পাখিদের গল্প
আমার স্নায়ুর সকল ইচ্ছা দিয়ে
তোমাকে চাইছি হৃদয়ের কাছে পেতে।
তোমাকে চাইছি মানবিক স্নেহে, প্রেমে,
মানবিক মোহে, শরীরে ও পিপাসায়।
পাখিরা যেমন মৌশুমি ঘর বাঁধে,
উত্তর থেকে নাতিশীতোষ্ণ বিলে।
আমরাও বাঁধি পাখিদের মতো নীড়,
চলো গড়ে তুলি নীলিমার সংসার।
সন্ধায় চলো মহুয়া ফুলের বনে,
উঠাই দুজনে চোলাই মদের হাড়ি।
জোমা যদিবা না-ও ফোটে আসমানে,
আমরা দুজনে ফোটাবো জোমা-শিখা।
অথবা দুজন ডানা মেলে চলো উড়ি,
রোদ্দুরে পুড়ি, ভিজি শিশিরের জলে,
পাখা মেলে ভাসি। আকাশের অঙ্গনে—
চলো দুইজনে জীবনের মানে খুঁজি।
চলো ভেসে যাই সমুদ্রগামী স্রোতে,
অচেনা জলের অকূল পরিধি জুড়ে
হাতছানি দেয় অনিশ্চিতের ঢেউ
মুক্ত জীবনে ডাকে দরিয়ার চিঠি।
শরীরে জড়ানো সামাজিক শৃংখল,
চেতনা অলস অনিশ্চিতের ভয়ে।
অনিশ্চয়তা জীবনের সম্পদ,
চলো ছিঁড়ে ফেলি ফানুসের কারুকাজ।
কৌম জীবনে পূর্বসূরীর মন,
হারায়ে এসেছি হাজার বছর আগে।
হারায়ে এসেছি মানুষের মূল ভাষা,
নিসর্গাচারী খাঁটি শরীরের স্বাদ।
খুঁজে দেখি চলো হারানো প্রানের গান,
হারানো ফসল পূর্নিমা উৎসব।
চলো খুঁজে দেখি নিসর্গ-অভিধান,
জীবনের মূল শব্দ, অর্থগুলো।
সম্মিলিতের সাম্যজীবন খুঁজে,
আমরা সরাবো ব্যক্তিক জঞ্জাল।
আমরা ছিড়বো চেতনার শৃংখল,
মুক্ত বিশ্বে পাখি হবো দুইজনে।
মেধার সকল সূক্ষতা ছুঁয়ে ছুঁয়ে,
ভাষার সকল প্রকাশ ক্ষমতা দিয়ে,
তোমাকে চাইছি। শরীরের কাছে পেতে,
তোমাকে চাইছি জীবনের কাছে পেতে ॥
২২.০৪.৮৫ মিঠেখালি মোংলা