এক জন্মের অভিমান

এক জন্মের অভিমান

দেখতে দেখতে জানতে জানতে ভাঙতে ভাঙতে যাওয়া
পৃথিবীর মতো মহাশূন্যেও কত অনন্ত বৃত্ত
জীবনটা শুধু একমুখী, তার পেছনে চক্ষু নেই
কোথাও একটু বিরতিও নেই, দু-এক কদমও কেউ কোনওদিন ফেরেনি
সিঁড়িতে একলা বসে থাকা, চোখ হতবাক, পটভূমিতে অন্ধকার
বসে থাকাটাও থেমে থাকা নয়, আয়ুতে ঘড়ির কাঁটা।

বৃষ্টির ফোঁটা ফিরে ফিরে যায়, নদীও কিছুটা ফেরে
ঝড়-বিদ্যুৎ, বাজ গর্জন, মাটিতে শীত বসন্ত
শুধু প্রাণ, যার এত দাপাদাপি, সে মিশে যাবেই ধুলোয়
সময় এমনই হিংস্র যে তাকে কামড়ে চিবিয়ে কুলকুচি করে হাওয়া
মরীচিকা, নাকি দূরের আলেয়া, টেনে নিয়ে যায় এক দিগন্তপ্রান্তে
অসম যুদ্ধ, মানুষের কোনও হাতিয়ার নেই সেই পড়ন্ত বেলায়!

চোখ ভরে দেখা, চোখের আলোও ছায়া ছায়া হয়ে আসে
এত জানাজানি, এত কিছু শোনা, শুধুই ভ্রমের শ্রম?
অর্ধেকও কাজে লাগে না জীবনে, হঠাৎ কখন বিস্মরণের হানা
সব সাধ, সব ভালোবাসাবাসি অপূর্ণ থাকে, মাঝপথে যবনিকা
অসহায় রাগে খাক হয় মন, জলে ধুয়ে যায় ছবি
এই চলে যাওয়া, সকলেই যায়, বুক ভরা এক জন্মের অভিমান!