তুচ্ছ ছন্দ মিলে

তুচ্ছ ছন্দ মিলে

মধ্য পুকুরে ড়ুব দিয়ে মাটি তোলা
দুপুর বেলায় বাজি ফেলা সেই আঁকুপাঁকু করা ত্রাস
এখন দরজা জানলাও সব খোলা
মধ্য বয়েসে ফিরে আসে সেই জলের কঠিন ফাঁস।

কৈশোর ছিল আজিব স্বপ্ন মাখা
এই লুকোচুরি, এই কান্নায় মায়ের আঁচলে চোখ
এই ভূমিতল, এই কাঁধে দুটি পাখা
নরকের খুব কাছ ঘেঁষে ছিল রঙিন অমৃত লোক!

সতেরো বছরে হয়েছিল রাহাজানি
প্রথম মৃত্যু, বিষটিষ নয়, বন্দুক বেয়নেট
করমচা-রং মেয়েটির হাতখানি
বুক ছুঁয়েছিল, আল্পনা পায়ে এই মাথা ছিল হেঁট।

মধ্যবয়েসে স্বপ্ন দেখার মানা
দুপুরের ঘুমে কায়াহীন ছায়া-শরীরেরা আসে ফিরে
ব্যর্থ প্রণয় মনোলোকে দেয় হানা
মুখহীন নারী চকিতে হারায় গড়িয়াহাটের ভিড়ে।

দের্শ না পৃথিবী, কে যে দিয়েছিল ডাক
মনেও পড়ে না, হাঁটুর ব্যথাটা বেশি করে চাড় দিলে
সত্যি-মিথ্যে, মাঝখানে থাকে ফাঁক
কবিতা লেখায় নিজেকে লুকোই তুচ্ছ ছন্দ-মিলে।