এত সম্ভার কোথায় উধাও হলো?
কোথায় সে দিন অনুপম জ্বলজ্বলে?
যৌবন যায় ক্রমশ আস্তাচলে,
অনুশোচনার কৃষ্ণপক্ষ ভোলো।
তুমি কি শুধুই ঘুরবে ছদ্মবেশে?
প্রেতের সঙ্গে তোমার আলাপচারী
মনে হয় যেন কিঞ্চিৎ বাড়াবাড়ি।
হয়ো না বন্ধু উন্মাদ অবশেষে।
তুমি আছো আজো স্বগত বিলাসে মজে
অথচ তোমার দয়িতা আত্মদানে
নগরে জটিল ছায়া-সংকট আনে।
তোমার দ্বন্দ্ব এখন কেই বা বোঝে?
মধ্যবয়সে অমাবস্যার ঘোরে
সত্তায় নিয়ে স্বপ্নের কিছু দাগ,
পিছুটান আর সমাহিত অনুরাগ
থাকতে কি চাও গৃহকোণে একা পড়ে?
চোখের চমক হয়নি অস্তমিত,
এখনো শিরায় জাগে হরিণের লাফ,
হৃদয়ে জাগর চিতার পদচ্ছাপ;
নিজের ছায়ায় ঝলকে হয়ো না ভীত।
ফিস ফিসে এই মঞ্চে তোমাকে দেখে
উদ্বেগে কাঁপে অনেক হৃদয় আজ।
তোমার শরীরে কেমন করুণ সাজ,
নেপথ্যে কত আততায়ী যায় হেঁকে।
অষ্ট প্রহর পাশে প্রিয় সহচর,
তার ওপরেই দিলে তুমি গুরুভার
ট্রাজিক কাহিনী বারে বারে বলবার;
অবচেতনায় ওঠে বৈশাখী ঝড়।
চেয়েছিলে তুমি দেশ হোক ভাস্বর,
আমজাম আর কাঁঠালের এই দেশে
মেধা ও মননে হৃদয়ের ধারা মেশে।
সবখানে বাজে তোমার কণ্ঠস্বর।