কাজ ও অবসর
১. সৎ কাজে তোমরা একে অন্যের প্রতিযোগিতা কর।
–আল-কোরআন
২. তিনটি জিনিস মৃত ব্যক্তির পাছে পাছে যায়, তাহার আত্মীয়স্বজন, ধনদৌলত ও কর্ম। উহাদের দুইটি অর্থাৎ আত্মীয়স্বজন ও ধনদৌলত ফিরিয়া আসে এবং একটি অর্থাৎ শুধু কর্মই সঙ্গে সঙ্গে থাকে।
–আল-হাদিস
৩. জীবনভর কাজ করে গেলাম বলে গৌরব করা উচিত নয়, কটা কাজ সুন্দর ও সুচারুভাবে নির্বাহ করলাম তার উপরই কৃতিত্বের দাবি করা উচিত।
রিচার্ড হাডসন
৪. এক মুহূর্ত বিশ্রাম নাও আবার দীর্ঘ এক মাইল দৌড়াও।
–বেনহাম
৫. যুক্তি দ্বারা হয়তো কোনো মানুষেরা মনে বিশ্বাস সৃষ্টি করা যায়, কিন্তু ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করে কেউ কোনোদিন সুখী হতে পারে না।
জনসন
৬. পরিশ্রম এবং বিশ্রাম যমজ ভাই।
–এরিখ সেগাল
৭. যারা কাজ করতে চায় না, তারা কাজ করার পথও খুঁজে পায় না।
অ্যালবার্ট হার্বার্ট
৮. মানুষের কল্যাণের জন্য কৃত প্রতিটি কাজ সম্মানজনক। উইলিয়াম ওয়াটসন ৯. সারা দিনের কাজের শেষে করণীয় বিষয়গুলো হল :
(ক) আজ নতুন কী কাজটি করলেন। (খ) আজ নতুন কী শিখলেন। (গ) আজ কাকে সাহায্য করলেন। (ঘ) আজকের দিনের জন্য বিশেষ মূল্যবান কী কাজটি করলেন।
হারবার্ট ক্যাশন
১০. মানুষ সাতটি লক্ষ্য সামনে রেখে কাজে উৎসাহ লাভ করে, সেগুলো হল :
(ক) লাভের লক্ষ্য। (খ) প্রতিযোগিতার লক্ষ্য (গ) খ্যাতির লক্ষ্য। (ঘ) দেশসেবার লক্ষ্য (ঙ) কর্মে যোগ্যতা প্রদর্শনের লক্ষ্য (চ) স্ত্রী ও সাংসারিক লক্ষ্য (ছ) বিশেষ চরিত্রাধিকারীদের লক্ষ্য
হারবার্ট ক্যাশন
১১. আমাদের জীবন একটি মুহূর্ত আর একটি মুহূর্তেরও কম, কিন্তু এই তুচ্ছ প্রকৃতিরও আছে দীর্ঘতর প্রকাশভঙ্গির তামাশা।
–সেনেকা
১২. আমি পরিশ্রম দিতে জানি, আমার ভয় নেই। আমি জানি, কোন শ্রমিক কোটিপতি হয়েছিল। আমি জানি, পার্সেল বাঁধিয়ে ছেলেটা কী করে ধনী হল। জানি তাদের কথা যারা মাঠের রাখাল থেকে দার্শনিক হল, পঙ্গু হয়েও সম্রাট হল, পদাতিক থেকে সম্রাট হল।
–হারবার্ট ক্যাশন
১৩. পৃথিবীতে অপরকে দিয়ে কাজ করানোর একটিমাত্র উপায় আছে। তা হল, কাজটি সম্পর্কে অপরের আগ্রহ জাগিয়ে তোলা, যাতে সে নিজেই কাজটি করতে চায়।
–ডেল কার্নেগি
১৪. সদিচ্ছা নিয়ে যারা কাজে নামেন তাদের কাছে কেনো কাজই অসম্ভব বলে মনে হয় না।
–জন. হে উড
১৫. ঘুম পরিশ্রমী মানুষকে সৌন্দর্য প্রদান করে।
–টমাস ডেক্কার
১৬. বিশ্রমকে পরিশ্রমের মিষ্টি চাটনি বলা যায়।
–প্লুটার্ক
১৭. যে পরিশ্রম করে, বিশ্রাম তারই জন্য আরামদায়ক।
–বাটলার
১৮. কর্মহীন বার্ধক্য সবচেয়ে বেদনাদায়ক।
–ফিল
১৮. কর্মদক্ষতাই সর্বপেক্ষা বড়গুণ।
দাওয়ানি
২০. আমি শয্যাশায়ী অবস্থাতেও কিছু-না-কিছু কাজ করে যাব।
–ডরোথিয়া ডিকস
২১. চেষ্টা ও কর্মের উপর মানুষের ভবিষ্যৎ গড়ে ওঠে।
–বায়রন
২২. কর্মনিষ্ঠা মানুষকে সুপরিচিত করে।
মিস্তি
২৩. একটা কাজ করতে গিয়ে যে দশটা কাজ জুড়ে দেয়, সে আসলে কাজ করার পদ্ধতি জানে না।
ডব্লিউ. জি. উইলস
২৪. মানসিক প্রস্তুতি না নিয়ে কাজে নামলে সে-কাজ কখনো সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করা যাবে না।
ইয়ং
২৫. যে-কাজ করে তৃপ্তি পাওয়া যায়, সে-কাজে আলস্য আসে না।
কুপার
২৬. এই পৃথিবীতে কম বোঝা এবং বেশি কাজ করা ভালো।
স্যামুয়েন্স
২৭. চালাকির দ্বারা কোনো মহৎ কর্ম হয় না।
স্বামী বিবেকানন্দ
২৮. প্রচারণায় যে বিশ্বাসী নয়, নিঃসন্দেহে সে কাজে বিশ্বাসী।
পিথাগোরাস
২৯. দুনিয়ার সকল চমৎকার ভাবপ্রবণতার চাইতে একটিমাত্র সুন্দর কাজের ওজন বেশি।
জেমস্ রাসেল লেভেল
৩০. কাজের মধ্য দিয়ে সঙ্গী সৃষ্টি হয়।
–গ্যেটে
৩১. তোমার কর্মই তোমাকে মহিমান্বিত করবে।
লুইস মরিস ৩২. কাজে যে নিষ্ঠ, ব্যবহারে যে মার্জিত জীবনে তার উন্নতি হবেই। শিলার ৩৩. কর্মবিমুখ ও কল্পনাবিলাসী লোকেরা সংসারে দুঃখ পায় বেশি।
টমাস ফুলার
৩৪. সেই কাজকেই ভালো বলা উচিত যার পরিণতি ভালো।
–এ. ডব্লিউ. হেয়ার
৩৫. পরিকল্পনাবিহীন কাজে সাফল্য অনিশ্চিত।
ইমারসন
৩৬. যার করার কিছুই নেই, তারই ব্যস্ততার ভান বেশি।
এলিস ফ্রিম্যান
৩৭. কর্মহীন জীবন হতাশার কাফন জড়ানো একটি জীবন্ত লাশ।
–ডেল কার্নেগি
৩৮. নেশার সঙ্গে পেশা কৃচিৎ মেলে। না মেলাই ভালো। নিত্য কর্মে নতুনত্বের স্বাদ নেই।
আবদুর রহমান শাদাব
৩৯. কাজ জীবনকে দেয় উপভোগ্যতা।
–আমিয়েল
৪০. কর্ম দুই রকমের হয়–এক অভাবের থেকে হয়, আর প্রাচুর্য থেকে হয়। অর্থাৎ প্রয়োজন থেকে হয় বা আনন্দ থেকে হয়। প্রয়োজন থেকে, অভাব থেকে আমরা যে কর্ম করি, সেই কর্মই আমাদের বন্ধন, আনন্দে যা করি সে তো বন্ধন নয়, বস্তুত সেই কর্মই মুক্তি।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৪১. উদ্দেশ্যহীন কাজে শ্রেষ্ঠ ক্ষমতার বিকাশ হয় না। লক্ষ্য স্থির হলে লক্ষ্যভেদের কৌশল আয়ত্ত করতে করতে সুপ্ত শক্তি জেগে ওঠে। আব্দুর রহমান শাদাব
৪২. কাজ না থাকলে মানুষের জীবন নিরানন্দ ও অর্থহীন হয়ে উঠত।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
৪৩. মানুষ যতই কর্ম করছে ততই সে আপনার ভিতরকার অদৃশ্যকে দৃশ্য করে তুলছে, ততই সে আপনার সুদূরবর্তী অনাগতকে এগিয়ে নিয়ে আসছে।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৪৪. কাজ না করিয়া অনেকে সময় নষ্ট করে সন্দেহ নাই, কিন্তু কাজ করিয়া যাহারা সময় নষ্ট করে তাহারা কাজ নষ্ট করে, সময়ও নষ্ট করে।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৪৫. একজন সত্যিকারের কর্মী ব্যক্তিকে যদি সমুদ্রে ফেলে দেওয়া হয়, তা হলে দেখা যাবে, সে তার মুখে একটা মাছ নিয়ে উঠে এসেছে।
আরবদেশীয় প্রবাদ
৪৬. কাজ না করার চেয়ে কাজ করে ক্ষতি স্বীকার করাও ভালো।
–এলটিয়াস
৪৭. পরিশ্রমী মানুষের সুখ সবচেয়ে বেশি মাধুর্যমণ্ডিত।
ওল্ড টেস্টামেন্ট
৪৮. দিন ছোট, কিন্তু মানুষের কর্ম ছোট নয়।
স্যামুয়েল রাওল্যাণ্ড
৪৯. যার জীবনে শ্রমের যন্ত্রণা নেই, তার কিছু আশা করা উচিত নয়।
কার্ভেণ্টিস
৫০. আগে কাজ করো, তারপর বিশ্রাম নাও।
রাসকিন
৫১. ভালো কাজের চারটি অভ্যেস? (ক) জরুরি কাজের ফাঁইল ছাড়া অন্যসব ফাঁইল টেবিল থেকে সরিয়ে ফেলুন (খ) গুরুত্ব অনুযায়ী কাজে হাত দিন (গ) সমস্যা এলেই সমাধান করে ফেলুন, সাথে সাথে যদি সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ থাকে, সিদ্ধান্ত কখনো ফেলে রাখবেন না। (ঘ) সংগঠনের ক্ষমতা থাকতে হবে, কাজ করিয়ে নেয়া ও তার দেখাশোনা করতে হবে।
—ডেল কার্নেগি
৫২. সাধ্যমতো ভালো কাজ করুন। নিজের মতো কাজ করে যান। সমালোচনার পাথর আপনাকে আঘাত দিতে পারবে না। সমালোচকরাই মুখ থুবড়ে পড়ে যাবে।
–ডেল কার্নেগি
৫৩. দক্ষতা অর্জনের পথ হল : (ক) অপরের অভিজ্ঞতা স্মরণ করুন (খ) নিজের উদ্দেশ্য সামনে রাখুন (গ) সাফল্যের জন্য মনকে তৈরি করুন (ঘ) যতটা সম্ভব অভ্যেস করুন।
—ডেল কার্নেগি
৫৪. যে কাজগুলো করা সবসময় সহজ হয় না–
ক্ষমা চেয়ে নেয়া
চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া
পুনঃ আরম্ভ করা
ভেবেচিন্তে সব কাজ করা
নিজের ত্রুটি মেনে নেয়া
সুবিবেচক হওয়া
নিঃস্বার্থ হওয়া
ভুল করেও লাভবান হওয়া
উপদেশ নেয়া
ক্ষমা নেয়া ও ক্ষমা করে
দেয়া
ভদ্রতা বজায় রাখা
প্রাপ্য নিন্দা মাথায় তুলে নেয়া।
হারবার্ট ক্যাশন
৫৫. আমরা যত কাজ করি তারচেয়ে আরও বেশি করে কাজ আমরা করতে পারি এবং আমরা যত বেশি কাজে ব্যস্ত থাকব, অবসর বিনোদনের সময় আমাদের তত বেশি বেড়ে যাবে।
–হেজেল্টা
৫৬. মস্তিস্ক আমাদের সত্তরবছরে ঘড়ি। জীবন-দেবতা তাতে দম দিয়ে আটকে দেন, ডালা আর চাবিটা তুলে দেন পুনরুত্থানের দেবতার হাতে।
ওলিভার ওয়েন্ডেল হোমস
৫৭. অলস লোকেরা অবসরের আনন্দ পায় না।
–এমিলি ডিকেনসন
৫৮. যে কোনো কাজ করে না–শুধু যে সে-ই অলস তাই নয়, যে ছোটো কাজে আটকে আছে এবং বৃহত্তর ও মহত্তর কাজে যাকে ব্যবহার করা যেত সেও অলস।
–সক্রেটিস
৫৯. অলস হয়ো না;
দুঃখ কোরো না;
তোমারই হবে আলো
রহিবে সবার ঊর্ধ্বে;
হও যদি মুমেনিন।
–আল-কোরআন
৬০. উদ্যোগী হয়ে কোনো কাজ না করলে সে-কাজের সুফল পাওয়া যায় না।
–মার্ক টোয়েন
৬১. বিশ্রাম করলেই আমি অকর্মণ্য হয়ে পড়ি।
–মুসোলিনি
৬২. মহৎ কাজে ব্রতী যারা, তাঁদের আত্মত্যাগী হতে হয়।
ফ্রেডারিক ভন
৬৩. যে শ্রমকে ভালোবাসে, শ্রমের সাধনা সে-ই করতে পারে।
–জে. জি. হল্যান্ড
৬৪. যে-কোনো শ্রমেরই মূল্য আছে।
–লুকাজ
৬৫. শ্রমিকদের উপর ঐ পরিমাণ কাজের দায়িত্ব চাপাবে, যা তারা সুচারুরূপে সম্পন্ন করতে পারে এবং তাদের শক্তি অনুসারে কাজ করতে দেবে, যাতে তাদের ঐরূপ কাজ করতে না হয়–যা তাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে।
–আল-হাদিস
৬৬. ভিক্ষা করার চেয়ে যে-কোনো সামান্য পেশাও শ্রেয়।
–হযরত ওমর ফারুক (রা.)
৬৭. যে জাতির মানুষ শ্রমশীল, যাহারা জ্ঞান-সাধনায় আনন্দ অনুভব করে, তাহারাই জগতে শ্রেষ্ঠ স্থান অধিকার করে। কর্তব্যজ্ঞানহীন নীতিজ্ঞানশূন্য আলসে মানুষের স্থান জগতে সকলের নীচে থাকে। তাহারা জগতে অবজ্ঞার ভার, অসম্মানের অগৌরব নিয়ে বেঁচে থাকে। জগতের ধনসম্পদ জয় করতে হলে, জীবনের কল্যাণ লাভ করতে হলে পরিশ্রম ও সাধনা চাই।
–ডা. লুৎফর রহমান
৬৮. মজুরের ঘাম শুকাইবার পূর্বে তাহার মজুরি দিয়া দাও।
–আল-হাদিস
৬৯. শ্রম বিনা শ্রী হয় না।
উপনিষদ
৭০. কেউ কেউ পরিশ্রম দ্বারা ভাগ্যকে এমনভাবে ঘোরাতে পারে যা অন্যের নিকট অলৌকিক মনে হবে।
–টি. এইচ. বেইলি
৭১. ওরে বি. এ. এম. এ. পাশ করে
নোকরী যদি নাহি
মিলে।
ভাবনা কেন কিসের ভয়
মিশে যাওনা চাষার দলে
মুকুন্দচন্দ্র দাস
৭২. চাকরি বাঙালিকে কায়িকশ্রমে বিমুখ, ব্যবসা-বাণিজ্যে অনুৎসাহী ও দুঃসাহসিকতায় পশ্চাৎপদ করেছে–এ অভিযোগ অতি পুরাতন ও বহুশ্রুত। সবচেয়ে শোকাবহ এই যে, নিশ্চিত আয়ের নিরাপদ ছত্রচ্ছায়ার মোহ দিয়ে চাকরি তাকে করেছে রিক্ততেজ, হতোদ্যম, ঐক্যহীন ও বাক্যসার।
যাযাবর
৭৩. কর্মিষ্ঠ লোকের দোষ এই, অন্য লোকের কর্মপটুতার উপরে তাহাদের বড়ো একটা বিশ্বাস থাকে না। তাহাদের ভয় হয়, যে কাজ তাহারা নিজে না করিবে সেই কাজ অন্যে করিলেই পাছে সমস্ত নষ্ট করিয়া দেয়।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৭৪. কাজকে ভালোবাসলে কাজের মধ্যে আনন্দ খুঁজে পাওয়া যায়। –মার্শাল ৭৫. খুব ভাবিয়া-চিন্তিয়া কাজ করাকেই খোদাতা’আলা ভালোবাসেন।
–আল-হাদিস
৭৬. এ ধরণী কর্মক্ষেত্র। কর্মের বর্ম পরি’
তোমায় এগুতে
হবে, বিধাতায় স্মরি’
আপনার লক্ষ্য পানে! ওরে
অন্ধ নর
জীবন ব্যয়িত কর কর্মে
নিরন্তর।
সদরউদ্দিন
৭৭. তুমি কোথাও কোনো ভালো কাজ করো, উপকার করো, তবেই লোকে তোমার বদনাম করিবে। আমগাছে ফল ধরে বলিয়াই লোকে ঢিল মারে। ফজলি আম গাছে আরও বেশি মারে। শেওড়া গাছে কেউ ঢিল মারে না।
–শেরে বাংলা
৭৮. হাতের কাছে যা পাও, তা-ই করো। বসে থাকার চাইতে ভোঁতা কাজও ভালো।
–চার্লস কিংসলে
৭৯. কাজের মধ্যেই মানুষের মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটে।
–টমাস ফুলার
৮০. বিনা কষ্টে ও শ্রমে কেনা যায় এমন কিছুই নেই সত্যিকার দামি।
এডিসন
৮১. কর্ম থেকে কর্তৃত্বকে যতই দূরে পাঠানো যাবে, কর্ম ততই মজুরির বোঝা হয়ে মানুষকে চেপে মারবে।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৮২. কর্ম মানবজীবনের অনিবার্য পরিবেশ, মানবকল্যাণের প্রকৃত উৎস।
টলস্টয়
৮৩. কর্মই বিরক্তি, পাপ ও দারিদ্র–এ তিনটি অমঙ্গল দূরীভূত করে।
–ভলতেয়ার
৮৪. আমি আমার কর্তব্য করতে করতে ক্লান্ত, সেজন্য আমি সুখী এবং বিধাতাকে ধন্যবাদ জানাই।
–জোসেফ হুফার
৮৫. হে মানুষ! হে মানুষ!
কঠোর কর্তবব্রত বয়ে নিতে জীবনে তোমার
কখনো কোরো না
অস্বীকার
কেননা এ পথে
আছে বেহেশতের আস্বাদ অক্ষয়
এ পথে স্রষ্টার চির সান্নিধ্য নৈকট্য মধুময়।
ইকবাল
৮৬. যা-কিছু করা হয় ভালোবাসার প্রেরণায়, সেসব ঘটে শুভ আর অশুভের বাইরে।
–নিৎসে
৮৭. মহৎ কর্ম তখনই সক্ষম যখন তা গোপন।
–পাস্কাল
৮৮. ভালো জেনে লাভ নেই, যদি ভালো কর্মকে অবহেলা করা হয়।
–পাবলিলিয়াস সাইরাস
৮৯. যা তোমার কর্মে আছে সেইটুকু তোমার অস্তিত্ব। তোমার কর্ম তোমার সত্তা, অন্য কোনো সত্তা তোমার নেই।
–যা এক্সপারি
৯০. বুড়োরা যা বলে তুমি তা করতে পার না, নিজে যা পার সেটি খুঁজে বের করো। বুড়োর কর্ম বুড়োদের, নতুন কর্ম নতুনদের।
–থরু
৯১. বিধাতার নিকট সবচেয়ে পছন্দনীয় কাজ হচ্ছে মানুষ হিসেবে মানুষের জন্য কিছু
বেঞ্জামিন ফ্রাংকলিন
৯২. কাজে যে নিষ্ঠ, ব্যবহারে যে মার্জিত–জীবনে উন্নতি তার হবেই।
–শিলার
৯৩. কর্মঠ লোক রাজা হবে, কিন্তু অলস চিরদিনই প্রজা থাকবে।
হযরত সোলায়মান (আ.)
৯৪. তোমার বন্ধুজনকে দাও সময়, দয়িতাকে দাও অবসর, মনকে দাও আরাম, আর কে বিশ্রাম–যাতে তোমার অভ্যস্ত কর্মগুলো আরও ভালোভাবে সম্পাদন করতে পার।
–ফাত্রদাসা
৯৫. অবকাশকে বুদ্ধিমত্তার সাথে ভরিয়ে তুলতে পারাই হচ্ছে সভ্যতার শেষ অবদান।
বার্ট্রান্ড রাসেল
৯৬. অবসরময় জীবন আর অলসতাময় জীবন দুটো পৃথক জিনিস।
–বেঞ্জামিন ফ্রাংকলিন
৯৭. আমাদের কর্ম নিশ্চিত করে আমাদের, যতটা না আমরা নিশ্চিত করি আমাদের কর্ম।
–জর্জ এলিয়ট
৯৮. নিজেদের মহৎ কর্ম নিয়ে মানুষ ঘোষণা করে তাদের অহং, যদিও ওগুলোর বেশিরভাগই কোনো পরম নকশার নয়, আপতনের ফল।
লা রাশফুকো
৯৯. বলা এক ব্যাপার, করা আরেক। আমাদের বোঝা উচিত শ্লোক আর ব্রাহ্মণের মধ্যে পার্থক্য কোথায়।
–মতেইন
১০০. কাজের মধ্যে মধ্যে অবকাশ মেলে, কিন্তু পুরো অবকাশের মধ্যে অবকাশ বড় দুর্লভ।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১০১. অবসর হচ্ছে এমন একটা সময় যে-সময়ে প্রয়োজনীয় কিছু করে রাখা যায়।
টমাস হুড
১০২. শক্তিসম্পন্ন ও কার্যে সক্ষম হইয়াও যে নিজের জন্য পরিশ্রম বা অপরের কোনো কার্য সম্পাদন করে না, আল্লাহ্ তাহার উপর প্রসন্ন নহেন।
–আল-হাদিস
১০৩. একজন অলস মানুষ স্বভাবতই একজন খারাপ মানুষ।
–এস. টি. কোলরিজ
১০৪. নিদ্রা, তন্দ্রা, ভয়, অলসতা আর
রোষ,
কার্যে বৃথা কাল ব্যয়–এই ছয় দোষ
অবশ্যই পরিত্যাগ করিবে সে জন,
এভাবে লভিতে লক্ষ্মী আছে যার মন।
–তারাকুমার
১০৫. নির্দয় হবে না; কিন্তু কর্তব্যের বেলা নির্মম হতে হবে।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১০৬. সর্বদা তা-ই করো, যা করতে তুমি ভয় পাও।
ইমারসন
১০৭. কর্মব্যস্ত লোকের জীবনে স্বপ্ন বলে কিছু থাকে না।
ডব্লিউ. বি. রাটস
১০৮. যাদের কাজেকর্মে কোনো উৎসাহ নেই, তাদের সুন্দর স্বাস্থ্য সমাজ ও সংসারের কোনো কাজে আসে না।
–এডমন্ড বার্ক
১০৯. কর্তব্য কী? যা একজন অন্যের নিকট আশা করে।
–অস্কার ওয়াইল্ড
১১০. জনসাধারণের কর্তব্য করার সময় ব্যক্তিগত কোনো প্রয়োজনীয়তায় পথরোধ করে দাঁড়াবে না।
ইউলিসেস এস. গ্রান্ট
১১১. কর্তব্য মনে করে অপরাধমুক্ত হও, ভয় দ্বারা নয়।
ডেমোক্রিটাস
১১২. নিদ্রায় দেখি এক মধুর
স্বপন
কি সুন্দর মেলিনু আঁখি চমকিনু পুনঃ
দেখি
কঠোর কর্তব্য ব্রত জীবন যাপন।
–এলেন এস. হুপার
১১৩. কর্মসাধনা পুণ্য মানুষকে বড় করে, শুধু প্রার্থনার আঁখি জলে নহে। খোদা শুধু আঁখিজলে ভোলেন না।
–ডা. লুৎফর রহমান
১১৪. একটিমাত্র কাজ দিয়ে কাউকে ভালো বা খারাপ বলা যায় না।
–টমাস ফুলার
১১৫. কিছু করার জন্য তোমার হাত যা-ই খুঁজে পাক না কেন, তা করো নিজের বলে।
–বাইবেল
১১৬. আমি আমার ভাগ্যকে বিশ্বাস করি, কর্মকে বিশ্বাস করি। মানুষকে শুধু মানুষ হিসেবে বিবেচনা কোরো না, তার কর্ম দ্বারা বিচার করো।
স্যার টমাস ব্রাউনি
১১৭. কর্মদক্ষতাই মানুষের সর্বাপেক্ষা বড় বন্ধু।
–দাওয়ানি
১১৮. কর্মফল প্রত্যেককেই ভোগ করতে হবে।
স্যামুয়েল দানিয়েল
১১৯. দুনিয়ার কাজে এমনভাবে মশগুল হও যেন তুমি চিরকালই বাঁচিয়া থাকিবে এবং আখেরাতের জন্য এমনভাবে কাজ করিয়া যাও যেন আগামীকালই তোমার মৃত্যু হইবে।
–আল-হাদিস
১২০. অলসতার প্রতি আত্মসমর্পণ করার অর্থ নিজের অধিকার হতে স্বেচ্ছায় বঞ্চিত হওয়া।
–হযরত আলি (রা.)
১২১. একটি কর্তব্য শেষ করার পুরস্কারই হল কর্তব্য সম্পন্ন করার জন্য শক্তি অর্জন
–জর্জ এস. হুপার
১২২. কর্ম ও উপাসনার মধ্যে কোনো সম্পর্ক নাই–এই কথা যাহারা বলে তাহারা মানব-সমাজকে অধঃপতিত করে। কর্মকে উপাসনার মতো শুদ্ধ করিবার জন্য যে জীবন ব্যাপিয়া মানুষের ভিতর বাহিরে সংগ্রাম চলিবে, তাহাই মনুষ্যত্ব ও ধর্ম।
–ডা. লুৎফর রহমান
১২৩. অনেকক্ষেত্রে মানুষ ভাবে এক, হয় আর এক। এরজন্য তার ভাগ্য দায়ী নয়, দায়ী তার কর্মফল।
–কার্লাইল
১২৪. কর্মী যে, সে কাজ করেই তৃপ্ত হয়; কাজ করে সে কতটুকু লাভবান হল সেটা তার কাছে বড় নয়।
–জেমস টমসন
১২৫. আমরা আমাদের কর্মকে যতটা নির্ধারণ করি, আমাদের কর্মও ঠিক ততটাই আমাদের নির্ধারণ করে।
জর্জ ইলিয়ন
১২৬. স্বর্গের সুখ বা পার্থিব কোনো পুরস্কারের আশায় তুমি কার্য করিও না। যাহা কর্তব্য, ন্যায্য, তাহা তুমি অবশ্যই সম্পাদন করিবে, কেননা যাহা তোমার পক্ষে ‘কর্তব্য’ ও ‘সঙ্গত’ তাহা না করাই তোমার অধর্ম।
–ইবনে রুশদ
১২৭. ধৈর্য ধর, ধৈর্য ধর, বাঁধ বাঁধ
বুক
শত দিকে শত দুঃখ আসুক, আসুক
এ সংসার কর্মশালা
জ্বলন্ত কালান্ত জ্বালা
পুড়িতে হইবে খাদ থাকে যতটুক।
–গোবিন্দ দাস
১২৮. যেমন চিবিয়ে না খেলে খাদ্যটাকে খাদ্য বলেই মনে হয় না, তেমনি হুড়মুড় করে কাজ করাকে কর্তব্য বলে উপলব্ধি করা যায় না।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১২৯. একটা দিনের খাটুনি হচ্ছে একদিনের খাটুনি, বেশিও না, কমও না। আর যে মানুষটি এই খাটুনি খাটে তার দরকার একটা দিনের খাদ্য, একটা রাতের বিশ্রাম এবং যথোচিত অবকাশ–সে চিত্রকরই হোক বা হলধরই হোক।
–জর্জ বার্নার্ড শ
১৩০. কর্মফল ত্যাজি যুক্ত বৈরাগ্য
সাধন।
নৈষ্ঠকী শাস্তি সে, নহে সংসার বন্ধন।।।
ফল্গু বৈরাগ্য যে কামকারী ফল।
ফলকার্যে নিবন্ধন তাই সে দুর্বল।।
বাহ্যে সর্বকার্য করে অন্তরে সন্ন্যাস
সর্বকার্যে সুষ্ঠু করি সুখেতে নিবাস।।
শ্রীমদ্ভগবদগীতা
১৩১. প্রয়োজন থেকে, অভাব থেকে আমরা যে কর্ম করি সেই কর্মই আমাদের বন্ধন, আনন্দ থেকে যা করি সে তো বন্ধন নয়–বস্তুত সেই কর্মই মুক্তি।………কর্মের মুক্তি আনন্দের মধ্যে এবং আনন্দের মুক্তি কর্মে।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৩২. কোথাকার জন্মভূমি কোথাকার দেশ? কল্যাণ কর্মীর পৃথী, খোদার নির্দেশ।
–আল-হাদিস
১৩৩. তাহারাই সকর্মী, যাহারা স্বীয় ক্রোধকে দমন করতে পারে এবং অপরকে ক্ষমা করতে পারে, যখন ক্ষমা করা বিধেয়।
–আল-কোরআন
১৩৪. মানুষের আয়ু কম, কাজ বেশি। বুদ্ধিমান লোক জরুরি কাজেই তার জীবন ব্যয় করে।
প্লেটো
১৩৫. সত্যের জন্য সংগ্রাম করা, দুঃস্থের সেবা করা–দুটিই সর্বোৎকৃষ্ট কাজ।
টেনিসন
১৩৬. তুমি যে কাজই কর না–লজ্জা নাই। লজ্জা হয় অসৎ উপায়ে অর্থ উপার্জন করায়, ভিক্ষা করায় কিংবা মূর্খ হয়ে থাকায়।
–ডাঃ লুৎফর রহমান
১৩৭. যার ঘুম নেই, তার মতো দুখি কেউ নেই।
অস্কার হ্যারল্ড
১৩৮. যার রাত্রে ঘুম হয় না, সে নিঃসন্দেহে সুন্দরী নয়।
–ক্রিস্টিনা রসেটি
১৩৯. ঘুম হচ্ছে মৃত্যুর সহোদর ভাই।
ফ্রামিস কারলিন
১৪০. পরিশ্রমী লোকের নিকট সবচেয়ে সুখপ্রদ জিনিস হচ্ছে ঘুম।
–জন বুলিয়ানা
১৪১. চাকুরিতে যশ, মান ও অর্থ আছে সত্য, কিন্তু অপমান ও লাঞ্ছনাও কম নয়।
–শেখ সাদি
১৪২. হর্স পাওয়ার দিয়ে ইঞ্জিনের দাম বাড়ে, সিলিন্ডার দিয়ে মোটরগাড়ির। হীরার মূল্য দ্যুতিতে, চাপরাশীর তার তকমায়। সাবালক বাঙালির দাম নিরূপিত হয় চাকরির ওজনে। তার পক্ষে পদবির চাইতে পদের বিবরণটা গুরুতর। সাব-ইনস্পেক্টরের চাইতে ইন্সস্পেক্টর, ডিরেক্টরের চাইতে ডিরেকটর জেনারেল। শুধু শব্দে নয়, অর্থেও। যাযাবর
১৪৩. যে ছুটি নিয়মিত, তাকে ভোগ করা, আর বাধা পশুকে শিকার করা একই কথা। ওতে ছুটির রস ফিকে হয়ে যায়।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৪৪. বিধাতা যেন আমাকে কাজের মধ্যেই ছুটি প্রদান করেন।
–জন গে
১৪৫. অলস মস্তিস্ক শয়তানের কারখানা।
অজ্ঞাত
১৪৬. স্নেহান্ধ হয়ে দায়িত্বকে এড়ানো অবিবেচকের কাজ।
–পল রিচটার
১৪৭. যে-ভূমি কাহারও নহে, তাহার মালিক ঐ ব্যক্তি যে স্বীয় পরিশ্রম দ্বারা তাহা আবাদ করিয়া দখল করে।
–আল-হাদিস
১৪৮. উত্তম উপার্জন হল শ্রমিকের উপার্জন, যদি সে মালিকের কল্যাণকামনার সাথে কাজ করে।
–আল-হাদিস
১৪৯. পরিশ্রম তা যে-ধরনের হোক, তার একটা মূল্য আছে।
–টমাস মিডলটন
১৫০. যে-জীবনে পরিশ্রম নেই, সে-জীবন যেন একটা গুরুতর অপরাধ এবং যে পরিশ্রম করায় আনন্দ নেই তা পশুত্ব।
–রাসকিন
১৫১. বিনা পরিশ্রমে যা অর্জন করা যায়, তা দীর্ঘস্থায়ী হয় না।
ইমারসন
১৫২. যে পরিশ্রমী সে অন্যের সহানুভূতির প্রত্যাশী নয়।
–এডমন্ড বার্ক
১৫৩. পরিশ্রম হেদকে স্বাস্থ্যবান, মনকে স্বচ্ছ, হৃদয়কে পূর্ণ রাখে এবং আর্থিক সচ্ছলতা আনয়ন করে।
–সি. সিমসন
১৫৪. বিধাতা প্রত্যক পাখিরই খাদ্যের সংস্থান করেন; কিন্তু খাদ্যদ্রব্যাদি পাখির বাসায় পৌঁছে দেন না।
–জে. জি. হল্যান্ড
১৫৫. ঘুমন্ত সিংহের মুখে কখনো হরিণ প্রবেশ করে না। তাকে ছুটে গিয়ে শিকার করতে হয়।
বি. সি. রায়
১৫৬. অতিমাত্রায় বিশ্রাম আপনা থেকেই বেদনাদায়ক হয়ে ওঠে।
–হোমার
১৫৭. কোনো কাজ না করে সারাদিন শুয়ে-বসে সময় কাটানোকে বিশ্রাম বলে না।
–টমাস লাভ পিকক
১৫৮. আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে, ফুল বিবর্ণ হয়ে যেতে পারে, কিন্তু মনীষীরা তাঁদের মহৎ কর্মের জন্য মানুষের হৃদয়ে অম্লান হয়ে থাকবেন।
–আলফ্রেড অস্টিন
১৫৯. অতীতে করা একটি মহৎ কাজের স্মৃতি আজীবন তৃপ্তিদান করে।
রবার্ট বার্টন
১৬০. শ্রমিকের শ্রম মানব সভ্যতার জনক। শ্রমকে তাই ভালবাসে শ্রমিক। আজকের দিনে যে ভয় তাদের সে ভয় শ্রমের নয়, সে ভয় তাদের নতুন “স্লেভ-ট্রেড” এর। যার ইভল্মশানে জন্ম নিয়েছে ধনিকের নতুন শোষণ। শ্বেতাঙ্গ ধনিক ও তাদের অনুচরেরা আজ আস্ত মানুষ চুরি করে বেচে না, আজ তারা কেনাবেচা করে তাদের শ্রম, চুরি করে তাদের মেহনত।
খন্দকার মোঃ ইলিয়াস
১৬১. ঈশ্বরের বিশ্বাসের পরেই আসে শ্রমে বিশ্বাস।
–ব্রোভো
১৬২. ব্যক্তি হিসেবে শ্রমিকদের কাজ বা চিন্তাধারা বিশেষ কিছু নয়, শ্ৰেণী হিসেবে শ্রমিকদের যে ঐতিহাসিক কর্তব্য সম্পাদন করতে হবে তার উপর তাদের বিশিষ্টতা নির্ভর করছে।
–কার্ল মার্কস
১৬৩. বিনা পরিশ্রমে অর্জিত সম্পদ দুঃখজনক পরিণতি ডেকে আনে।
মহিউদ্দিন
১৬৪. শ্রম ব্যতীত কিছুই লাভ করা সম্ভব নয়।
–মঈনুদ্দিন চিশতি (রহ.)
১৬৫. সকার্য উহাই, যার বিনিময়ে মানুষের নিকট কোনোকিছুর প্রত্যাশা করা হয়
–বাইবেল।
১৬৬. যে-জীবন সকার্যে ব্যয়িত নয়, সে-জীবন বিধাতার পছন্দ নয়।
–মার্গারেট জে. প্রিসটন
১৬৭. মানুষের সর্বোকৃষ্ট বন্ধু হল তার হাতের দশটি আঙুল।
রবার্ট কলিয়ার
১৬৮. যার জীবনে শ্রমের যন্ত্রণা নেই, তার কিছু প্রত্যাশা করা উচিত নয়।
–কাভেন্টিস
১৬৯. বিরাম কাজেরই অঙ্গ একসাথে গাঁথা,
নয়নের অংশ যেন নয়নের পাতা।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৭০. আলস্য সংক্রামক।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৭১. পরিশ্রমের পরে যেটুকু বিশ্রাম পাওয়া যায় সেটুকুই পরিশ্রমের পুরস্কারস্বরূপ।
–জন রে
১৭২. যে পরিশ্রম করে, বিশ্রাম তারই জন্য আরামদায়ক।
বাটলার
১৭৩. যে-ব্যক্তি নিজের জন্য কিংবা পরের জন্য পরিশ্রম করিতে পরামুখ, সে খোদার পুরস্কার হইতে বঞ্চিত।
–আল-হাদিস
১৭৪. অতিরিক্ত পরিশ্রম জীবনে প্রতিষ্ঠা দেয় ঠিকই, কিন্তু আয়ুকে খর্ব করে।
–কট গ্রেভ
১৭৫. সব ধনসম্পদের মূল উৎপত্তি হয়েছে প্ররিশ্রম থেকে।
–জন লক
১৭৬. জ্ঞানীদের পরিশ্রমের কথা স্মরণ রাখতে হবে এবং তোমাদেরও তাঁদের মতো পরিশ্রম করতে হবে।
–চার্লস কিংসলে
১৭৭. জীবনে কাজ করতে হলে সহিষ্ণুতা চাই, খোদার উপর বিশ্বাস করে সহিষ্ণু হয়ে পরিশ্রম করো, দুঃখের মেঘ তোমার মাথার উপর হতে সরে যাবে।
–ডা. লুৎফর রহমান
১৭৮. যেখানে পরিশ্রম নেই, সেখানে সাফল্যও নেই।
উইলিয়াম ল্যাংলেড
১৭৯. শরীরের পরিশ্রম অপেক্ষা মাথার পরিশ্রমের মূল্য বেশি। হাত-পাগুলি মাথার আদেশ অনুযায়ী পরিচালিত হয়। বুদ্ধিহীন মাথার আদেশ পালন করতে গিয়ে হাত-পাগুলির পদে পদে দুঃখ আর বিড়ম্বনা ভোগ করতে হয়।
–ডা. লুৎফর রহমান
১৮০. পরিশ্রমী মানুষের মুখ সবচেয়ে মিষ্টি।
–বাইবেল
১৮১. আমাদের একথা কখনোই ভুললে চলবে না যে, ভূমিকৰ্ষণই হচ্ছে মানুষের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ শ্রম।
ডানিয়েল ওয়েবস্টার
১৮২. প্রাণিজগতে সবচেয়ে সম্মানিত হল মৌমাছি, সে পরিশ্রম করে শুধু এজন্য নয়, কারণ সে অন্যের জন্য পরিশ্রম করে–সেইজন্য।
–সেন্ট ক্রাইশোসটম
১৮৩. ক্ষুধিত ও কর্মহীন ব্যক্তিরা ঈশ্বরের একমাত্র নির্দেশ মানিতে পারে যে, কর্মের বিনিময়ে খাদ্য পাওয়ার প্রতিশ্রুতি। ঈশ্বর মানুষকে শ্রম করিয়া খাদ্যসংগ্রহের জন্য সৃষ্টি করিয়াছেন এবং বলিয়াছেন, যে কর্ম ব্যতীত আহার করে, সে চোর।
মহাত্মা গান্ধী
১৮৪. অবসর বিনোদন উন্নত ধরনের আনন্দ সম্ভোগ নয়, বরঞ্চ উপযুক্ত সময় ও স্থান-বিশেষে এটা প্রার্থনার সমতুল্য।
–এম, আই. প্রাইম
১৮৫. আমাদের অলসতাই আমাদেরকে যুগ যুগ ধরে অপরের দাস করে রাখে।
–হেনরি ফোর্ড
১৮৬. অলসদের পক্ষে পিপীলিকার জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত। কঠোর পরিশ্রম করে এরা জীবিকা সংগ্রহ করে এবং দুর্দিনের জন্য সঞ্চয়ও করে রাখে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে।
হযরত সোলায়মান (আ.)
১৮৭. অলসতা হল ভিক্ষাবৃত্তির চাবি ও অনিষ্টের মূলস্বরূপ।
সুরজিওন
১৮৮. উন্নতি বলতে বর্তমান কাজ এবং ভবিষ্যতের দৃঢ় প্রত্যয় বোঝায়।
–ইমারসন
১৮৯. হাজারো সমালোচকের মধ্যে যে সুষ্ঠুভাবে কাজ করে যায়, সে-ই যথার্থ কর্মী।
–এ. ডব্লিউ. হ্যারি
১৯০. যাহার জীবন দীর্ঘ ও সকল কর্মই পুণ্যময় হয়, সে-ই সর্বাপেক্ষা ভালো এবং যাহার জীবন দীর্ঘ এবং যাহার কর্ম অসৎ সে-ই সর্বনিকৃষ্ট ব্যক্তি।
–আল-হাদিস
১৯১. যে-কার্যে তোমার হৃদয় অটলতা ও সমতা লাভ করে, তাহাই সকার্য এবং মনুষ্য হইতে নিষ্কৃতি পাইয়াও যে-কার্যে তুমি সংশয়ে নিপতিত হও, তাহাই অসকার্য।
–আল-হাদিস
১৯২. যে নিজের বা পরের জন্য কাজ করে না, সে আল্লাহর কোনো পুরস্কার পাবে
–আল-হাদিস
১৯৩. এ জগতে শুভ কাজের অন্তরায় অনেক। শুভের পশ্চাতে অশুভ, আলোরে পশ্চাতে অন্ধকারের ন্যায় প্রতিনিয়তই পরিভ্রমণ করিতেছে।
–মোজাম্মেল হক
১৯৪. কর্ম-উজ্জ্বল দিনগুলো প্রকৃতপক্ষে সোনালি দিন।
–মিলটন
১৯৫. নহে সমাপ্ত কর্ম তোমার,
অবসর কোথা বিশ্রামের?
উজ্জ্বল হয়ে ফুটে নাই আজও
সুবিমল জ্যোতি তৌহিদের।
–আল্লামা ইকবাল
১৯৬. ধর্ম রাগে রাগিয়া যদি
মানুষ কর্ম করে,
উদার প্রাণে বাধিতে পারে
নিখিল প্রেম ডোরে,
কীর্তি তাহার বিশ্বজোড়া
হবে না কভু লয়,
কোথায় লাগে
দেবতা সখা?
কিসে করো ভয়।
–শেখ ফজলল করিম
১৯৭. এ জগতে যারা বড় হয়েছেন, যাদের নাম করে মানুষ ধন্য হয়–যাঁরা সংসারকে বহু কল্যাণসম্পদ দিয়ে গিয়েছেন, তাঁরা জীবনে অনবরত কাজ করেছেন।
–ডা. লুৎফর রহমান
১৯৮. তুমি যেদিন এ-পৃথিবীতে জন্মেছিলে তখন সবাই হেসেছিল, আর তুমি কেঁদেছিলে। তোমার কাজের দ্বারা এমন করো যাতে তুমি জগৎ হতে চলে যাওয়ার সময় কেউ হাসতে না পারে।
–ভক্ত কবির
১৯৯. কোনো বিষয়ে সাফল্যের চাচিকাঠি হল কাজ। কাজই বহন করে আনে তার সাফল্য।
হিটলার
২০০. বহু কিছু করার সংক্ষিপ্ত পথ হচ্ছে তৎক্ষণাৎ একটি কাজ শুরু করে দেওয়া।
–এস, স্কাইলস
২০১. পাপ, তাপ, শোক, দুঃখ, অভাব,
দীনতা,
নর হয়ে নরে ঘৃণা,
মোহ, অজ্ঞানতা,
জড়তা, ভীরুতা, হিংসা, নীচতা, মাৎসর্য
বদলিবে বিনাশিবে এই তব কার্য।
–ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
২০২. শরীর তো যাবেই, কুঁড়েমিতে কেন যায়? মরচে পড়ে পড়ে মরার চেয়ে ক্ষয়ে মরা ভাল। মরে গেলেও হাড়ে হাড়ে ভেলকি খেলবে, তার ভাবনা কি?
–স্বামী বিবেকানন্দ
২০৩. কঠিন পরিশ্রমে মানুষ কখনো মরে না।
–অজ্ঞাত
২০৪. করো নয়তো মরো।
বার্নস
২০৫. প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে কাজের চিন্তা করাই বড় জিনিস।
ডেমোক্রিটাস
২০৬. দেখি এই চরাচরে
যে যেমন কর্ম করে।
তেমন সে ফল তার পায়।
যে চাষা আলস্য ভরে
বীজ না বপন করে
পক্ক শস্য পাবে সে কোথায়?
যদি তুমি ওহে ধীর
ব্যথিতের অশ্রুনীর
নিজ করে না কর মোচন,
তব অশ্রু নিরখিয়া
দুঃখী হবে কার হিয়া
কে করিবে তাহা নিবারণ।
–কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
২০৭. যে কাজ করে না, তার খাওয়া অন্যায়।
–সেন্ট পল
২০৮. অনেক কাজ একসঙ্গে করার সবচেয়ে সহজ উপায় হল, এক একটা কাজ এক একবার করা।
সিসিলি
২০৯. যে রূপ করিবে কাজ কার্যেতে দেখাও
বৃথা গর্বে কেন তাহা বলিয়া বেড়াও?
পার করিতে যদি কর যাহা গান,
কোথা পাইবে লজ্জা রাখিবার স্থান?
–কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
২১০. যদি কাজ নিতে হয়, কত কাজ আছে
একা কি পারিব করিতে।
কাঁদে শিশির বিন্দু জগতের তৃষ্ণা হরিতে
কোন্ অকূল সাগরে জীবন সঁপিব
একেলা জীর্ণ তরীতে।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২১১. যে-কোনো কাজ করার সময় এই মনে করে তা ভালোভাবে শেষ করো যে, এটাই হয়তো তোমার জীবনের শেষ কাজ।
–জায়েজ
২১২. মানুষের শ্রেষ্ঠ কাজ হচ্ছে ভালো কাজ করা।
–সোফোক্লেস
২১৩. যে-কাজ আরম্ভ করিয়াছ তাহা শেষ করিতে প্রাণপণ চেষ্টা করো, ক্লান্তি আসিলেও দ্বিগুণ উদ্যমে আবার চেষ্টা করো, এইরূপে ভাগ্যলক্ষ্মী তোমার প্রতি সুপ্রসন্ন হইবে।
–মনুসংহীতা
২১৪. কাজের মতো সৎ সঙ্গী আর নেই। এই সঙ্গীই তোমার জীবনে প্রতিষ্ঠা আনতে সবচেয়ে সাহায্য করবে।
–উইলিয়াম ফুলউড
২১৫. বিনে মাইনের কাজ কাজও নয়, ছুটিও নয়, বারো আনা ফাঁকি।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২১৬. টাকা নিয়ে যারা কাজ করে তারা সেই টাকার পরিমাণেই কাজ করে।………. কাজেই তাদের ছুটি নেই।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২১৭, তরুণদের দেবার মতো আমার তিনটি উপদেশ আছে–সে হচ্ছে, কাজ, কাজ আর কাজ করা।
–বিসমার্ক
২১৮. কাজ কর্মীর স্বভাবের প্রতিচ্ছবি।
স্যামুয়েল বাটলার
২১৯. জনসাধারণের জন্য সবচেয়ে উৎকৃষ্ট ও মূল্যবান কাজগুলো নিঃসন্তান ও অবিবাহিত লোকদের কাছ থেকেই সবচেয়ে বেশি এসেছে।
বেকন
২২০. তুমি যে-কাজে নিযুক্ত হবে সে-কাজ মন দিয়ে ভালো করে করবে। কাজ যত সামান্যই হোক না কেন, সৎ, পরিশ্রমী ও বুদ্ধিমান লোক সেই কাজের দ্বারাই উন্নতি লাভ করবে। কোনো কাজেই নিজের আত্মসম্মান ছোট হয়েছে মনে করা মহা অপরাধ।
বুকার টি, ওয়াশিংটন
২২১. ভগবান অতি উত্তমরূপে আপনাকে লুকিয়ে রেখেছেন, তাই তাঁর কাজ সর্বোত্তম। এইরূপ যিনি আপনাকে লুকিয়ে রাখতে পারেন, তিনিই সবচেয়ে বেশি কাজ করতে পারেন। নিজেকে জয় করো, তা হলেই সমুদয় তোমার পদতলে আসবে।
স্বামী বিবেকানন্দ
২২২. গরম থাকতে লোহার উপর ঘা মারো–কুঁড়েমির কাজ নয়। ঈর্ষা, অহমিকাভাব গঙ্গাজলে জন্মের মতো বিসর্জন দাও। মহাশক্তিতে কার্যক্ষেত্রে অবতরণ করো ও মহাবলে কাজে লেগে যাও। কাজ, কাজ, কাজ–এই হল মূলমন্ত্র।
–স্বামী বিবেকানন্দ
২২৩. যে বেশি ঘুমায়, ভাগ্য তাকে দূর থেকে বিদ্রূপ করে।
–জন ভ্যান্স
২২৪. সুন্দর ঘুম সবরকমের যন্ত্রনার মহৌষধ।
–শেলি
২২৫. সমস্ত বছরটাই যদি ছুটির দিন হত তা হলে খেলাধুলার কাজটাই কঠিন কাজের ব্যাপার হয়ে দেখ দিত।
–শেক্সপীয়ার
২২৬. অবসরটা হল একটি সুন্দর পোশাকের মতো এবং সবসময় পরিধান করার জন্য নয়।
–অজ্ঞাত
২২৭. একটি মেশিনের দ্বারা ৫০টি সাধারণ লোকের কাজ করা যেতে পারে। কিন্তু কোনো মেশিনের সাহায্যে একটি অসাধারণ লোকের কাজ করা যেতে পারে না।
অ্যালবার্ট হার্বার্ট
২২৮. আল্লাহর চোখে ছোটবড় সবাই সমান। তিনি লোকের পদমর্যাদা দেখে বিচার করেন না, তাদের কাজ দেখে বিচার করেন।
–হযরত আলি (রা.)
২২৯. স্বাস্থ্য আর আনন্দ একজন আরেকজনের পরম বন্ধু।
–এডিসন
২৩০. তিনি গেছেন যেথায় মাটি ভেঙে
করছে চাষা চাষ,
পাথর ভেঙে কাটছে যেথায় পথ
খাটছে বারো মাস।
রোদ্রে জলে আছেন সবার সাথে
ধুলা তাহার লেগেছে দুই হাতে
তারি মতন শুচি বসন ছাড়ি
আয়রে ধুলার পারে।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২৩১. তোমার হাতকে খারাপ কাজে ব্যবহার না করে অন্যকে সাহায্যের কাজে ব্যবহার করো, তোমার ঠোঁটকে অন্যের কুৎসা রটনার কাজে ব্যবহার না করে প্রার্থনার কাজে ব্যবহার করো।
–অলিভার গোল্ডস্মিথ
২৩২. তুমি শার্টের প্রথম বোতামটি লাগাতে যদি ভুল কর তবে সঠিকভাবে বোতাম লাগানো আর সম্ভব হবে না।
–জন এ শো
২৩৩. নিজের হাত ও পায়ের ওপর যে ভরসা করে, সে কোনোদিন ঠকে না।
জন রে
২৩৪. কাজ-পাগল লোক কাজের মধ্যে যত আনন্দ পায় তত আর কিছুতেই পায়
বেকন
২৩৫. যথেষ্ট নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও পরিশ্রম থাকা সত্ত্বেও আমি আমার জীবনটাকে সুন্দরভাবে সাজাতে পারলাম না।
–অলিভার গোল্ডস্মিথ
২৩৬. আমাকে বুঝতে দাও আমার ভেতরে ক্ষমতা কতখানি, তা হলেই পায়ে জোর ফিরে পাব।
–জন ম্যান্সফিল্ড
২৩৭. সবশ্রেণীর মানুষের জন্য কাজ করতে পারাটাই যথার্থ পারা।
এডমন্ড স্পেনসার
২৩৮. যার বশ্যতার মধ্যে তোমার স্বার্থ নিহিত তার সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ো না।
অ্যারিস্টটল
২৩৯. আত্মত্যাগের মনোভাব যাদের নেই মহৎ কাজ তারা করতে পারবে না।
–ফ্রেডারিক ভন
২৪০. দেহের বার্ধক্য তাকে দূর থেকে কুর্নিশ করে যার মনের বার্ধক্য আসেনি।
জর্জ গ্রানভিল
২৪১. কর্মফল খোঁড়া হলেও সে একদিন আসবেই।
ড্যানিয়েল ডিফো
২৪২. সুকর্মের সুগন্ধ স্থায়ী, তাই সহজেই হারিয়ে যায় না।
–বেসিল
২৪৩. তুমি কোনোকিছু শেষ করতে চাইলে তার শুরুটা যথার্থভাবে করতে হবে।
এমিল
২৪৪. সামান্য বিশ্রাম নাও, এবং মাইলের পর মাইল অতিক্রম করো।
ডব্লিউ জি. বেনহাম
২৪৫. বিজ্ঞ ব্যক্তিরা কখনো অস্বাভাবিক কিছু করার উদ্যোগ নেন না।
–মেসিংগার রেনে গ্যাডো
২৪৬. অলসতা হল মনের নিদ্রা।
বাল ভেনারগাস
২৪৭. একজন মহৎ ব্যক্তির কাজ হল ঈশ্বরেরই মহৎ কাজ।
পোপ
২৪৮. মহৎ কাজ কখনো হারিয়ে যায় না।
ব্যাসিল
২৪৯. আমাদের প্রথমে অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। পরে অভ্যাসই আমাদেরকে গড়ে তুলবে।
ড্রাইডেন
২৫০. ভালো কাজ করা হল মানুষের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব।
–সোফোক্লেস
২৫১. কল্পনায় বড় না হয়ে কাজে বড় হও।
–শেক্সপীয়ার
২৫২. যে যা বলে বলুক, তুমি তোমার নিজের পথে চলো।
দান্তে
২৫৩. চন্দ্র কহে বিশ্বে আলো দিয়াছি ছড়ায়ে,
কলঙ্ক যা আছে তাহা আছে মোর গায়ে।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২৫৪. কে লইবে মোর কার্য, কহে
সন্ধ্যা রবি–
শুনিয়া জগৎ
রহে নিরুত্তর ছবি।
মাটির প্রদীপ ছিল; সে
কহিল, স্বামী;
আমার যেটুকু সাধ্য করিব তা আমি।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২৫৫. আজকের কাজ কালকের জন্য রেখে দিও না। কালকের কাজ আরও গুরুতর হয়ে দেখা দিতে পারে।
সক্রেটিস
২৫৬. কোনো কাজ আরম্ভ করলে শেষ করতে দেরি হয় না।
ক্যানিং
২৫৭. পরিশ্রম তা সে যে-ধরনেরই হোক না কেন, তার একটা মূল্য আছে।
–টমাস মিডলটন
২৫৮. বিনা পরিশ্রমে যা অর্জন করা যায়, তা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। ইমারসন
২৫৯. হে বৎস! এই দুনিয়ায় প্রথম যে পদক্ষেপ নেওয়া হয় তার উপরেই আমাদের পরবর্তী দিনগুলো নির্ভর করে।
–ভলতেয়ার
২৬০. সামান্য বিষ মুহূর্তে মানুষের জীবনাবসান ঘটাতে পারে। অথচ বেঁচে থাকার জন্য জীবনব্যাপী মানুষকে কী সংগ্রামই না করতে হয়!
–হেনরি হ্যারিসন
২৬১. আত্মাকে পরিপুষ্ট করার ক্ষমতা যার আছে, সে-ই যথার্থ অবসর ভোগ করে।
স্যামুয়েল স্মালই
২৬২. অবসরকে বুদ্ধিমত্তার সাথে ভরিয়ে তুলতে পারাই হচ্ছে সভ্যতার শেষ অবদান।
বার্ট্রান্ড রাসেল
২৬৩. অবসর হচ্ছে মূল্যবান কিছু চিন্তা করার উৎকৃষ্ট সময়।
ক্রিস্টোফার
২৬৪. কর্মব্যস্ত সমাজে অবসর দান বা গ্রহণ প্রচলিত রীতি। কিন্তু যার নির্দিষ্ট কাজ নেই তার কর্ম-সমাপ্তির প্রশ্ন ওঠে না। দায় থাকলে দায়িত্বপালনের সমস্যা, দায়মুক্ত হলে কিংকর্তব্য হয় চিন্তার বিষয়।
আবদুর রহমান শাদাব
২৬৫. অবসর মানে যথাকর্তব্য সমাপনের পর মনোভার মুক্তি।
–আবদুর রহমান শাদাব
২৬৬. বিকৃত ক্ষুধার তাড়নায় ছুটোছুটি করার পর আত্মস্থ হওয়া কর্মক্লান্ত মানুষের নন্দিত অবসর।
আবদুর রহমান শাদাব
২৬৭. কর্মব্যস্ত জীবনের মধ্যে অবসরের জন্যে একটু ঠাঁই করে রাখা ভালো। কারণ, মানুষ না দিলেও, সময় হলে প্রকৃতি অবসর দেবেই।
আবদুর রহমান শাদাব
২৬৮. ছুটিকে যারা উপভোগ করতে পারে না, তাদের ছুটি ভোগ না করাই উচিত।
–হ্যারি হগম্যান
২৬৯. সাপ্তাহিক ছুটি মানুষের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। অবসর না মিললে গতি বাড়ে। পরিশ্রমের পর বিশ্রাম একান্ত জরুরি।
–হুইটিয়ার
২৭০. দীর্ঘদিনের ছুটি মানুষকে অলস ও কর্মবিমুখ করে তোলে।
বুদ্ধদেব গুহ
২৭১. আমি বড় ব্যস্ত, দুশ্চিন্তা করবার মতো সময় নেই।
উইনস্টন চার্চিল
২৭২. দুশ্চিন্তা দূর করার এক নম্বর উপায় হল–ব্যস্ত থাকুন।
–ডেল কার্নেগি
২৭৩. অবসর হচ্ছে মূল্যবান কিছু করার উৎকৃষ্ট সময়।
ক্রিস্টোফার
২৭৪. উদ্বিগ্ন চিত্তের মানুষেরা কাজের চেয়ে অসলংগ চিন্তাই বেশি করে।
জে. এন. ব্যারি
২৭৫. তুমি অন্য কিছু চিন্তা না করে শুধুমাত্র তোমার কর্তব্যসমূহ যথাযথভাবে পালন করে যাও, পুরস্কৃত হবেই।
নরমান ডগলাস
২৭৬. সকালে চিন্তা করো, দুপুরে কাজ করো, সন্ধ্যায় খাও এবং রাত্রে ঘুমাও।
উইলিয়াম ব্লেক
২৭৭. প্রয়োজনীয় কিছু চিন্তা করার জন্য অবসরই হচ্ছে উপযুক্ত মুহূর্ত।
স্যামুয়েল স্কাইল
২৭৮. বিশ্বাস হইতেছে আত্মার খাদ্য। বিশ্বাস হইতে চিন্তা এবং চিন্তা হইতে কার্যের উৎপত্তি। প্রত্যেক মানবের কার্যই তাহার বিশ্বাসের অনুরূপ হইবে।
ইসমাইল হোসেন সিরাজী
২৭৯. এমন মানুষ পৃথিবীতে কেউ জন্মায়নি, যার কাজ তার সঙ্গে সঙ্গে জন্মায়নি।
–জেমস রাসেল লোওয়েল
২৮০. আমরা খাঁটি হতে পারি যদি আমাদের কর্ম হয় খাঁটি, বিনয়ী হতে পারি যদি আমাদের কর্ম হয় বিনয়ী, সাহসী হতে পারি যদি আমাদের কর্ম হয় সাহসী।
–অ্যারিস্টটল
২৮১. আলস্য আর অকর্মণ্য জীবন এক কথা নয়, কিন্তু যাহাকে অকর্মণ্য জীবন বল তাহারই অপর অর্থ আত্মদ্রোহ, সমাজদ্রোহ ও বিশ্বদ্রোহ। অতএব যে অলস, সে ত্রিবিধ অপরাধেই সর্বপ্রকার দণ্ডাৰ্হ ও নিগ্রহভাজন।
–কালীপ্রসন্ন ঘোষ
২৮২. হাতে মুখে কাজে যেন থাকে এক যোগ
সহসা না হয় যেন কটুভাষী
রোগ
মন দিয়া লেখাপড়া করিও যতনে
তৎপর থাকিও মাতা-পিতার বচনে
আদরে তুমিও তব প্রিয় বন্ধু জনে
লিখিত বচনগুলি রেখ সদা মনে।
–আরজ আলী মাতুব্বর
২৮৩. আমরা যত কাজ করি তার চেয়ে আরো বেশি করে কাজ আমরা করতে পারি, এবং কাজে যত বেশি ব্যস্ত আমরা থাকবো, অবসর বিনোদনের সময় আমাদের তত বেশি বেড়ে যাবে।
–হেজেল্ট
২৮৪. সকাজে তোমরা একে অন্যের প্রতিযোগিতা কর।
–আল-কোরআন
২৮৫. কাজ যত সামান্যই হোক না কেন, পরিশ্রমী আর বুদ্ধিমান লোক তা দিয়ে জীবনে উন্নতি লাভ করবে।
বুকার ওয়াশিংটন