রাজা গণেশ (শাসনকাল : ১৪১৪ সাল থেকে ১৪১৫ সাল)
১৪১৪ সাল। রাজা গণেশ নামে এক ব্রাহ্মণ জমিদার বাংলার সিংহাসন দখল করেন। ফারসি ভাষায় লিখিত ইতিহাসে তাঁকে ‘কানস’ বা ‘কংস’ বলা হয়েছে। পঞ্চদশ শতকের প্রারম্ভে রাজা গণেশ গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের রাজত্বকালে রাজস্ব ও শাসন বিভাগের অধিকর্তা হয়েছিল। এ সময় গণেশ শামসুদ্দিন ইলিয়াসের পৌত্র গিয়াসউদ্দিন আজম শাহকে হত্যা করেন। অতঃপর গিয়াসউদ্দিনের পৌত্র শামসুদ্দিনকেও সে হত্যা করে গৌড় ও বাংলার সিংহাসনে আরোহণ করে। গণেশ প্রচুর পরিমাণে উৎকোচ দান করে অর্থলোভী মুসলিম জমিদার ও আমির-ওমরাহদের মুখ বন্ধ করে দেন এবং মুসলিম প্রজাদের উপর অকল্পনীয় অত্যাচার শুরু করেন। ইতিহাসের এই অংশে এসে দেখা যাচ্ছে যে, কোনো হিন্দু রাজা প্রথম মুসলিম শাসকদের সঙ্গে টক্কর দিচ্ছে এবং তাঁদের উপর উৎপীড়ন-অত্যাচার করছে। যাই হোক, গণেশের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে মুসলিম প্রজারা শাইখুল ইসলাম হজরত মাওলানা বদরুল সাহেবের কাছে প্রতিকার চান। মাওলানা সাহেব মুখপাত্র হিসাবে গণেশের দরবারে উপস্থিত হন এবং অত্যাচার থেকে বিরত থাকতে বলেন। উদ্ধত রাজা গণেশ মাওলানা সাহেবে কথায় কর্ণপাত তো করলেনই না, উলটে তাঁকে কুর্নিশ করতে বলেন। মাওলানা জানিয়ে দিলেন— রাজাকে কুর্নিশ নয়, কোনো শাইখুল ইসলাম যদি রাজদরবারে আসে রাজাই তখন সিংহাসন থেকে নেমে মুকুট হাতে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাবে। এটাই রীতি। ঐতিহাসিক ব্লকম্যান (Blockman) বলেন যে, গণেশ নিজে সিংহাসনে আরোহণ করেননি। তবে তিনি শামসউদ্দিনকে হত্যা করে তাঁর ভ্রাতা শাহাবউদ্দিন বায়েজিদ শাহকে ক্রীড়াপুত্তলিকা স্বরূপ রেখে স্বয়ং রাজদণ্ড পরিচালনা করতেন। রাখালদাস বন্দোপাধ্যায় তাঁর ‘বাংলার ইতিহাস’ গ্রন্থের দ্বিতীয় খণ্ডে ১৪০৯-১৪১৪ সাল পর্যন্ত বাংলার সিংহাসনে দুজন শাসনকর্তার নাম উল্লেখ করেছেন। যেমন— শাহাবউদ্দিন বায়েজিদ শাহ ও গণেশ।
গণেশ ও তাঁর সমমনা হিন্দু সামন্তবর্গ বাংলায় মুসলিমদের শাসন মনেপ্রাণে মেনে নিতে পারেনি৷ তাঁরা মুসলিম শাসনকে হিন্দু জাতির জন্য চরম অবমাননাকর মনে করত। তাই গণেশ সিংহাসনে আরোহণ করার। পর মুসলিম নিধনে আত্মনিয়োগ করেন। বুকানন হ্যাঁমিল্টন কর্তৃক লিখিত দিনাজপুর বিবরণীতে আছে যে, রাজা গণেশ নিম্নদ্বার বিশিষ্ট এবং জনশূন্য এক কক্ষে আলোচনার জন্য আহ্বান করলেন। মাওলানা সাহেব এলেন এবং দুয়ারটি বেশ নিচু হওয়ার কারণে তাঁকে মাথা হেঁট করে প্রণামের কায়দায় ভিতরে ঢুকতে হয়। গণেশের পূর্বপরিকল্পনা আঁচ করতে পারেন মাওলানা সাহেব। কারণ ইসলামের নির্দেশ অনুযায়ী কোনো মুসলিমই আল্লাহ ব্যতীত আর কারও সামনে মস্তক অবনত করতে পারেন না। মাওলানা সাহেবের এহেন আচরণে গণেশ যারপরনাই অপমানিত বোধ করেন এবং ক্রোধান্বিত হয়ে সেইদিনই হজরত মাওলানা বদরুল আলম সহ আরও কয়েকজন বিজ্ঞ আলেমকে নদীতে ডুবিয়ে হত্যা করেন। শুধু তাই নয়, বহু মুসলিম অলি দরবেশ, মনীষী, পণ্ডিত ও শাস্ত্রবিদকেও গণেশ নির্মমভাবে হত্যা করেন।
কিংকর্তব্যবিমূঢ় মুসলিম সমাজ এবং মুসলিম নিধনের এ লোমহর্ষক কাহিনি শ্রবণ করে শায়খ নুরে কুতুবে আলম মর্মাহত হন এবং জৌনপুরের গভর্নর সুলতান ইব্রাহিম শারকিকে বাংলায় আনিয়ে ইসলাম ধর্ম রক্ষার জন্যে আবেদন জানান। কুতুবে আলম সেসময় ইব্রাহিম শারকিকে গণেশের রাজ্য আক্রমণের নির্দেশ দেন। বিরাট সৈন্যবাহিনী নিয়ে ইব্রাহিম ফিরোজপুরে শিবির স্থাপন করেন। এই সংবাদ পেয়ে ভীত গণেশ আশ্রয় প্রার্থনা করেন মোহাম্মদ নুর কুতুবুল আলমের কাছে। দোর্দণ্ডপ্রতাপ রাজা গণেশ যুদ্ধের আগেই হেরে বসে থাকল। নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ। কিন্তু কুতুবুল নিঃশর্ত রেহাই দিলেন না। কুতুবে আলম এই সুবর্ণ সুযোগটা হাতছাড়া করলেন না। বললেন, তিনি এই শর্তে সুলতাম ইব্রাহিমকে প্রত্যাবর্তনের পরামর্শ দিতে পারেন, যদি গণেশ ইসলাম গ্রহণ করেন। গণেশ স্বীকৃত হলেও তাঁর স্ত্রী তাঁকে বাধা দান করেন। অবশেষে তাঁর পুত্র যদুকে ইসলামে দীক্ষিত করে গণেশের পরিবর্তে তাকে সিংহাসন ছেড়ে দেওয়ার জন্যে বলা হয়। গণেশ এ কথায় স্বীকৃত হন। যদুর মুসলমানি নাম জালালউদ্দিন রেখে তাঁকে বাংলার সুলতান বলে ঘোষণা করা হয়। সুলতান ইব্রাহিম অত্যন্ত ক্ষুণ্ণ মনে প্রত্যাবর্তন করেন। তাঁর প্রত্যাবর্তনের সংবাদ পাওয়ামাত্র গণেশ যদু ওরফে জালালউদ্দিনের কাছ থেকে সিংহাসন পুনরুদ্ধার করেন। কুতুবে আলম গণেশের ধূর্তুমি বুঝতে পারেনি। তাই পুত্রকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করতে চাইলে পিতার নরহত্যার অপরাধ ক্ষমা করেন। গণেশ সিংহাসন পুনরুদ্ধার করার পর সুবর্ণধেনু অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ধর্মচ্যুত যদুর শুদ্ধিকরণ ক্রিয়া সম্পাদন করেন। অর্থাৎ একটি নির্মিত সুবর্ণধেনুর মুখের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করে তার মলত্যাগের দ্বার দিয়ে হিন্দুশাস্ত্রের বিশেষ ধর্মীয় পদ্ধতিতে বহির্গত হওয়াই হল শুদ্ধিকরণ পদ্ধতি। এ শুদ্ধিকরণ অনুষ্ঠানের পর গণেশ পুনরায় দেশ থেকে মুসলমানদের মূলোৎপাটনের কাজ শুরু করেন। তিনি পূর্বের চেয়ে অধিকরত হিংস্রতার সঙ্গে মুসলিম নিধনকার্য চালাতে থাকেন। তিনি কুতুবে আলমের পুত্র শায়খ আনোয়ার ও পৌত্র শায়খ জাহিদকে বন্দি অবস্থায় সোনারগাঁও পাঠিয়ে দেন। অতঃপর তাঁদের পিতা-পিতামহের ধনসম্পদের সন্ধান দেওয়ার জন্যে তাঁদেরকে বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার করা হয়। পরে শায়খ আনোয়ারকে হত্যা করা হয়। এমনিভাবে গণেশ সাত বছর যাবৎ বাংলায় এক বিভীষিকাময় রাজত্ব কায়েম করেন এবং মুসলমানদের জীবন অতিষ্ঠ করে তোলেন।
গণেশের জ্যেষ্ঠ পুত্র মুসলিম হয়েছিলেন। তাঁর মুসলিম হওয়ার প্রকৃত কারণ কী ছিল, তা অবশ্য বলা কঠিন। তবে একজন প্রবল প্রতাপান্বিত ব্রাহ্মণ হিন্দুজাতির পক্ষে চরম অবমাননাকর মনে করে অনেক কল্পিত কাহিনি রচনা করেছেন। রাখালদাস বন্দোপাধ্যয় তাঁর বাংলার ইতিহাস গ্রন্থের দ্বিতীয় খণ্ডে লিখেছেন, “বরেন্দ্রভূমিতে প্রচলিত প্রবাদ অনুসারে যদু ইলিয়াস শাহের বংশজাত কোনো সম্ভ্রান্ত মুসলমান রমণীর রূপে মোহিত হইয়া স্বধর্ম বিসর্জন দিয়াছিলেন।” কোনো কোনো ঐতিহাসিকগণ মনে করেন— গণেশের মুসলিম উপপত্নী রাখা এবং যদুর মুসলিম রমণীর প্রেমাসক্ত হওয়া একেবারে স্বকপোলকল্পিত এবং দুরভিসন্ধিমূলক। নিজের গ্লানি অপরের ঘাড়ে চাপানোর হাস্যকর প্রয়াসমাত্র। আর-একটি বিষয় বিশেষভাবে উল্লেখ্য— তা হল এই যে, স্বভাবতই বহিরাগত বিজয়ী মুসলমানদের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের অনুভূতি (Superiority Complex) ছিল ষোলো আনাই। সম্ভ্রান্ত মুসলমান বলতে বহিরাগত মুসলমানকেই বোঝাত। তাঁদের কোনো রমণী হিন্দুর স্বামীত্ব গ্রহণ করবে— এটা চিন্তার অতীত।
তারপর কথা থাকে এই যে, নিম্ন শ্রেণির হিন্দুজাতির ইসলাম গ্রহণের পর তাঁদের কোনো রমণী গণেশকে স্বামীত্ব রূপে বরণ করেছে, এটাও ছিল অবাস্তব। কারণ গণেশ ছিলেন ব্রাহ্মণ এবং উগ্র ব্রাহ্মণ্যবাদের ধারক ও বাহক। যে হিন্দু ইসলাম গ্রহণের পর যবন ও ম্লেচ্ছ হয়েছে তাঁদের ঘরে বিবাহ করা গণেশের পক্ষে ছিল এক অচিন্তনীয় ব্যাপার। অতএব এসব কাহিনি যে অলীক কল্পনাপ্রসূত মাত্র, তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। কেউ কেউ বলেন, যদু রাজ্যলোভে মুসলমান হয়েছিলেন। একথাও সত্য নয়।
রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ইতিহাসে এ সময়ের একটি চমকপ্রদ কাহিনি বর্ণনা করেছেন। তিনি তাঁর ইতিহাসের (বাংলার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড) ১৩৭ পৃষ্ঠায় বলেন, “গণেশ অথবা যদু যাহা করিতে পারেন নাই, অথবা করিতে ভরসা করেন নাই আর একজন বাঙ্গালী হিন্দুরাজা কর্তৃক তাহা স্বচ্ছন্দে সম্পাদিত হইয়াছিল। তাহার নাম দনুজমর্দন দেব”। অতঃপর তিনি উক্ত গ্রন্থের ১৩৯ পৃষ্ঠায় কথার পুনরাবৃত্তি করে বলেন, “গণেশ অথবা যদু যাহা করিতে পারেন নাই, আর্যাবর্তে কোনো হিন্দু রাজা যাহা করিতে পারেন নাই, তাহাই সাধন করিয়াছিলেন বলিয়া দনুজমর্দন দেব ও মহেন্দ্র দেবের নাম ইতিহাসে চিরস্মরণীয় থাকিবে”।
মজার ব্যাপার হচ্ছে এই যে, গণেশ এবং যদু কী করতে পারেননি, আর দনুজমর্দন দেব কী করেছেন তার কোনো উল্লেখই তাঁর গ্রন্থে নেই। এ সম্পর্কে স্যার যদুনাথ সরকার বলেন, “In this very year we find coins with Bengali lettering issued from Pandua and Chatgaon by a king named Mahendra Dev- exactly resembling those of Danujmardan Dev. He was most probabely the younger son of Ganesh, who has remained a Hindu and to whome his elder brother Jadusen Jalaluddin had offered to leave the patemal throne on case he was not permitted of embrace Islam. Mahendra was evidently set up on the throne by Hindu ministers just after the death of Ganesh. I believe that Mahendra (then not more than 12 years old) was a mere puppet in the hands of a selfish ministerial foaction… The attempt of the Kingmakaers was shortlived and ended on their speedy defeat, as no coin was struck in Mahendra’s name after that one year 1418 A.D.” যদুনাথ সরকার আরও বলেন, “Ganesh placed his son, a led of twelve only, under protective watch in his harem and ruled in his iwn account under the proud title of Danujmaradan Dev.”
গণেশ তাঁর বারো বছর বয়সি পুত্রকে হারেমের মধ্যে প্রতিরক্ষামূলক পাহারায় রেখে স্বয়ং গৌরবজনক ‘দনুজমর্দন দেব’ উপাধি ধারণ করে ইচ্ছামতো শাসন চালান। এটা থেকে বোঝা গেল গণেশই ছিলেন দনুজমর্দন দেব। অথবা দনুজমর্দন ছিল তাঁর উপাধি, যা তিনি তাঁর জন্যে এবং গোটা হিন্দুজাতির জন্যে গৌরবজনক মনে করতেন। সম্ভবত রাখালদাস এখানেই ভুল করেছেন। তিনি দনুজমর্দনকে ভিন্ন ব্যক্তি মনে করে তাঁর অসীম গুণগান গেয়েছেন। দনুজমর্দন’ শব্দের অর্থ কী? দনুজমর্দন শব্দের অর্থ ‘দৈত্যদলন’। উগ্র হিন্দুত্বের প্রতিষ্ঠাকামী গণেশ মুসলমান ও মুসলিম শাসন কিছুতেই বরদাস্ত করতে পারেননি। তাঁর একান্ত বাসনা ছিল মুসলমানদেরকে বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে হিন্দুরাজ কায়েম করা। বহিরাগত মুসলমানদেরকে গণেশের মতো হিন্দুগণ ‘যবন-ম্লেচ্ছ’ মনে করতেন। কিন্তু বহিরাগত মুসলিমরা হিন্দুদের তুলনায় শারীরিক গঠন ও শৌর্য-বীর্যে বলিষ্ঠতর ছিলেন। তাই তাঁদেরকে যবন ও ম্লেচ্ছ দৈত্যের মতো মনে করা হত। এই দৈত্যস্বরূপ যবন ও ম্লেচ্ছদের দলন ও নিধনই ছিল গণেশের ব্রত। ইব্রাহিম শারকির স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর গণেশ পূর্ব থেকে শতগুণে এই দলন ও নিধন কার্য চালিয়েছেন। দনুজমর্দনের মুসলিম নিধন কার্যকলাপের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে রাখালদাস বলেছেন, “আর্যাবর্তে কোনো হিন্দু রাজা যাহা করিতে পারেন নাই তাহাই সাধন করিয়াছিলেন বলিয়া দনুজমর্দন দেব ও মহেন্দ্র দেবের নাম ইতিহাসে চিরস্মরণীয় থাকিবে।”
ইতিহাস-লেখক ডাঃ কিরণচন্দ্র চৌধুরী লিখেছেন– “ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার পর যদু অত্যন্ত অত্যাচারী হয়ে ওঠেন। বিশেষ করে হিন্দুদের উপর অবিচার ও অত্যাচার তিনি অপ্রতিহতভাবেই চালিয়ে ছিলেন।” যদু ওরফে জালালউদ্দিন মোহম্মদ শাহের পর তাঁর পুত্র শামসউদ্দিন আহমেদ সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন। কিন্তু গুপ্ত ঘাতকের হাতে তাঁর মৃত্যু হলে রাজা গণেশের বংশের পতন ঘটে এবং পুনরায় ইলিয়াস শাহি বংশের অভ্যুদয় হয়। ইলিয়াসের পৌত্র নাসিরউদ্দিন অতঃপর তাঁর পুত্র রুকনউদ্দিন বরাবক শাহ এবং তারপর হাবসি রাজারা ১৪৯৩ সাল পর্যন্ত রাজত্ব করেন। কিছুকাল যাবৎ আবিসিনিয়াবাসীরা বাংলায় আগমন করতে থাকেন। বাররাক শাহ ও ইউসুফ শাহ তাঁদেরকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ করেন। এদের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে ফতেহ শাহ তাঁদেরকে দমন করার চেষ্টা করলে তিনি নিহত হন এবং জনৈক সুলতান শাহজাদা বাররাক নামে সিংহাসনে আরোহন করেন। যথাক্রমে সুলতান শাহজাদা বাররাক (১৪৮৬-৮৭ সাল), সাইফউদ্দিন ফিরোজ শাহ (১৪৮৭ ৯০ সাল), নাসিরউদ্দিন মাহমুদ শাহ (১৪৯০-৯১ সাল), শামসউদ্দিন মুজাফফর মাহ (১৪৯১-৯৩ সাল), আলাউদ্দিন হোসেন শাহ (১৪৯৩-১৫১৯ সাল)।