পড়ে আছি নিঃসঙ্গ এখানে এই ধূ ধূ বিরানায়
কী জানি কখন থেকে, কবে থেকে। ঠিক মতো
চোখ খুলতেও অপারগ; কিছু কিছু
ধোঁয়াশার মতো প্রতিভাত আর অনেক কিছুই
বিলুপ্ত বেখাপ্পা অন্ধকারে। কয়েকটি বিটকেল মাছি খুব
বিরক্ত করছে, তাড়াবার ইচ্ছা মৃতপ্রায়। কী যেন পড়ল।
অদূরে, অদ্ভুত শব্দ যেন ভেসে আসে; পারব কি ফের উঠে
দাঁড়াতে গা ঝাড়া দিয়ে আর এই জনহীনতায়?
যদিও এখানে হিংস্র তিমির দাপট
দেখিয়ে চলেছে পুরোদমে, যদিও জ্যোৎস্নার প্রলম্বিত চুমো
মিলবে না শিগ্গির, যদিও কোনও পাখি
মুক্তকণ্ঠে গাইবে না গান, তবু পড়িমরি করে
হলেও আমাকে উঠি দাঁড়াতে হবে, পেতে হবে
আরাধ্য পথের দিশা; পারব তো গন্তব্যে পৌঁছুতে?
হেঁটে যেতে হবে বহুদূর প্রতারক সব পথপ্রদর্শকদের
ভ্রমচক্র ভেদ করে। একটি সোনালি পাখি বেদনার্ত গান
গেয়ে গেয়ে নিয়ে যাবে, মনে হয়, পোড়া বাস্তুভিটার কঙ্কাল
দেখাতে লুণ্ঠিত পাড়াগাঁর, ধর্ষিত নারীর
অমাবস্যাময় মুখ! আমি কি পারব আলো জ্বালাতে আবার
সেই সব মুখে? পারব কী কাঠগড়ায় করাতে দাঁড়
মানুষের ভেকধারী পশুদের? পারব কি ফুল ফোটাতে আবার বিরান বাগানে? যাব,
যতদূর যেতে হয় যাব।