ব্রাহ্ম পর্ব
মধ্য পর্ব
প্রতিসর্গ পর্ব
1 of 3

বিবিধ মন্ডল নিৰ্মাণ বৰ্ণন

।। বিবিধ মন্ডল নির্মাণ বর্ণনম্।।

।। বিবিধ মন্ডল নিৰ্মাণ বর্ণন।।

অথাতো মন্ডলং বক্ষ্যে পুরানেষু যথোদিতম্। যদধীনা ভবেৎসিদ্ধিস্তস্মাৎকুযাৎসমাহিতঃ।।১।। দেবাঃ পদ্মাসনস্থাশ্চ ভবিষ্যন্তি বসন্তি চ। বিনাজুং নাচয়েদ্দেবমচিতে যক্ষিণী হরেৎ।।২।। অতো মন্ডলবিচ্ছেদং যস্মাদ্দশগুণং ভবেৎ। রজঃ সাধ্যে শতগুনং কেবলে দ্বিগুনং ফলম্।৩।। ত্রিশতং বনদনে সাধ্যে সহস্রং চ রজোহষ্টকম্। রজোভি ষোড়শৈবিবং শতংশতমনন্তকম্।।৪ । যন্ত্রে মনৌ শালগ্রামে প্রতিমায়োং বিশেষতঃ। মহালয়ে মহাযোনৌ রক্তলিঙ্গে চ সাধিকম্।।৫।।

এরপর মন্ডলের বিষয়ে বলা হবে যেভাবে পুরাণে বলা হয়েছে। মন্ডলেরই অধীন হল সিদ্ধিলাভ অতএব এই মন্ডলের রচনা খুবই সমাহিত হয়ে করতে হবে।।১।।

দেবগণ পদ্মাসনে বসেন এবং ওখানে বাসও করেন। এজন্য বিনা পদ্মে দেবগণের যজন করবে না এবং যে পদ্মবিনা অর্চনা করে সেই অর্চনাকে দক্ষিণী হরণ করে নিয়ে যায়।।২।।

এর থেকে দশগুণ মন্ডলের বিচ্ছেদ হয়। রজসাধ্য হলে শতগুণ এবং কেবলে দ্বিগুণ ফল হয়।।৩।।

বন্দন দিয়ে সাধ্যে তিনশ’ গুণ হয় এবং রজোষ্টক সহস্রগুণ ফল হয়। রজ দ্বারা যে ষোড়শ হয়, বিম্ব করবে শত-শত এবং অনন্ত ফলদাত্রী হয়।। ৪।।

যন্ত্রে, মণিতে, শালগ্রামে এবং প্রতিমাতে বিশেষরূপে হয়। মহালয়ে, মহাযোনিতে এবং রক্তলিঙ্গে সাধিত হয়।।৫।।

রজোযুক্তং লিখেদ্যস্তু পূজাকাযে বিভূতয়ে। করণাদিফলং যস্মান্তুস্মাত্তেপরিবজয়েৎ।।৬।। চতুরস্ত্রং নবং ব্যূহং ক্রৌঞ্চঘ্রাণং চতুবিধম্। কামবীজং বজ্রনাথং বিঘ্নরাজং গজাহুয়ম্।।৭।। পারিজাতং চন্দ্রবিবং সূর্যকান্তং চ শেখরম্। শতপত্রং সহস্রারং নবনাভং চ মুষ্টিকম্।।৮।। পঞ্চজ্বং চৈব মৈনকং কামরাজং চ পুষ্করম্। অষ্টাস্ত্রং চৈব শ্রীবিবং ষড়স্ত্রং এ্যস্ত্রমেব তু।।৯।। চত্বারিংশত্তথা পঞ্চস্বাধিকং পরিসংখ্যয়া। চতুরস্ত্রং নববূঢ়ং বৈষ্ণবে যাগকর্মনি।।১০।। প্ৰশস্ত্রং চাপি গোমেধে ক্রৌঞ্চং ঘ্রাণং চতুবিধম্। সুভদ্রং চাশ্বমেধে চ নরমেধে নরাসনম্।।১১।।

যে রজোযুক্ত পূজাকার্যে লেখে সে বিভূতির জন্য হয়। যার করণাদি ফল হয় তাকে পরিবর্জিত করে দিতে হবে।।৬।।

চতুরস্র নব ব্যূহ হয় এবং ক্রৌঞ্চ ম্লান চার প্রকার হয়। কামবীজ, রজ্রনাভ, বিঘ্নরাজ এবং গজায় নামধারী হয়।।৭।।

পারিজাত, চন্দ্রবিম্ব, সূর্যকান্ত, শেখর, শতপত্র, সহস্রার, লবনাভ এবং মুষ্টিক হয়।।৮।।

পঞ্চাজ, মৈনাক, কামরাজ, পুষ্কর, অষ্টাস্র, শ্রীবিম্ব, ষড়ষ এবং ত্রস্র নামক হয়।।৯

এই প্রকারে পরিসংখ্যা দ্বারা একচল্লিশ বৈষ্ণব যাগকর্মে চতুরস্র নবূব্যঢ় হয়।।১০।।

গোমেধে ক্রৌঞ্চ এবং ঘ্রাণ চার প্রকারে প্রশংসিত হয়। অশ্বমেধে সুভদ্র এবং নরমেধে নরাস হয় না।।১১।।

সর্বত্র সর্বতোভদ্রং চতুরস্ত্রং সুভদ্রকম্। কামরাজং তথা এ্যস্ত্রমষ্টাস্ত্রং চ ষড়কস্ত্রম্।।১২।। শক্তানাং কামপক্ষে চ পঞ্চসিংহাসনং মহৎ ধ্যানাবলে মেরুপৃষ্ঠং মনিমুক্তাচলেম্বপি।।১৩।। সহস্রং শতপত্ৰং চ অন্নদানে তিলাচলে। হরিবল্লভং রাজসূয়ে সোমযাগেষু শস্যতে।।১৪।। প্রতিষ্ঠায়াং সুভদ্রাং চ সর্বতোভদ্রমেব চ। জলাশয় প্রতিষ্ঠায়াং বিঘ্নরাজং প্রশস্যতে।।১৫।। ঘটপ্রস্থাপনে চৈব গজাহুং তুরগাসনম্। শতপত্ৰং লক্ষহোমে অযুতে চতুরস্রকম্।।১৬।। যস্য যজ্ঞস্য যদ্বিম্বং তত্ত্ব তেনৈব যোজয়েৎ। ইতোহন্যথা ভবেদ্দোষো বিপরীতেম্বধোগতিঃ।।১৭।।

সর্বত্র সর্বতোভদ্র, চতুরস্র, সুভদ্রক, কামরাজ, ত্রস্র, অষ্টাস্র এবং ষড় হয়।। ১২।।

শাক্তের কামপক্ষে পঞ্চ সিংহাসন মহাগ হয়। ধ্যানাচলে মেরুপৃষ্ট হয় তথা মণি মুক্তাচলেও এটাই হয়।।১৩।।

অন্নদান এবং তিলাচলে সহস্র এবং শতপত্র হয়। রাজযুয় যজ্ঞে হরিবল্লভ এবং এই সোমযোগেও প্রশস্ত বলা হয়।।১৪।।

প্রতিষ্ঠাতে সুভদ্র এবং সর্বতোভদ্রই হয়। যেখানে জলাশয়ের প্রতিষ্ঠা হয় সেখানে বিঘ্নরাজ প্রশস্ত মান্য হয়।।১৫।।

ঘটের প্রস্থাপনে গজহ্ব এবং তুরগামন হয়। লক্ষ হোমে শতপথ এবং অযুত হোমে চতুরস্রক হয়।।১৬।।

যে যজ্ঞের যা বিম্ব হয় তাকে তার দ্বারা যোজিত করতে হবে। এর অন্যথা করলে দোষ হয় এবং বিপরীত করলে অধোগতি হয়।।১৭।।

দ্বিহস্তা চতুরস্র চ বেদিকা পরিকীতিতা। চতুরঙ্গুলোচ্ছ্বয়মিতা ষড়ংগুলা হ্যথাপি বা।।১৮।। ষড়ঙ্গুলা নববাহে বধয়েদ্যজ্ঞকোবিদঃ। একাঙ্গুলসমুৎসেধঃ কর্তব্যস্মসমাহিতৈঃ।।১৯।। ক্রৌঞ্চপ্রানে তুর্যহস্তং মুষ্টিহস্তং সমুচ্ছিতম্। মধ্যদ্বয়ে হীনকরং কনিষ্ঠং এ্যঙ্গুলাধিকম্।।২০।। কূর্যাদিবত্রি ক্রমান্ধীনমুচ্ছায়ে দ্বজসত্তমা। পাকিজাতাং চন্দ্রবিম্বং সূর্যকান্ত চ শেখরম্।।২১।। গ্রহানাং পৌষ্টিকে পক্ষে বাহ্মগ্রামাদিসাধনে। নিযোজয়েত্তত্রতত্র বেদিকাচক্রকত্রয়ম।।২২।। প্রথমে মুষ্টিহস্তঃ স্যাৎসম্পূর্ণে শেষমানকৈঃ। নবলাভে চ পঞ্চজ্বং করত্রয়মুদ্রাহৃতম্।।২৩।।

চতুরস্রা বেদের দুই হাত বলা হয়েছে, চার আঙ্গুল উঁচু সেমিত অথবা ছয় আঙ্গুল উঁচু হয়।।১৮।।

যজ্ঞ বিধির বিদ্বান পুরুষকে নবব্যূহে ছয় আঙ্গুল উঁচু বেদি বর্জিত করতে হবে। ভালভাবে সমাহিত দ্বারা এক আঙ্গুল সমুৎসেধ করতে হবে।।১৯।। ক্রৌঞ্চ প্রাণে তূর্য হস্ত। মপষ্টি হস্ত সমুচ্ছিত মধ্যদ্বয়ে হীনকর এবং কনিষ্ঠ তিন আঙ্গুল অধিক হয়।।২০।।

হে দ্বিজসত্তম! দু’তিন ক্রমে উঁচুতে হীন করতে হবে। পারিজাত। চন্দ্ৰবিম্ব, সূর্যকান্ত এবং শেখর এদের গ্রহণ করলে পৌষ্টিক পক্ষে তথা বাহ্য গ্রামাদি সাধনে নিয়োজিত করতে হবে সেখানে-সেখানে বেদিক চক্রের তিনবার করবে।।২১-২২।।

প্রথমে হস্ত মুষ্টি করতে হবে যতক্ষণ শেষ মানদ্বারা সম্পূর্ণ হবে। নবলাভে পঞ্চাজ এবং করক্রয় উদাহৃত করা হয়েছে।।২৩।।

শেষা চৈব বরিষ্ঠা চ লবলী ভিত্তি বেদিকা বিজ্ঞেয়া দ্বিজশাদুলা যথাকাম্যেষু যোজয়েৎ।।২৪।। অযথাব্যত্যয়ে দোষস্তস্মাদ্যন্তেন সাধয়েৎ। দশহস্তে চাষ্টহস্তে অষ্টহস্তে চ ষোড়শম্।।২৫।। মুষ্টিবাহুঞ্চ প্রাদেশং বধয়েৎষোড়শাংশকে। হস্তোৎসেধং চ কতব্য হীনে হীনং চ হ্রাসয়েৎ।।২৬।। দপনাকরকং কুযাদ্যাগকে শান্তিকর্মনি। হীনং কুযাৎপ্রযন্তেন বপ্নাকারং পরিস্তবে।।২৭।। নিশারনৈগোময়ৈশ্চ বেদিকাং চ প্রলেপয়েৎ। স্বণরন্তময়ৈস্তোয়ৈরভিষিচ্য কুশোদকৈঃ।।২৮।। হীন বীযগবানাং চ পুরীযং বৈনুকং তথা। কপিলায়াশ্চ যন্তেন কুন্ডমন্ডল লেপনে।।২৯।।

এবং শেষ বরিষ্ঠা, লবলী মাটি বেদিকা জানতে হবে। হে দ্বিজ শার্দুল। এদের যথা কাম্যে যোজিত করতে হবে।।২৪।।

অযথা ব্যত্যয়ে দোষ হয় অতএব বড় যত্নের সাথে সাধন করতে হবে। দশহস্তে, অষ্টহস্তে এবং অষ্টহস্তে ষোড়শ সাধন করবে।।২৫।।

মুষ্টিবাহুর এবং প্রাদেশকে ষোড়শাংশকে বর্ধিত করতে হবে। এক হাত উৎসেধ করতে হবে। যে হীন হয় তাকে হীন হ্রাসিত করে।।২৬।

শান্তিকর্মযুক্ত যাগে দর্পণা কারক করতে হবে। পরিস্তবে বপ্রাকার প্রযত্নে হীন করতে হবে।।২৭।।

নিশারণ ও গোময় দ্বারা বেদির প্রলেপন করাতে হবে। স্বর্ণারত্ন দ্বারা পরিপূর্ণ কুশাদক জল দ্বারা অভিযোজন করবে।।২৮।।

কুন্ডমন্ডলের লেপন করার কাজে হীন বীর্য, গোবর তথা ধেনুক ও কপিলার গোবর যত্নপূর্বক গ্রহণ করতে হবে।।২৯।।

বজেয়েৎ সর্বর্যাগেযু স্থন্ডিলেষু প্রযন্ততঃ। বিনা সূত্রৈঃ কীলকে ন মন্ডলে নৈব সূত্রয়েৎ। ৩০।। তস্মাৎ প্রযত্ততঃ কার্য যৎসুত্রং যচ্চ কীলকম্। অর্কহস্তমিতং সূত্রং মৃদু লাক্ষায়ং তথা।।৩১।। পীতকাৰ্যস্ৰজং চৈব কীলকং স্বণনিমতম্। রৌপ্যতাভ্রময়ং কুর্যাদ বৈষ্ণবে যাগকৰ্মনি।।৩২।। গননায়কে সুপ্রশস্তং শৈষেপামাগমেব চ। গ্রহপক্ষে তথেশস্য কচ্ছপস্য দ্বিজোত্তমাঃ।।৩৩।। ষোড়শে চাকহস্তে চ তত্ৰ নেমিমুতং।।৩৪।।

সমস্ত যাগে স্থন্ডিলে প্রযত্নপূর্বক বর্জন করতে হবে। কীলকে সূত্রবিহীন করবে না এবং মন্ডলে সূত্রায়ন করবে না।।৩০।।

এজন্য যা সূত্র হয় এবং কীলক হয় তাকে প্রযত্নপূর্বক করতে হবে। সূত্র বার হাত হবে এবং লাক্ষাময় মৃদু হতে হবে।।৩১।।

বৈষ্ণব যাগকর্মে কীলক পীতকার্য স্ৰজ, স্বর্ণ নির্মিত তথা রৌপ্য তাম্ৰময় করতে হবে।।৩২।।

গণনায়কে শেষ এবং অপমার্গই প্রশস্ত হয়। হে দ্বিজোত্তমা! গ্রহপক্ষে এর কচ্ছপের প্রশস্ত হয়। ষোড়শ এবং অর্কহস্তে ওখানে নেমিযুত হতে হবে।।৩৩-

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *