হে মেয়ে তোমার যোনি, যা দেখিনি আজো,
মৃদু হাসে নিভৃতে আমার অগোচরে; আঁটো, রাঙা
স্তনদ্বয় লুকোচুরি খেলে
রোদ্দুরে ছায়ায়, যেন হরিণশাবক
ঝিলের কিনারে ঝোপে বিহ্বল জ্যোৎস্নায়। বিদায়ের
বিষণ্ন বেলায় সিঁড়ি দিয়ে
আস্তে সুস্থে নেমে যেতে
তাকাই তোমার দিকে অপলক, কখনো টেনে নেই বুকে
ঝড়তোলা আকর্ষণে; রাজেশ্বরী চুলের ঝলক তার চোখের চমকে
আমার হৃদয় রাজধানী হয়ে জ্বলে,
লিপস্টিক-বুলানো ঠোঁটের
মখমলে চেপে ধরি ঠোঁট, হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়, স্তব্ধ হয়
পৃথিবীর গতি; সে মুহূর্তে জঙ্গী ট্যাঙ্ক
আমার উপর দিয়ে চলে গেলে কিছুই পাবো না
টের, শুধু ঠায়
থাকবো দাঁড়িয়ে খাজুরাহো যুগ্মতায়
নির্ঘুম রাত্তিরে
হে মেয়ে তোমার যোনি কাঁদে
একাকিনী বিষণ্ন রানীর মতো নরম বালিশের মুখ চেপে,
দেবদূতী মুখ নিয়ে চাঁদ
উঁকি দেয় জানালায়, মধুর বদান্যাতায় শাদা মশারিতে
ছড়ায় আবীর আর নিশান্তের স্তব্ধতায় হাওয়া
চুমো খায় তোমার লাজুক নাভিমূলে, অথচ একটু ছুঁলে
আমি, তুমি আমাকে সরিয়ে দাও দূরে।
তোমার যোনিতে ঝরে স্বর্গীয় কুসুম।
তুমি কি আমার কথা ভেবে ঢেউ হয়ে কেঁপে ওঠো
বারবার, বলো
‘হে পুরুষ, হে শব্দের শেরপা, তুমিই
সর্বস্ব আমার?’
তখন তোমাকে দেখে বুকে
উঠবে না জ্বলে রিরংসার ঝাড়বাতি,
চোখে লেগে থাকবে শয্যায়
নিরিবিলি একরাশ জুঁই ফুল দেখার স্নিগ্ধতা।