তার আগে

সারা দিনমান এই শ্রমক্লিষ্ট দু’হাতে পাথর
সরাতে সরাতে আমি অবসাদে খুব নুয়ে পড়েছি, পিপাসা-
কাতর আমার বুকে জ্বালা ধরিয়েছে
এক মরুভূমি, রক্ত ঝরছে দু’হাত থেকে, তবু
একটু বিরাম নেই, ক্লেশ অনুভব করবার
মতো বোধ হারিয়ে ফেলেছি, মনে হয়।
দুচোখে কুয়াশা গাঢ় থেকে গাঢ়তর। মাঝে মাঝে
অদৃশ্য পাখির ডাকে সচকিত, চৌদিকে পূর্ণিমা
নাকি অমাবস্যা, বোঝা দায়। শুধু কিছু
পাথর সরিয়ে
এখনো এগোতে থাকি, পূর্বপুরুষেরা ঘাসজমিতে কীভাবে
বীজতলা গড়তেন, তার খোঁজে এই পথ চলা।

কখনো হোঁচট খাই, কখনোবা দড়ি ভ্রমে কোনো
সাপকেই হাতে তুলে নিই।
বস্তুত আমার দৃষ্টি চিতায় উঠেছে, কিছুকাল
পরে ছাই শুধু ছাই এদিক ওদিক
উপেক্ষিত রইবে প’ড়ে তার আগে পূর্বপুরুষের
বীজতলা থেকে কিছু কণা নিয়ে দুঃখ শোক ভুলে
মিত্রদের আনন্দ উৎসবে
নতুন তারার মতো শব্দের ফোয়ারা খুলে দিয়ে যেতে চাই।
৭/২/৯৫