আমরা দু’জন দু’দিকে বন্দি,
মাঝখানে এক দেয়াল।
দেয়াল-ফাটলে জাগলো ঝর্ণা,
দৈবের কী-যে খেয়াল।
সেদিন রাত্রে না-দেখা তোমাকে
শুনি টেলিফোনে হঠাৎ;
অভিভূত আমি অঞ্জলি ভরে
তুলে নিই আবেহায়াত।
যখন বলেছি, ‘দেখা হবে কবে’,
হেসে উঠে দিলে জবাব-
‘হতাশ হবেন,’ বলি উত্তরে,
‘সে হবে আমার সওয়াব।
তুমি কাছে এসে দাঁড়ালে দুপুরে,
দু’ চোখে আমার চমক,
তুমিই আমার নিয়তি রূপসী,
হৃদয়ে গুণীর গমক।
পেঙ্গুইনের বই নেড়ে চেড়ে
ছড়ালে আয়ত দৃষ্টি,
তোমার মুখের আদলে ফুটলো
চিত্রকরের সৃষ্টি।
অনন্য এই দৃশ্যকাব্যে
অন্যেরা সাঁটে আঁচিল;
সুন্দরীতমা, এসো ভেঙে ফেলি
মধ্যিখানের পাঁচিল।
যদি হাত ধরে হেঁটে যাই পথে,
ঢি ঢি পড়ে যাবে পাড়ায়,
কে কোথায় ফের ছিট্কে পড়বো
নেকড়ে-দলের তাড়ায়!
আজ আমাদের চারপাশে শুধু
ফণিমনসার প্রলাপ,
চলো পাথরের ধু ধু চত্বরে
আমরা ফোটাই গোলাপ।