নদীর ধারে নির্জন গাছতলায়

নদীর ধারে নির্জন গাছতলায়

ফুলের বাগানে গভীর রাতে লুকিয়ে বসে আছে একটা চোর
মৃদু জ্যোৎস্না, পাতলা অন্ধকার, ওড়াউড়ি করছে পেঁজা তুলোর মতন মেঘ
হঠাৎ দু’-একটা পাখিও ডেকে ওঠে
নিশীথ কুসুমের তীব্র গন্ধ কেমন আবেশময়, সেই গন্ধ কি
ওকে সম্মোহিত করতে পারে না?
চোর হলেই কি তার থাকবে না সৌন্দর্যবোধ?

দিন দুপুরে একটা সাত বছরের বাচ্চা মেয়েকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল
একজন মুখোশধারী
ওরা মুখোশ পরেছে, পরুক, কিন্তু অতটুকু বালিকার
মুখের হাসি কি ওরা দেখে নি?
গলা টিপে সেই হাসি মুছে দিতে গিয়ে ওদের বুক কাঁপবে না?

তোমার হাতে তলোয়ার থাকলে তোমার শত্রুরও একটা থাকবে
তারপর মুখোমুখি হবে লড়াই
এটাই তো মানুষের নিয়ম
যারা পেছন দিক থেকে আঘাত হানে
নিরস্ত্রকে পুড়িয়ে মেরে অট্টহাসিতে হাওয়া কাঁপায়
তারা কি মানুষ?
জনসংখ্যা যত বাড়ছে, ততই মানুষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে?

এই সব কথা মনে এলে কোনও খাদ্যে আর স্বাদ থাকে না
সব সুরই মনে হয় বেসুরো
সব গাছ থেকে ঝরে যায় ফুল, শিকড়ে লাগে পোকা
নদীর ধারে নির্জন গাছতলায় এখনও কি কেউ
আপন মনে বাঁশি বাজায়
তার প্রতীক্ষায় বসে থাকি।