কেন আমরা এখানে এলাম? পারস্পরিক
আমন্ত্রণ, স্বপ্নের আধাআধি বখরা,
এবং অনির্ধারিত ভ্রমণের প্রত্যাশা দুপুর
লাল বেনারসী পরে টুকটুকে বউ।
অজ্ঞাত কুলশীল পাখির গিটকিরি,
ঝোপঝাড় থেকে অনিশ্চয়তার
টিটকারি, প্রতিধ্বনির পাখার ঝাপটানি।
এখন সুতো গুটিয়ে নেয়া অসম্ভব।
বিকেলে কবিতা সাজানো, খুঁটি থেকে
দড়ি খুলে ফেললে কাকপক্ষী টের পাবে না, ভাবি,
হঠাৎ সে, পবিত্র আগুনের প্রতিমা,
হাঁটু জলে ছায়া ফেলে দাঁড়ানো।
দহে-দৃষ্টি গাঁথা, ভয়বিহ্বল চোখে
সে ও তাকিয়ে আছে
গলুইয়ে বসে জড়োসড়ো। খল খলে
জলে সাপ দেখে ফেলার মুহূর্ত চিক চিক করে।
রঙ গোলার বাটি থেকে কিছু রঙ
ছড়ানো আকাশে,
সূর্যাস্তের কলাপ;
ফেরার কোনো পথ খুঁজে পাচ্ছি না।
মাঝ নদীতে চাঁদ, যেন জলপরী মাথা তোলে।
নৌকা দেসলাইয়ের খোল,
ভীষণ দোল খাচ্ছে। ঘোড়ার
চব্বিশটি পা মারছে ঠোকর।
বিশ্বাস করতে পারিনি
দ্বিধার নুড়ি মাড়িয়ে সে উড়ে আসবে
আমার এই ভাঙ্গা নৌকায়।
ভেবেছিলাম, ডাকলেই উড়ে যাবে স্বর্গীয় পাখি হয়ে।
সে কি টের পেয়ে গ্যাছে
ব্যালে নর্তকীর মতো ঘুরপাক খাওয়া
নৌকাটিকে উল্টে দেয়ার ইচ্ছে
বার বার ধাক্কা দিচ্ছে আমাকে?