এই তার বাসগৃহ ছন্নছাড়া বাগানের ধারে
অনেক বছর ধরে রয়েছে দাঁড়িয়ে রৌদ্রজলে।
এখানে সুন্দর তার হস্তস্পর্শ যার করতলে
রেখে যায় আগোচরে, তাকে আজো তো বনবাদাড়ে
দেখা যায়, হাতে লাঠি, পিঠে বোঝাই সুদূর পাহাড়ে
জনহীন নদীতীরে হাঁটে সে একাকী, পুনরায়
ফিরে আসে একজন ব্যথিত কবির আস্তানায়,
মানে সে বাসায় যার সত্তা লগ্ন বেহালার তারে।
সে তার নিজেরই বাসা হঠাৎ পুড়িয়ে ফেলে কিছু
অপরূপ আলো দেখে নিলো। সে আলোয় মর্মমূল
আর্তনাদ করে, তবু সেই উদাসীন, দৃষ্টি নিচু
করে ভস্মারাশি তুলে নেয় মুঠো ভরে পুনর্বার
হাওয়ায় উড়িয়ে দ্যায়। বাসা নেই, দগ্ধ স্মৃতিভার
বেড়ে যায়, মাথার ভেতরে কাঁদে কিছু কালি, ঝুল।