গ্রন্থভূক্ত কবিতা (কাব্যগ্রন্থ)
গান
অগ্রন্থিত কবিতা
গল্প
চলচ্চিত্র কাহিনী ও চিত্রনাট্য
সম্পাদকীয়, গদ্য ও বক্তৃতা
সাক্ষাৎকার
1 of 2

সম্পাদকীয়-২ : উপলিকা সম্পর্কিত উপস্থাপনা

সম্পাদকীয়-২

উপলিকা সম্পর্কিত উপস্থাপনা

না কবিতা। না গল্প। সুরটা হবে কাবিতিক। এবং উপস্থাপনার ধরন হবে গাল্পিক। মূলত কবিতার স্বাচ্ছন্দ গতি নিয়ে এর শুরু। এবং গদ্যের বিন্যাসে বিন্যস্ত। জটিলতা সবসময় পরিত্যজ্য। যতোটা সম্ভব ধারাবাহিকতা আবশ্যক। সমাপ্তিটা ছোট গল্পের মতোন। সহজবোধ্য শব্দের ব্যবহার বাঞ্ছনীয়।

নিঃসন্দেহে সাহিত্যে এটা একটা নোতুন সংযোজন। সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘ক্ষমা নেই’ গ্রন্থের রচনাগুলো অবশ্য উপলিকার গুনগত দিক থেকে কিছুটা সদৃশ। তবে ঐ রচনাগুলোর প্রথম অবস্থায় খুব একটা উদ্বিগ্নতা থাকে না য্যামোন থাকে না রচনাটা শেষ হলে।

উপলিকার প্রধান উপজীব্য হচ্ছে রচনার প্রথম থেকে পাঠককে যে পরিবেশ বা যে ধারনার মাঝে নিয়ে যাওয়া হবে ঠিক শেষ মুহূর্তে সেই পরিবেশ থেকে সম্পূর্ন নোতুন একটা পরিবেশ বা অবস্থানে পাঠককে ছুঁড়ে দিতে হবে।

অর্থাৎ ঠিক সেই নোতুন পরিস্থিতির কথা না বলা পর্যন্ত পাঠক বিষয়টি সম্পর্কে সামান্যতম আভাসও পাবে না। তাই সে বিষয়বস্তু ভাবগত হোক আর বস্তুগত হোক।

এদেশের আবদুল মান্নান সৈয়দের কয়েকটা কবিতাকে মোটামুটিভাবে উপলিকা বলে ধরা যেতে পারে। কিন্তু ঐ একই কারনে সম্পূর্নভাবে ধরা যায় না। তাছাড়া সৈয়দের কবিতায় দুর্বোধ্য শব্দের ব্যবহার একটু বেশি।

ফরহাদ মজহারের কয়েকটি কবিতায় উপলিকার কিছু কিছু গুন লক্ষনীয়। আবুল হাসানেরও তাই।

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বেশির ভাগ কবিতাকেই উপলিকা বলা যেতে পারতো যদি না ঐ কবিতাগুলোয় কবিতার ঘ্রান একটু কম থাকতো।

উপলিকার আর একটি বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করছি। তা হলো এর কলেবর খুব বেশি দীর্ঘ করা যাবে না। মোট কথা উপলিকা হচ্ছে না-গল্প না-কবিতা।

উপলিকা সম্পর্কে বিশদ আলোচনা এবং এ সম্পর্কে লেখকদের মতামত আগামী সংখ্যায় ছাপা হবে।

যেকোনো লেখকই উপলিকা’ বিভাগে লেখা পাঠাতে পারবেন। অবশ্যই সেগুলোকে উপলিকা হতে হবে।

অশ্লীল জোৎস্নায়, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ১৯৭৫

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *