।। ম্লেচ্ছাবংশ বর্ণনম্।।
।। ম্লেচ্ছ বংশ বর্ণন।।
এই অধ্যায়ে রাজা ন্যূহের বংশ বর্ণনা করা হয়েছে। এখানে ম্লেচ্ছ ভাষার বর্ণনা রয়েছে এবং বিভিন্ন ম্লেচ্ছ বংশের বর্ণনা রয়েছে।
সাম্প্রতং বর্ততে যো বৈ প্রলয়ান্তে মুনীশ্বর। দিব্যদৃষ্টি প্রভাবেন জ্ঞাতং ব্রূহি ততঃ পরম্।।১।।
শৌনকজী বললেন, এই প্রলয়ের অন্তে যা কিছু বর্তমান ছিল তা আপনার দিব্যদৃষ্টি প্রভাবে জ্ঞাত আছেন। কৃপাপূর্বক আমাকে সেই সকল বৃত্তান্ত বলুন।।১।।
ন্যূহো নাম স্মৃতো ম্লেচ্ছো বিষ্ণুমোহং তদাকরোৎ। তদা প্রসন্নো ভগবাংস্তস্য বংশ প্রবদ্ধিতঃ।।২।। ম্লেচ্ছভাষা কৃতা তেন বেদবাক্যপরাভমুখা কলেশ্চ বৃদ্ধয়ে ব্রাহ্মীং ভাষাং কৃত্বাহপশদ্বগাম্।।৩।। ন্যূহায় দত্তবান্দেবো বুদ্ধীশো বুদ্ধিগঃ স্বয়ম্। বিলোমং চ কৃতং নাম ন্যূহেন ত্রিসুতস্য বৈ।।৪।। সিমশ্চ হামশ্চ তথা যাকুতো নাম বিশ্রুতঃ। যাকূতঃ সপ্তপুত্রশ্চ জুম্রো মাজুজ এব সঃ।। ৫।। মাদী তথা চ যুনানস্তূবলোমসকস্তথা। তীরাসশ্চ তথা তেষাং নামভিদেশ উচ্যতে।।৬।। জুভ্রা দশ কনাজুশ্চ রিফতশ্চ তজরুর্ম। তন্নান্মা চ স্মৃতা দেশা যাদ্যা যে সুতা স্মৃতাঃ।।৭।। ইলীশেস্তরলীশশ্চ কিত্তীহুদানিরুচ্যতে। চতুভিনামদেশাস্তেষাং তেষাং প্রচক্রিরে।।৮।।
সূতজী বললেন, ন্যূহ নামক ম্লেচ্ছ সেইসময় ভগবান্ বিষ্ণুকে মোহিত করেছিলেন। তখন ভগবান্ প্রসন্ন হয়ে তার বংশকে বৃদ্ধি করেছিলেন।। ২।।
তিনি বেদবাক্যকে পরান্মুখ ম্লেচ্ছের ভাষা হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন এবং কলির বৃদ্ধির জন্য ব্রাহ্মীভাষাতে অপশব্দের প্রয়োগ করেছিলেন। ৩।।
বুদ্ধিগ এবং বুদ্ধিশদের স্বয়ং সেই ভাষা ন্যূহকে দিয়েছিলেন। ন্যূহ তিনপুত্রের নাম বিলোপ করেছিলেন। তাদের নাম ছিল সিম, হাম তথা যাকৃত, সপ্তপুত্ৰ, জুম্র, মাজুজত্ত তিনিই ছিলেন। মাদী তথা যূনান তথা বলোমসক, তীরাস তার এই প্রকার নাম ছিল।।৪-৬।।
জুম্রাদশ, কনাবজশ্ব, রিযাত, তজরুম এই সকল নামে দেশ এবং যূনাদি নামে পুত্রগণ পরিচিত ছিল।।৭।।
ইলীশ, তরলীশ, কিত্তী এবং হৃদ এই চারনামে তিনি দেশ সকলের নামকরণ করেছিলেন।।৮।।
দ্বিতীয়তনয়াদ্ধামাস্তুতাশ্চত্বার এব তে। কুশো মিশ্রশ্চ কূজশ্চ কনআংস্তত্র নামভিঃ।।৯।। দেশা প্রসিদ্ধা ম্লেচ্চানাং কুশান্তটত নয়া স্মৃতাঃ। স বা চৈব হবীলশ্চ সর্বতোর গমস্তথা।।১০।। তথা সবতিকা নাম নিমরুহে মহাবলঃ। তেষাং পুত্রাশ্চ কলন সিনারোরক উচ্যতে।।১১।। অক্কদো বাবুনশ্চেব রসনাদেশকাশ্চ তে। শ্রাবয়িত্বা মুনীন্সতো যোগনিদ্রাবশংগত।।১২।। দ্বিসহস্রে শতাদ্বান্তে বুদ্ধা পুরথাব্রবীৎ। সিমবংশং প্রবক্ষ্যামি সিমো জ্যেষ্ঠ স ভূপতি।।১৩।। রাজ্যং পঞ্চশতং বষং তেন ম্লেচ্ছেন সৎকৃতম্। অর্কস্নাদস্তস্য সুতশ্চতু স্প্রিংশচ্চ রাজ্যকম্।।১৪।। চতুশশতং পুনজ্ঞেয়ং সিংহস্তত্তনয়োহ ভবৎ। রাজ্যং তস্য স্মৃতং তত্র ষষ্টযুত্তরচতু শতম্।।১৫।।
দ্বিতীয় তনয় ধামের চারপুত্র জন্মলাভ করেছিলেন। কুশ, মিশ্র, কূজ এবং কনআন্–এই হল তাদের নাম। এই ভাবে ম্লেচ্ছ কেশ প্রসিদ্ধ হয়েছিল। কুশের ছয় পুত্র ছিল। তাঁরা হলেন বহ, হবীল, সর্বতোরগম, সব তিকা, নিমরূহ, মহাবল। তাদের পুত্র কলন, সিনা, রেবেক নামে পরিচিত। এছাড়া অকদ, বাবলু, রসন দেশক এই নামে তাদের পুত্রগণ ছিলেন। এই প্রকারে সূতজী মুণিগণকে বলে যোগনিদ্রাভিভূত হয়ে গেলেন।।৯-১২।।
দুই হাজার একশত বর্ষের অন্তে বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেন। এরপর তিনি বললেন আমি সিমবংশের বর্ণনা করব। সিম সকলের থেকে বড় ছিলেন তাই তিনি রাজা হন। সেই ম্লেচ্ছ রাজা পাঁচশ বৎসর পর্যন্ত রাজত্ব করেছিলেন। তারপুত্র ছিলেন অর্কন্সদ, তিনি চারশ কুড়ি বর্ষ পর্যন্ত রাজ্য শাসন করেছিলেন। তার এক পুত্র ছিল, তার নাম ছিল সিংহ। তাঁর রাজত্ব কাল ছিল চারশ ষাট বৎসর।।১৩-১৫।।
ইব্রতস্য সুতো জ্ঞেয় পিতুস্তল্যং কৃতং পদম্। ফলজস্তস্য তনয়শ্চত্বারিংশয়ং শতম্।।১৬।। রাজ্যং কৃতং তু তস্মাচ্চ রঊ নাম সুতঃ স্মৃত সপ্তত্রিংশচ্চ দ্বিশতং তস্য রাজ্যং প্রকীতিতম।।১৭।। তস্মাচ্চ জুজ উৎপন্ন পিতুস্তল্যং কৃতং পদম্। নহূরস্তস্য তনয়ো বয় ষষ্টযুত্তরং শতম্।। রাজ্যং চকার নৃপতির্বহুশত্ৰুন্বিহিমসয়ন।।১৮।। তাহরস্তস্য তনয় পিতুস্তল্যং কৃতং পদম্। তস্মাৎপুত্রোহবিরামশ্চ নহুরো হারনস্ত্রয়।।১৯।। এবং তেষাং স্মৃতা বংশা নামমাত্রেণ কীতিতাঃ। সরস্বত্যাশ্চ শাপেন স্লেচ্ছভাষা মহাধমাঃ।।২০।। তেষাং বৃদ্ধি কলৌ চাসীস্নংক্ষেপেন প্রকীতিতা। সংস্কৃতস্যৈব বানী তু ভারতং বর্ষমুহ্যতাম।।২১।।
রাজা সিদ্ধের পুত্র ইব্রতস্য, তিনি পিতৃতুল্য রাজ্যশাসন করেছিলেন। তাঁর পুত্র ফলজ। তিনি দুইশত চল্লিশ বর্ষ পর্যন্ত রাজ্য শাসন করেছিলেন। তাঁর জুজ নামক পুত্র ছিল তিনি পিতার ন্যায় রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর পুত্র নহুর, একশ ষাট বর্ষ পর্যন্ত জীবিত ছিলেন। তিনি অনেক শত্রুদমন করে রাজ্যশাসন করেছিলেন।।১৬-১৮।।
রাজা নহুরের পুত্র তাহার পিতৃতুল্য রাজ্যশাসন করেছিলেন। তাঁর অবিরাম নামক পুত্র জন্মলাভ করে। এছাড়া দ্বিতীয় নহুর এবং হারণ জন্মলাভ করে। এই তিনপুত্র তাঁর বর্তমান ছিল। এই প্রকার তার বংশ বৃত্তান্ত বর্ণনা করা হল এবং তার নামমাত্র পরিচয় দেওয়া হল। ম্লেচ্ছগণের ভাষা ভগবতী সরস্বতীর অভিশাপ বলা হয়ে থাকে। এই জন্য সেই ভাষাকে মহা অধম ভাষা বলা হয়।।১৯-২০।
সেই ভাষার বৃদ্ধি কলিযুগে যা অতি সংক্ষেপে ব্যক্ত হচ্ছে। সংস্কৃত হল এমন এক বাণী যার দ্বারা সমগ্র ভারতবর্ষ প্রফুল্লিত।।২১।।
অন্যখন্ডে গতা সৈব ম্লেচ্ছা হ্যানন্দিনোহ ভবন এবং তে বিপ্ৰ কথিতং বিষ্ণুভক্তদ্ধিজৈস্নহ।।২২।। তচ্ছুত্বা মুনয়সসহর্বে বিশালোয়াং নিবাসিনঃ। নরং নারায়ণং দেবং সংপূজ্য বিনয়ান্বিতাঃ।।২৩।। ধ্যানং চক্রমুদা যুক্তা দ্বিশতং পরিবস্তরান্। তৎপশ্চাদ্বোধিতাসসর্বে শোনবাদ্য মুনীশ্বরাঃ।।২৪।। সংখ্যাতপনদেবাচাঃ কৃত্বা ধ্যাত্বা জনদ্দনম্। লোমহর্ষণমাসীনং পপ্ৰচ্ছুবিনয়ান্বিতাঃ।।২৫।। ব্যাসশিষ্য মহাভাগ চিরং জীব মহামতে। সাম্প্রতং বততে যো বৈ রাজা তন্মে বদ প্রভো।।২৬।। ত্রিসহস্রাদ্বসম্প্রাপ্তে কলৌ ভাগবনন্দন। আবন্তে শংখনামাহসৌ সাম্প্রতং বততে নৃপ।।২৭।।
অন্য খন্ডে কথিত সেই ভাষা ম্লেচ্ছ, কারণ ম্লেচ্ছগণ সেই ভাষার আনন্দ গ্রহণ করেছে। হে বিপ্র, এই প্রকারে তোমাকে পূর্বে সকল বৃত্তান্ত বলেছি, যা বিষ্ণু ভগবানের পরম ভক্ত দ্বিজগণের সাথে পূর্ণ বর্ণন করা হয়েছে।।২২।।
শ্রী ব্যাসজী বললেন, বিশালাতে নিবাসকারী সমস্ত মুণিগণ এই সকল শ্রবণ করে নর-নারায়ণ দেবের পূজা পরম বিনয়ের সাথে করেছিলেন। সেই সকল মুণিগণ পরমানন্দে দুইশতবর্ষ পর্যন্ত ধ্যান করেছিলেন। এরপর শৌনকাদি সমস্ত মুণীশ্বরের বোধপ্রাপ্তি ঘটে।।২৩-২৪।।
সন্ধ্যা, তর্পণ, দেবার্চনা করে তথা ভগবান জনার্দনের ধ্যান করে বিনয়ী সেই মুণিগণ সৃতজীকে জিজ্ঞাসা করলেন, হে ব্যাসজী শিয়্য, হে প্রভো এই মহামতি আপনি চিরকাল জীবিত থাকুন। হে প্রভো এই সময় যে রাজা বিদ্যমান্ তাঁর বিষয়ে আমাদের কিছু বলুন।।২৫-২৬।।
সূতজী বললেন–হে ভার্গব নন্দন, তিন সহস্র বর্ষ কলিযুগের সম্প্রাপ্ত হলে, সেই সময় আবন্তে শংখ নামক রাজা বর্তমান ছিলেন।।২৭।।
ম্লেচ্ছদেশে শকপতিরথ রাজ্যং করোতি বৈ। শূনু তৎকারনং সবৈ যথা যস্য বিবধম্।।২৮।। দ্বিসহস্রে কলৌ প্রাপ্তে ম্লেচ্ছবংশ্ববদ্ধিতা। ভূমিম্লেচ্ছময়ী সর্বা নানাপথবিবদ্ধিতা।।২৯।। ব্রহ্মাবর্তমৃতে তত্র সরস্বত্যাস্তটং শুভম্। ম্লেচ্ছাচার্যশ্চ মূশাখ্যস্তন্মতৈঃ পূরিতঃ জগৎ।।৩০। দেবাচনং বেদভাষা নষ্টা প্রাপ্তে কলৌ যুগে। তল্লক্ষণং শুনু মুনে ম্লেচ্ছভাষাশ্চতুবিধাঃ।।৩১।। ব্রজভাষা মহারাষ্ট্রী যাবনী চ গুরুন্ডিকা। তাসাং চতুলক্ষবিধা ভাষাশ্চান্যাস্তথৈব চ।।৩২।। পানীয়ং চ স্মৃতং পানী বুভুক্ষা ভূখ উচ্যতে। পানীয়ং পাপড়ীভাষা ভোজনং কক্কণং স্মৃতম্।।৩৩।।
ম্লেচ্ছ দেশে শংখপতি রাজ্যশাসন করছিলেন। আপনারা সকলে সেই কারণ শ্রবণ করুন কি প্রকারে তার বৃদ্ধি হয়েছিল।।২৮।।
কলিযুগ যখন দুইসহস্র বর্ষ প্রাপ্ত হয়েছিল তখন ম্লেচ্ছবংশ বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়ে এই সমস্ত ভূ-মন্ডল ম্লেচ্ছগণের দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছিল এবং সেই বৃদ্ধির অনেক পথ ছিল।।২৯।।
ব্রহ্মাবর্ত মৃত হলে সেখানে সরস্বতী নদীর পরম শুভ তট ছিল। সেখানে মুসা নামে ম্লেচ্ছ আচার্য বাস করতেন। তাঁর মৃত্যুতে সমস্ত জগৎ পূজিত হয়ে গিয়েছিল।।৩০।।
কলিযুগ প্রাপ্তির পর দেবার্চন এবং বেদের ভাষা সকল কিছুই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। হে মুণি, সেই লক্ষণ শ্রবণ করুন। ম্লেচ্ছভাষা চার প্রকারের ছিল। ব্রজভাষা, মহারাষ্ট্র ভাষা, যাবনী ভাষা এবং গুরুণ্ডিকা ভাষা এই চার প্রকারের ভাষা ছিল। সেই চার প্রকারের চারলাখ প্রকার ভাষা এবং সেই রকম অন্য ভাষাতে ছিল।।৩১-৩২।।
পানীয়কে ‘পানী’ এবং বুভুক্ষাকে ‘ভুখ’ বলা হত। পানীয় পাপড়ী ভাষা এবং ভোজন করুন ভাষা।।৩৩।।
ইষ্টিশুদ্ধরবঃ প্রোক্তহস্তিনী মসপাবনী। আলুতিবৈ আজু ইতি দদাতি চ দধাতি চ।।৩৪।। পিতৃপৈতরভ্রাতা চ বাদরঃ পতিরেব চ। সেতি সা যাবনী ভাষা হ্যশ্বশ্চাস্পস্তথাপুনঃ।।৩৫।। জানুস্যানে জৈনুশব্দঃ সপ্তসিন্ধস্তথৈব চ। সপ্তহিন্দুযাবনী চ পুনজ্ঞেয়া গুরুন্তিকা।।৩৬। রবিবারে চ সন্তে চ ফাল্গুনে চৈব ফর্বরী। ষষ্টিশ্চ সিক্সটী জ্ঞেয়া তদুদাহারজীদৃশম্।।৩৭।। যা পবিত্রা সপ্তপুরী তাসু হিংসা প্রবর্ততে। দস্যবঃ শবরা ভিল্লা মুর্খা আর্যে স্থিতা নরাঃ।।৩৮।। ম্লেচ্ছদেশে বুদ্ধিমন্তো নরা বৈ ম্লেচ্ছধমিনঃ। ম্লেচ্ছাধীনা গুনা সর্বেহবগুণা আর্যদেশকে। ৩৯।।
ইষ্টি শুদ্ধখ এবং হস্তিনী মসপাবনী আহুতি আজু এবং দদাতীকে দধাকি বলে জানা যায়।।৩৪।।
পিতৃকে পৈবর, ভ্রাতাকে বাদর এবং পতিত্ত বলা হয়। যাবনী ভাষাতে অশ্বকে আস্য বলা হয়।।৩৫।।
জনু স্থানে জৈনুশব্দ তথা সপ্তসিন্ধুকে সপ্তহিন্দু এই যাবনী ভাষাতে বলা হয়। এক্ষণে গুরুন্ডিকা ভাষা বিষয়ে কিছু জ্ঞানপ্রাপ্ত করা উচিৎ।।৩৬।।
গুরুন্ডিকা ভাষাতে রবিবার স্থলে সন্ডে এবং ফাল্গুণের স্থানে ফেব্রুয়ারী প্রযুক্ত করা হয়। ষষ্ঠিস্থানে সিস্টী হয়। এই প্রকারে ঐ সকল ভাষার উদাহরণ হয় যা জানা উচিৎ।।৩৭।।
যা সাত পরম পুরী বলে মানা হয় সেখানে হিংসা প্রবৃত্তি দেখা যায়। এই আর্যদেশে দস্যুগণ, শবর, মিল্ল, মূর্খ মনুষ্য আছেন।।৩৮।
ম্লেচ্ছ দেশে বুদ্ধিমান মনুষ্যও ম্লেচ্ছের ন্যায় আচরণ করেন। সমস্ত পুন ম্লেচ্ছের অধীনে থাকে এবং এই আর্যদেশে অবগুণে ভরে গেছে।।৩৯।।
ম্লেচ্ছরাজ্যং ভারতে চ তদ্বীপেষু স্মৃতং তথা। এবং জ্ঞাত্বা মুনিশ্রেষ্ঠ হরিং ভজ মহামতে।।৪০।। তচ্ছু ত্বা মুনয় সর্বে রোদনং চক্রিরে বহু।।৪১।।
ভারতে ম্লেচ্ছ রাজ্য এবং তার দ্বীপগুলিতেও ম্লেচ্ছাচারে ভরে গেছে। হে মুণিগণের মধ্যে শ্রেষ্ঠ, হে মহামতি, এই জন্য ভগবান শ্রীহরির ভজনা করা উচিৎ।।৪০।।
সূতজীর এইরূপ কথা শ্রবণ করে মুণিগণ অত্যন্ত রোদন করতে লাগলেন।।৪১।।