এখন ডাকছো কাকে? কে যাবে তোমার সঙ্গে? নেই,
সে কোথাও নেই। তাকে তুমি
ডুমুর গাছের কাছে দেখেছিলে যেদিন প্রথম,
সেদিন এখনো বুঝি তোমাকে ইঙ্গিতে
ডেকে নিয়ে যায়
তারুণ্য-খচিত ঘাটে, যেখানে কলস ভাসে স্মৃতির উদ্ভাসে।
দেখলে কি তাকে বাসস্টপে?
নাকি লঞ্চ টার্মিনালে কারো সঙ্গে সুটকেস হাতে
চলে গেল হেঁটে
সুদিনের মতো? তুমি ছুটে গিয়ে দেখলে সে
চোখের পলকে
কোথায় যে মিশে গেল ভিড়ে। তারস্বরে ডেকেও এখন তাকে
পাবে না কোথাও খুঁজে। শুধু
প্রতিধ্বনি তোমার হৃদয়ে এসে বাজবে ভীষণ।
ধরা যাক, অনেক বছর পরে ফের,
দৈবে এরকমও ঘটে,
তার সঙ্গে কোনোদিন কোনো এক অচেনা স্টেশনে
দেখা হয়ে গেল
প্রতীক্ষায় ঘরে দুলে ওঠে লাইনসম্যানের আলো;
তোমাকে গোয়েন্দা ভেবে সরে গেল দূরে।
তখন নিকটে গিয়ে বললে তুমি-
‘চলো যাই, আমরা দু’জন আজ একসঙ্গে ফরেস্টের
ডাকবাংলোয় গিয়ে উঠি। সেখানে নিঃশব্দে বসে
শুনবো ঝিঁঝির ডাক, মাঝে-মধ্যে কোনো বন্য প্রাণী
শুকনো পাতায় শব্দ বাজিয়ে আড়ালে
চলে যাবে শিকারের লোভে। নিরিবিলি
আমরা দৃশ্যের ভাগ নেবো। দেখে নিও
ফিরিয়ে আনবো আমি শূন্য থেকে হারানো গোলাপ।
‘এখন ডাকছো কাকে? কে যাবে তোমার সঙ্গে? নেই,
সে কোথাও নেই আজ’ বলে সে চকিতে
শালটা জড়িয়ে তার প্রখর শরীরে
স্বপ্নের ধরনে যাবে মিলিয়ে নীলাভ কুয়াশায়।