১.৮ ডন গুলি খাওয়ার কয়েক মাস আগে

০৮.

ডন গুলি খাওয়ার কয়েক মাস আগেই সলোমোর দলের সাথে যোগাযোগ করে লুকা ব্রাসি। যোগাযোগটা খুব সহজেই করতে পেরেছিল সে। টাটাগ্রিয়া পরিবারের পরিচালনাধীন কয়েকটা নাইট ক্লাব আছে, সেগুলোয় নিয়মিত যায় সে। ওদের ভাড়াটে মেয়েগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সেরা যে তার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলে। মেয়েটার পাশে শুয়ে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে, আর মনের দুঃখ প্রকাশ করে। কর্লিয়নি পরিবারের উপর মোটেও সন্তুষ্ট নয় সে। তাকে ওরা যথোচিত মূল্য দেয় না, ওর কদর বোঝে না।

এভাবে এক হপ্তা কাটল। তারপর একদিন ডাক পড়ল তার নাইট ক্লাবের ম্যানেজার ব্রুনো টাটাগ্লিয়ার অফিসে।

পরিবারের সবচেয়ে ছোট ছেলে ব্রুনো। বাইরে থেকে দেখে সবাই মনে করত টাটাগ্লিয়া পরিবারের কলগার্ল বিজনেসের সাথে ব্রুনোর কোন সম্পর্ক নেই। আসলে ব্যাপারটা ঠিক তার উল্টো। নারী-ব্যবসার গোটা ব্যাপারটাই পরিচালনা করে ব্রুনো।

প্রথম সাক্ষাৎ করেই ব্রুনো তাদের পরিবারের পক্ষে শক্তি প্রয়োগের দায়িত্ব নেবার প্রস্তাব দিল লুকা ব্রাসিকে। রাজি হবে কি হবে না, এই রকম দোটানা ভাব, দেখা গেল লুকার মধ্যে, এই করে মাসখানেক কাটল। লুকার আচরণ দেখে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে মনের খেদ প্রকাশ করার পিছনে অন্য কোন উদ্দেশ্য নেই তার, সে আসলে তার এই বেশি বয়সে সুন্দরী মেয়েটার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে।

ব্রুনোর হাবভাব সম্পূর্ণ অন্য রকম। ব্যবসায়ী লোক সে, তার আচরণে সেটা পরিষ্কার ফুটেও উঠল। প্রতিদ্বন্দ্বীর একজন জবরদস্ত লোককে দল থেকে ভাগিয়ে নিয়ে আসাটাই যেন তার একমাত্র উদ্দেশ্য।

ওদের আবার দেখা হলো। এবার লুকার হাবভাব একটু অন্যরকম। সুন্দরী মেয়েটার সান্নিধ্য ছাড়া সে বাঁচবে না, তাই নোর প্রস্তাবে সে মোটামুটি রাজি। কিন্তু সম্মতি জ্ঞাপনের পরপরই স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিল, কিন্তু একটা শর্ত আছে। কাউকে যদি শ্রদ্ধা করি তো তিনি ডন কর্লিয়নি। গড ফাদারের বিরুদ্ধে কখনও আমি যাব না। দল শ্রাগ করার কথা ভাবছি এইজন্যে যে পারিবারিক ব্যবসায় তার ছেলেদের চেয়ে আমাকে বেশি সুযোগ দেয়া সম্ভব হবে না কখনোই। অর্থাৎ আমার ভবিষ্যৎ ওখানে খুবই সীমিত।

সেকাল তো আর নেই, ব্রুনো বলল, আজকাল সবার সাথে সবার মিল মহব্বত। আমার বাবা আপনাকে কখনোই কর্লিয়নিদের ক্ষতি করতে বলবেন না। আপনি কঠিন লোক, ব্যবসা চালু রাখার জন্যে আপনার মত লোক সবসময়ই দরকার হয়। আগে মনস্থির করুন, তারপর আসুন আমার কাছে। আমাদের সাথে আপনার বনিবনা চালই হবে।

শ্রাগ করে বলল লুকা, যাই হোক, ওদের সাথে থাকছি না আমি আর। সেদিনের আলোচনা এর বেশি এগোয়নি।

পরবর্তী ঘটনা ঘটল ডন কর্লিয়নি গুলি খাওয়ার আগের রাতে। নাইটক্লাবে লুকা ব্রাসি ঢুকতে না ঢুকতে ওর টেবিলে চলে এল ব্রুনো টাটাগ্লিয়া।

মুখ তুলে তাকাল লুকা।

একগাল হেসে ব্রুনো বলল, আমার এক বন্ধু, বুঝলেন, বিশেষ একটা ব্যাপারে আপনার সাথে আলাপ করার জন্যে খুব আগ্রহ দেখাচ্ছে।

বেশ তো, নির্বিকার মুখে বলল লুকা, এখানে নিয়ে আসুন তাকে।

মুখের হাসিটা অম্লান রেখে রুনো বলল, আপনিও যেমন! বিশেষ কথা কি এত লোকজনের সামনে হয়, না হওয়া উচিত?

কোন রকম ভাব ফুটল না লুকার চেহারায়। জানতে চাইল, তার পরিচয়?

আমার খুবই ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আপনার জন্যে একটা প্রস্তাব নিয়ে আসবে। আরেকটু রাত হোক, তারপর দেখা করার ব্যবস্থা করি, কি বলেন?

ঠিক আছে, বলল লুকা, ঠিক কখন? কোথায়?

লোকজনের ভিড় না থাকলে এই জায়গাটাও মন্দ নয়, একটু চিন্তা করে বলল রুনো। ভোর চারটেয় বন্ধ হয়ে যাবে ক্লাব। সাফ সুতরো করার জন্যে শুধু ওয়েইটাররা থাকবে। তখনই, কি বলেন?

ভোর চারটের সময় আলোচনার জন্যে বসার ব্যাপারটা অদ্ভুত বলে মনে হলেও ব্যাপারটা আসলে অদ্ভুত নয়। প্রায় রোজই বিকেল তিনটের সময় ঘুম থেকে ওঠে লুকা, তারপর ব্রেকফাস্ট খায়। বিকেলের বাকি অংশ এবং প্রায় পুরোটা রাত কারও সাথে জুয়া খেলে বা কোন মেয়ের সাথে সময়টা কাটায় সে। মাঝে মধ্যে সিনেমাও দেখে। ক্লাবে গিয়ে মদ খেয়েও কিছু সময় কাটায়। মনে মনে লুকা ভাবল, ওর ওপর বেশ কিছু দিন থেকে তীক্ষ্ণ নজর রাখা হয়েছে, তার দৈনন্দিন জীবনের রুটিন ওদের মুখস্থ হয়ে গেছে।

ঠিক হ্যায়, বলল লুকা। বেশ উত্সাহিত হয়ে উঠেছে সে, চেহারা দেখে স্টো বোঝা গেল। চারটের দিকে এখানে তাহলে আবার ফিরে আসব আমি।

এর একটু পরই ক্লাব ছেড়ে বেরিয়ে পড়ল লুকা। ট্যাক্সি নিয়ে টেনথ এভেনিউয়ে নিজের বাড়িতে এল। একটা ইতালীয় পরিবারে পেয়িং গেস্ট হিসাবে থাকে সে। পরিবারটা দূর-সম্পৰ্কীয় আত্মীয় হয় তার। বাড়িটার একটা আলাদা অংশে ওর ঘর দুটো, আসা-যাওয়ার জন্যে আলাদা দরজা।

খাটের তলা থেকে একটা ট্রাঙ্ক বের করল লুকা! তালা খুলল। ভিতর থেকে বের করল খুব ভারি একটা বুলেট প্রুফ গেঞ্জি।

পোশাক ছাড়ল লুকা। গরম কাপড়ের অন্তর্বাসের উপর গেঞ্জিটা পরল। তার উপর চড়াল শার্ট আর কোট।

লাইসেন্সসহ পিস্তল আছে লুকার। এই লাইসেন্সটা যোগাড় করতে চূড়ান্ত ঝামেলা তো পোহাতে হয়েছেই, দামও দিতে হয়েছে অসম্ভব বেশি-দশ হাজার ডলার। এত দাম দিয়ে লাইসেন্স যোগাড় করার ঘটনা আর কারও বেলায় বোধহয় ঘটেনি। যাই হোক, কর্লিয়নিদের একটা শুভ হিসেবে এই রকম দামী একটা লাইসেন্স পাবার যোগ্যতা তার আছে। কিন্তু লাইসেন্সওয়ালা পিস্তলটা আজ সে নিল না। বলা তো যায় না, সূচনাতেই হয়তো গোটা ব্যাপারটাকে খতম করে দিতে হতে পারে। তাই একটা নিরাপদ পিস্তল সাথে নিল। এটা নিয়ে সে যদি ধরাও পড়ে, কিছু এসে যাবে না। পিস্তলটা তারই এটা প্রমাণ করা সম্ভব নয়।

আবার ক্লাবে একবার ঢুঁ মারুল লুকা, কিন্তু বেশিক্ষণ বসলও না, মদও ছুঁল না। ওখান থেকে বেরিয়ে ফোর্টিএইটথ স্ট্রীটে খামোকা ঘুরঘুর করল কিছুক্ষণ। তারপর ঢুকল ওর সবচেয়ে প্রিয় রেস্তোরাঁ প্যাটসিতে। আয়েশ করে,, অলস ভঙ্গিতে সাপার খেল ওখানে।

ঠিক সময়ে আবার শহরের মাঝখানে ফিরে এল লুকা। ক্লাবে ঢোকার সময় দেখল, দারোয়ানেরও ছুটি হয়ে গেছে, টুপি জমা রাখে যে মেয়েটা সেও নেই।

ব্রুনোকে ছাড়া আর কাউকে দেখল না লুকা। সেই তাকে সাদরে নির্জন বারে নিয়ে গিয়ে বসাল। খালি টেবিলগুলো চারপায়ে দাঁড়িয়ে আছে। মাঝখানে প্রকাণ্ড একটা হীরক খণ্ডের মত পালিশ করা হলুদ কাঠের ড্যান্সফ্লোরটা জ্বলজ্বল করছে। পিছনে, ছায়ায় ঢাকা পড়ে আছে ব্যাণ্ডস্ট্যাণ্ড, ধাতব মাইক্রোফোনটাকে কঙ্কালের মত লাগছে দেখতে।

কাউন্টারের ওপারে বসেছে ব্রুনো টাটাগিয়া। এপারে লুকা। মদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে একটা সিগারেট ধরাল সে। ভাবছে সলোযোর সাথে হয়তো এর কোন সম্পর্ক নেই। নো হয়তো সম্পূর্ণ অন্য কোন বিষয়ে অন্য লোকের মাধ্যমে কথা বলতে চায়। আচ্ছা, দেখাই যাক না।

চিন্তায় বাধা পড়ল লুকার। সলোযোকে দেখতে পেয়েছে সে। কামরার গাঢ় অন্ধকারে ঢাকা একটা কোণ থেকে বেরিয়ে এদিকে এগিয়ে আসছে সে।

কথা বলল না, শুধু হাতটা বাড়িয়ে দিল সলোযো হ্যাণ্ডশেকের জন্যে। নির্বিকারভাবে হ্যাণ্ডশেক করল লুকা। তার পাশেই বসল সলোযো। ব্রুনো, কাউন্টারে এক গ্লাস মদ রাখতেই মাথা ঝাঁকিয়ে ধন্যবাদ জানাল তুর্কী।

আমার পরিচয় জানা আছে তোমার? লুকার দিকে ফিরে প্রশ্ন করল সলোযো।

ইতিবাচক ভঙ্গিতে মাথা কাত করল লুকা। বিষণ্ণ হাসি ফুটে উঠেছে তার মুখে। অন্তরের পুলকটা ঢাকার মতলবেই এই হাসি ফুটিয়ে তুলেছে সে।

তাহলে আমার প্রস্তাবটাকি তাও তোমার জানা আছে?

এবারও একই ভঙ্গিতে মাথা কাত করল লুকা।

একটু নড়েচড়ে বসল সলোযো। তীক্ষ্ণ; অন্তর্ভেদী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সারাক্ষণকার দিকে। বলল, খুবই ভাল ব্যবসা, লাভের সম্ভাবনা প্রচুর। কর্মকর্তা পর্যায়ে যারা এতে অংশগ্রহণ করবে তাদের প্রত্যেকের ভাগে আসবে লক্ষ লক্ষ ডলার। কথা দিতে পারি প্রথম চালানের মাল তোলার সাথে সাথে নগদ পঞ্চাশ হাজার ডলার পেয়ে যাবে তুমি। মাল মানে মাদকদ্রব্যের কথা বলছি, বুঝছ তো? উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ, সবটাই লাভ।

কিন্তু আপনার উদ্দেশ্য আমার কাছে পরিষ্কার নয়, বলল লুকা। ডনকে এ সম্পর্কে বলব, এই চান আপনি?

রাগে বিকৃত হয়ে উঠল সলোযোর মুখ। তার সাথে আর কথা বলার কোন মানে হয় না। একবার যখন রাজি হয়নি, কখনোই সে মাথা নোয়বে না। তাকে বাদ দাও। আমার দরকার তোমার মত একজন জবরদওলোকের, আমাদের ব্যবসাটাকে টিকিয়ে রাখার জন্যে প্রয়োজনে যে গায়ের জোর খাটাবে। শুনেছি, কর্লিয়নিরা নাকি তোমাকে যথাযোগ্য মূল্য দিচ্ছে না। সেজন্যেই ভাবছি, তুমি হয়তো চাকরিটা বদল করতেও পারো।

বদল করে যদি অবস্থার উন্নতি হবে বলে মনে করি, কাঁধ ঝাঁকিয়ে বলল লুকা।

সলোযোর সেই তী, অন্তর্ভেদী দৃষ্টিটা বদলে গেল। কি যেন আবিষ্কার করার চেষ্টা করছিল সে। আবিষ্কার করা হয়ে গেছে।

কটা দিন দেখো। তারপর জানাও। কথা শেষ করে হ্যাণ্ডশেকের জন্যে হাত বাড়িয়ে দিল সলোযো।

কিন্তু সলোযোর হাতটা ধরার জন্যে নিজের হাতটা বাড়াল না লুকা। তার ভাব দেখে মনে হলো, ব্যাপারটা তার চোখেই পড়েনি। প্যাকেট থেকে সিগারেট বের করে সেটা ঠোঁটে তুলতে ব্যস্ত সে এখন।

কাউন্টারের ওপাশ থেকে ব্রুনোর লাইটার ধরা হাতটা এগিয়ে এল হঠাৎ করেই, অপ্রত্যাশিতভাবে। খুট করে লাইটার জালাল ব্রুনো। সেটার আগুনে সিগারেট ধরাবার জন্যে মুখ বাড়াল লুকা, ঠিক এই সময় হাত থেকে ছেড়ে দিল ব্রুনো লাইটারটা। খট করে পড়ল সেটা কাউন্টারের উপর। তার আগেই ব্রুনো প্রচণ্ড শক্তিতে লুকার ডান হাতটা কাউন্টারের সাথে চেপে ধরেছে।

এক নিমেষে টুল থেকে পিছলে নেমে পড়েই পাক দিয়ে সরে যাবার চেষ্টা করল লুকা। এরই মধ্যে তার অপর হাতটা ধরে ফেলেছে সলোযো। কিন্তু তাতেও কিছু এসে যায় না, ওদের দুজনের চেয়ে তার একার গায়ে অনেক বেশি জোর।

ব্রুনো লাইটার ফেলে দেয়ার পর থেকে দুই সেকেণ্ডের মধ্যে ঘটে গেল ঘটনাটা। মাত্র এক সেকেণ্ড ধরে থাকতে হলো ওদেরকে লুকার হাত দুটো। এর মধ্যেই লুকার পিছনে একজন লোককে দেখা গেল। বিদ্যৎ গতিতে নড়ে উঠল লোকটার হাত দুটো! রেশমী:দড়ির একটা ফাস লুকার গলায় পরিয়ে দিয়েই হেঁচকা টান মারল সে। দম বন্ধ হয়ে গেল লুকার। প্রচণ্ড শক্তিতে গা ঝাড়া দিতে চাইল সে, কিন্তু নিমেষে বেগুনী হয়ে গেছে মুখের রঙ, গায়ের জোর সব উবে গেছে।

গোটা ব্যাপারটা হাস্যকর, অবিশ্বাস্য-যার গায়ের শক্তি কিংবদন্তীকেও হার। মানায়, মাত্র তিন সেকেণ্ডে ফুরিয়ে গেল তার সবটুকু-তেজ। লুকার সামনে আর পাশে আরও হাস্যকরভাবে দাঁড়িয়ে আছে ব্রুনো আর সলোযো। করার কিছুই নেই দেখতে পেয়ে কেমন যেন অপ্রতিভ, বোকা হয়ে হয়ে গেছে দুজনেই।

লুকার পিছনে দাঁড়িয়ে লোকটা গায়ের জোরে আরও এটে দিচ্ছে ফাঁসটাকে। ভাঁজ হয়ে যাচ্ছে লুকার পা দুটো। চেহারা বীভৎস দেখাচ্ছে। ঠোঁট ফাঁক হয়ে গেছে, দুপাটি দাঁতই মাড়িসহ দেখা যাচ্ছে, কোর্টর ছেড়ে এতটা বেরিয়ে এসেছে চোখের মণি দুটো যে টুপ-টুপ করে খসে পড়ে যেতে পারে বলে মনে হচ্ছে। গলার রগগুলো ফুলে উঠেছে, ত্বকের নিচে যেন লম্বা লম্বা কৃমি শুয়ে আছে।

শরীরটা মেঝেতে পড়ে গেল লুকার। মেঝেতে হাঁটু গেড়ে লোকটাও সাথে সাথে বসে পড়ল। অত্যন্ত মগ্ন ভঙ্গিতে যত্নের সাথে ফাসটাকে আরও এঁটে দিচ্ছে। সে লুকার গলায়, যেন এখনও এ-কাজের গুরুত্ব আছে। সশংস দৃষ্টিতে তার কাজ দেখছে সলোযো আর ব্রুনো। লুকার গলার মাংসে সেঁধিয়ে গিয়ে অদৃশ্য হয়ে গেল রেশমী দড়িটা। লুকা অবশ্য আগেই মারা গেছে।

এই লাশ কোনভাবেই কারও খুঁজে পাওয়া চলবে না, গুরু গম্ভীর ভঙ্গিতে মাথা নেড়ে বলল সনোযযা। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এটা। ও মারা গেছে জানাজানি হয়ে গেলে সব মাটি হয়ে যাবে, আমাদের কোন আশাই থাকবে না আর।

কাকের চেয়েও ধূর্ত ও সতর্ক এই তুর্কী লোকটা। লুকার অভিনয় মন্দ হয়নি, কিন্তু আসল সত্য ঠিকই বুঝে নিতে পেরেছে সলোযো।

ডন কর্লিয়নিই তার একটা স্তম্ভকে বিশেষ নির্দেশ দিয়ে শত্রু পক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে বলেছিলেন। তার হুকুম পেয়েই মূকা বাসি, এ-পথে পা বাড়িয়েছিল।

স্তম্ভটা ধূলিসাৎ করে নিষ্ঠুর এক টুকরো হাসি ফুটে উঠল তুর্কীর ঠোঁটে।

এইবার! এইবার জমবে খেলা!

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *