এরকম টগবগে উদ্বেলতা নিয়ে তড়িঘড়ি
মাঝে-মধ্যে কার কাছে যাই?
কে তুমি অমন চোখে বিদ্ধ করো আমার হৃদয়?
আজো চিনতে কষ্ট হয় খুব।
দূরে বসে ভাবলে তোমার কথা, বেদনার কালো
মেঘে-ঢাকা নিঃসঙ্গ পাখির
মতো হয়ে যাই, কাছে গেলে বুক ঠেলে বাষ্প ওঠে,
অথচ হাসার ভান করি।
কতবার মনে মনে নিয়েছি শপথ-কোনোদিন
যাবো না তোমার কাছে আর;
তবুও সুন্দর এক কুহক আমাকে চুপিসারে
নিয়ে যায় সান্নিধ্যে তোমার।
যখন সে ফ্ল্যাটে যাই, ‘স্বাগতম’ শব্দকে নাচায়
তোমার চোখের দুটি তারা।
কেন যেন মনে হয়, কখনো আমাকে নয়, অন্য
কাউকে করছো সম্ভাষণ।
যখন আরাম ধার নিই সোফাটার কাছ থেকে,
বসো তুমি মুখোমুখি, ভাবি-
দেখছো কী মুগ্ধ চোখে অন্য কারো প্রতিচ্ছবি, আমি
অনস্তিত্বে মিশে আছি শুধু।
এরকম কেন হয়, আমি কথা বলি, তুমি শোনো
অন্য পুরুষের কণ্ঠস্বর?
যখন তোমাকে ছুঁই কিম্বা চুমু খাই, কাঁপো তুমি
ভিন্ন কারো স্পর্শের শিহরে।
ভেবেছি ফিরিয়ে দেবো চিঠি, ছবি, সবই। ভেসে যায়
সংকল্প কোথায়; কৃপণের
মতো সব আঁকড়ে ধরে রাখি, যদিও সেগুলো নিয়ে
উচ্চকিত আমার সংশয়।
কে আমাকে তোমার নিকট থেকে দূরে, বহুদূরে
কৌশল সরিয়ে রাখে? কার
ইন্দ্রজালে দ্বিধার গোপন বীজ চারা হয়ে ওঠে
তোমার অন্তরে নিত্যদিন?
এতদিন জেনে গেছি, নিখুঁত তোমার তোমার অভিনয়।
এত কাছে যাই, তবু তুমি
দাও না বুঝতে কিছুতেই, আমি সে দুর্ভাগা ছায়া,
কানাকড়ি মূল্য নেই যার।
যা কিছু রটায় আজ নিন্দুক সমিতি, কিছু তার
সত্য বটে, তবু তোমাকেই
সর্বদা কামনা করি। আমার বিপন্নতায় তুমি
প্রিজমের মতো, প্রিয়তমা।