আজি হতে শতবর্ষ পরে কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি কৌতূহলভরে — আজি হতে শতবর্ষ পরে । আজি নববসন্তের প্রভাতের আনন্দের লেশমাত্র ভাগ — আজিকার কোনো ফুল , বিহঙ্গের কোনো গান , আজিকার কোনো রক্তরাগ অনুরাগে সিক্ত করি পারিব না পাঠাইতে তোমাদের করে আজি হতে শতবর্ষ পরে । তবু তুমি একবার খুলিয়া দক্ষিণদ্বার বসি বাতায়নে সুদূর দিগন্তে চাহি কল্পনায় অবগাহি ভেবে দেখো মনে — একদিন শতবর্ষ আগে চঞ্চল পুলকরাশি কোন্ স্বর্গ হতে ভাসি নিখিলের মর্মে আসি লাগে — নবীন ফাল্গুনদিন সকল বন্ধনহীন উন্মত্ত অধীর — উড়ায়ে চঞ্চল পাখা পুষ্পরেণুগন্ধমাখা দক্ষিণসমীর — সহসা আসিয়া ত্বরা রাঙায়ে দিয়েছে ধরা যৌবনের রাগে তোমাদের শতবর্ষ আগে । সেদিন উতলা প্রাণে , হৃদয় মগন গানে , কবি এক জাগে — কত কথা পুষ্পপ্রায় বিকশি তুলিতে চায় কত অনুরাগে একদিন শতবর্ষ আগে । আজি হতে শতবর্ষ পরে এখন করিছে গান সে কোন্ নূতন কবি তোমাদের ঘরে ? আজিকার বসন্তের আনন্দ-অভিবাদন পাঠায়ে দিলাম তাঁর করে । আমার বসন্তগান তোমার বসন্তদিনে ধ্বনিত হউক ক্ষণতরে হৃদয়স্পন্দনে তব ভ্রমরগুঞ্জনে নব পল্লবমর্মরে আজি হতে শতবর্ষ পরে ।