১. সকালের রোদে গুঞ্জন

বিমান দুর্ঘটনা – তিন গোয়েন্দা – সেবা প্রকাশনী
প্রথম প্রকাশ : মার্চ, ১৯৯৩

০১.

সকালের রোদে গুঞ্জন তুলে উড়ে চলেছে সেসনা। ছোট্ট বিমানটার নিচে ছড়িয়ে রয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার সিয়েরা নেভাডা রেঞ্জের পাহাড়ী অঞ্চল। সবুজ পাইন বনের ভেতর থেকে মাথা তুলেছে অসংখ্য লাল পাহাড়ের চূড়া।

ককপিটের জানালা দিয়ে বাইরে তাকাল রবিন। চোখে বিনোকিউলার। পাশে পাইলটের সীটে বসে তার বাবা রোজার মিলফোর্ড। সিঙ্গল-ইঞ্জিন টার্বোপ্রপেলার বিমানটাকে স্বচ্ছন্দে উড়িয়ে নিয়ে চলেছেন গ্র্যানিটের পাহাড় আর পান্না-সবুজ উপত্যকার ওপর দিয়ে।

নিচে ওটা কি? রবিন বলল। ওই তৃণভূমিটার ওপারে। দেখতে পাচ্ছ?

কিশোরকে কনুইয়ের তো মেরে চৌখ টিপল মুসা। রবিন আর তার বাবার পেছনে প্যাসেঞ্জার সীটে বসে দুজনে। ওরাও তাকিয়ে নিচে। তবে খালি চোখে। সব কিছু ভাল দেখা যাচ্ছে না বলে পালা করে বিনোকিউলারটা নিয়ে দেখছে। নিচে একের পর পার হয়ে যাচ্ছে পাহাড়ের চূড়া।

কি আর, মুসা বলল রবিনকে। মেয়েটেয়ে হবে। সুন্দরী। তোমার মুখটা, দেখতে পেলেই হাত নাড়বে।

এবং পরক্ষণেই ফোন নম্বর চাইবে, হেসে যোগ করল কিশোর।

জিজ্ঞেস করবে, মুসা বলল, আজকে সন্ধেয় তোমার কোন কাজ আছে কি না।

 আঙ্কেল, মিস্টার মিলফোর্ডকে জিজ্ঞেস করল কিশোর, ডায়মণ্ড লেকে সিনেমা হল আছে? শান্ত, নিরীহ ভঙ্গি। সন্ধ্যায় রবিনকে তো আর পাব না। মুসার আর আমার সময় কাটাতে হবে।

শব্দ করে হাসলেন মিলফোর্ড।

চোখ থেকে দূরবীন সরাল রবিন। মেয়েটেয়ে কিছু না, ওটা কুগার। ফিরে তাকাল দুই বন্ধুর দিকে। সুন্দর চেহারা, সোনালি ঘন চুল, কালচে নীল চোখ, আর। আকর্ষণীয় হাসি। যেখানেই যায়, কোথা থেকে যেন এসে উদয় হয় মেয়েরা, পিছে লাগে তার। টিটকারি তো খুব মারলে আমাকে। আমি কি একা নাকি?

আর কে? ভুরু নাচিয়ে জিজ্ঞেস করল মুসা।

কেন, কমিক গার্লকে ভুলে গেলে? মিরিনা জরডান? ও আমার পিছে লেগেছিল?

 কিশোরের দিকে তাকিয়ে হেসে উঠল মুসা। কিশোর মিয়া, এইবার তোমাকে পেয়েছে…

আর আমি যা করি, মুসার কথা শেষ হওয়ার আগেই বলল রবিন, সেটা স্বাভাবিক। মেয়েদের নিয়ে বেড়াতে যাই, রেস্টুরেন্টে খেতে যাই, ছবি দেখি…অ্যাটমের স্ট্রাকচার বোঝাতে বোঝাতে বিরক্ত করে ফেলি না।

মুখ তুলল কিশোর। পিস্তলের নলের মত করে রবিনের দিকে চোখা থুতনি। নিশানা করল যেন। রেগে গেছে। জিনা জানতে চাইল, আমি কি করব? ও-ই তো বলল, ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দিতে…

ছেলেদের এই ঝগড়া দারুণ উপভোগ করছেন মিলফোর্ড। হো হো করে হেসে উঠলেন। লাল হয়ে গেল কিশোর। রবিন আর মুসাও হাসছে। শেষে সবার সঙ্গে তাল মেলাতেই যেন অল্প একটু হাসল সে-ও। মেয়েরা তাকে পছন্দ করে। কিন্তু ওদের সঙ্গে সহজ হতে পারে না সে। তার প্রখর বুদ্ধিমান মগজের কাছেও যেন মেয়েরা একটা বিরাট রহস্য।

উঠে দাঁড়াল সে। সেসনার ছাত নিচু, সোজা হয়ে দাঁড়ানো যায় না। মাথা নুইয়ে রেখেই লেজের দিকে এগোল সে। ওখানে মালপত্র আর নানা রকম যন্ত্রপাতি গাদাগাদি করে ফেলে রাখা হয়েছে।

কোথায় যাচ্ছ? জিজ্ঞেস করল মুসা।

আরেকটা বিনোকিউলার দরকার, না তাকিয়েই জবাব দিল কিশোর। নিচে কে আছে দেখব। এমন কেউও থাকতে পারে, যে আগে থেকেই ই ইকোয়্যাল টু এম সি টু দি পাওয়ার টু-এর মানে জানে। আমাকে আর শেখাতে হবে না।

আরেকবার হাসল সবাই। এবার কিশোরের হাসিটা সবার চেয়ে জোরাল শোনাল। গ্রীষ্মের এই উইক এণ্ডের শুরুটা বড় চমৎকার। উজ্জ্বল রোদ। আকাশ ঝকঝকে পরিষ্কার, গাঢ় নীল। তিন দিন লাগতে পারে মিস্টার মিলফোর্ডের কাজ শেষ হতে হতে। চুটিয়ে আনন্দ করে ছুটি কাটাতে পারবে তাহলে তিন গোয়েন্দা। খবরের কাগজের একটা স্টোরি করার জন্যে ডায়মণ্ড লেকে চলেছেন তিনি।

কাজ অনেক পেছনে ফেলে এসেছে ওরা, রকি বীচে। কোন বাধা নেই, কোন দায়িত্ব নেই। মুক্ত, স্বাধীন, কয়েকটা দিনের জন্যে। হেসেখেলে কাটাতে পারবে ক্যালিফোর্নিয়ার সবচেয়ে দামি মাউনটেইন রিসোর্টে। ডায়মণ্ড লেকে গলফ কোর্স আছে, বিশাল সুইমিং পুল আছে, টেনিস কোর্ট আছে। ঘোড়ায় চড়া, ক্যাম্পিং এসবের ব্যবস্থা আছে। রানওয়ে আছে, যাতে প্লেন নামতে পারে, কারণ। মাঝেসাঝেই এখানে পালিয়ে এসে নিঃশ্বাস ফেলে বাঁচেন ভীষণ ব্যস্ত ব্যবসায়ী কিংবা সরকারী কর্মকর্তারা। কিছু দিন নির্বিঘ্নে কাটিয়ে চাঙা হয়ে আবার ফিরে যান। তাদের নৈমিত্তিক কাজে।

এটাওটা সরিয়ে জিনিসপত্রের মাঝে বিনোকিউলার খুঁজতে লাগল কিশোর। লোকটাকে হয়ত দেখতে পাব। আনমনা হয়ে বলল সে। কয়েকটা যন্ত্রপাতি তুলে নিয়ে একপাশে ফেলে রাখল, একটা খালি ফলের রসের ক্যান, একটা দোমড়ানো নার্ফ বল, এবং আরও কিছু বাতিল জিনিস সরাল। হঠাৎ মিস্টার মিলফোর্ডের দিকে মুখ তুলে জিজ্ঞেস করল, আঙ্কেল, যার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন, লোকটার নাম যেন কি বললেন?

কই, বলিনি তো!

হুম, তাহলে যার কাছ থেকে সংবাদ জোগাড় করতে যাচ্ছেন, সে একজন, পুরুষ। আমি বললাম, লোকটা, আপনি বললেন বলিনি। তার মানে স্বীকার করে। নিয়েছেন, আপনার সংবাদদাতা একজন পুরুষ। যাক, একটা সূত্র মিলল।

আরেক দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসিটা লুকালেন মিলফোর্ড।

বাবা, চাপাচাপি শুরু করল রবিন, বল না। লোকটা কে? কাউকে বলব না, সত্যি।

সরি। মাথা নাড়লেন মিলফোর্ড। সুদর্শন, ভাল স্বভাবের লোক তিনি। প্রায় ছয় ফুট লম্বা। রবিন এখনও তার উচ্চতায় পৌঁছাতে পারেনি। চোখে কালো সানগ্লাস, মাথায় লস অ্যাঞ্জেলেস ডজারস বেসবল ক্যাপ, গায়ে নেভি ব্লু রঙের উইণ্ডব্রেকার, বুক পকেট থেকে বেরিয়ে আছে আধ ডজন পেন্সিল। বয়েস এত কম লাগছে, মনে হচ্ছে তিনি রবিনের বাবা নন, বড় ভাই।

কি ধরনের স্টোরি করতে যাচ্ছেন? মুসার প্রশ্ন। কোন সুপার অ্যাথলিটকে নিয়ে? ডায়মণ্ড লেকে পাহাড়ে ওঠার রেকর্ড ভাঙছে না তো কেউ? জাত অ্যাথলিট মুসার প্রথমেই মনে আসে খেলাধুলা আর ব্যায়ামের কথা। না না, বুঝেছি, ওসব না! আগামী মাসে স্টেট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইন্যাল যেটা শুরু হতে যাচ্ছে, তারই কোন ব্যাপার…

কিচ্ছু বলব না, আমি, মুসাকে থামিয়ে দিলেন মিলফোর্ড। পত্রিকায় বেরোনোর আগে খবর গোপন রাখা সাংবাদিকের দায়িত্ব।

সে আমরা জানি, রবিন বলল। গোপন সূত্রের সাহায্য ছাড়া,বহুবার শোনা কথাটা যেন উগড়ে দিল সে, পুরো স্টোরি জোগাড় করা কঠিন হয়ে যায় সাংবাদিকের জন্যে।

আর, সুর মেলাল মুসা, সাংবাদিকরা যদি সূত্রদের নাম ফাস করত, তাহলে কেউই আর ভয়ে একাজ করতে আসত না। সূত্ররা সব শুকিয়ে যেত।

হ্যাঁ, গোপন রাখাটা যে কত জরুরী, কিশোর বলল, জানি আমরা। আমাদের বিশ্বাস করতে পারেন আপনি। পেটে বোমা মারলেও মুখ খুলব না।

হাসলেন মিলফোর্ড। ঠিক। যা জানবে না তা বলতেও পারবে না।

গুঙিয়ে উঠল তিন গোয়েন্দা। কঠিন লোক মিলফোর্ড। লস অ্যাঞ্জেলেসের এতবড় একটা নামকরা পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার খামোকা হননি। কোন স্টোরির ওপর কাজ করছেন এখন, কিছুতেই সেটা জানার উপায় নেই।

কাগজ কোম্পানির ছোট্ট একটা বিমান নিয়ে তিনি ডায়মণ্ড লেকে যাবেন, এটা নিয়ে ফোনে কার সঙ্গে যেন আলাপ করছিলেন, শুনে ফেলেছিল রবিন। গরম কোন খবর, নইলে বিমান নিয়ে এভাবে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ত না, বুঝতে পেরেছে। সে। কিন্তু কার ওপর, কেন স্টোরিটা করা হচ্ছে, বিন্দুমাত্র ধারণা করতে পারেনি।

কি করলে আমাদের সঙ্গে নিতে বাধ্য করা যাবে তোমাকে? ফোন রাখতেই বাবাকে জিজ্ঞেস করেছিল রবিন।

মায়া, হেসে বলেছেন মিলফোর্ড। পঞ্চাশ ফুট দূর থেকেই যে মায়াজালে সুন্দরী মেয়েগুলোকে জড়িয়ে ফেলো তুমি, সেই মায়া দিয়ে। তবে আপাতত তোমাদের নিজেদের চরকায় তেল দেয়াটাই ভাল মনে করছি আমি। এটা তিন গোয়েন্দার ব্যাপার নয়।

ওই সময় রবিনদের বাড়িতেই ছিল কিশোর আর মুসা। আরেক ঘরে। তিন গোয়েন্দা নামটা শুনেই কান খাড়া করল কিশোর। মুসাকে নিয়ে চলে এল হলঘরে। কি হয়েছে জিজ্ঞেস করল রবিনকে। জানাল রবিন।

দয়া করুন আমাদের ওপর, মিনতি করে বলেছে মুসা। খাটাতে খাটাতে তো মেরে ফেলেছেন পুরো হপ্তাটা। কত কিছু করে দিলাম। বাগান সাফ করলাম, গ্যারেজ পরিষ্কার করলাম…

হ্যাঁ, অনেক কাজই করেছ, স্বীকার করলেন মিলফোর্ড।

তাহলে দয়া করুন, আবার বলল মুসা। নিয়ে চলুন আমাদের। ছুটি কাটানোর এত সুন্দর জায়গা শুনেছি আর নেই।

নেই কথাটা ভুল, শুধরে দিল কিশোর। আছে, তবে কম। হ্যাঁ, আঙ্কেল নিয়ে চলুন। বিশ্রামটাও হয়ে যাবে আমাদের, সেই সঙ্গে রিক্রিয়েশন।

ছেলেদের অনুরোধ ফেলতে পারলেন না মিলফোর্ড। রাজি হয়ে গেলেন। তবে শর্ত দিলেন একটা। তার কাজে ওরা নাক গলাতে পারবে না। এবং এটা বলেই কৌতূহলী করে তুললেন কিশোরকে। ওই সময় আর কিছু বলল না সে। রাজি হয়ে গেল শর্তে।

গরমের ছুটির সময় কাজ করে কিছু পয়সা জমিয়েছে তিন গোয়েন্দা। এতে হোটেলের শস্তা ঘর ভাড়া আর খাওয়ার খরচ হয়ে যাবে। সুইমিং পুলটা বিনে। পয়সায়ই ব্যবহার করা যাবে। অল্প পয়সা দিয়ে আরও যা যা চিত্তবিনোদন করা সম্ভব, করবে।

এই, দেখ, জানালা দিয়ে নিচে তাকিয়ে রয়েছেন মিলফোর্ড। সামনের উপত্যকার দিকে চোখ। ওদিকে দেখ কি দেখা যায়।

বিনোকিউলার দিয়ে দেখল রবিন। তাঁরপর নীরবে সেটা তুলে দিল মুসার হাতে।

আরও কাছে থেকে দেখা দরকার, মিলফোর্ড বললেন। ডায়মণ্ড লেকের কাছাকাছি এসে গেছি আমরা।

সামনের দিকে নিচু হয়ে গেল বিমানের নাক। বদলে গেল ইঞ্জিনের গুঞ্জন।

বিনোকিউলার খোঁজা বাদ দিয়ে মিলফোর্ডের সীটের পেছনে চলে এল কিশোর। সামনের সরু সবুজ উপত্যকাটার দিকে তাকাল। উপত্যকার কিনারে গ্র্যানিটের খাড়া দেয়াল লম্বা হয়ে ছড়িয়ে গেছে উত্তর দক্ষিণে। দেয়ালটার দক্ষিণ মাথায় কয়েক মাইল লম্বা একটা পাহাড়, পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত। ওপর থেকে গড়িয়ে পড়ছে রূপালি ঝর্না।

বাহ, দারুণ! কিশোর বলল।

 উপত্যকাটার নাম কি? রবিনের প্রশ্ন।

আমারও জানতে ইচ্ছে করছে, জবাব দিলেন মিলফোর্ড। খুব সুন্দর। সামনে দেখ। সুন্দর, না? ডায়মণ্ড লেক এখান থেকে উত্তরে। চল্লিশ-পঞ্চাশ মাইল হবে আর।

ডায়মণ্ড লেক দেখা গেল। ঘন নীল, উজ্জ্বল রোদে যেন নীলা পাথরের মত জ্বলছে। একধারে একগুচ্ছ বাড়ি, পিঁপড়ের সমান লাগছে এখান থেকে। লেকের পাড় আর পাহাড়ের ভেতর দিয়ে দিয়ে চলে গেছে একটা কংক্রীটের রাস্তা, সাদা সরু একটা ফিতের মত দেখাচ্ছে।

মুগ্ধ দৃষ্টিতে সেদিকে তাকিয়ে শিস দিয়ে উঠল রবিন।

সময় মতই এসেছি, কিশোর বলল। লাঞ্চ ওখানে গিয়েই করতে পারব।

 এইবার একটা কথার মত কথা বলেছ, মাথা দোলাল মুসা।

এই সময় ছোট্ট একটা ঝাঁকি দিল সেসনা। কিশোরের সে রকমই মনে হলো। প্রায় টেরই পাওয়া যায়নি…

তোমরা কি… কথা শেষ করতে পারল না সে।

একে অন্যের দিকে তাকাল তিন গোয়েন্দা। পরক্ষণেই একযোগে তাকাল। সামনের দিকে, যেখানে সেসনার একমাত্র ইঞ্জিনটা রয়েছে।

বদলে গেছে ইঞ্জিনের গুঞ্জন।

আঙ্কেল… চিৎকার করে উঠল কিশোর। এবারেও কথা শেষ করতে পারল না সে।

থেমে গেছে ইঞ্জিন।

 কন্ট্রোলের ওপর পাগলের মত ছোটাছুটি করছে মিলফোর্ডের আঙুল। দুই বছর হল পাইলটের লাইসেন্স পেয়েছেন তিনি, বহুবার আকাশে উঠেছেন বিমান নিয়ে, কখনও কোন গোলমালে পড়েননি।

অসংখ্য সুইচ টেপাটিপি করলেন তিনি, গজগুলো চেক করলেন, তারপর যখন দেখলেন কোনটাই কাজ করছে না, শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন ওগুলোর দিকে। কাটাগুলো সব নিথর হয়ে আছে, নড়ে না, ডিজিটাল নম্বরগুলো যেখানে ছিল সেখানেই আটকে গেছে। অলটিচিউড, এয়ার স্পীড, ফুয়েল…

ইলেকট্রিক্যাল সিসটেমটা গেছে! বিড়বিড় করল রবিন।

 ইঞ্জিন? জবাব জানা হয়ে গেছে কিশোরের, তবু প্রশ্নটা করল।

ডেড! মিলফোর্ড বললেন।