নিকৃষ্টতম তস্কর আর হয় না।

ইতালীয় প্রবাদ

১৪২. একটি ভালো বই হল বর্তমান ও চিরকালের জন্য সবচেয়ে উৎকৃষ্ট বন্ধু।

টুপার

১৪৩. সেদেশ কখনো নিজেকে সভ্য বলে প্রকাশ করতে পারবে না, যতক্ষণ না তার বেশির ভাগ অর্থ চুইংগামের পরিবর্তে বই ক্রয়ের জন্যে হবে।

–ভলতেয়ার

১৪৪. কতগুলি বই সৃষ্টি হয় আমাদের শিক্ষা দেবার জন্যে নয়, বরং তাদের উদ্দেশ্য হল আমাদের এই কথা জানানো যে, বইগুলোর স্রষ্টারা কিছু জানতেন।

–গ্যেটে

১৪৫. উৎকৃষ্ট বইগুলোকে প্রথমই পড়ে ফ্যালো, নতুবা তোমার আর সেই বইগুলি পড়ার সুযোগ হবে না।

–থোরে ১৪৬. যারা বিনামূল্যে বই পেয়েও পড়ে না, তারা অরুচিশীল। শিক্ষিত হয়েও শিক্ষার কলঙ্ক। এ-ধরনের মানুষ কখনোই সুখের পথ পায় না।

অজিত বসু

১৪৭. যার যে বই পড়তে ভালো লাগে, তা-ই তার পড়া উচিত।

স্যামুয়েল জনসন

১৪৮. সুখে-দুঃখে সুন্দর-কুৎসিতে ভাল-মন্দে মানুষের জীবন, আর এক-একটা বই এক-একটি জীবনের প্রতিবিম্ব।

–ড. এনামূল হক

১৪৯. যে বিদ্যা অন্বেষণ করে সে খোদার ইবাদত করছে।

–আল হাদিস

১৫০. বিদ্যা সমাজের অলঙ্কারস্বরূপ এবং শত্রুর সম্মুখীন হওয়ার জন্য অমোঘ কবচ।

–আল-হাদিস

১৫১. বিশ্বকে জানার আগে নিজেকে জানো, মানুষকে জানো।

–কিপলিং

১৫২. একজন বৈজ্ঞানিক কখনো কিছু প্রমাণ করেন না, তিনি প্রকৃত রহস্য খুঁজে বের করেন।

–স্টিফেনসন

১৫৩. যে অল্প জানে, সে-ই বারবার তার জানাকে পুনরাবৃত্তি করে।

–টমাস এডিসন

১৫৪. মতভেদের তুলাদণ্ডে যাচাই হওয়া পর্যন্ত জ্ঞানের কোনো শাখাই পূর্ণতা লাভ করে না।

শা’বী

 ১৫৫. সব লোকের ঘাড়েই মাথা আছে, কিন্তু মস্তিষ্ক নেই।

–জুভেনাল

১৫৬. মহাবৈজ্ঞানিকও সংসারে ক্ষুদ্র বাস্তবতায় শিশুর মতো অসহায় বোধ করতে পারেন। বিশেষ ক্ষেত্রে বুদ্ধির ঘাটতি দেখে কাউকে বুদ্ধিহীন বলা যায় না।

১৫৭. জ্ঞান কোনো এক বিশেষ দেশ বা জাতির একচেটিয়া বস্তু নয়।

–মহাত্মা গান্ধী

১৫৮. শিক্ষার শিকড়ের স্বাদ তেতো হলেও এর ফল মিষ্টি।

অ্যারিস্টটল

১৫৯. শিক্ষা ও মেধাই মানুষের বড় সম্পদ।

সামদানী সালাম

১৬০. যে-শিক্ষা আত্মাকে বলিষ্ঠ করে না, দৃষ্টিকে করে না প্রসারিত–তা আদৌ শিক্ষা নয়।

জে. আর. লাওয়েল

১৬১. বিদ্যার আধিক্য দ্বারা বিশেষজ্ঞের পরীক্ষা হয় না।

প্লেটো

১৬২. শিক্ষা হচ্ছে মনের চোখ।

–অজ্ঞাত

১৬৩. যুবসমাজের সঠিক শিক্ষাই হচ্ছে জাতির মজবুত ভিত্তি।

–এলিজা কুক ১৬৪. বিদ্যাশিক্ষায় লজ্জা করা উচিত নয়, কেননা মূর্খতা লজ্জা থেকেও নিকৃষ্টতর।

ইয়ং

১৬৫. শিশুদের ধারণক্ষমতা অনুযায়ী শিক্ষা দেওয়া উচিত।

প্লেটো

১৬৬. শিক্ষা ছাড়া প্রতিভাবান ব্যক্তি অনেকটা খনিতে থাকা রূপার মতো।

–জন ফরস্টার

১৬৭. শিখে ভুলে না গেলে শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য সফল হয় না। স্মৃতিতে তুলে দেওয়া নয়, অন্তর খুলে দেওয়াতেই শিক্ষার সার্থকতা। মনে রাখা মুখস্থ করার চেয়ে অল্প একটু ভালো।

–আবদুর রহমান শাদাব

১৬৮. অপরের কাছ থেকে শিক্ষা নেবার পরেই শিক্ষিত হবার কাল উপস্থিত হয়। আপন শিক্ষায় যার আস্থা জন্মায় না, বিদ্যাভিমানে তিনি সারাজীবন উদ্ধৃতি দিয়ে চলেন। গাছে ফল ধরলে ফুলের সাক্ষ্য উপস্থিত করা নিষ্প্রয়োজন।

আবদুর রহমান শাদার

১৬৯. একটি পুরুষমানুষকে শিক্ষা দেওয়া মানে একটি ব্যক্তিকে আর একটি মেয়েকে শিক্ষা দেওয়া মানে একটি গোটা পরিবারকে শিক্ষিত করে তোলা।

–আরবি প্রবাদ

১৭০. মানুষের শিক্ষার সেইটুকুই যথার্থ অংশ যেটুকু অন্যকে বিতরণ করা হয়।

–জন, এ. শেড

১৭১. মেজাজ ঠিক রেখে আর বিশ্বাস না হারিয়ে কিছু শোনার মতো যোগ্যতার নামই শিক্ষা।

রবার্ট ফ্রস্ট

১৭২. যারা স্বশিক্ষিত তাদের শিক্ষালয়ে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।

বার্নার্ড শ

১৭৩. বস্তুত কোনো শিক্ষালয়ই অসাধারণের পক্ষে যথেষ্ট নয়। অসাধারণ ছাত্রের জন্যে কোন বাঁধাধরা রাজপথ নেই, নিজের পথ সে নিজেই তৈরি করে নেয়।

–সৈয়দ সব্যসাচী

১৭৪. শিক্ষাজীবনের অন্যতম অংশ হচ্ছে সেটুকু, যেটুকু নিজের জীবনে বাস্তবায়িত করা যায়।

–জে. আর. পাওয়েল

১৭৫. যে নিজে জানে না, সে অন্যে জানে–তাও বিশ্বাস করে না।

–জে. এ. ক্রাডিও

১৭৬. আমরা সর্বদাই অর্ধেক জানি; আর অর্ধেক জানার ভান করি।

এস. টি. কোলরিজ

১৭৭. বিজ্ঞ লোকদের অজ্ঞ লোকের উপর একটা দায়িত্ব আছে, সে-দায়িত্ব তাদেরকে আলোকপ্রাপ্ত করে তোলা।

–এইচ. জি, ভন

১৭৮. বিজ্ঞান শুধু এক বিশেষ জ্ঞানের নাম নয়; একটি বিশেষ প্রণালী অবলম্বন করে যে জ্ঞান লাভ করা যায় আসলে তারই নাম হচ্ছে বিজ্ঞান।

প্রমথ চৌধুরী।

১৭৯. মানুষ অজানাকে জানতে চায় এবং তার ফলেই বিজ্ঞানের সৃষ্টি।

ইমারসন

১৮০. সাধক হবার আগে বিদ্যাশিক্ষা করো।

–হযরত ওমর ফারুক (রা.)

১৮১. বিদ্যা মানুষের বিশ্বস্ত বন্ধু।

–লর্ড হ্যালিকাস

১৮২. যার বিদ্যা নেই, সে না জানে ভালমন্দ।

শিরে দুই চক্ষু আছে তথাপি সে অন্ধ।

–হেয়াত মামুদ

১৮৩. অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী। জ্ঞানের অমৃত আকণ্ঠ পান করো, নয়তো কোরো না।

–আলেকজান্ডার পোপ

১৮৪. মানুষকে সভ্য করে তোলার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে বিদ্যালয়।

টলস্টয়

১৮৫. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতির শিক্ষিত জনশক্তি তৈরির কারখানা; আর রাষ্ট্র ও সমাজদেহের সব চাহিদার সরবরাহ কেন্দ্র। ওখানে ত্রুটি ঘটলে দুর্বল আর পঙ্গু না করে ছাড়বে না।

আবুল ফজল

১৮৬. বিদ্বান লোকই বড় কুঁড়ে; সে পড়াশোনা করেই সময় নষ্ট করে।

জর্জ বার্নার্ড শ

১৮৭. যে-ব্যক্তি বিদ্যান্বেষণের জন্য বের হয়, সে ফিরে না-আসা পর্যন্ত আল্লাহর পথে থাকে।

–আল-হাদিস

১৮৮. বুদ্ধিমান চাষার ছেলে রাজার উজির হয়; আর নির্বোধ উজিরের ছেলে চাষার কাছে ভিক্ষা চায়।

–শেখ সাদি

১৮৯. বিপদের সময় যার বুদ্ধি লোপ পায় না, সে-ই যথার্থ বুদ্ধিমান।–জর্জ উইলকিল ১৯০. বুদ্ধিজীবীরাই দেশের সম্পদ, তাঁরাই দেশের সম্পদ তুলে ধরেন।

লঙফেলো

১৯১. শিক্ষিত বোকারা অশিক্ষিত বোকার চেয়ে বেশি বোকা।

–মোলেরি

১৯২. আহাম্মকের কথায় প্রতিবাদ কোরো না; শেষে তুমিই আহাম্মক সেজে যাবে।

হযরত সোলায়মান (আ.)

১৯৩. যে নিজেকে খুব জ্ঞানী ও বিজ্ঞ মনে করে, খোদার দোহাই, সে সবচেয়ে বড় বোকা।

ভলতেয়ার

১৯৪. মূর্খতা এমন এক পাপ, সারাজীবনে যার প্রায়শ্চিত্ত হয় না।

–আল-ফখরি

১৯৫. অজ্ঞতার দ্বারা দম্ভ বাড়ে, যার সবচেয়ে বেশি জানে বলে ধারণা করে, তারাই খুব কম জানে।

জন গে

১৯৬. যে নিজেই নিজের কাছে শিক্ষা গ্রহণ করে, সে শিক্ষিত না হয়ে বোকা হয়।

–বেন জনসন

১৯৭. শিক্ষা মনের একটি চোখ।

–জোনাথন সুইফ্ট

১৯৮. শিশুর ধারণক্ষমতা অনুযায়ী তাকে শিক্ষা দেওয়া উচিত; তবেই একদিন সে কালজয়ী বিশেষজ্ঞ হতে পারবে।

প্লেটো

১৯৯. দুষ্কর সাধনা ও তপস্যা ব্যতীত কোনো মহৎব্রত উদ্যাপন করা যায় না।

জগদীশচন্দ্র বসু

২০০. যতদিন স্ত্রী-শিক্ষা সমাজে প্রচলিত করা না হইতেছে ততদিন মুসলমানদের কুসংস্কারের আবর্জনা দূর হইবে না; এবং তাহা না হইলে সমাজের উন্নতি একেবারেই অসম্ভব।

কাজী ইমদাদুল হক

২০১. ধনদৌলত খরচ করলে কমে যায়, কিন্তু জ্ঞান বিতরণ করলে উত্তরোত্তর বাড়তেই থাকে।

–হযরত আলি (রা.)

২০২. যে যত জ্ঞানী হয়, তার দুঃখও তত বৃদ্ধি পায়।

মিল্টন

২০৩. জ্ঞানীলোকেরা দুঃখ অনুভব করেন বেশি।

–বেকন

২০৪. যার জ্ঞান নেই, তার মুক্তি নেই।

–ইমারসন

২০৫. জ্ঞান হচ্ছে মানবমনের সম্পূর্ণ কল্যাণ, দর্শন হচ্ছে জ্ঞানের জন্য অনুরাগ এবং জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রবল প্রয়াস।

–সেনেকো

২০৬. জ্ঞানীলোকের মতামত শোনা এবং অপরের নিকট তা ব্যক্ত করা ভালো কাজ।

জন লিলি

২০৭. জ্ঞানী ব্যক্তিরা মেপে মেপে ঠোঁট নাড়েন।

লর্ড চেস্টারফিল্ড

২০৮. মহৎ লোকেরা সবসময় জ্ঞানী হন না।

বাইবেল

২০৯. অজ্ঞ ব্যক্তিকে করুণা করা যায়, কিন্তু সাহায্য করা যায় না।

সেনেকো

২১০. আমি যাকে অজ্ঞ মনে করি, তার পরামর্শ নিয়ে লাভবান হতে চাই না।

–আর, এইচ. বারহাম

২১১. অন্যের অজ্ঞতাকে জানাও জ্ঞানের একটা বিশেষ অংশ।

জন লিলি

২১২. সাধনার কোনো কোনো ব্যাপারে যদি প্রথমবার ব্যর্থমনোরথ হও, পরামুখ হয়ো না। বারে বারে আঘাত করো, দুয়ার ভেঙে যাবে। তাড়াতাড়ি না করে ধীরে অগ্রসর হও। ধরে থাকো, ক্রমশ তোমার শক্তি ও সুবিধা বাড়তে থাকবে।

–ডা. লুৎফর রহমান

২১৩. শান্তি এবং যুদ্ধ উভয় ক্ষেত্রেই অভিজ্ঞতা শিক্ষকের ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে।

জন লিলি

২১৪. অভিজ্ঞতা হল দুঃখ-কর্মের নির্যাস।

–আর্থার হেল্লেস

২১৫. অভিজ্ঞতা দিয়ে অনেক সমস্যার সমাধান করা যায়।

ক্যার্ভেন্টিস

২১৬. যে নিজেকে চেনে তার আর কাউকে চিনতে বাকি থাকে না। অতএব যে মিথ্যাকে চেনে, সে মিছামিছি তাকে ভয়ও করে না।

কাজী নজরুল ইসলাম

২১৭. নিজেকে জানো।

–সক্রেটিস

২১৮. চর্চার উপরই অনেক কিছুর বিকাশ ও সাফল্য নির্ভর করে।

ভার্জিল

২১৯. জ্ঞানীলোকের চক্ষু সর্বজনীন ভালোবাসার প্রসারতায় ভরা।

রবার্ট ব্রইন

২২০. আমি নির্বোধের মতো কথা বলতে লজ্জা পাই না, কারণ আমার জানা দরকার।

উইলসন বি. সার্প

২২১. যে বেশি জানে, সে কর্মে বিশ্বাস করে।

এডগার অ্যালেন পো

২২২. আমি জানতে জানতে বৃদ্ধ হচ্ছি; কিন্তু প্রত্যেক দিনের জানাটাই আমার কাছে নতুন মনে হচ্ছে।

টমাস ক্যাম্পাস

২২৩. কোনোকিছু না জানার চেয়ে প্রয়োজনীয় অল্প কিছু জানাও ভালো।

সেনেকো

২২৪. বিজ্ঞান হল কতকগুলো সাফল্যমণ্ডিত ব্যবস্থা ও ধ্যানধারণার সংগ্রহ।

ভ্যালেরি

২২৫. বিজ্ঞ ব্যক্তির কথা শোনা এবং অন্যের কাছে বিজ্ঞানের কথা পৌঁছে দেওয়া, ধর্মীয় কাজের অনুশীলনী থেকেও ভালো।

–আল-হাদিস

২২৬. বিজ্ঞান বইকে অনুসরণ করে না; কিন্তু বই বিজ্ঞানকে অনুসরণ করে।

ফ্রান্সিস বেকন

২২৭. বিদ্যাবৃদ্ধিই যদি উপার্জনের মাপকাঠি হত, তবে মূর্খরা সব না খেয়ে মরত।

শেখ সাদি

২২৮. স্কুল তৈরির মতো মহৎ ও কল্যাণকর কাজ আর দ্বিতীয়টি নেই।

এলিজা কুক

২২৯. শিক্ষাজীবনের অন্যতম অংশ হচ্ছে সেটুকু–যেটুকু নিজের জীবনে বাস্তবায়িত করা যায়।

জে. আর, লাওয়েল

২৩০. প্রত্যেক লোকের জ্ঞানী হওয়ার জন্য চেষ্টা করা উচিত। তা হলে জ্ঞানী হতে পারলেও অন্তত বুদ্ধিমান হবে।

স্যামুয়েল জনসন

২৩১. বুদ্ধিমান লোক নিজে নত হয়ে বড় হয়, আর নির্বোধ ব্যক্তি নিজেকে বড় বলে অপদস্থ হয়।

–হযরত আলি (রা.)

২৩২. বোকারা চিরদিন শূন্য মাঠে গোল করে।

–শেলি

২৩৩. বোকারা ভাবনাচিন্তা না করেই প্রশ্ন করে।

জন ওলকট

২৩৪. মূখের সঙ্গে বন্ধুত্ব কোরো না; সে তোমার উপকারের চেষ্টা করে তোমার ক্ষতি করবে।

–হযরত আলি (রা.)

২৩৫. একজন শিক্ষকের উপরই বিদ্যালয়ের সমস্ত ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ। এত বড় দায়িত্বকে তাঁর কোনোমতেই অবহেলা করা উচিত নয়।

–এইচ. জি. ওয়েলস

২৩৬. যারা শিক্ষিত, শিক্ষা তাঁদের পক্ষে অন্য একটি সূর্যস্বরূপ।

হেরাক্লিটাস

২৩৭. শিক্ষা মানুষের মনুষ্যত্বের বিকাশ সাধন করে।

স্যার পি. নান

২৩৮. একজন মানুষ তেমনই হবে, যেমন শিক্ষা মা তাকে দিয়েছে।

হাওয়ার্ড জনসন

২৩৯. শিক্ষাই হচ্ছে মানুষের শক্তি। ভাষার মাধ্যমেই সেই শিক্ষা।

–ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

২৪০. জীবনের ব্যাপক সময় ধরেই শিক্ষা গ্রহণ করতে হয়। শিক্ষার শেষ নেই।

কুপার

২৪১. সাধনা যদি নিষ্ঠাপূর্ণ হয়, তবে সম্পূর্ণ না হোক, আংশিক সাফল্য সে অবশ্যই লাভ করবে।

–হযরত আলি (রা.)

২৪২. জ্ঞান আহরণ করো। জ্ঞানীকে এটা ন্যায়-অন্যায় প্রভেদ করতে সহায়তা করবে, স্বর্গের পথ আলোকিত করবে। মরুভূমিতে এটা যেন আমাদের বন্ধু, নির্জনতায় এ যেন সমাজ সৃষ্টিকারক, নিঃসঙ্গতায় আমাদের সাথি, সুখের সন্ধান দেবে এবং দুর্ভাগ্য থেকে রক্ষা করবে। এ বন্ধুদের মধ্যে অলংকারের ন্যায় এবং শত্রুর বিরুদ্ধে বর্মের মতো।

–আল-হাদিস

২৪৩. এমন কোনো জ্ঞান নেই, যার শক্তি নেই।

ইমারসন

২৪৪. এমন কোনো জ্ঞান নেই, যার মূল্য নেই।

এডমন্ড বার্ক

২৪৫. অজ্ঞদের মরার আগেই মৃত অবস্থায় কালযাপন করতে হয় এবং সমাধিস্থ হবার পূর্বেই তাদের শরীর কবরের আঁধারে সামহিত; কেননা, তাদের অন্তর মৃত আর মৃতের স্থান কবর।

–হযরত আলি (রা.)

২৪৬. যে নিজের আদেশ নিজে পালন করতে পারে না, সে অন্যের আদেশে চালিত হয়।

ইকবাল

২৪৭. গুরু যদি এক বর্ণ শিষ্যেরে শিখায় কোনো দিন
পৃথিবীতে নাই দ্রব্য যা দিয়ে শোধ দিবে ঋণ।

চাণক্য পণ্ডিত

২৪৮. তুমি যা শিখলে, তা যদি তোমার বাস্তব জীবনে রূপায়িত করতে না পারলে, তবে তুমি মস্ত বোকা।

–শেখ সাদি

২৪৯. চর্চাই সবচেয়ে বড় শিক্ষক; কারণ চর্চার মাধ্যমেই আমরা যে-কোনো জিনিস নিখুঁতভাবে আয়ত্ত করতে পারি।

–পাবলিয়াস সাইরাস

২৫০. কারও অতীত জানতে চেয়ো না, তার বর্তমানকে জানো এবং সে-জানাই যথেষ্ট।

–এডিসন

২৫১. যা তুমি জান না, তা বোলো না। আর যা তুমি জান, তা যথাস্থানে বলতে কুণ্ঠিত হয়ো না।

লোকমান হাকিম

২৫২. যে দুধের কথা কেবল শুনেছে সে অজ্ঞান, যে দুধ খেয়েছে সে জ্ঞানী, আর যে দুধ খেয়ে হৃষ্টপুষ্ট হয়েছে সে হল বিজ্ঞানী।

বিমল মিত্র

২৫৩. আধুনিক বিজ্ঞান মানুষকে দিয়েছে বেগ, কিন্তু কেড়ে নিয়েছে আবেগ; তাতে আছে গতির আনন্দ, নেই যতির আয়েস।

যাযাবর

২৫৪. মানুষের ধর্মের মধ্যে বিজ্ঞানের স্থান যতটুকু, তার চাইতে বিজ্ঞানের মধ্যে ধর্মের স্থান বেশি।

পেনিন

২৫৫. বুদ্ধিজীবীদের সহজ-সরল চালচলন অন্যের নিকট তাঁদের শ্রদ্ধাভাজন করে তোলে।

উইলিয়াম সি. ওয়াল

২৫৬. প্রতিটি মানুষই নিজেকে বুদ্ধিমান মনে করে, আর প্রত্যেক মানুষই তার আপন সন্তানকে খুশি দেখতে চায়।

–শেখ সাদি

২৫৭. তুমি যদি মনে কর কোনো বোকা লোকের চেহারা দেখবে না, তা হলে সর্বপ্রথমে তোমার নিজের চেহারা দেখবার আয়নাটা ভেঙে ফেলো।

রাবেলেইস

২৫৮. বোকা লোকেরা হচ্ছে এমন একটা আসন, যার উপর চালাক লোকেরা সহজেই বসতে পারে।

–উইলিয়াম হ্যাজলিট

২৫৯. শিক্ষকের প্রভাব অনন্তকালে গিয়েও শেষ হয় না।

হেনরি অ্যাডামস

২৬০. চিকিৎসা দ্বারা মানুষের রোগমুক্তি হয়, আর শিক্ষা দ্বারা মানুষের আত্মা ও বুদ্ধির বিকাশ হয়।

–আরবি সাহিত্য থেকে

২৬১. শিক্ষা অলংকারের মতো নয়, এর হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

বার্স

২৬২. শিক্ষার প্রধান উদ্দেশ্য মানুষের চরিত্র গঠন করা।

হার্বার্ট স্পেনসার

২৬৩. জীবনযাপনের মধ্যে দিয়ে শিক্ষা লাভ করাই বাস্তব শিক্ষা।

ডিউই

২৬৪. শিক্ষা মানুষকে সব অবস্থায়ই সহনশীল হতে শেখায়।

–উইলিয়াম বিলনিং

২৬৫. সুশিক্ষার লক্ষণ এই যে, তারা মানুষকে অভিভূত করে না, তারা মানুষকে মুক্তিদান করে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৬৬. শিক্ষা পাইলেই যে লোকে মহৎ উদ্দেশ্য গ্রহণ করে তাহা নহে, স্বাভাবিক বুদ্ধি, প্রবৃত্তি ও ক্ষমতার উপরে ইহা অনেকটা নির্ভর করে।

রবীন্দ্রানথ ঠাকুর

২৬৭. একটি প্রদীপ থেকে শত শত প্রদীপ জ্বালালে যেমন তার আলো এতটুকু কমে।, তেমনি শিক্ষার আলো যত বেশি দান করা যায়, ততই মঙ্গল। জর্জ ম্যাকডোনাল্ড

২৬৮. এমনকি একজন বোকা লোকও যতক্ষণ চুপ করে থাকে ততক্ষণ বিজ্ঞ বলে সম্মান পেতে থাকে।

বাইবেল

২৬৯. জ্ঞানী ব্যক্তি সর্বদা চিন্তান্বিত থাকে। জ্ঞানের অর্ধাংশ ধৈর্য আর অর্ধাংশ ঔদার্য।

–হযরত আলি (রা.)

২৭০. জ্ঞান বড়, বিজ্ঞান নয়।

–প্রবোধকুমার সন্ন্যাল ২৭১. যতদিন লেখাপড়ার প্রতি আকর্ষণ থাকে, ততদিন মানুষ জ্ঞানী থাকে। আর যখনই তার ধারণা জন্মে যে সে জ্ঞানী হয়ে গেছে, তখনই মূর্খতা তাকে ঘিরে ধরে।

সক্রেটিস

২৭২. আল্লাহ আমার প্রতি বাণী প্রেরণ করেছেন : যে-ব্যক্তি জ্ঞানের পথ অনুসরণ করে আমি তার জন্য বেহেশতের পথ সুগম করে দেব। অত্যধিক উপাসনা অপেক্ষা অত্যধিক জ্ঞানই শ্রেয়।

–আল-হাদিস

২৭৩. জ্ঞান এবং কণ্ঠ পরিপক্ক না হওয়া পর্যন্ত বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়।

–অলিভার ওয়েনজেড হোমস

২৭৪. জ্ঞানই আনন্দ, নির্জনতার সঙ্গী, জীবনের বন্ধু।

জন হেস্টন

২৭৫. এমন অনেক বিষয় আছে, যে-বিষয় সম্বন্ধে অজ্ঞ থাকা মানুষের জন্য কল্যাণকর।

ওভিড

২৭৬. অজ্ঞতার মধ্যে জ্ঞানের বিস্তার যেন অন্ধকারের মধ্যে আলোর প্রকাশ।

–ব্রেসি

২৭৭. বাস্তব অভিজ্ঞতা দ্বারা যে-জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব, পুস্তকের সীমাবদ্ধ গণ্ডিতে তা সম্ভব নয়।

লুসি লারকাম

২৭৮. শিক্ষা মানুষকে এক বছরে যা শেখায়, অভিজ্ঞতা বিশ দিনে তার চেয়ে বেশি শেখায়।

–অ্যামব্রোস ফিলিপ

২৭৯. অর্থ দ্বারা কোনো সদ্গুণ জন্মে না; বরং অর্থ এবং অন্যান্য কাম্য বিষয় সদ্গুণ থেকে জন্মলাভ করে।

সক্রেটিস

২৮০. সাধারণ বুদ্ধিটা তত সাধারণ নয়।

–ভলতেয়ার

২৮১. যেদেশে গুণের সমাদর নেই, সেদেশে গুণী জন্মাতে পারে না।

–ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

২৮২. যিনি যথার্থ গুরু তিনি শিষ্যের আত্মাকে উদ্ববাধিত করেন এবং তার অন্তর্নিহিত সকল প্রচ্ছন্ন শক্তিকে ব্যক্ত করে তোলেন।

–প্রমথ চৌধুরী

২৮৩. বৃদ্ধদের প্রতি অবজ্ঞা পোষণ কোরো না। কারণ অভিজ্ঞতার মূল্য অনেক।

ডব্লিউ. বি. র‍্যান্ডস

২৮৪. অনেক সময় বিদ্যার চেয়ে অভিজ্ঞতাই বেশি কাজে লাগে।

জে. আর. লাওয়েল

২৮৫. একজন লোকের জ্ঞানের পরিধি তার অভিজ্ঞতা দ্বারা খণ্ডিত করা যায় না।

জন লক

২৮৬. অভিজ্ঞতা হচ্ছে সুন্দর মজবুত দালান তৈরির উপকরণের মতো।

–ম্যানিনিয়াস

২৮৭. বয়স্কদের জন্য কারাগার অথবা ফাঁসিমঞ্চ নির্মাণ করার প্রয়োজন কমে যাবে, যদি বালকদের জন্য বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা যায়।

–এলিজা কুক

২৮৮. আমরা প্রতি বছর ইচ্ছা করলে মেজর এবং অফিসার তৈরি করতে পারি, কিন্তু বুদ্ধিজীবী তৈরি করতে পারি না।

রবার্ট ব্যাটন

২৮৯. যে-ব্যক্তি প্রশ্ন করে কিছু জানতে চায়, সে বোকা হয় পাঁচ মিনিটের জন্য, আর যে জানার ভান করে কখনো প্রশ্নই করে না, সে বোকা থাকে সারাজীবন। চীনা প্রবাদ

২৯০. যখন-তখন বোকার মতো প্রশ্ন করার মধ্যে কোনো কৃতিত্ব নেই।

–অস্কার ওয়াইল্ড

২৯১. শিক্ষা হচ্ছে ধনাগার ও সংস্কৃতি–মৃত্যুহীন। হেনরি অ্যাডামস

২৯২. প্রত্যেকটি রাষ্ট্রের ভিত কত মজবুত তা নির্ভর করে সেই রাষ্ট্রের তরুণ সমাজের শিক্ষার উপর।

এইচ. এস. মেরিম্যান

২৯৩. মানুষ তার অন্তরের পবিত্রতা শিক্ষার মাধ্যমেই রক্ষা করতে পারে। শিক্ষাই সর্বশক্তিমান।

জেমস মিল

২৯৪. শিক্ষা ছাড়া কেউ জ্ঞান এবং নিপুণতা লাভ করতে পারে না।

ডেমোক্রিটাস

২৯৫. জ্ঞান মানুষের মধ্যে সকলের চেয়ে বড় ঐক্য। বাংলাদেশের এককোণে যে ছেলে পড়াশুনা করিয়াছে, তার সঙ্গে য়ুরোপ প্রান্তের শিক্ষিত মানুষের মিল অনেক বেশি সত্য তার দুয়ারের পাশের মূর্থ প্রতিবেশীর চেয়ে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৯৬. শিক্ষা আর অভিজ্ঞতার সমন্বয়েই জীবনে পরিপূর্ণতা আসে। টমাস হুড

২৯৭, সমাজের কল্যাণে মানুষ নামক ব্যক্তিটির ব্যক্তিত্ব যে-উপায়ে সম্যকরূপে বিকশিত হয়, তার নামই শিক্ষা।

–বনফুল

২৯৮. যে শুধু নিজের কথা চিন্তা করে সে অবিসংবাদিতভাবে অশিক্ষিত।

বাটলার

২৯৯. আমরা জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করি না বলে আমাদের শিক্ষা পরিপূর্ণ হয় না।

–শিলার

৩০০. আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাস হচ্ছে, তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে, পাস করা ও শিক্ষিত হওয়া যে এক বস্তু নয়, এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই।

–প্রমথ চৌধুরী

৩০১. বাল্যকাল হইতে আমাদের শিক্ষার সহিত আনন্দ নাই। কেবল যাহা কিছু নিতান্ত আবশ্যক তাহাই কণ্ঠস্থ করিতেছি। তেমনি করিয়া কোনোমতে কাজ চলে মাত্র, কিন্তু মনের বিকাশ হয় না।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩০২. যে-শিক্ষা আত্মাকে বলিষ্ঠ করে না, দৃষ্টিকে প্রসারিত করে না, তা আদৌ শিক্ষা নয়।

–জে. আর. লাওয়েল

৩০৩. মায়ের শিক্ষাই শিশুর ভবিষ্যতের বুনিয়াদ।

নেপোলিয়ন বোনাপার্ট

৩০৪. একজন শিক্ষিত লোক নিঃসন্দেহে সম্পদশালী লোক।

–লা ফন্টেইন

৩০৫. তরুণ শিক্ষার্থী তার দৈনন্দিন কার্যকালকে তিন ভাগে ভাগ করবে। যথা– পাঠাভ্যাস, পানাহার এবং খেলাধুলা।

জন মিলটন

৩০৬. যারা নিজেকে জেনেছে তারা আর মুখ নয়; তারা জ্ঞানের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে।

–হ্যাভলক এলিস

৩০৭. শিক্ষার উদ্দেশ্য মনুষ্যত্বের বিকাশ করা, চাকুরী বা শুধু জ্ঞান অর্জন নয়। জ্ঞান খুবই বড় জিনিস। যে জাতি জ্ঞানে যত উন্নত তাদের সম্মান ও ঐশ্বর্য তত উন্নত।

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

৩০৮. জ্ঞান আহরণ ধাপে ধাপে না হলে তা মোটেও স্থায়ী হয় না।

–বেঞ্জামিন ফ্রাংকলিন

৩০৯. অজানা বিষয়ে জানার নাম বিদ্যা, আর জানা বিষয়কে কার্যে পরিণত করার নাম জ্ঞান।

–আবদুস সালাম খাঁ

৩১০. ধনের মালিকরা প্রায়ই বখিল হয়। তারা মানুষকে পর করে দেয়। কিন্তু জ্ঞানীরা মানুষকে মহব্বত করেন।

–হযরত আলি (রা.)

৩১১. জ্ঞানের শক্তির চেয়ে বড় শক্তি আর নেই।

লা ফন্টেইন

৩১২. অজ্ঞতার ন্যায় মহাশ মানবজীবনে আর নেই।

–ডা. লুৎফর রহমান

৩১৩. ধনদৌলতকে মানুষের পাহারা দিতে হয়, কিন্তু জ্ঞান নিজেই মানুষকে হেফাজত করে এবং মন্দ কাজ হতে বিরত রাখে।

–হযরত আলি (রা.)

৩১৪. একজন জ্ঞানী ও ভালোমানুষ কখনো হতাশায় ভোগে না।

–ফেবিয়াস ম্যাক্সিমাস

৩১৫. বিদ্যাই হল ভোগের বস্তু, বিদ্যাই এনে দেয় যশ, কল্যাণ, বিদ্যাই হল গুরুর

প্রাচীন কবি

৩১৬. জ্ঞানের প্রথম ধাপ হচ্ছে আমরা যে মূর্খ এই কথা জানা।

সিসিল

৩১৭. জ্ঞানসাধকের দোয়াতের কালি শহীদের রক্তের চেয়েও পবিত্র।

–আল-হাদিস

৩১৮. তুমি প্রতিদিন পাঁচ ঘণ্টা পড়ো, তবেই তুমি জ্ঞানী হবে। স্যামুয়েল জনসন ৩১৯. বিতরণের মাধ্যমেই জ্ঞান পূর্ণতা লাভ করে।

ডি. গ্রামে

৩২০. এমন কোনো জ্ঞান নেই যার শক্তি নেই।

–এন. দি. উইনট

৩২১. জ্ঞানই একমাত্র উৎপন্ন সামগ্রী যা খরচ করলে কমতি পড়ে না।

–লাও সি

৩২২. বুদ্ধিমানেরা কোনোকিছু প্রথমে অন্তর দিয়ে অনুভব করে, তারপর সে-সম্বন্ধে মন্তব্য করে। নির্বোধেরা প্রথমেই মন্তব্য করে বসে এবং পরে চিন্তা করে।

–হযরত আলি (রা.)

৩২৩. যারা মূর্খ, যারা কোনোকালেই কিছু করবে না, তারাই শুধু বলে অসম্ভব। এ জগতে মানুষের পক্ষে অসম্ভব বলে কিছুই নেই।

নেপোলিয়ন বোনাপার্ট

৩২৪. আমরা সবাই জানি অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী। কিন্তু কেন ভয়ংকরী তা জানি না। মানুষের জ্ঞান-বিজ্ঞান বাড়িয়ে চলার সাধনায় চিরদিন সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে থেকেছে আমিত্বের অহংকার। আমি যেটুকু জানি, সেটা জানাই যথেষ্ট–এই অহংকার।

–মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

৩২৫. আজ সাধনাও নাই, সিদ্ধিও নাই; আজ বিদ্যার স্থলে বাচালতা, বীর্যের স্থলে অহংকার এবং তপস্যার স্থলে চাতুরী বিরাজ করিতেছে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩২৬. শিশুর প্রথম পাঠ আজ্ঞাপালন হওয়া উচিত, তা হলে দ্বিতীয় পাঠ তুমি যা ইচ্ছা করবে তা-ই হবে।

ফ্রাংকলিন

৩২৭. আমার ব্যাপারে যদি জিজ্ঞেস কর তা হলে আমি জানিয়ে দেব যে, আমি কিছুই জানি না।

সক্রেটিস

৩২৮. জ্ঞানের লক্ষ্য হচ্ছে বুদ্ধির বিশুদ্ধতা।

ইকবাল

৩২৯. তোমার সন্তানকে প্রথমে বড়দের মান্য করতে এবং পরে মিষ্টি আচরণ করতে শেখাও।

ফ্রাংকলিন

৩৩০. গুরু সম্বন্ধে আমাদিগকে প্রথমে দেখিতে হইবে, যেন তিনি শাস্ত্রে মর্মাভিজ্ঞ হন। দ্বিতীয়ত, গুরুর সম্পূর্ণ নিষ্পাপ হওয়া আবশ্যক। তৃতীয়ত, গুরুর উদ্দেশ্য কি দেখিতে হইবে। দেখিতে হইবে তিনি যেন নাম, যশ বা অন্য কোনো উদ্দেশ্য লইয়া শিক্ষা দিতে প্রবৃত্ত না হন। কেবল ভালবাসা, আপনার প্রতি অকপট ভালাবাসাই যেন তাহার কার্যপ্রবৃত্তির নিয়ামক হয়।

–স্বামী বিবেকানন্দ

৩৩১. লোকে গুণকীর্তন করলে নিজেকে গুণী ভেবো না। কেননা লোকের কথায় কয়লা সোনা হয় না।

লোকমান হাকিম

৩৩২. দৃষ্টান্ত এক ধরনের শিক্ষা, যা প্রত্যেকে পড়তে পারে।

গিলবার্ট ওয়েস্ট

৩৩৩. জ্ঞানের চেয়ে কল্পনা বেশি প্রয়োজনীয়।

–আলবার্ট আইনস্টাইন

৩৩৪. অজ্ঞতার শিশুকেই কুসংস্কার বলা হয়ে থাকে।

–হেজলিট

৩৩৫. যার বুদ্ধি নেই, তার থেকে কৃতজ্ঞতার আশা কোরো না।

–হযরত আলি (রা.)

৩৩৬. জ্ঞান নির্জীব আত্মাকে সজীব করে তোলে।

সুইনবার্ন

৩৩৭. তরুণ ছাত্রদের মধ্যে যদি ছাত্রজীবনের আদর্শবাদ প্রবল না থাকে, তবে পরবর্তী জীবনে সংসারের ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে তারা আদর্শবাদী হইবে–এ কল্পনা আরো সুদূরপরাহত।

–হুমায়ুন কবীর

৩৩৮. এ জগতে মানুষকে যা কিছু দাওনা, জ্ঞানদান অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ দান আর নেই। পথিককে পথ দেখানো, জ্ঞানান্ধকে জ্ঞান দান করাই শ্রেষ্ঠ ধর্ম।

–ডা. লুৎফর রহমান

৩৩৯. নকল হচ্ছে আত্মহত্যা।

ইমারসন

৩৪০. দেশের নিরক্ষরতার মূলে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি ও শিক্ষানীতির প্রভাব যে-কোনো ভাষাগত প্রতিবন্ধকতার চেয়ে প্রবলতর।

–মুনীর চৌধুরী

৩৪১. নিজের বুদ্ধির ফাঁদে পড়ে যে-ব্যক্তি যন্ত্রণা পায়, সে সত্যিই নির্বোধ।

টমাস মুর

৩৪২. মানুষ বুদ্ধির পরিচয় দেয় জ্ঞানের বিষয়ে, যোগ্যতার পরিচয় দেয় কৃতিত্বে, আপনার পরিচয় দেয় সৃষ্টিতে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩৪৩. বড় প্রতিভাবান ব্যক্তিদের আত্মজীবনী খুবই সংক্ষিপ্ত হয়ে থাকে। ইমারসন

৩৪৪. শিক্ষা জীবিকা উপার্জনের পথ বলে ধরে নেওয়া আমার সামান্য বুদ্ধিতে নিচু বৃত্তি বলে বোধ হয়। জীবিকা উপার্জনের সাধনা হচ্ছে শরীর, আর বিদ্যালয় হচ্ছে চরিত্র গঠনের সাধনা।

মহাত্মা গান্ধী

৩৪৫. প্রতিভা বলে কোনো জিনিস নেই। পরিশ্রম করো, সাধনা করো, প্রতিভাকে অগ্রাহ্য করতে পারবে।

ভলতেয়ার

৩৪৬. প্রতিভাবানদের আবিষ্কৃত জিনিস কখনো মূল্যহীন হয় না।

কুপার

৩৪৭. লুকানো প্রতিভা কোনো সুনামই অর্জন করতে পারে না। ইরাসমাস

৩৪৮. প্রতিভাবান ব্যক্তি কোনো একটি নির্দিষ্ট দেশের সম্পদ নন, বিশ্বের সম্পদ।

চার্লস ডিকেন্স

৩৪৯. শিক্ষা ছাড়া প্রতিভাবান ব্যক্তি অনেকটা খনিতে থাকা রুপোর মতো।

জন ফরস্টার

৩৫০. প্রতিভা তৈরি করা সম্ভব নয়; প্রতিভার জন্ম হয়।

ড্রাইডেন

৩৫১. গুণ থাকলেও চেষ্টা না করলে জগতে প্রতিষ্ঠা লাভ করা যায় না।

–ডা. লুৎফর রহমান

৩৫২. প্রতিভা একভাগ প্রেরণা, আর নিরানব্বই ভাগ কঠিন পরিশ্রম। –এডিসন

৩৫৩. যখন বিশ্বে একটা সত্যিকার প্রতিভার আবির্ভাব ঘটে, তাকে তুমি এই লক্ষণ দ্বারা চিনতে পার যে, স্থূলবুদ্ধি ব্যক্তিরা তার বিরুদ্ধে সব একজোট হয়েছে।

–জোনাথন সুইফ্ট

৩৫৪. যে কখনো প্রশ্ন করে না, সে হয় সবকিছু জানে, নয়তো কিছুই জানে না।

ম্যালকম ফোবাস

৩৫৫. প্রতিভা অর্থাৎ বিরাট ধৈর্য।

বাফন

৩৫৬. বিজ্ঞান হল সংঘবদ্ধ জ্ঞানের সমষ্টি।

হার্বার্ট স্পেনসার

৩৫৭. পুঁথিতে যে-বিদ্যা থাকে, আর পরের হাতে যে-ধন থাকে, দুটিই সমান। দরকারের সময় সে-বিদ্যা বিদ্যা নয়, সে-ধন ধন নয়।

–চাণক্য পণ্ডিত

৩৫৮. বিদ্যা ভালোমন্দ বিবেচনা করিবার শক্তি আনিয়া দেয়। বিদ্যা বেহেশতের পথ আলোকিত করে। ইহা নির্জনে সঙ্গী, মরুভূমিতে সহচর ও ইহা আমাদের বিমলানন্দের দিকে লইয়া যায়, শত দুঃখ বিপদের মধ্যেও আমাদিগকে অটুট রাখে, বিদ্যা সমাজের অলংকারস্বরূপ এবং শত্রুর সম্মুখীন হওয়ার জন্য অমোঘ কবচ।

–আল-হাদিস

৩৫৯. বাড়িতে বাপ-মা-ভাই-বন্ধুরা যাহা আলোচনা করেন বিদ্যালয়ে শিক্ষার সঙ্গে তাহার যোগ নাই, বরঞ্চ অনেক সময় বিরোধ আছে। এমন অবস্থায় বিদ্যালয় একটা এঞ্জিনমাত্র হইয়া থাকে; তাহা বস্তু যোগায়, প্রাণ যোগায় না।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩৬০. বিনয় হচ্ছে জ্ঞানের ফল।

–হযরত আলি (রা.)

৩৬১. বিদ্যার আধিক্য দ্বারা বিশেষজ্ঞের পরীক্ষা হয় না।

–প্লেটো

৩৬২. একজন বিশেষজ্ঞ হলেন তিনি, যিনি ক্রমাগতভাবে অল্প বিষয়ে বেশি জ্ঞান অর্জন করেন।

–নিকোলাস এসবাটলার

৩৬৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জানেন জীবনের প্রতি সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি অর্জনে ছাত্রকে সহায়তা দান করাই তার প্রধান কর্তব্য।

—-অধ্যাপক মাহমুদ হোসেন

৩৬৪. একটি ডিগ্রি মানে একটি প্রতিশ্রুতি। এ-প্রতিশ্রুতি বিদ্যায়তনিক কৃতিত্ব নয়, জাগতিক স্বীকৃতি। ওজনে একে মাপা যায় না।

–অধ্যাপক জি. জে. হার্টস

৩৬৫. মূর্খতা মানুষের সহজাত রোগ। অনুশীলনের মহৌষধ প্রয়োগ করে সেই রোগের চিকিৎসা করতে হয়।

মওলানা মহিউদ্দিন

৩৬৬. প্রত্যেক জিনিসের কিছু এবং কিছু জিনিসের সবকিছু পড়া ভাল। ব্রোগাহাম

৩৬৭. বিদ্যালয়ের শিক্ষক হচ্ছেন একজন মিস্ত্রি, যিনি গঠন করেন মানবাত্মা।

ইকবাল।

৩৬৮. শিক্ষার সবচাইতে বড় অঙ্গটা বুঝাইয়া দেওয়া নহে, মনের মধ্যে ঘা দেওয়া।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩৬৯. শিক্ষা উন্নতদের জন্য অলংকার, আর দুর্ভাগাদের জন্য আশ্রয়স্বরূপ।

ডিমোক্রিটাস

৩৭০. বিদ্যা শিক্ষা কাকে বলি? বই পড়া? নানাবিধ জ্ঞানার্জন করা? তাও নয়। যে শিক্ষার দ্বারা ইচ্ছাশক্তির বেগ ও স্ফুর্তি নিজের আয়ত্তাধীন ও সফলকাম হয়, তা-ই শিক্ষা।

–স্বামী বিবেকানন্দ

৩৭১. কয়েকটা পাশ দিলে বা ভাল বক্তৃতা করতে পারলেই তোমাদের কাছে শিক্ষিত হল। যে বিদ্যার উন্মেষে ইতরসাধারণকে জীবন সংগ্রামে সমর্থ করতে পারা যায় না, যাতে মানুষের চরিত্রবল,পরার্থপরতা, সাহসিকতা এনে দেয় না, সে কি আবার শিক্ষা? যে শিক্ষায় জীবনে নিজের পায়ের উপর দাঁড়াতে পারা যায়, সে-ই হচ্ছে শিক্ষা।

–স্বামী বিবেকানন্দ

৩৭২. যে শকটের এক চক্র বড় (পতি) এবং এক চক্র ছোট (পত্নী) হয়, সে শকট অধিক দূরে অগ্রসর হইতে পারে না, সে কেবল একই স্থানে (গৃহকোণেই) ঘুরিতে থাকিবে।

–বেগম রোকেয়া

৩৭৩. বিদ্যা হতে বিনয়ের জন্মলাভ হয়। বিনয়ী না হলে কেহ যোগ্য পাত্র নয়। যোগ্যতায় আসে ধন, ধর্ম লাভ ধনে, ধর্ম হতে যত কিছু সুখ জাগে মনে।

–বিষ্ণু শর্মা

৩৭৪. যে পথে যথাসম্ভব কম জেনে যতদূর সম্ভব বেশি মার্ক পাওয়া যায়, আমরা সেই পথে চলব। এ তো দেকছি শিশুকাল থেকেই ফাঁকি দেয়ার বুদ্ধি অবলম্বন।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩৭৫. যে সমাজে কিছুই ভাববার নেই, কিছু করবার নেই, সমস্তই ধরাবাঁধা, সে সমাজ কি বুদ্ধিমান, শক্তিমান মানুষের বাসের যোগ্য? সে সমাজ মৌমাছির চাক বাঁধবার জায়গা।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩৭৬. জ্ঞানী ব্যক্তিরা বিনয়ী হয়।

বি. সি. রায়

৩৭৭. জ্ঞানী ব্যক্তির সব পরামর্শই নির্বিচারে পালনীয় নয়; কারণ জ্ঞানী ব্যক্তিরও ভুল থাকতে পারে।

উইলিয়াম মরিস

৩৭৮. বেফাঁস কথা বলার চেয়ে চুপ করে থাকাটাই নিরাপদ।

–জর্জ হার্বার্ট

৩৭৯. বড় বড় চিন্তাগুলো হৃদয় থেকে উদ্ভূত হতে থাকে।

ভাউভেনারগাস

৩৮০. নিজের একটা চিন্তা অন্যের কাছ থেকে ধার করা দুটো চিন্তার চেয়ে অনেক বেশি দামি।

–গোর্কি

৩৮১. যে-ব্যক্তি বিদ্যা অন্বেষণ করে, সে খোদার ইবাদত করছে।

–আল-হাদিস

৩৮২. শিক্ষা একজন মানুষের জন্মলগ্ন থেকেই শুরু হয়।

ফ্রাংকলিন

৩৮৩. একটি উৎকৃষ্ট মাথা বহু মানুষের উপকার করতে পারে।

ভার্জিল

৩৮৪. গাধাকে যদি স্বর্ণ দ্বারাও আচ্ছাদিত করা হয় তবু সে গাধাই থাকবে।

জন মরলে

৩৮৫. মানব চিন্তাধারাই আমাকে মুক্ত অথবা দাস বানাতে পারে।

–জে. জি. হল্যান্ড

৩৮৬. আমার শ্রেষ্ঠ বন্ধু আমার গ্রন্থসমূহ–তোমরা আমার কাছেই থাকো আর। আমাকে আলোর রাজ্যে নিয়ে চলো।

আব্রাহাম কাওলি

৩৮৭. সে-ই সবার প্রিয় হতে পারে যে মাটির ভাষায় কথা বলে।

ফ্রিম্যান

৩৮৮. পৃথিবীতে অজ্ঞ লোকদেরই দম্ভ বেশি।

মারলো

৩৮৯. আমরা যত বেশি পড়াশোনা করব, তত বেশি নিজের অজ্ঞতা আবিষ্কার করে লজ্জিত হব।

জন অলকট

৩৯০. কারও কিছু জিজ্ঞাসার জবাব জানা না থাকলে আমি জানি না একথা বলতে লজ্জাবোধ কোরো না।

–হযরত আলি (রা.)

৩৯১. মানুষ জ্ঞান আহরণ করলে শক্তিকেও সে আহরণ করে এবং এটাই তার হৃদয়ের লুকানো গুণগুলোকে শক্তিশালী করে তোলে।

মনীষী ওথার

৩৯২. জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাই মানুষের সবচেয়ে বড় বন্ধু।

–মেরি ডিথ

৩৯৩. জ্ঞানী লোকেরাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যে-পবিরতন ঘটে তা মেনে নেয়।

–জে, জি, হল্যান্ড

৩৯৪. আলো যেমন অন্ধকার দূর করে, জ্ঞান তেমনি সমস্ত সংকীর্ণতা দূর করে মানুষকে সত্যিকার অর্থে দেশপ্রেমিক করে তোলে।

–এ. আর. রবিনানে

৩৯৫. শিক্ষিত জাতিই নিখুঁত গণতন্ত্রের সুন্দর লজ্জামুক্ত জিনিস উপহার দিতে পারে।

–জি, জে, বেইলি

৩৯৬. শুধু বুদ্ধি আর অভিজ্ঞতা থাকলেই হবে না, তোমাকে কৌশলি হতে হবে।

উইলিয়াম ব্রাইয়ান

৩৯৭. একমাত্র শিক্ষাই জাতীয় ও সামাজিক সমস্যাগুলোর স্থায়ী সমাধান করতে পারে।

জন লিলি

৩৯৮. আমার কলমকে জিজ্ঞেস করো আমি তাকে শাসন করি না, সে-ই আমাকে শাসন করে।

জন টেলর

৩৯৯. কিছু-কিছু বিষয় সম্বন্ধে অজ্ঞ থাকা মানুষের জন্য কল্যাণকর।

ওদি

৪০০. নতুন চিন্তাভাবনা, ধ্যানধারণা নতুন সময়েরই দিকনির্দেশ করে।

সারা এইচ. পি. হুইটম্যান

৪০১. হয় মানুষের মতো হুঁশ করে কথা বলো, নতুবা গবাদি পশুর মতো চুপ করে থাকো।

হল্যান্ড

৪০২. আমি জ্ঞানী নই, কিন্তু ভাগ্যবান; কাজেই আমি সর্বতোভাবে সুখী।

ডব্লিউ জি. বেনহাম

৪০৩. সে-ই অমর, যে জ্ঞানের জন্য জীবনপণ করে।

–আল-হাদিস

৪০৪. শিক্ষা যে দান করে সে আলোর মানুষ; তা তার জীবন আলোকময় করে।

–আলফ্রেড নোয়েস

৪০৫. সত্যিকারভাবে শিক্ষিত না হলে মর্যাদাবোধ জাগে না।

–মেরি ই বুয়েস

৪০৬. বিদ্যার আধিক্য দ্বারা বিশেষজ্ঞের পরীক্ষা হয় না।

–এম. আরনল্ড

৪০৭. অনেকে দার্শনিকের মতো কথা বলতে এবং বোকার মতো আচরণ করতে ভালোবাসে।

–এইচ. জি. ভন

৪০৮. বারবার ভুল করে ক্ষমা চাওয়ার চেয়ে ভুল কম করা বুদ্ধিমানে কাজ।

–টমাস পেইন

৪০৯. শিক্ষার অর্থ সম্প্রদায় বা জাতিবিশেষের অন্ধ অনুকরণ নহে। ঈশ্বর যে স্বাভাবিক জ্ঞান বা ক্ষমতা (Faculty) দিয়াছেন সেই ক্ষমতাকে অনুশীলন দ্বারা বৃদ্ধি (Develope) করাই শিক্ষা। ঐ গুণের সদ্ব্যবহার করা কর্তব্য এবং অপব্যবহার করা দোষ।

–বেগম রোকেয়া

৪১০. জ্ঞানীর হাত ধরা যায়, কিন্তু বোকার মুখ ধরা যায় না।

জর্জ হার্বার্ট

৪১১. সূর্যের আলোতে যেরূপ পৃথিবীর সকল কিছু ভাস্বর হয়ে ওঠে, তেমনি জ্ঞানের আলোতে জীবনের সকল অন্ধকার দিক আলোতে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে।

ওমর খৈয়াম

৪১২. এ জগতে একই পুঁথি খোলা রয়েছে–সেই পুঁথিকে শিশু পড়ছে ছড়ার মতো, যুবা পড়ছে কাব্যের মতো এবং বৃদ্ধ তাতেই পড়ছে ভাগবত।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৪১৩. এই মহাবিশ্বের স্থানে কোনো কিনারা (edge) নেই, কালে কোনো শুরু কিম্বা শেষ নেই এবং শ্রষ্টার করার মতো তেমন কিছু নেই।

–হকিং

৪১৪. কলেজ তোমায় শুধু পথ দেখিয়ে দেয়। সারাজীবন তোমায় দেখতে হবে, শিখতে হবে, জ্ঞানার্জন করতে হবে।

–ডা. লুৎফর রহমান

1 Comment
Collapse Comments

কুরআনের আয়াতের অর্থ ও হাদিসের অর্থের ক্ষেত্রে একটু ত্রুটি লক্ষ করা গেছে
না, বুঝে করা হলে, মাফ করে দিন “হে পৃথিবীর মালিক! “

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *