জীবনের আত্মজীবনী

জীবনের আত্মজীবনী

আমার একত্রিশতম পূর্বপুরুষ
যখন একটি ছটফটে নদীর পাশে, ভর দুপুরে
খোলা মাঠে তার ছ’নম্বর রমণীটির সঙ্গে
চিৎ-উপুড় খেলায় হাঁপাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই
হঠাৎ তার পিঠের ওপর এসে বসল একটা বাজপাখি।
কী ঝামেলা!
বাজপাখিকে সরিয়ে দেওয়া যায় না, খেলাও বন্ধ করা যায় না
তখন নাকি আবার আকাশে আগুনের ছড়াছড়ি
দুই দিগন্ত থেকে ছুটে আসা ঝড় রং বদলাবদলি করছিল
ঘুমন্ত পাহাড়ের গায়ে ঘাস-আগাছার মধ্যে তুঁত বরণ ফুল
আর অনন্ত অবাক-চোখে ফড়িং
পায়রারা তাদের ঠোঁটে ধরে ধরেই খেয়ে ফেলছিল কচকচিয়ে
এই সবের মধ্যে হল কী
আমার ত্রিশতম ঠাকুরদা জন্মালেন অষ্টাবক্র হয়ে
তার চেহারাটা শালিক-শালিক আর ভেতরে
বাজপাখির আত্মা!

এই সবই লেখা আছে ধারাবাহিক জিনের আত্মজীবনীতে
আর সব আত্মজীবনীতেই কিছু কিছু ভুল থাকে ইতিহাসে
আগুন? না, সে সময়ের আকাশ ছিল ভবঘুরে সাদা
মেঘে ঢাকা?
হয়তো ঝড় ছাপিয়েও শোনা যাচ্ছিল মান ভাঙার গান
পায়রাগুলো সত্যিই হিংস্র ছিল? এখন তারাই
শান্তির পতাকায় পতপত করে
আমার নারীর কাছে, আমি, এক এক সময়
কী যে হয়, বাজপাখির মতন ডানা ঝাপটাতে যাই
সে খুব শান্ত, নীল স্বরে বলে, দেখো,
সরবিট্রেট রেখেছ তো জিভের তলায়?