• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

Bangla Library

Read Bengali Books Online (বাংলা বই পড়ুন)

  • সব বই
  • লেখক
  • সিরিজ
  • বইয়ের ধরণ
  • Login/Register
  • My Account →
  • সব বই
  • লেখক
  • সিরিজ
  • বইয়ের ধরণ
  • Login/Register
  • My Account →
  • বাংলা ডিকশনারি
  • বাংলা কৌতুক
  • বাংলা লিরিক্স
  • বাংলা রেসিপি
  • হেলথ টিপস এন্ড নিউজ

বাংলা নতুন/পুরাতন বইয়ের পিডিএফ ডাউনলোড/সন্ধান করতে আমাদের বাংলা পিফিএফ সাইটে ক্লিক করুন।

Bangla PDF

কিশোরসমগ্র ৩ – শাহরিয়ার কবির

লাইব্রেরি » শাহরিয়ার কবির » কিশোরসমগ্র ৩ – শাহরিয়ার কবির
কিশোরসমগ্র ৩ – শাহরিয়ার কবির

কিশোরসমগ্র ৩ – শাহরিয়ার কবির

কিশোরসমগ্র ৩ – শাহরিয়ার কবির

ভূমিকা 

ছোটদের জন্য লেখালেখি শুরু করেছি সেই সাতষট্টি সালে, যখন আমি কলেজে পড়ি। ‘কচি ও কাঁচা’ পত্রিকার রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই আর জগন্নাথ কলেজে আমাদের বাংলার অধ্যাপক শামসুজ্জামান খানের উৎসাহ আর তাগিদ না থাকলে আদৌ আমি ছোটদের জন্য লিখতাম কিনা সন্দেহ আছে । 

জগন্নাথে থাকতে আমাদের একটা সাহিত্য সংগঠন ছিল । নাম ছিল চারণিক । তখন আমরা যারা চারণিক করতাম তাদের ভেতর ছিল নাজিমউদ্দিন, আলী ইমাম, কাজী কামাল, ইকবাল আহমেদ, ফেরদৌস, নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু আর আমি। আমরা সাহিত্য সভা করতাম, সাহিত্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করতাম, একবার নাটকও করতে গিয়েছিলাম। জগন্নাথে বাংলার অধ্যাপক ছিলেন অজিত কুমার গুহ, শওকত আলী, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, শামসুজ্জামান খান, আবুল কাশেম চৌধুরী, মাহবুব তালুকদার আর রাহাত খানের মতো খ্যাতিমান লেখকরা । অজিত গুহ স্যার গর্ব করে বলতেন তখন জগন্নাথের বাংলা বিভাগের মতো এত প্রতিভাবান শিক্ষক ঢাকায় আর কোনো কলেজে ছিলেন না, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়েও নয় । হাসান হাফিজুর রহমান আর আলাউদ্দিন আল আজাদের মতো বিখ্যাত লেখকরাও জগন্নাথের বাংলা বিভাগে শিক্ষকতা করেছিলেন । মূলতঃ এঁদের কারণেই বিজ্ঞানের ছাত্র হওয়ার পরও সাহিত্য সম্পর্কে আমাদের আগ্রহের অন্ত ছিলো না । 

‘চারণিক’ করার ব্যাপারে অজিত গুহ স্যার আর শওকত আলী স্যার খুব উৎসাহ দিতেন । আমরা গল্প লিখতাম (অবশ্যই বড়দের জন্য), শওকত আলী স্যারকে দেখাতাম, তিনি যত্নের সঙ্গে ভুলগুলো ধরিয়ে দিতেন। কালের ব্যবহার কীভাবে করতে হয় এ নিয়ে শওকত আলী স্যার যেভাবে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন পরে কখনো আর ভুল হয়নি। একবার আমাদের গল্প প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে বাইরে থেকে এসেছিলেন লেখক সৈয়দ শামসুল হক । আমরা যারা তখন লেখালেখির চেষ্টা করছি তারা সৈয়দ শামসুল হক আর শওকত আলীর গল্পের ভক্ত ছিলাম। আমাদের চারণিক-এর প্রাণপুরুষ ছিল নাজিমউদ্দিন, পুরনো ঢাকায় সুত্রাপুরে থাকতো। একদিন নাজিমউদ্দিন কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলো, আর ফিরে এলো না । আমাদের ভেতর বিশ্ব সাহিত্যের খোঁজ খবর সবচেয়ে বেশি রাখতো নাজিমউদ্দিন। চারণিক-এর বন্ধুদের ভেতর এখন আলী ইমাম ছাড়া কেউ আর লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত নেই । বাচ্চু নাটক করে, মাঝে মাঝে এক আধটু লেখে । 

কলেজে শামসুজ্জামান স্যার আর বাইরে দাদাভাই যখন আমাকে ছোটদের উপযোগী লেখার জন্য তাড়া দিতেন তখন স্কুলের ঘটনাগুলোই একটু অদল বদল করে খানিকটা কল্পনার মিশেল দিয়ে গল্প বানিয়ে ফেলতাম । ‘একাত্তরের যীশু’ বইতে ‘জয় পরাজয়’ নামে যে গল্পটা আছে ওর একরত্তিও বানানো নয় । দাদাভাই যখন শুনলেন এর পুরোটাই সত্যি তখন শুধু আমাদের মিশনারী স্কুলের ব্রাদারদের নামগুলো পাল্টে দিয়েছিলেন। তাঁর ভয় ছিল এ নিয়ে মামলা হতে পারে। ‘জয় পরাজয়’ গল্পে যেটা ‘পাশের কলেজ’, সেটাই ছিল জগন্নাথ। আমাদের বিপদের দিনে জগন্নাথের সিনিয়র ছাত্ররা এগিয়ে এসেছিলেন বলে আমি স্কুল থেকে বেরিয়ে জগন্নাথে ভর্তি হয়েছিলাম । নইলে সেন্ট গ্রেগরির ছাত্ররা সবাই নটারডেমে পড়বে— এটাই ছিল অলিখিত নিয়ম, মনে হয় এখনো আছে । 

‘একাত্তরের যীশু’ বইয়ের নাম গল্পটা শুধু মুক্তিযুদ্ধের পরে লেখা— যখন আমি ‘সাপ্তাহিক বিচিত্রা’য় কাজ করি। অনেক পরে বাচ্চু এ গল্প নিয়ে ছবি বানিয়ে অনেক নাম করেছে। এ ছাড়া বাকি সব গল্প আমার কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে লেখা ৷ গত বছর স্কুলে আমাদের ক্লাসের ফার্স্ট বয় শাহেদের সঙ্গে দেখা হয়েছিলো। স্কুল ছাড়ার ছত্রিশ বছর পর ওর সঙ্গে দেখা। শাহেদ স্থায়ীভাবে আমেরিকায় থাকে। দেখা হতেই স্কুলের প্রসঙ্গ । শাহেদকে বললাম, পিয়ানো ভূতের কথা । ও যে ভয় পেয়েছিলো সে কথা এখনো মনে আছে । 

প্রথমবার আমি যখন জার্মানি যাই তখন আলাপ হয়েছিলো সেই সব বাঙালির সঙ্গে যাঁরা পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ইউরোপে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণ করেছিলেন । সেখানে গিয়েও তাঁরা খুব ভাল ছিলেন না। জার্মানির নব্য নাৎসিরা সেখান থেকে বিদেশীদের তাড়ানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছিলো । নাৎসিরা যে কী রকম শয়তান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলারের অত্যাচারের কথা যারা জানে তাদের নতুন করে বলার কিছু নেই । হিটলারের নাৎসি বাহিনী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির ষাট লাখ নিরীহ ইহুদিকে হত্যা করেছিলো, যেমনটি আমাদের একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে করেছে ইয়াহিয়া খানের পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী। জার্মানির প্রবাসী বাঙালি আর নাৎসিদের দৌরাত্ম্য নিয়ে লিখেছিলাম ‘বাভারিয়ার রহস্যময় দুর্গ।’ ভূমিকায় লিখেছিলাম— ‘৮৯ সালের অক্টোবরে জার্মানি গিয়েছিলাম । তখনও বার্লিনের দেয়াল ভাঙা হয়নি, দুই জার্মানিও এক হয়নি। তবে পূর্ব জার্মানির লোকজন সুযোগ পেলেই পশ্চিমে পালিয়ে যাচ্ছিলো । সরাসরি যেতে অসুবিধে, তাই ওরা পালাতো চেকোশ্লোভাকিয়ার সীমান্ত দিয়ে। জার্মান-চেক সীমান্তেই বাভারিয়া আর বোহেমিয়ার চমৎকার ঢেউ খেলানো পাহাড়, ফার, বার্চ, পাইনের বন, ছোট বড় রূপোলি হ্রদ, সরু সরু ইল্য, ইশার আর ডানিউব নদী— সব মিলিয়ে এক অপরূপ ছবি, দেয়ালে বাঁধাই করে রাখার মতো । 

‘পূর্ব জর্মানি থেকে পশ্চিমে এসে দেখি সমাজতন্ত্রের পতন হচ্ছে বলে লোকজনের ভারি উল্লাস । নব্য নাৎসিরাও এ সুযোগে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে । হিটলারের পুরনো নাৎসিদের আদলেই গড়া, বিদেশীদের বিরুদ্ধে কড়া কড়া কথা বলছে। জার্মানিতে বাঙালির সংখ্যা কম নয়। নব্য নাৎসিদের উৎপাতে তারা খুব শংকিত । অনেকেই গেছে ‘৭৫-এর পর, এখানে জাসদ করতো, কর্নেল তাহেরের ফাঁসি হওয়ার পর দলে দলে 

পালিয়েছিলো জার্মানিতে। কেউ কেউ সেখানে বিয়ে থা করে থিতু হয়ে বসেছিলো, যদিও সবার মন পড়ে থাকতো বাংলাদেশে।

‘জার্মানির অনেক জায়গায় গেলেও বাভারিয়ায় তখন আমার যাওয়া হয়নি। অথচ কাহিনীর ঘটনা এমনই যে, বাভারিয়া ছাড়া অন্য কোথাও ঘটালে চলবে না। বাভারিয়া সম্পর্কে জানার জন্য ঢাকার জার্মান কালচারাল সেন্টারের পরিচালক মিসেস লেশনারের শরণাপন্ন হতে হয়েছিলো। এই অমায়িক ভদ্রমহিলা পরিচয় করিয়ে দিলেন ওঁদের লাইব্রেরিয়ান মিসেস হোসেনের সঙ্গে । জার্মান ভাষা জানা মিসেস হোসেন লাইব্রেরি থেকে বই আর ভিডিও ক্যাসেট জোগাড় করে দিয়ে, বই-ক্যাসেটে যেসব তথ্য পাইনি সেগুলো অন্যভাবে সংগ্রহ করে কম উপকার করেননি । কিছু তথ্য জার্মান প্রবাসী শরাফ আহমেদের কাছ থেকেও নিয়েছি। এ সুযোগে এঁদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’ 

ইউরোপের বিভিন্ন দেশের পটভূমির উপর আমি আরও কয়েকটা রহস্য উপন্যাস লিখেছি, যার একটা কিশোরসমগ্রের দ্বিতীয় খণ্ডে আছে । আর একটা হচ্ছে তৃতীয় খণ্ডের ‘রাজপ্রাসাদে ষড়যন্ত্র’ । 

আমার প্রিয় লেখাগুলোর একটা হচ্ছে ‘রাজপ্রাসাদে ষড়যন্ত্র’ । এ বইয়ের জন্য কোনো ভূমিকা লিখিনি। গল্পটা বানানো বটে, তবে পোল্যান্ডের যে সব জায়গার কথা আমি লিখেছি সেগুলো মিথ্যে নয়। যারা আমার ‘ক্রান্তিকালের মানুষ’ পড়েছে তারা বুঝবে কী চমৎকার সব জায়গায় আমি গিয়েছি, কত চমৎকার মানুষের সঙ্গে দেখা হয়েছে । আমার প্রিয় শিল্পী রফিকুননবী অত্যন্ত যত্ন করে এ বইয়ের প্রচ্ছদ আর ভেতরের ছবিগুলো এঁকেছিলেন । 

‘অন্যরকম আটদিন’ লিখেছিলাম বিরানব্বইয়ের অক্টোবরে। বেরিয়েছিলো তিরানব্বইয়ের বইমেলায় । এ বইটা শিশু একাডেমীর পুরস্কারও পেয়েছিল । বই বেরুনোর সময় ভূমিকায় লিখেছিলাম— ‘অন্যরকম আটদিন’ যখন লেখা হয় তখন ভারতের ‘বিজেপি’রা বাবরী মসজিদ ভাঙেনি, আমাদের দেশের জামাতীরাও মন্দির ভাঙেনি । অনেক আগে পত্রিকায় রিপোর্ট বেরিয়েছিলো সীমান্ত এলাকায় জামাতের স্থানীয় নেতাদের অনেকে চোরাচালানীর সঙ্গে জড়িত। ‘অন্যরকম আটদিন’ লেখার সময় সেই রিপোর্টটির কথা মাথায় ছিলো । আর এ কথা কে না জানে বাংলাদেশের জামাতীদের সঙ্গে ভারতের বিজেপি’র গোপন আঁতাত আছে। 

‘কাহিনীর প্রয়োজনে চাঁপাইনবাবগঞ্জে চোরাচালানীদের আখড়ার উল্লেখ আছে। এ কথা ভাবার কোনো কারণ নেই, সেখানকার সব লোকজন বুঝি চোরাচালান করে ! চমৎকার সব মানুষ আছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে। জামাতীদের হাতে শহীদ চাঁপাইনবাবগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধা জালালের কথা দেশের সবাই জানে । আমাদের সবার প্রিয় শিল্পী রফিকুন নবীর বাড়িও ওখানে । তাই চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভাষার জন্য তাঁর কাছেই যেতে হয়েছিলো ।’ 

‘লুসাই পাহাড়ের শয়তান’-এ যারা ভিলেন বাংলাদেশে সবাই তাদের চেনে । পার্বত্য চট্টগ্রামকে কীভাবে এরা ঘাঁটি বানিয়েছে— খবরের কাগজে প্রায়ই সেসব বেরোয় । এদের দৌরাত্ম্য নিয়ে ছোটদের জন্য আমি আরো কয়েকটা বই লিখেছি, যেমন ‘মরু শয়তান ।’ আরব আমিরাতের অনেক জায়গায় উটের দৌড়ে জকি হিসেবে যে বাংলাদেশ, ভারত আর পাকিস্তানের ছোট ছোট ছেলেদের ব্যবহার করে এ খবর প্রথম বেরিয়েছিলো এক বিদেশী পত্রিকায়। খবরটা পড়ে মন খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিলো । শিশু হত্যার এই জঘন্য খেলা বন্ধ করা দরকার, এরকম এক তাগিদ থেকে লেখা হয়েছিলো ‘মরু শয়তান’। এ বইয়ে কিছু আরবি সংলাপ আছে। আরবিতে আমার দৌড় ‘কায়দা’ আর ‘আমপারা’ পর্যন্ত । এ বইয়ের আরবি সংলাপের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক মহাপরিচালক মওলানা আবদুল আউয়ালের শরণাপন্ন হয়েছিলাম । শুনেছি আউয়াল ভাই আরবদের মতো গড়গড় করে আরবি বলতে পারেন, আমার পক্ষে অবশ্য যাচাই করা সম্ভব হয়নি। 

আমার কিছু পাঠকের অভিযোগ— ছোটদের লেখায় আমি রাজনীতির মতো বড়দের বিষয় ঢোকাই কেন । আমাদের দেশে কিছু খারাপ লোক রাাজনীতি করে বলে রাজনীতি তো খারাপ হতে পারে না! ছোটদের যদি দেশপ্রেমের কথা বলতে চাই— রাজনীতিকে বাদ দিয়ে তা সম্ভব নয়। আমি মনে করি দেশপ্রেমের শিক্ষা যদি আমরা সবাইকে ছোটবেলা থেকে দিতে পারতাম তাহলে আমাদের দেশের এত খারাপ অবস্থা হতো না । আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন দেখেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা ছাত্ররা রাজনীতি করেন । বাড়িতে বড়দা, বড়দি আর মেজদাকেও তো দেখেছি রাজনীতি করতে । ভালো ছাত্ররা যদি রাজনীতি করে তাহলে রাজনীতির চেহারা ভালো হবে, দেশের অবস্থা ভালো হবে; বিদেশে আমাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে । ভালো ছেলেমেয়েরা যদি রাজনীতি না করে, যদি ওরা সব সময় বিদেশ যাওয়ার তালে থাকে তাহলে খারাপরা রাজনীতি করবে। আর খারাপ ছেলেরা রাজনীতিতে এলে কী হয় তাতো দেশের চেহারা দেখেই সবার বোঝা উচিৎ । 

আমি সব সময় বলি বিষয় যাই হোক না কেন দেখতে হবে লেখাটা সত্যিকার অর্থে লেখা হয়েছে কি না । আমরা যখন বলি শিশু ও কিশোর সাহিত্য— এর অর্থ হচ্ছে আগে শিশু কিশোরদের উপযোগী সাহিত্য হতে হবে, তারপর অন্য কিছু । আমি যত দামী দামী কথা বলি না কেন সেসব যদি পাঠকের ভালো না লাগে তাহলে লেখার কোনো মানে হয় না। ছোটদের জন্য লেখা আমার তৃতীয় উপন্যাস ‘হারিয়ে যাওয়ার ঠিকানা’য় রাশিয়ার নেত্রী নাদেজদা ক্রুপস্কায়ার চমৎকার এক উদ্ধৃতি দিয়েছিলাম। ছোটদের জন্য রুশ সাহিত্যের অনবদ্য লেখাগুলোর প্রেরণাদাত্রী ছিলেন ক্রুপস্কায়া। তিনি বলেছিলেন— ‘আমাদের এমন সব বই দরকার যা থেকে প্রয়োজনীয় আন্তর্জাতিকতাবাদী ধারায় ছেলেরা অনুপ্রাণিত হবে । আঙ্গিক যে রকমই হোক না কেন কিছু আসে যায় না । রূপকথা হওয়া চাই, তার মধ্যে দুঃখী ছেলেমেয়েদের জন্য দরদী বিলাপ থাকবে না । সে রূপকথা শেখাবে ফ্যাসিবাদের করাল শক্তির বিরুদ্ধে যে সব ছেলেরা লড়াই করে তাদের শ্রদ্ধা করতে । যে মা-বাবা ছেলেমেয়েদের জন্যে উদ্বিগ্ন থেকেও তাঁদের সংগ্রামের মুখে এগিয়ে যেতে বলেন, তাদের শ্রদ্ধা করতে, স্বাধীনতার সাহসী যোদ্ধা হবার শিক্ষা দেবে আমাদের ছেলেদের । এটাই হলো আসল কথা। এমন বই দরকার যে বই আবোল-তাবোল পরিহার করে ছেলেদের গুরুতর কথা শোনাবে । রূপকথাও অনেক সময় ছোট্ট মিষ্টি ‘ছোটদের গল্পের’ চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে । আঙ্গিকের প্রশ্নটি বড় নয়, আসল হল বিষয়।’ 

ছোটদের জন্য লেখার ব্যাপারে এর চেয়ে দামী কথা আর কী হতে পারে! 

শা. ক.
বইমেলা ২০০৩

Book Content

অন্যরকম আট দিন 4 Topics
Lesson Content
0% Complete 0/4 Steps
১-২. পরীক্ষার ফল
৩-৪. চট্টগ্রামের উল্টো দিকের ট্রেনে
৫-৬. নাশতার টেবিলে
৭-৯. ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সামনে
বাভারিয়ার রহস্যময় দুর্গ 4 Topics
Lesson Content
0% Complete 0/4 Steps
১-২. বাভারিয়ায় একটি বাঙালি পরিবার
৩-৪. শার্লেমানের দুর্গের সন্ধানে
৫-৬. অতৃপ্ত আত্মার রোষানলে
৭-৯. কফিনের লাশ উধাও
রাজপ্রাসাদে ষড়যন্ত্র 4 Topics
Lesson Content
0% Complete 0/4 Steps
১-২. জঘন্য আবহাওয়া, দারুণ চমক
৩-৪. রাজপ্রাসাদে আরেক মারাওস্কি
৫-৬. মাফিয়া বনাম মারাওস্কি
৭-৮. পেজেক আর ত্রয়কার অভিযান
লুসাই পাহাড়ের শয়তান 5 Topics
Lesson Content
0% Complete 0/5 Steps
১-২. রাঙ্গামাটির পাহাড়ে আমন্ত্রণ
৩-৪. প্রফেসর অন্তর্ধান
৫-৬. হিরণছড়ির স্বপ্নের বাড়ি
৭-৮. কেঁচো খুড়তে সাপ
৯-১০. বন্দী রাজেনের মুক্তি
মরু শয়তান 5 Topics
Lesson Content
0% Complete 0/5 Steps
১-২. সাত বছরের বনি
৩-৪. জ্ঞান ফিরলো বনি আর বিনির
৫-৬. রমনা পার্কের উত্তর দিকের গেট
৭-৮. টেকো আর কালো গুণ্ডা
৯-১০. বড় বিবির মহলে
একাত্তরের যীশু 11 Topics
Lesson Content
0% Complete 0/11 Steps
একাত্তরের যীশু
পিয়ানো ভূতের গল্প
পল গোমেজের বাবা
নতুন বছরের ছন্দ
দেয়াল
রাজুর পৃথিবী
জয় পরাজয়
লাল সূর্য
বেনুর সুখ দুঃখ
শহরে সকল সুখ
শয়তান ও একটি চারাগাছ
লেখক: শাহরিয়ার কবিরবইয়ের ধরন: কিশোর সাহিত্য

কার্পেথিয়ানের কালো গোলাপ – শাহরিয়ার কবির

কিশোরসমগ্র ৪ – শাহরিয়ার কবির

ভয়ঙ্করের মুখোমুখি – শাহরিয়ার কবির

কিশোরসমগ্র ১ – শাহরিয়ার কবির

কিশোরসমগ্র ১ – শাহরিয়ার কবির

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ডিকশনারি

কৌতু্ক / জোকস

লিরিক

রেসিপি

বিবিধ রচনা

হেলথ

Download PDF


My Account

Facebook

top↑

Login
Accessing this book requires a login. Please enter your credentials below!

Continue with Google
Lost Your Password?
egb-logo
Register
Don't have an account? Register one!
Register an Account

Continue with Google

Registration confirmation will be emailed to you.