সেদিন জুনের দুপুর ছিল, একলা ছিলে তুমি।
ঘরের দুপুর বাড়ায় গ্রীবা,
হঠাৎ তোমার পায়ের, নিচে উঠলো কেঁপে ভূমি।
তখন আমি কিসের ঘোরে নিজের ভেতর একা বাঁচছি, মরছি, মরছি, বাঁচছি।
এমনি করেই দ্বন্দ্ব থেকে ফোটে দুঃখরেখা!
ক্লান্ত মনে পড়ছি ধুধু দেয়াল-জোড়া লেখা।
বুকের ভেতর মরুর জ্বালা,
তোমার সঙ্গে ক’যুগ যেন হয়নি আমার দেখা।
ঘরে-বাইরে সঙ্গে আমার নোংরা নরক ঘোরে।
কোথাও কিছু নেইকো পাওয়ার,
বাগান-ফাগান, কোঠাবাড়ি ধুলোর মতো ওড়ে।
তোমার বুকে ওষ্ঠ চেপে ভুলি গেরস্থালি-
শহর কালো বিন্দু হয়ে
শূন্যে মিলায়, সত্তা জুড়ে ঝরে সময়-বালি।