০৬. ধনী ও ধনসম্পদ

ধনী ও ধনসম্পদ

১. তোমাদের ধনসম্পদ ও পুত্রকন্যা আমার নৈকট্যলাভের সহায়ক হবে না।

–আল-কোরআন

২. যার ধনলিপ্সা যত বেশি, আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস তার তত কম।

–হযরত আলি (রা.)

৩. সে-ই সবচেয়ে বড় ধনী যার নিজস্ব বলতে কিছু নেই। ফরাসি প্রবাদ

৪. অল্প দ্রব্য দান করিতে লজ্জিত হইও না; কেননা, বিমুখ করা অপেক্ষা অল্প দান ভালো।

–হযরত আলি (রা.)

৫. কষ্টার্জিত স্বল্প ধন হইতে যাহা দেওয়া যায় তাহা সর্বশ্রেষ্ঠ দান। –আল-হাদিস ৬. অর্থ যেখানে নেই, ভালোবাসা সেখানে দুর্বল।

স্যার টমাস ব্রাউন

৭. অর্থ মানুষকে পিশাচ করে তোলে, আবার অর্থ মানুষকে মহৎও করে তোলে।

ক্যাম্বেল ৮. মানুষ ব্যয় করে বাঁধা নিয়মে, অপব্যয় করে নিজের খেয়ালে। –রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৯. সমাজ দুই ধরনের লোক নিয়ে গঠিত–যারা তাদের আহারের রুচি বা ক্ষুধার তুলনায় অনেক বেশি ভোজ পায়, আর যারা ক্ষুধার তুলনায় খুব কম ভোজ পায়।

–রোস নিকোলাস চেমস ফোর্ড

১০. অহংকার ও দারিদ্র ঘনিষ্ঠ বন্ধু, পাশাপাশি থাকতেই পছন্দ করে।

লর্ড হ্যালিফাক্স

১১. অভাব-অভিযোগ এমন একটা সমস্যা যা অন্যের কাছে না বলাই ভালো।

পিথাগোরাস

১২. যতক্ষণ টাকাই পারে জবাব দিতে ততক্ষণ জীবন বাজি রাখা নিরর্থক।

–শেখ সাদি

১৩. বিপদ আর বিলাসের জন্ম একই বৃন্তে।

ইংরেজি প্রবাদ

১৪. অমিতব্যয়ী লোকের জীবনে কখন দুর্দশা ঘনিয়ে আসবে, কেউ তা বলতে পারে।

সিনেকা

১৫. যিনি অতিশয় ধনী লোক, তাঁর পক্ষেও নিজের সংসারের আয়-ব্যয়ের খুঁটিনাটি দেখাতে হীনতা বলে কিছু থাকতে পারে না।

ফ্রান্সিস বেকন

১৬. সব রকমের খরচের বেলাতেই যদি কেউ সমানভাবে মুক্তহস্ত হতে চায়, তা হলে তাকে অতি অল্প সময়ে নিঃস্ব হতে হবে।

–ফ্রান্সিস বেকন।

১৭. যে-সম্পদ কারও চোখে পড়ে না তা-ই মানুষকে সুখী ও ঈর্ষান্বিত করে তোলে।

বেকন

১৮. এখন আর আগেকার মতো বংশগৌরবের আভিজাত্য নয়, টাকার শক্তিই শ্রেষ্ঠ আভিজাত্য।

সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

১৯. বাড়তি সম্পদ শিশুর হাতে ছুরির মতো। এটা যে-কারও ঠোঁট কাটতে পারে।

হ্যারল্ড লাস্কি

২০. আয় যত বৃদ্ধি পায় সঙ্কুলান ততই কঠিন হয়ে পড়ে।

হোয়াইট লী

২১. যে যত ঐশ্বর্যের অধিকারী, সে তত পরমুখাপেক্ষী।

–শেখ সাদি

২২. প্রকৃত ঐশ্বর্য হৃদয়ে, ধনে নয়–পূর্ণতা জ্ঞানে, বয়সে নয়।

–শেখ সাদি

২৩. সন্তান উৎপাদনের যেমন একটিমাত্র প্রক্রিয়াই রয়েছে তেমনি কোটিপতি হওয়া যায় একটিমাত্র পন্থাতেই চৌর্যবৃত্তি ও দুর্নীতির মাধ্যমে।

জহুর হোসেন চৌধুরী

২৪. বুদ্ধি থাকলে অর্থোপার্জন এবং অন্তর থাকলে তা খচর করা যায়।

উইলিয়াম হুইটিয়ার

২৫. টাকা কখনো কখনো মানুষকে হাস্যাস্পদ করে তোলে।

জর্জ মুর

২৬. যার টাকার চাহিদা বেশি তার সংসারে সবকিছুরই চাহিদা বেশি।

–টমাস ফুলার

২৭. অনেক কিছুর মায়া কাটিয়েছে মানুষ, কিন্তু একটি জিনিসের মায়া কাটাতে পারেনি? সেটা টাকা। আর সবকিছু না হলেও চলে, টাকা না হলে চলে না। টাকার ক্ষেত্রে আর কেউ ঠোঁট উলটে বলে না, আরে ভাই এই তো জীবন–কী হবে টাকা দিয়ে! বেঁচে থাকতে হলেই টাকার প্রয়োজন। যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ টাকা আয় কমে তো আয়ু কমে।

ডি. এইচ. লরেন্স

২৮. হাতে যদি অর্থ না থাকে, তা হলে পরদুঃখকাতর হইয়া লাভ নেই।

ডা. লুৎফর রহমান

২৯. মানুষের পয়সা যে অনুপাতে বাড়তে থাকে ঠিক সেই অনুপাতেই কমে।

বুদ্ধদেব গুহ

৩০. আর্থিক সচ্ছলতা বন্ধু আনে, কিন্তু ভালোবাসা আনে না।

জোসেফ কনরাড

৩১. কম টাকা হলেও চলে যদি বুদ্ধি থাকে ও উদ্যম থাকে, যদি নিজের ওপর ভরসা থাকে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩২. টাকার প্রশ্নে সবাই এক ধর্মাবলম্বী।

–ভলতেয়ার

 ৩৩. লাভ করিব এ লক্ষ্য করিয়াও টাকা করা যায়, কল্যাণ করিব এ লক্ষ্য করিয়াও টাকা করা যায়।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩৪. যে-মানুষ টাকা খরচ করে ও টাকা জমায় বা সঞ্চয় করে সে-ই পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী ব্যক্তি। কারণ দুটি কাজ করারই পুলক সে অনুভব করতে পারে।

–স্যামুয়েল জনসন

৩৫. টাকা বন্ধুত্ব সৃষ্টি করে, এই টাকা আবার বন্ধুত্ব নষ্টও করে।

–পিয়েরে সেলডন

৩৬. যে সবচেয়ে বেশি দেয়, সে-ই সবচেয়ে বেশি পেয়ে থাকে।

রামকৃষ্ণ

৩৭. দানের সঙ্গে শ্রদ্ধা বা প্রেম মিললেই তবে তা সুন্দর ও পূর্ণ হয়।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩৮. দারিদ্র্য, নির্মম দারিদ্র্য, মানুষের জীবনের সমস্ত মাধুর্যকে তুমি নিমেষে নিঃশেষ করে দাও।

–এস. ল্যান্ডার

৩৯. মানুষ ইচ্ছে করে ছোট ও দরিদ্র হয়।

–ডা. লুৎফর রহমান

৪০. দারিদ্রের যন্ত্রণা দরিদ্রকে যে-কোনো দুষ্কর্মে প্ররোচিত করে।

বার্নার্ড শ

৪১. দরিদ্রকে দয়া-দাক্ষিণ্য দেখানো অমানবিক কর্ম। দরিদ্রের দারিদ্র্য মোচনের পথ দেখানোই মানব্য তথা মানবিক।

বীরেন্দ্র দত্ত

৪২. পার্থিব বস্তুর আধিক্যকে ধন বলা যায় না। মানসিক সন্তোষই প্রধান ধন।

–আল-হাদিস

৪৩. ধনের ধর্মই অসমান্য। জ্ঞানধর্ম কলাসৌন্দর্য পাঁচজনের সঙ্গে ভাগ করিলে বাড়ে বই কমে না, কিন্তু ধন জিনিসটা পাঁচজনের কাছ হইতে শোষণ করিয়া লইয়া, পাঁচজনের হাত হইতে তাহাকে রক্ষা না করিলে সে বেঁকে না। এইজন্য ধনকামী নিজের গরজে দারিদ্র্য সৃষ্টি করিয়া থাকে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৪৪. তোমরা যা ভালোবাস তা থেকে ব্যয় না করা পর্যন্ত তোমরা কখনো পুণ্যলাভ করবে না।

–আল-কোরআন

৪৫. একজন গরিব ব্যক্তির কাছে ধনী ব্যক্তির ধনগৌরবের চাইতে ঘৃণ্য আর কিছুই নেই।

–কাম্বারল্যান্ড

৪৬. ধনলিপ্সা মানুষের মনের সুকোমল বৃত্তিগুলোকে নষ্ট করে তাকে পশুতে পরিণত

–টমসন।

৪৭. সমাজে দুধরনের লোকের দাপট বেশি। একদল হচ্ছে যাদের ঘরে খাবার বেশি আছে এবং আরেক দল আছে যাদের ঘরে খাবার প্রয়োজনের তুলনায় কম আছে।

—ডেল কার্নেগি

৪৮. টাকাওয়ালাদের দরদ টাকাওয়ালাদের পরেই।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৪৯. বড়লোক হবার শেষ্ঠ উপায় হচ্ছে টাকা খরচ না করা।

ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়

৫০. ধনী হওয়ার অর্থ তো কেবল সংগ্রহ করাই নয়। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীকেও তেমনি ধনহীন করে তোলাও এর অন্য উদ্দেশ্য, নইলে নিজে ধনী হওয়ার কোনো মানেই থাকে না।

শরৎচন্দ্র চট্টেপাধ্যায়

৫১. সে-ই সবচেয়ে ধনী যার নিজস্ব বলতে কিছু নেই।

ফরাসি প্রবাদ

৫২. যতটা পাওয়া যায় ততটা লইয়া টানাটানি করা কাঙালকেই শোভা পায়–ভোগ খর্ব করিলেই সম্পদের যথার্থ গৌরব।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৫৩. অতিরিক্ত ধনলিপ্সা বয়সকে অস্বীকার করার মতো পাপ।

ব্যানক্র্যাক্ট

৫৪. ঐশ্বর্যের মাঝে থেকেও দারিদ্র্যের মাঝে চলার মতো করে নিজেকে গড়ে নিও, কারণ ঐশ্বর্য ক্ষণস্থায়ী।

জন সেলডন

৫৫. সম্পদ যেমন দায়িত্ব বৃদ্ধি করে, তেমনি উত্তরাধিকারীকেও সুপ্রতিষ্ঠিত করে।

–আর্থার ইয়ং

৫৬. সম্পদ সভ্যতা আনে না, কিন্তু সভ্যতা সম্পদ আনে।

হেনরি বিশার

৫৭. সম্পদ নিশ্চিতভাবে ভোগের জন্য।

–বেনিন

৫৮. বেশিরভাগ বড়লোকদের সাহসের বেশিটাই তাদের সম্পত্তিসস্তৃত।

–বুদ্ধদেব গুহ

৫৯. উত্তরাধিকারসূত্রে যে ধনবান, সে মর্যাদাবান নয়।

এডমন্ড বার্ক

৬০. বুদ্ধিহীনের সুখ্যাতি ও সম্পদ ভয়ংকর সম্পদ বিশেষ।

ডেমোক্রিটাস

৬১. যে আয় ভোগে লাগে না, তা থেকেও নেই।

আবদুর রহমান শাদাব

৬২. উপার্জিত টাকার চেয়ে খরচ যার বেশি হয়, সে কখনো ধনী হতে পারে না, আর সে কখনোই দরিদ্র নয়, যার খরচ তার উপার্জনের চেয়ে কম।

হ্যালি বার্টন

৬৩. আয়ের চেয়ে ব্যয়ের কৌশল রপ্ত করা অনেক বেশি কঠিন। স্বর্ণ-বৃষ্টির সময় কেউ টুপি পেতে ধনী হতে পারে, কিন্তু সুরুচি এবং পাকা অভিজ্ঞতা না থাকলে সার্থক খরচ করতে পারে না। মানুষ অর্থ দিয়ে যে অনর্থ কেনে তা দারিদ্র্যের চেয়েও ভয়ঙ্কর।

আবদুর রহমান শাদাব

৬৪. যোগ্যতা যতই থাক, অবস্থা অনুকূল না হলে আয় হয় না। কিন্তু স্বেচ্ছাব্যয়ের সমস্ত দায়িত্বটাই নিজের। কে কীভাবে ব্যয় করে, তাতে নির্ণীত হয় তার জীবনের রূপ।

আবদুর রহমান শাদাব

৬৫. যে-ব্যক্তি স্বহস্তে আয় করে, হাতেম তাই-এর দান তাকে খাটো করতে পারে

–শেখ সাদি

৬৬. পাপপথে পয়সা অর্জন করার চেয়ে একজন স্ত্রীলোকের দাস হওয়া অনেক ভালো।

শেখ সাদি

৬৭. কসাইয়ের তাগাদা অপেক্ষা সে-গোশত্ না খেয়ে মরা ভালো।

শেখ সাদি

৬৮. মন যখন যা চায়, তা-ই খাওয়া অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়।

হযরত ইমাম হোসেন (রা.)

৬৯. আমাদের কী আছে তা কম সময়েই ভাবি, আমাদের অধিকাংশ চিন্তা কী নেই তা-ই নিয়ে।

শপেনহাওয়ার

৭০. পরের দুঃখের কথা করিলে চিন্তন
নিজের অভাব ক্ষোভ থাকে কতক্ষণ?

রজনীকান্ত সেন

৭১. অপব্যয়ী লোক তাদের উত্তরাধিকারীদের সর্বস্বান্ত করে আর কৃপণ করে নিজেকে সর্বস্বান্ত।

ব্রুইয়ের

৭২. যখন উপাসনা শেষ হবে, তোমরা জমিনে ছড়িয়ে পড়বে এবং আল্লাহর দান অনুসন্ধানে ব্যাপৃত থাকবে।

–আল-কোরআন

৭৩. উপার্জন না করলে পরমুখাপেক্ষিতা আসে, পরমুখাপেক্ষিতায় মানুষের ধর্ম শিথিল, বুদ্ধি দুর্বল এবং চুক্ষলজ্জা দূর হয়ে যায়।

হযরত লোকমান (আ.)

৭৪. ঋণ পরিশোধের পন্থা ঠিক না করে ঋণ কোরো না।

সক্রেটিস

৭৫. টাকার স্থূপের ওপরে যারা বসে থাকে আমাদের সংস্কৃতি নায়ক বানায় তাদেরকেই। আর নিজেদের কর্মক্ষেত্রের যোগ্যতার বিষয়ে তারা যা বলে, শুধু সেগুলোই আমরা শুনি না, জগতের বিভিন্ন বিষয়ে তাদের জ্ঞানগর্ভ বাণীও আমরা মনোযোগের সঙ্গে শুনি।

ম্যাক্স লার্নার

৭৬. ধার করা ভিক্ষা অপেক্ষা অধিকতর উন্নত নয়।

–লেস সিং

৭৭. অর্থই সকল অনর্থের মুল।

প্রবাদ

৭৮. পৃথিবীর সকল সম্পত্তিতে পৃথিবীর সকল মানুষের অধিকার সমান।

লেনিন

৭৯. অপচয়কারীরা ক্ষণিকের সুখ আনন্দের মোহে তাদের নিজের যেমন তেমনি সন্তানদের ভবিষ্যও নষ্ট করে।

বার্ট্রান্ড রাসেল

৮০. মানুষ ব্যয় করে বাঁধা নিয়মে, অপব্যয় করে নিজের খেয়ালে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৮১. ধনী হওয়া ধনের উপর নির্ভর করে না, নির্ভর করে মনের তৃপ্তির উপর।

–আল-হাদিস

৮২. জীবনের সর্বক্ষেত্র থেকে অনাবশ্যক সবকিছু হেঁটে ফেলাই শ্রেয়।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

৮৩. অপব্যয় কোনো সুনাম বা ধনাট্যের প্রমাণ নয়–তা নেহাতই বোকামি।

টমাস হার্ডি

৮৪. অপব্যয়কারী প্রয়োজনের সময় প্রয়োজনীয় ব্যয় করতে পারে না।

কোরনেলি

৮৫. অমিতব্যয়ী লোকের জীবনে কখন দুর্দশা ঘনিয়ে আসে, বোঝা যায় না।

সিনেকা

৮৬. পৃথিবীতে অভাব আর অসত্য থাকিবেই, উচ্চ অবস্থা অতি অল্প লোকেরই ভাগ্যে ঘটে; বাকি সকলেই যদি অবস্থাপন্ন লোকের সহিত ভাগ্য তুলনা করিয়া মনে মনে অমর্যাদা অনুভব করে, তবে তাহা আপন দীনতায় যথার্থ ক্ষুদ্র হইয়া।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৮৭. পূর্বপুরুষের অতুল সম্পদের আস্ফালনে ভিক্ষাজীবী বংশধরের লাভ?

–ড. আহমদ শরীফ

৮৮. ঐশ্বর্য মানুষের একমাত্র স্বপ্ন। ঐশ্বর্যের পদপ্রান্তে পাপ ও পুণ্য ধর্ম ও অনাচার, সভ্যতা ও বর্বরতা, প্রেম ও প্রবঞ্চনা ভিড় করিয়া দাঁড়াইয়াছে। ঐশ্বর্য এমন একটি বস্তু যাহার জাত বিচার নাই। শাঠ্য ও সভ্যতা, নীচতা, ন্যায়, মাৎসর্য ও মানবতা সবকিছুকেই সে একসঙ্গে আলিঙ্গন করিয়াছে। ঐশ্বর্যই কীর্তি, ঐশ্বর্যই ধ্বংসের প্রতীক।

প্রবোধকুমার সান্যাল

৮৯. যেদেশে ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই চোর, যেখানে সরকারি কর্মচারীরা অধিকাংশ ঘুষখোর, সেখানে নিয়ন্ত্রণ করা মাত্রই কালোবাজারের সৃষ্টি করে।

–বনফুল

৯০. কার্পণ্য ত্যাগ করো নতুবা তোমার আপনজনরা তোমার জন্য লজ্জিত হবে এবং অপরে তোমাকে ঘৃণা করবে।

–হযরত আলি (রা.)

৯১. মুখে অনেকেই টাকা অতি তুচ্ছ, অর্থ অনর্থের মূল বলিয়া থাকেন কিন্তু জগৎ এমন ভয়ানক স্থান যে, টাকা না থাকিলে তাহার স্থান সমাজে নাই, কোথাও নাই। স্বজাতির নিকটে, জ্ঞাতির নিকটে, ভ্রাতা-ভগ্নির নিকটে কথাটির প্রত্যাশা নাই অর্থাৎ টাকা না থাকিলে স্ত্রী-পুত্র, আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব কেহই ভালোবাসে না, সাধারণ মান্য করে না, বিপদে জ্ঞান থাকে না। জন্ম মাত্র টাকা, জীবনে টাকা, জীবনান্তে টাকা, জগতে টাকারই খেলা।

মীর মোশাররফ হোসেন

৯২. টাকাকড়ির মূল্য যে কত তা যদি যাচাই করতে চাও, তা হলে কারও কাছ থেকে টাকা ধার নিতে চেষ্টা করো।

ফ্রাংকলিন

৯৩. টাকা টাকা আনতে পারে, কিন্তু সম্মান আনতে পারে না।

স্কট

৯৪. নগদ টাকা আলাদিনের চেরাগের তুল্য।

বায়রন

৯৫. যার পকেটে টাকা নেই, তার পকেটে অবশ্যই মধু থাকতে হবে।

র‍্যাল্যান্ড আটকিন

৯৬. মেয়েছেলে টাকার দাম বুঝতে শেখে যখন রোজগার করে।

–প্রবোধকুমার সান্যাল

৯৭. দারিদ্রের আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করো। কেননা, ইহার অভিশাপ মানুষকে কাফেরে পরিণত করে।

–আল-হাদিস

৯৮. দরিদ্রদের নিয়ে ভাবে অনেকে, কিন্তু তাদের জন্য কিছু করে খুব স্বল্পসংখ্যক লোক।

রবার্ট বার্টন

৯৯. বিধাতার সৃষ্ট জীবের মধ্যে মানুষই একমাত্র দরিদ্র।

টমাস লোয়েন

১০০. টাকা মানুষের শ্রম আর সত্তার বিচ্ছিন্ন সারমর্ম; এই সারমর্ম নিয়ন্ত্রণ করে মানুষকে, আর মানুষ একে করে উপাসনা।

কার্ল মার্কস

১০১. টাকা যখন থাকে, সত্য থাকে নীরব।

রুশি প্রবাদ

১০২. কিছু না থাকার অর্থ দরিদ্র নয়।

–জন গাওয়ার

১০৩. দারিদ্রকে যে মাথা পেতে গ্রহণ করে, সে ব্যক্তিত্বহীন পুরুষ।

লঙফেলো

১০৪. দক্ষিণ হস্ত যাহা প্রদান করে বাম হস্ত তাহা জানিতে পারে না, এইরূপ দানই সর্বোৎকৃষ্ট।

–আল-হাদিস

১০৫. দানের সঙ্গে শ্রদ্ধা বা প্রেম মিলিয়ে তবেই তাহা সুন্দর ও সমগ্র হয়।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১০৬. দরিদ্রকে দান করিলে সেই দানের জন্য একটি পুরুস্কার আছে। কিন্তু অভাবগ্রস্ত আত্মীয়স্বজনকে দান করিলে সেই দানের জন্য দুইটি পুরস্কার আছে, একটি দানের জন্য, অন্যটি আত্মীয়কে সাহায্য করার জন্য।

–আল-হাদিস

১০৭. সকলের কিছু-না-কিছু দান করিবার চেষ্টা করা উচিত। তবে একটা কথা আছে দিব বলিয়া না দেওয়া, না দেওয়ার চেয়েও দোষাবহ।

ভূদেব মুখোপাধ্যায়

১০৮. খোয়া যাওয়া আর কিছুই নয়, নিছক পরিবর্তন; আর পরিবর্তন প্রকৃতির আনন্দ।

মার্কাস অরেলিয়ার

১০৯. এমন অনেক সময় আসে যখন কিছু অর্জন করার চাইতে কছু হারানো ভালো।

–পুটাস

১১০. যে খোয়া যাওয়ার কথা অজানা, সেটা খোয়া যাওয়াই নয়।

–পাবলিলিয়াস সাইরাস

১১১. যা-কিছু তুমি খোয়াতে পার, তাকে পাত্তা দিয়ো না।

–পাবলিলিয়াস সাইরাস

১১২. অযাচিত দানই দান, চাহিলে অনেক সময় চক্ষুলজ্জায় লোকে দান করে, কিন্তু সে দান নহে।

–হযরত আলি (রা.)

১১৩. উহাই শ্রেষ্ঠ দান যাহা হৃদয় হইতে উৎসারিত হয় এবং রসনা হইতে ক্ষরিত হইয়া ব্যথিতের ব্যথা দূর করে।

–আল-হাদিস

১১৪. অভাবগ্রস্ত যে, তার চিত্তে স্বাধীনতা থাকে না। তুমি মিতব্যয়ী হও, তোমার মনের স্বাধীনতা বেড়ে যাবে।

–ডা. লুৎফর রহমান

১১৫. আয় যত বেশি বাড়ে ব্যয়সংকুলান ততই কঠিন হয়ে পড়ে। হোয়াটলি ১১৬. ব্যবসা কর, শিল্প ধর, চাকুরীর মায়া ছাড়।

–আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়

১১৭. ব্যবসার আত্মা হচ্ছে তৎপরতা।

–চেস্টারফিল্ড

১১৮. ব্যবসায়ীদের নিজস্ব কোনো দেশ নেই।

–জেফারসন

১১৯. মানুষ যদি হিসেবী হত তা হলে জগতের পনেরো আনা দুঃখ কমে যেত, জগতে এত দরিদ্র লোক থাকত না। মানুষের এত হাহাকার শোনা যেত না।

ডা. লুঃফর রহমান

১২০. ছোট ছোট ব্যয় সম্বন্ধে সাবধান হও। একটি ছোট ছিদ্র মস্তবড় জাহাজকে ডুবিয়ে দিতে পারে।

ফ্রাংকলিন

১২১. স্বাস্থ্যের চাইতে বড় সম্পদ এবং অল্পে তুষ্টির চাইতে বড় সুখ আর কিছু নেই।

–হযরত আলি (রা.)

১২২. সম্পদ কোনোদিন সভ্যতা আনতে না, কিন্তু সভ্যতা সম্পদ আনয়ন করতে

হেনরি ওয়ার্ড

১২৩. সম্পদ যে অর্জন করে তার নয়, যে ভোগ করে তার।

জেমস হাওয়েল

১২৪. সম্পত্তিই শক্তিশালী লোকদের দুর্বলের উপর শোষণ চালাতে সাহায্য করে।

–প্রুধো

১২৫. বুদ্ধিহীনের সুখ্যাতি ও সম্পদ ভয়ংকর সম্পদবিশেষ।

ডেমোক্রিটাস

১২৬. অর্থ জিনিসটাকে তুচ্ছ বলে অবজ্ঞা করা চলে তখনই যখন তাতে দিনপাত হয় মাত্র। যখন তার চূড়াকে সমুচ্চ করে তোলা যায় তখনই জনসাধারণ তাকে শ্রদ্ধা করে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১২৭. অর্থ ও ক্ষমতার লোভে মানুষ যে-কোনো পর্যায়ে নেমে যেতে পারে।

টমাস ফুলার

১২৮. অর্থ থেকে সদ্‌গুণ জন্মে না, বরং অর্থ ও আন্যান্য কাম্য বিষয় সদ্‌গুণ থেকেই জন্মগ্রহণ করে।

সক্রেটিস

১২৯. মানস-প্রতিমা আমাদের বেঁধে রাখে খোয়া যাওয়া গুপ্তধনের সঙ্গে, কিন্তু খোয়া যাওয়ার ফলেই তৈরি হয় সেই প্রতিমা।

–কোলে

১৩০. ভোজন করো এবং পান করো, কিন্তু অপচয় করিও না। নিশ্চয়ই আল্লাহ অপচয়কারীকে ভালোবাসেন না।

–আল-কোরআন

১৩১. শিক্ষার অভাবেব সঙ্গে প্রাচুর্যের অভাব ঘটলে মানুষ কাঙ্গাল হয়। নইলে হয় চোর। আবার প্রাচুর্যের আধিক্যও বিপদ। চোর-ডাকাতের ভয় লেগে থাকে।

–খোন্দকার মোঃ ইলিয়াস

১৩২. তোমার সামর্থ্য অনুযায়ী উপভোগ করো।

–পি. জে. বেইলি

১৩৩. কর্জ পৃথিবীতে খোদাতালার দণ্ডস্বরূপ। যখন তিনি কোনো লোককে অপমানিত করতে চান, তখন তাহার ঘাড়ে কর্জের বোঝা চাপাইয়া দেন।

–আল-হাদিস

১৩৪. মুসলমান যে-পর্যন্ত ঋণ পরিশোধ না করে, সে-পর্যন্ত বেহেশতে প্রবেশ করিতে পারিবে না এবং পুণ্যাত্মাদের সঙ্গে মিলিত হইতে পারিবে না।

–আল-হাদিস

১৩৫. ঋণ করার অভ্যাসই হচ্ছে নিকৃষ্টতম দরিদ্রের লক্ষণ।

টমাস ফুলার

১৩৬. অর্থ ও যশ মানুষের জীবনের সব নয়।

স্কট

১৩৭. নিজ অর্জিত অর্থ ব্যয় করে যে-আনন্দ পাওয়া যায়, অন্যের প্রদত্ত অর্থে তার বিন্দুমাত্রও পাওয়া যায় ন।

স্যামুয়েল রোজার

১৩৮. পুণ্যবান হচ্ছে সেই ব্যক্তি যার হৃদয় এবং অর্থ দুটোই আছে; কারণ সে শেষোক্তকে ভালোভাবে কাজে লাগায়।

মানান্ডার

১৩৯. যে অপব্যয় করে আজ, গতকালের দৌলতের বড়াই করে, পরশু তার কিছুই থাকবে না নিজের বলে বলবার।

সম্রাট শিষোয়াংশি

১৪০. উপার্জনের চেয়ে বিতরণের মাজেই বেশি সুখ নিহিত।

টিনা

১৪১. সকালবেলায় ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে জাগ্রত হওয়ার বিড়ম্বনার চেয়ে রাত্রিতে ক্ষুধার্ত অবস্থায় শয়ন করা অনেক বেশি বুদ্ধিমানের কাজ।

ফকরি

১৪২. যদি কারও সাথে বন্ধুত্ব রাখতে হয়, তা হলে সবচেয়ে ভালো উপায় হল তাদের কোনো ধার না দেওয়া বা তাদের থেকে কোনোকিছু ধার না নেওয়া।

–পলড়ি কোক

১৪৩. এ জগতে নিঃসম্বল দরিদ্রের আছে মহত্ত্ব, অমিতব্যয়ী ধনীর আছে ঔদার্য। ব্যয়কুণ্ঠ বিত্তবানের নেই কোনোটাই।

যাযাবর

১৪৪. কৃপণতা সকল বদভ্যাসের সম্মিলিত রূপ। এটা এমনি এক লাগাম যা দ্বারা যে-কোনো অন্যায়ের দিকে টেনে নেওয়া চলে।

–হযরত আলি (রা.)

১৪৫. যে টাকা চায় সে পৃথিবীর সবকিছু চায়।

বিরন

১৪৬. বিদ্যা যতই বাড়ে ততই জানা যায় যে কিছুই জানি না, টাকারও সে-ই দশা। টাকা যতই বাড়ে ততই মনে হয়, টাকা নাই বলিলেই চলে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৪৭. টাকা রোজগার করতে মাথা, আর টাকা খরচ করতে হৃদয় লাগে।

ফারকুহার

১৪৮. টাকা সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে।

–আর্থার হুগ

১৪৯. টাকা যখন কথা বলে তখন সত্য চুপ করে থাকে। রাশিয়ান প্রবাদ ১৫০. টাকা হাতে থাকলে সবাই ভাই বলে ডাকে।

–পোল্যান্ডের প্রবাদ

১৫১. পা ফাঁক করো তোমার কম্বলের মাপের অনুপাতে।

–পারস্য প্রবাদ

১৫২. এমন কোনো ফল নেই পাকার আগে যা তেতো না থাকে।

–পাবলিলিয়াস সাইরাস

১৫৩. ধনী লোকদের পাকস্থলী সাধরণত সুস্থ থাকে না।

ওয়াল্টার হুইটম্যান

১৫৪. যার কাছে ধন থাকে, ধন তার নয়, যে ধন খরচ করে ধন তারই হয়।

ফ্রাংকলিন

১৫৫. ধনসম্পদ হচ্ছে কলহের কারণ, দুর্যোগের মাধ্যম, কষ্টের উপলক্ষ এবং বিপদ আপদের বাহন।

–হযরত আলি (রা.)

১৫৬. ধনলিপ্সা মানুষের মনের সুকোমল বৃত্তিগুলোকে নষ্ট করে তাকে পশুতে পরিণত করে।

টমসন

১৫৭. অত্যন্ত সাধারণ পয়সা, হাটে হাটে হাতে হাতে ঘুরে ক্ষয়ে যাওয়া, মলিন হয়ে যাওয়া পয়সা, তাম্রগন্ধী পয়সা, কুবেবের আদিম স্বরূপ, যা রুপোর সোনার কাগজে দলিলে নানা মূর্তি পরিগ্রহ করে মানুষের মনকে ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৫৮. তোমার সুসজ্জিত গৃহে যতখানি প্রাচুর্য আছে, ততখানি আনন্দ থাকবে, এমন কোনো কথা নেই।

উইলিয়াম ম্যাসন

১৫৯. অন্যায় পন্থা অবলম্বন করে যে-সম্পদ অর্জন করা হয় তা নিঃশেষ হতে থাকে, আর সৎ পন্থায় পরিশ্রম করে যা অর্জিত হয়, তা বাড়তে থাকে।

হযরত সুলায়মান (আ.)

১৬০. প্রয়োজনের অতিরিক্ত অর্থ কোনো মানুষের জীবনেই মঙ্গল আনতে পারে না।

নীহাররঞ্জন গুপ্ত

১৬১. অভাব যখন দরজায় এসে দাঁড়ায়, ভালোবাসা তখন জানালা দিয়ে পালায়।

–শেক্সপীয়ার

১৬২. কৃপণের ধন উঠে আসে মাটির তলা থেকে, আর কৃপণ নিজে গিয়ে ঢেকে মাটির তলায়।

–শেখ সাদি

১৬৩. কৃপণের আঙুলের ফাঁক দিয়ে পানি গড়ায় না।

মালয়ী প্রবাদ

১৬৪. জীবনটার পরিধি খুব ছোট। যতশীঘ্র মানুষ তার ধনসম্পদ ভোগ করতে আরম্ভ করে তার ততই মঙ্গল।

স্যামুয়েল জনসন

১৬৫. কৃপণেরা নিজেদের পেট আর পিঠ পকেটে ঢুকিয়ে রাখে।

টমাস ফুলার

১৬৬. মরার আগ পর্যন্ত কৃপণ আর মোয়োর কোনো কাজে আসে না।

ফরাসি প্রবাদ

১৬৭. মানুষের প্রয়োজন যাতে
বিধি তাহা দিলেন সকলি
মনগড়া অভাব সৃজিয়া
দুঃখ পাই আমরা কেবলি।

–পঙ্কজিনী বসু

১৬৮. যে-ব্যক্তি তার প্রয়োজন মেটানোর মতো উপার্জনে সন্তুষ্ট থাকে, তার চাইতে নিরুদ্বিগ্ন জীবন আর কারও হতে পারে না।

–হযরত আলি (রা.)

১৬৯. হাজার পয়সা দানের চেয়ে এক পয়সা ঋণ পরিশোধ বেশি মূল্যবান।

হযরত আবদুল-বিন মোবারক (রা.)

১৭০. কৃপণ ব্যক্তি খোদা হইতে দূরে, লোকসমাজে ঘৃণিত ও দোজখের নিকটবর্তী।

–আল-হাদিস

১৭১. টাকা ছাড়া একজন লোক তীরছাড়া ধনুকের মতো।

জন ব্রে

১৭২. টাকা হারানো খুব সহজ ব্যাপার, কিন্তু টাকা উপার্জন করাটা মারাত্মক কঠিন।

সিসেরো

১৭৩. টাকার পেছনে ছুটলে টাকা পাওয়া যায় না। টাকা যখন আসার ঠিক তখনই আসে।

–সৈকত চৌধুরী

১৭৪. ছিল মোর টাকা কড়ি
ছিল মোর বন্ধুও বিস্তর
দিলাম সে টাকা কড়ি
বন্ধুগণে ধার অতঃপর;
চাহিলাম ফিরে মোর
টাকা সব বন্ধুর নিকট,
টাকাতো গেলই মোর
দিল সব বন্ধুই চম্পট।

কার্তিকচন্দ্র

১৭৫. দারিদ্র্যটা মানুষের গৌরব নয়,তার লজ্জা। অভাবের জ্বালায় মানুষ রুখে দাঁড়ায়; তখন তার অর্থ এই নয় যে, সারা দুনিয়াকে তারা গরিব করে দেবে। সকলের বড়লোক হওয়ার দরকার আছে বলে কয়েকজন অতি বড়লোকের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই।

–নারায়ণ সান্যাল

১৭৬ হে দরিদ্র, তুমি মোরে করেছ মহান!
তুমি মোরে দানিয়াছ খৃস্টের সম্মান
কণ্টক মুকুট শোভা।

কাজী নজরুল ইসলাম

১৭৭. দারিদ্র্যে লজ্জার কিছু নেই। লজ্জা আছে দারিদ্র্যকে কেন্দ্র করে অন্যের করুণাভিক্ষায়।

স্যার আর্থার হেলপ

১৭৮. দারিদ্র্য পাপ নয়, কিন্তু দারিদ্র্য যেন চরিত্রের মাধুর্যকে নষ্ট না করে।

টমাস ফুলার

১৭৯. হাতের দান হাতে-হাতেই চুকিয়ে দাও … হৃদয়ের দান, যত অপেক্ষা করবে তত তার দান বাড়বে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৮০. জগতে সর্বদাই দাতার আসন গ্রহণ করো। সর্বস্ব দিয়ে দাও। আর ফিরে কিছু চেয়ো না। ভালোবাসা দাও, সাহায্য দাও, সেবা এতটুকু যা তোমার দেবার আছে দিয়ে যাও। কিন্তু সাবধান, বিনিময়ে কিছু চেয়ো না।

স্বামী বিবেকানন্দ

১৮১. ধনী লোকের ধন তার স্বাস্থ্যের বড় শত্রু।

জর্জ ওয়েস্ট স্টোন

১৮২. আমাদের অনেকেই প্রথম উদ্যমে ব্যবসায়ে প্রবেশ করে অল্পদিনের মধ্যে সফলতা লাভের জন্য অধীর হয়ে ওঠেন। আর যদি প্রথমে কিছু লোকসান হয় তো অমনি ব্যবসায় ছেড়ে দিয়ে হা চাকুরী, হা চাকুরী করে বেড়ান। কিন্তু স্থিরভাবে লেগে থাকতে না পারলে ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে সফলতা লাভের আশা দুরাশা মাত্র।

আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়

 ১৮৩. প্রাচুর্য মানুষের প্রয়োজন মেটায়, অতিরিক্ত সম্পদ মানুষকে উন্নাসিক করে তোলে।

টমাস ফুলসার

১৮৪. যে-সমস্ত মানুষ বেহিসেবি হয়ে রসনাকে সংযত করতে জানে না, মূর্থের মতো খেয়াল চাপে আর খরচ করে, তারা মনুষ্যত্বর অবমাননা করে, দুঃখের পর দুঃখ, অশান্তি ও বেদনা তাদের জীবনের অনেক শক্তি নষ্ট করে দয়ে। –ডা. লুৎফর রহমান

১৮৫. বিনাশ্রমে অর্জিত সম্পদ দুঃখজনক পরিণতি ডেকে আনে।

মহিউদ্দিন

১৮৬. সম্পদের মালিক হবার পর যারা নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকে, তাদের সেই সম্পদ স্থায়ী থাকে। আর যারা দায়িত্ব ভুলে যায়, তারা নিজের হাতেই সম্পদের ধ্বংস ডেকে আনে।

–হযরত আলি (রা.)

১৮৭. অর্থ উপার্জনের যদিও নানা ধরনের উৎস আছে, কিন্তু অর্থব্যয়ের ক্ষেত্রে বিধিবন্ধ নিয়ম মেনে চলা ভালো।

গোল্ডস্মিথ

১৮৮. মানুষ ইচ্ছা করেই ছোট ও দরিদ্র হয়। তার ছোট ও দরিদ্র হবার কোনো কথাই নাই। তার শুধু সহিষ্ণু পরিশ্রম চাই। জয়ের জন্য শুধু আল্লাহর দিকে চেয়ে থেকো না। তোমার বাহুতে যে শক্তি আছে, তোমার মাথায় যে বুদ্ধি আছে তার ব্যবহার করো তুমি।

ডা. লুৎফর রহমান

১৮৯. দরিদ্রের সমাজ নেই, দরিদ্রের ধর্ম নেই, দরিদ্রের জীবননীতি কোথাও কিছু নেই। তাদের এক ও অদ্বিতীয় পরিচয় তারা সর্বহারা নিঃস্ব।

–প্রাবাধকুমার সান্যাল

১৯০. পাখি উড়াল দেয়ার আগে ডিমের খোলস অবশ্যই ভাঙতে হয়।

–লর্ড টেনিসন

১৯১. যে উড়তে শেখে আগে তাকে অবশ্যই শিখে নিতে হয় দাঁড়ানো; আর হাঁটা আর দৌড়ানো আর আরোহণ আর নাচ; কেবলমাত্র উড়েই বড় শেখা যায় না।

নিৎসে

১৯২. মানুষকে দান করো কিন্তু দান করার জন্যই কি দান করতে হবে? দেখতে হবে, প্রদত্ত পয়সায় দানপ্রাপ্ত ব্যক্তির প্রকৃত উপকার হবে কি না। যার আছে তাকে আরও দিলে পয়সার অপব্যবহার করা হয় না কি?

–ডা. লুৎফর রহমান

১৯৩. কৃপণতা মর্যাদাহানি করে। কাপুরুষতা পূর্ণ মনুষ্যত্ব অর্জনের পথে বৃহৎ অন্তরায়। দরিদ্র মহাজ্ঞানীকেও অনেক সময় প্রতিপক্ষের সামনে মৌন করে দেয়। অপাত্রে বিনয় বিপদ ডেকে আনে। ধৈর্যই প্রকৃত সম্পদ।

–হযরত আলি (রা.)

১৯৪. কোনো জ্ঞানী বলিয়াছেন আত্মার ঐশ্বর্য থাকিলে দরিদ্রতা কাহারও ক্ষতি করিতে পারে না এবং মানুষের আত্মা দরিদ্র হইলে ঐশ্বর্য দ্বারা তাহার কোনো উপকার সাধিত হয় ন।

অজ্ঞাত

১৯৫. যে তোমার সহিত মন্দ ব্যবহার করে তাহার সহিত তুমি ভালো ব্যবহার করিও–তাহা হইলে সকলের উপরে জয়লাভ করিতে পারিবে। কাহারও ঐশ্বর্যে ঈর্ষা করিও না–তাহাতেই শান্তি লাভ হইবে। বন্ধুলাভ করিতে হইলে স্বার্থপর হইও না। সরলতা বা আন্তরিকতার সহিত কাজ করিও, তাহার পুরস্কার পাইবে।

ইমাম পাজ্জালি (রা.)

১৯৬. লক্ষ্মী হলেন এক, আর কুবের হল আর এক–অনেক তফাত। লক্ষ্মীর অন্তরের কথাটি হল কল্যাণ, সেই কল্যাণের দ্বারা ধন শ্রীলাভ করে। কুবেরের অন্তরের কথাটি হচ্ছে সংগ্রহ, সেই সংগ্রহের দ্বারা ধন বহুত্ব লাভ করে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৯৭. দানশীলতা বেহেস্তের একটি গাছ। দানশীল ব্যক্তি ঐ গাছের একটি ডাল ধরল, যা যতক্ষণ তাকে বেহেশতে দাখিল না করবে, ততক্ষণ সে ছাড়বে না। কৃপণতা দোজখের একটি ডাল। কৃপণ ব্যক্তি এমনি একটি ডাল ধরল যা তাকে দোজখে নিক্ষেপ না করা পর্যন্ত ছাড়বে না।

–আল-হাদিস

১৯৮. টাকা হল মুদ্রাশাসিত মুক্তি, আর একইভাবে পরাধীনের কাছে এটি দশ গুণ ভয়ঙ্কর। যদি পকেটে ঝনঝন করতে থাকে টাকা, সে অর্ধবন্দি, এর পরও সে টাকা খরচ করতে পারে না।

ফিওদর দস্তায়েভস্কি

১৯৯. যে-গাধার পিঠ স্বর্ণে বোঝাই, সে গিয়ে ওঠে দুর্গের চূড়ায়।

ইংরেজি প্রবাদ

২০০. টাকা জ্ঞানীলোকের বর্ম।

ইউরিপিদেস

২০১. টাকা থাকা মানে দয়ালু, সৎ সুন্দর আর রসিক হওয়া। আর যার নেই সে বিচ্ছিরি, বিরক্তিকর, মূর্খ এবং অকর্মা।

–জ্যাঁ জিরাদু

২০২. সুন্দরী স্ত্রী এবং পেছনের দরজা যে-কোনো মুহূর্তে একজন ধনী লোককে গরিব করতে পারে।

টি. এ. পিকক

২০৩. টাকা অনেকটা বাহু এবং পায়ের মতো, তাকে ব্যবহার করো অথবা পদদলিত করো।

–হেনরি ফোর্ড

২০৪. অর্থমন্ত্রীরা হলেন আইনসম্মত পকেটমার।

–পল রামাদিয়ে

২০৫. প্রজাতন্ত্রের টাকা যে-মুহূর্তে বেশি বেশি করে খরচ করতে শুরু করবেন, মনে হবে ওগুলো গৌরী সেনের।

–আইসেন হাওয়ার

২০৬. অর্থ গেলেই বুদ্ধি যায়।
যা-ই করে তা-ই ব্যর্থ হয়।….
মিত্র তার, জ্ঞাতি তার ঘরে যার ধন
‘পুরুষ’ ও ‘পণ্ডিত’ আখ্যা পায় সে জন।

চাণক্য পন্ডিত

২০৭. যে আমার টাকা চুরি করেছে সে শুধু আমার টাকই চুরি করেনি, বিশ্বাসও চুরি করেছে।

–বেন জনসন

২০৮. দেখতে পাওয়া যাচ্ছে, সর্বাপেক্ষা সজ্জন ব্যক্তির হাতে যখন টাকা এল, সে প্রথম খোয়াল সৌজন্য। সাধুর হাতে যখন টাকা এল, তখনই তার সাধুতার প্রশ্ন উঠল। নিঃস্বার্থ দেশসেবকের যখন টাকা হল, সে নিজে গড়ে উঠল স্বার্থপরের মতো। এ ছাড়া চেয়ে দেখো আন্যদিকে রাষ্ট্র যখন ধনবান হয়ে উঠছে দিনে দিনে তখন তার শাসকমহল অর্থনীতির তলায় তলিয়ে যাচ্ছে।

–প্রবোধকুমার সান্যাল

২০৯. আমাকে ধনসম্পদ বেশি দিও না এবং কমও দিও না। পুষ্টিকর খাদ্য এবং সুস্থ মানসিকতা নিয়ে আমাকে বাঁচতে দাও।

জন কলিন্স

২১০. আমাদের যা আছে তা নিয়েই সন্তুষ্ট তাকা উচিত। কখনই যা আমরা হতে পারি না তা নিয়ে নয়।

–ম্যাকিন্টস

২১১. পরিপূর্ণ তৃপ্তি নিয়ে কুঁড়েঘরে থাকাও ভালো; অতৃপ্তি নিয়ে বিরাট অট্টালিকায় বাস করায় কোনো সার্থকতা সেই।

উইলিয়াম ডেভিস

২১২. যা তুমি দেখাও তার চেয়ে বেশি তোমার থাকা উচিত, যা তুমি জান তার তুলনায় তোমার কম কথা বলা উচিত।

শেক্সপীয়ার

২১৩. দারিদ্র এক ধরনের ঘৃণা আশীর্বাদ।

রবার্ট বার্টন

২১৪. সত্যিকারের গরিব কে জানেন? নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যাকে ভিন্ন ধরনের জীবনাপন করতে হয়।

–প্রবোধকুমার সান্যাল

২১৫. টাকা হয়ে উঠেছে যৌনতার সমান। তুমি কিছুই ভাবতে পার না যদি তোমার টাকা না থাকে, যদি থাকে তবে এটি ছাড়া আর সবকিছু নিয়েই ভাবতে পার।

–জেমস বলডুইন

২১৬. রাজ্য দখলের চেয়ে বড় রাজ্য দান
গ্রহণের চেয়ে দান অনেক মহান।

মিল্টন

২১৭. একটি মানুষকে তখনই ধনী বলা যায়, যখন অন্যের তুলনায় তার নিজের জন্য অনেক ধরনের জিনিস সে কিনতে পারে বা ব্যবহার করতে পারে।

খোরো

২১৮. টাকা ধার দিলে ক্ষতি হয় : হয় টাকাটা হারানো যায়, নচেৎ একজন শত্রুলাভ হয়।

–আলবেনীয় প্রবাদ

২১৯. যদি টাকার মূল্য নিরূপণ করতে চাও তা হলে টাকা ধার করার চেষ্টা করে দেখো। যে ধার করে সে দুঃখ-দুর্দশাকেই আমন্ত্রণ জানায়।

ফ্রাংকলিন

২২০. বন্ধু খোয়াতে চাও? তবে তাকে কিছু টাকা ধার দাও।

এস্টোনিয়ান প্রবাদ

২২১. অনেক ধনসম্পদের চেয়ে একটা সুন্দর নাম ভালো।

কার্ভেন্টিস

২২২. একজন কুঁড়েঘরের দরিদ্র লোক যতবেশি নিশ্চিন্ত, একজন রাজা তত বেশি উদ্বিগ্ন।

জর্জ ম্যারিটন

২২৩. ধনসম্পদ ভালো জিনিস সন্দেহ নেই, তবে আর্থিক সম্পদের চাইতে স্বাস্থ্যের সম্পদ অনেক বেশি মূল্যবান। আবার শারীরিক সুস্থতার চেয়েও অনেক বেশি মূল্যবান অন্তরের পরিচ্ছন্নতা।

–হযরত আলি (রা.)

২২৪. ধনী ঘরে ছেলে জন্মগ্রহণ করে বটে, কিন্তু ধনীর ছেলে বলিয়া বিশেষ কিছু লইয়া কেহ জন্মায় না। ধনীর ছেলে ধনী এবং দরিদ্রের কোনো প্রভেদ লইয়া আসে না। জন্মের পরদিন হইতে মানুষ সেই প্রভেদ নিজের হাতে তৈরি করিয়া তুলিতে থাকে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২২৫. যে-প্রাচুর্য কুপথে টানে, দারিদ্র তদপেক্ষা অনেক শ্রেয়। –হযরত আলি (রা.)

২২৬. ভালোবাসা মানুষকে শিল্পী করতে পারে; কিন্তু প্রাচুর্য বাধার সৃষ্টি করে।

ওয়াশিংটন অনল্টন

২২৭. ধনের যদি সদ্ব্যবহার করা হয়, তবে ইহা সুখের কারণ এবং সদুপায়ে ধনবৃদ্ধি করিতে সকলেই বৈধভাবে চেষ্টা করিতে পারে।

–আল-হাদিস

২২৮. আর্থিক সঙ্গতি না থাকলে অনেক সময় মনের সঙ্গতি থাকে না।

উইলিয়াম শার্প

২২৯. আর্থিক সচ্ছলতা বন্ধু আনে, কিন্তু ভালোবাসা আনে না।

–জোসেফ কনরাড

২৩০. সামর্থ্যই হল গরিব লোকের শ্রেষ্ঠ সম্পদ।

–এম. ওরেন

২৩১. তৎপরতা হল ব্যবসায়ে আত্মার মতো।

–এম. চেস্টারফিল্ড

২৩২. অর্থ হল এমন একটি চমৎকার জিনিস, যা থাকলে হাতে আসে ক্ষমতা, মনে আসে শান্তি আর স্বাধীনতা।

–জে. আর. লাওয়েল

২৩৩. জামার পকেটের তলিতে যদি একটি ফুটো থাকে তা হলে মুদ্রা দিয়ে পকেট বোঝাই করার কোনোই অর্থ হয় না।

ইলিয়ট

২৩৪. টাকা নিয়ে জগদীশ্বরের কী ধারণা জানতে চাইলে যাদের তিনি বস্তুটি দিয়েছেন তাদের দিকে তাকাও।

মরিস ব্যারিং

২৩৫. প্রত্যেকে, এমনকি ধনী কুমিররা পর্যন্ত, যতটা নির্দ্বিধায় চেক কেটে দিতে পারে, তত সহজে একটি পয়সা দিতে পারে না।

ম্যাক্স বিয়ারবোম

২৩৬. অর্থপ্রেমই সমস্ত শয়তানির মূল।

বাইবেল

২৩৭. জীবন বড় ছোট, আর টাকাও তেমনই।

–বের্টোল্ড ব্রেখট

২৩৮. দরিদ্রর জন্য কিছু সঞ্চয় করা এবং তাদের জন্য ভাবা মানুষ হিসাবে প্রত্যেকেরই কর্তব্য।

–জন ওজেল

২৩৯. যৌবনকালে অর্ধেক খাও, আর অর্ধেক সঞ্চয় করো। যৌবনের সঞ্চয় বৃদ্ধকালের অবলম্বন।

সক্রেটিস

২৪০. সঞ্চয় থাকতে রেখে দাও। বেলা থাকতে হেঁটে যাও।

শচীন্দ্রমোহন রায়

২৪১. সম্পদ যেমন দায়িত্ব বৃদ্ধি করে তেমনি অধিকারকেও সুপ্রতিষ্টিত করে।

আর্থার ইয়ং

২৪২. আলো ও বাতাসের উপর পৃথিবীর সবার অধিকার যেমন সমান, তেমনি পৃথিবীর সকল সম্পত্তির উপর মানুষের অধিকার সমান।

মার্কল

২৪৩. দরিদ্রের সমস্ত দিনই একঘেয়ে ও বৈচিত্র্যহীন।

জন লিডগোট

২৪৪. সম্পত্তিই সারা দুনিয়ার মানুষকে বিভিন্ন দলে বিভক্ত করেছে; সমস্ত যুদ্ধ, রক্তপাত ও দ্বন্দ্বের মূলেই এই সম্পত্তি। আবার যেদিন এ-পৃথিবী সকলের সাধারণ ধনভাণ্ডারে পরিণত হবে এবং একদিন তা হবেই, সেই দিনই দুনিয়াজোড়া এই দ্বন্দ্বের মীমাংসা হবে।

উইন স্ট্যানলি

২৪৫. টাকার জন্য চারটি নিয়ম :
যতটা পাওনা–পার তো সব আদায় করো।
যতটা পার–সঞ্চয় করো।
দেনা–যতটা পার মিটিয়ে ফেলো।
খাটাও–যতটা খাটানো সম্ভব।

হার্বাট ক্যাশন

২৪৬. নিজের টাকা দিয়ে লোকেরা যেমন খুশি থাকতে পারে–নিজের রুবলটি ভাইয়ের চেয়েও বেশি আপন।

–ম্যাক্সিম গোর্কি

২৪৭. যাও, রাস্তায় নেমে পড়ো। কাউকে থামিয়ে নীতি নিয়ে ভাষণ দাও একটা, অন্য আরেকজনের মুঠোয় গুঁজে দাও কিছু পয়সা, এরপর দ্যাখো কে বেশি শ্রদ্ধা করে।

স্যামুয়েল জনসন

২৪৮. ব্যাংক -অধ্যক্ষ এমন একজন লোক, যিনি ভালো আবহাওয়ার সময় আপনাকে ছাতা ধার দেন এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় যখন বৃষ্টি পড়তে থাকে তখন ছাতাটা কেড়ে নেন।

অজ্ঞাত

২৪৯. আদম যখন চষত জমি,
ইভ কাটিত সুতা,
তখন কে ছিল ধনী কে ছিল গরিব
এসব সকলি ছুতা।

–জন বল

২৫০. মানুষ যদি একটু বুঝেসুঝে খরচ করে তা হলে তার দুঃখ অনেকটা কমে যায়। মানুষ নিজের দুঃখ নিজেই রচনা করে নিজেকে নিজেইে দরিদ্র করে।

–ডা. লুৎফর রহমান

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *