উনিশ বড় সাংঘাতিক উনিশ

উনিশ বড় সাংঘাতিক উনিশ

নদীর ঘাট, উনিশ, পাতলা ছেলে
কপালে ধুলো, পা ডোবানো জলে
তেচোখো মাছ, শালুক পাতায় ফড়িং
ধামসা বাজে নমোশূদ্র পাড়ায়।

গড়িয়ে যায় বিকেল থেকে সন্ধে
কাজল মেঘে রক্তারক্তি ধারা
জারুল গাছে একলা কাল প্যাঁচা
দুটি জোনাকি জ্বলছে দুই চোখে।

এ ছেলেটার পেটে বিষম ব্যথা
কিছুটা ঝোঁকা, কুঁচকে গেছে ভুরু
খিদে? তেমন কথা তো নয়, চুলো
দু’ বেলাতেই মায়ের হাতে জ্বলে।

বাতাস নেই, নদীও নিঃশব্দ
এখন আর আসে না কেউ ঘাটে
নতুন গড়া সাঁকোর ডান পাশে
খেয়া নৌকো উলটে শুয়ে আছে।

উনিশ বড় সাংঘাতিক উনিশ
মুখের রোমে যৌবনের ভাষা
শরীরে গান-বাজনা শুনতে পায়
ছন্দ-মিল নেই, তালও নেই।

অন্তরীক্ষ, যত্ন করে দেখো
ছেলেটা কেন নদীর ধারে একা
ব্যথাটা তার আসলে তলপেটে
এই কষ্ট এত মধুর গোপন!

কেউ কি তার মনকে ছুঁতে চায়
বকুলতলায় চকিত আলো ছায়ায়
আঁচল দিয়ে দু’ চোখে দেয় ভাপ
পক্ষী ভাষায় হৃদিভাষ্য শোনায়?

হৃদয় থেকে শরীর কত দূরে?
সে দূরত্ব নিয়েই সারাজীবন
দ্বন্দ্ব চলবে, আজ জানে না কিছু
নদীর জলে দেখে নিজের ছায়া।