।। পুরান ইতিহাস শ্রবণ মাহাত্ম্য।।
।। পুরাণ ইতিহাস শ্রবণ মাহাত্ম্য।।
সমাখ্যামীহ বিপ্রেদ্রা ইতিহাসং পুরাতনম্। শ্রবণেপি চ ধমাৎ মৎ শ্রুয়তাং যন্ময়াপুরা।।১।। পৃষ্টোবোচন মহাতেজ বিরিঞ্চো ভগবান্ প্রভু। হন্ত তে কথয়াম্যেষ পুরাণ শ্রবনো বিধিম্।।২।। ইতিহাস পুরাণানি শ্রুত্বা ভক্ত্যা দ্বিজোত্তমা। মুচ্যতে সর্বপাপেভ্যো ব্রহ্মহত্যাশতং চ যৎ।।৩।।
হে বিপ্রেন্দ্ৰগণ! এখানে আমি একটি পুরানো ইতিহাস বলছি। হে ধর্মাত্মন্! তা শ্রবণেও কল্যাণ হয়। আমি এটা আগে শুনেছি এখন তুমি শোনো।।১।।
যখন প্রশ্ন করা হল তখন মহান তেজস্বী ভগবান বিরঞ্চি প্রভু বলেন আমি তোমাকে এই পুরাণ শ্রবণের বিধি বলছি।।২।।
হে দ্বিজোত্তম! ভক্তি ভাবে ইতিহাস পুরাণ শুনে সমস্ত পাপ মুক্ত হও। যদি তা ব্রহ্ম হত্যা জনিত পাপ হয় তবে তা থেকেও মুক্ত হয়ে যাবে।।৩।।
সায়ং প্রাতস্তথা রাত্রৌ শুচিভূত্বা শূনৌতিযঃ। তস্য বিষ্ণুস্তথা ব্রহ্মা তুষ্যতে শংকরস্তথা।।৪।। প্রত্যুষে ভগবানব্রহ্মা দিনান্তে তুষ্যতে হরিঃ। মহাদেবস্তথা রাত্রৌ শৃণ্বতাং পঠতাং নৃণাম্।।৫।। শুক্লবত্রধরশ্চৈব চৈলাজিন কুশোত্তরঃ। প্রদক্ষিণত্রয়ং কুর্মাদ্যা তস্থিন দেবতা গুরৌ।।৬।। নায়ুচ্ছিতং নাতিনীচং স্বাসনং ভজতে ততঃ। দিকপতিভ্যো নমস্কৃত্য ওংকারাধিষ্ঠিতানপি।।৭।। পুস্তকং ধর্মশাস্ত্রস্য ধর্মাধিষ্ঠান শাশ্বতম্। আগমানাং শিবো দেবস্তন্ত্রাদীনাং চ শারদা।।৮।। জামলাণাং গণপতিডামরাণাং শতক্রতুঃ। নারায়নো ভারতস্য তথা রামায়নস্য চ।।৯।।
যে মানুষ প্রাতঃকাল এবং সায়ংকালে শুদ্ধ হয়ে শ্রবণ করে তার প্রতি ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর খুবই সন্তুষ্ট হয়।।৪।।
প্রাতঃকালে ভগবান ব্রহ্মা এবং দিনান্তে বিষ্ণু তুষ্ট হয়। মহাদেব রাত্রিতে শ্রবণকারী তথা পাঠকারীর উপর প্রসন্ন হয়।।৫।।
শুক্লবস্ত্র ধারণকারী, চৈল, অজিন বা কুশ উত্তরীয়ধারী যে ব্যক্তি তার মধ্যে দেবতা আছে, তার এবং গুরুর তিনবার প্রদক্ষিণ করা উচিত।।৬।।
আসন এমন হতে হবে যা খুব উঁচু নয় আবার খুব নীচু নয়। ঐ আসনে বসতে হবে। প্রথমে দিকসমূহের পতিদেরনমস্কার করে ওঁকারাধিষ্ঠি তাকেও প্রণাম করতে হবে।।৭।।
ধর্ম শাস্ত্রের বই শাশ্বত ধর্মের অধিষ্ঠান। বৈদিক দেবতা হল শিব এবং তন্ত্র প্রভৃতির দেবতা হলেন ভগবতী শারদা।।৮।।
জামলগণের দেবতা হলেন গণপতি এবং ডামরদের দেবতা হলেন শতক্রতু ইন্দ্র। ভারতের দেবতা তথা রামায়নের দেবতা হলেন নারায়ণ।।৯।।
বাসুদেবো ভবেদ্দেব সপ্তানাং শৃণু সত্তম্। আদিত্যো বাসুদেবশ্চ মাধবো রামকেলশবৌ।। ১০।। বনমালী মহাদেবঃ সপ্তানাং সপ্তবসু। বিষ্ণুধর্মাদিকাণাং চ শিবো জ্ঞেয়ঃ সনাতনঃ। অথ চাদিপুরাণস্য বিরিঞ্চি পরিকীর্তিতঃ।।১১।। শুদ্ধোদনং সবক্ষীরং পায়সং কৃশরং তথা। কৃশরান্নং চ বা দদ্যাৎকমাদ বলিগনং বিদুঃ।।১২।। শালিভক্তং সগোধূফ তিলাক্ষতবিমিশ্রিতম্। গব্যং চ সফলং চৈব দেয়শ্চৈভ্যস্ত্বয়ং বলি। ১৩।। পৃথক্ পৃথক্ চৈব কাংস্যে বিন্য সেদ্দিক্ষু মধ্যতঃ। পঠেচ্চাপি বিধানেন স যাগ যন্ময় পরঃ।।১৪।। শীতোদকং মধুক্ষীরং সিতেম্বোশ্চ রসো গুড়। সগর্ভশ্চপরো জ্ঞেয় মন্ময়শ্চাপরো বলিঃ।।১৫।।
হে মুণি সত্তম! সপ্তের দেবতা হলে শ্রীবাসুদেব। আদিত্য, বাসুদেব, মাধব, রাম, কেশব, বনমালী, মহাদেব সাত পর্বে সপ্ত দেবতা হন।।১০।।
বিষ্ণুধর্ম্ম প্রভৃতির দেবতা সনাতন শিব জানতে হবে। আদি পুরাণে বিরঞ্চি দেবতার কথা বলা হয়েছে।।১১।
এখন এই দেবতাদের উদ্দেশ্যে সমর্পিত উপাচারের কথা বলা হচ্ছে, শুদ্ধৌদন, যবক্ষীর, পায়স, কৃশর অথবা কৃশরান্ন ক্রমে এদের উপাচার সমূহ দেওয়া উচিত।।১২।।
গোধূমের সঙ্গে শালিভক্ত যা তিল ও অক্ষত দিয়ে বিশেষরূপে মিশ্রিত, ফলের সঙ্গে গব্য এই দেবতাদের জন্য উৎসর্গ করা উচিত।।১৩।।
কাঁসার পাত্রে পৃথক পৃথক দিকে মধ্য ভাগে বলির বিন্যাস করতে হবে বিধানের সঙ্গে পড়তে হবে— এই যাগ ষন্ময় এবং পর হয়।।১৪।।
ঠান্ডা জল, মধু, ক্ষীর এবং সিত ইক্ষুর রস বা গুড় এবং সগর্ভকে পর বলি বুঝতে হবে। অন্য দ্বিতীয়টি ষন্ময় বলি হব।। ১৫।।
শালিতন্ডুলপ্রস্থং তু তদধং বা তদধকর্ম। ক্ষীরেণাপি চ সম্ভক্তং সবক্ষীরমিদং স্মৃতম্।।১৬। ক্ষীরং ভাগাষ্টকং গ্রাহ্যং সপ্তভাগেন সংস্তিতম্। হৈমন্তিকং সিয়াখ্যং চ তান্ডুলং প্রপচেচ্চরুম্।।১৭।। গুড়মিশ্রেণ যো দদ্যাৎ সম্পর্কো জায়তে কৃচিৎ।১৮।। সমাক্তং মাক্ষিকেণাপি দদ্যাদিক্ষুরসং বুধঃ। গৃহীত্বা যাচকঃ শুদ্ধঃ শৃণুন দ্বিজসত্তমাঃ।।১৯।। শৃণুতে বাধীয়ানো যো দদ্যাদ্ধস্তে চ পুস্তকম্। সমুত্থায় চ গৃহীয়াৎ প্রণম্য বিনিবেদয়েৎ।। ২০। পুর্বস্থঃ শ্রাবকো বিপ্রোবিখ্যাতস্ত দক্ষিনে। পশ্চিমাশামুখেনৈব তর্জন্যাংগুয়ষ্ঠয়া সহ।।২১।। প্রস্তরেনাপি হস্তেন বিন্যাস পন্ডিতৈঃ সদা। ইতোন্যথা ন কর্তব্য কৃত্বা ন্যাসম থাপ্পুয়াৎ।। ২২।
শালিচাল এক প্রস্থ বা তার অর্ধ ভাগ বা তারও অর্ধেক ভাগ ক্ষীরের সঙ্গে মেশাতে হবে–একে বলা হয় যবক্ষীর।।১৬।।
আট ভাগ ক্ষীর নিতে হবে যা সাত ভাগে পরিণত হয়। হৈগমন্তিক এবং সিতাখ্য চাল রান্না করলে তা হয় চরু।। ১৭।।
যখন এই সময় মেনে সিদ্ধ হবে তখন তাকে প্রাপ্ত করতে হবে। আবার অর্ধভাগ মাক্ষিক অথবা মিশ্রী দিতে হবে। গুড় মিশ্রে যা কিছু দেবে এবং কোন সম্পর্ক হয়ে যাবে তখন বুধকে মাক্ষিকের দ্বারা মিশ্রণেও ইক্ষুরস দিতে হবে। হে দ্বিজশ্রেষ্ঠ! তুমি শ্রবণ করো এটা গ্রহণ করে যাচক শুদ্ধ হয়।।১৮-১৯।।
শ্রবণকারীর জন্য বা পাঠকারী যে হাতে পুস্তক দেয় তা উঠে গ্রহণ করতে হবে এবং প্রণাম করে নিবেদন করতে হবে।।২০।।
শ্রাবক বিপ্র পূর্বে স্থিত বিখ্যাত তার দক্ষিণে পশ্চিম দিকে এবং মুখ দ্বারা তর্জনী ও অঙ্গুষ্ঠ দ্বারা, প্রস্তর হাতেও পন্ডিতদের সর্বদা বিন্যাস করতে হবে। এর অন্যথা করা উচিত নয়, ন্যাস করে প্রাপ্ত করা উচিত।।২১-২২।।
অসকৃন্যসেদ্বিপ্রা পাবমানীং জলে জপেৎ। বেদাত্তাগমবেদান্তবিধিরেষ স্মৃতো বুধৈঃ।।২৩।। যমদিং সম্মুখে শ্রোতা বাচকশ্চেত্তরামুখঃ। পুরাণভরাতাখ্যান এষ বৈ কথিতো বিধিঃ।।২৪।। বৈপরীত্যেন বিধিনা বিজ্ঞেয়ো দ্বিজসত্তমাঃ। রামায়ণে ধর্মশাস্ত্রে হরিবংশে চ সত্তমাঃ।।২৫।। ইতোহন্যথা যাতুধানাং প্রলং পন্তি ফলং যতঃ। তস্মাদ বিধি বিধানেন শূনুয়াদথ বা পঠেৎ।।২৬।। শ্রুত্বা প্রতি পুণ্যবিদ্যাং যোহশীয়ান মাংসমেব তু। স যাতি গর্দভীং যোনিং যদি মৈথুনিনঃ ক্বচিৎ।।২৭।। যদি দেবালয়ে তীর্থ বাচয়েছ্ণয়াদথ। যস্য দেবগৃহে তস্য তীর্থস্য বর্ণনম্।।২৮।।
হে বিপ্র! বার বার বিন্যাস করবে এবং আচমনীয় জলে জপ করবে। মহামনীষীগণ বেদাত্তাগমের বেদান্ত বিধি এটাই বলেছে।।২৩।।
শ্রবণকারী যমের দিকের এবং মুখযুক্ত ও বাচক উত্তর দিকের এবং মুখযুক্ত থাকো উচিত। পুরাণ এবং ভারতাখ্যানে ঐ বিধি বলা হয়েছে।।২৪।।
হে দ্বিজশ্রেষ্ঠ! রামায়ন, ধর্মশাস্ত্র এবং হরিবংশে এর বিপরীত বিধি জানা যাবে।।২৫।।
এর বিরুদ্ধ কাজ করলে যাতুধান লোক এর ফল প্রলুপ্ত করে দেবে। এজন্য বিধি, বিধানের অনেক বেশী আবশ্যকতা আছে। এর বিধানই শুনতে তথা পড়তে হবে।।২৬।।
এই পুণ্য বিদ্যা গুনে যে মাংস ভক্ষণ করবে সে গাধার যোনি প্রাপ্ত হব এবং যে শ্রবণ করে থুৈন করে সেও গাধার শরীরে জন্মগ্রহণ করবে।।২৭।। যদি কোন দেবালয় তীর্থে এর বাচন বা শ্রবণ করা হয় তবে যার এই দেবগৃহ তার তীর্থের বর্ণনা হয়।। ২৮।।
গুরুভ্যো বদনং ব্যর্থং পিতরং যোন তর্পয়েৎ। জীবন্ন তর্পয়েন মুখং গংগায়াং মরণেপি চ। উভয়োস্তৰ্পণং নস্তি জীবন্নপি ন জীবতি।।২৯।। পুরাণশ্রবণং পুণ্যং শূন্যং ভাগবতং যদি। ব্যর্থং ভাগবতং বিপ্রা নারসিংহবিহীনকম্।।৩০। আদিপর্বনি হীনে তু ভারতাখ্যং ন ধারয়েৎ। বিনাশ্বমেধিকং বিপ্রা বিনা যজ্ঞাননং বিনা।।৩১।। দানকর্ম বিহীনং চ মোক্ষধমং ন ধারয়েৎ। ভারতং চ দিবারোহধারনাদৌ বরং ব্রজেৎ।।৩২।। বায়ুপুরাণমশ্রুত্বা শাস্ত্রং চ যৌগিকং বিনা। বায়ুহীনং দেহিকুলং বৃথা তস্য ন ধারকম্।।৩৩।। তথা বায়ুপুরাণং যদ বিহীণং শ্রব্যমন্যকম্। যথা সুন্দরকান্ডেন আরণ্যং চ ন ধরয়েৎ।।৩৪।।
যদি পিতার তর্পণ ভালভাবে না করা হয় তবে তার গুরুর জন্য বন্দনা করা ব্যর্থ হয়। গঙ্গায় মৃত্যুর পরও জীবিত থেকেও জীবিত থাকে না।।২৯।। পুরাণ শ্রবণ ব্যর্থ হয় যদি ভাগবত শ্রবণ না করা হয়। হে বিপ্রগণ! ঐ ভাগবত শ্রবণও নিষ্ফল যা নারসিংহ বিহীন হয়।।৩০।।
আদিপর্ব হীন ভারত পুরাণ কখনও ধারণ করবে না, দিবারোহ ধারণ প্রভৃতির মধ্যে ভারত পরম শ্রেষ্ঠ।।৩১।।
অশ্বমেধ ছাড়া ও যজ্ঞানন ছাড়া তথা দান কর্ম বা মোক্ষ ধর্মের ধারণ করা উচিত নয়।।৩২।।
বায়ুপুরাণ শ্রবণ না করে তথা যৌগিকশাস্ত্র বিনা এই বায়ুহীন দেহীরকুল বৃথা হয়ে যায় এবং তার ধারক হয়না।।৩৩।।
বায়ুপুরাণ এমনবাবে শ্রবণ করা উচিত যা ছাড়া অন্যসব শ্রব্য বিষয় ব্যর্থ হয় যেমন ভাবে সুন্দর কান্ড ছাড়া আরণ্যকান্ড কখনও ধারণ করা উচিত নয়।।৩৪।।
লংকা বিনা চাদিকান্ডং তল্লিখিত্বা ন ধারয়েৎ। পারাশরং বিনা ব্যাসং যাজ্ঞকলং বিনা মখম্।।৩৫।। দক্ষং বিনা ন শংখং চ শংখহীনং বৃহস্পতিম্। বীহ্নয়ং শ্রবণাদেন ন চ যুক্তিমথাপয়েৎ।।৩৬।। সংস্থাপনাদেব বিনা ন চ কিমপি রাক্ষমৈঃ। ন দদেৎ প্রার্থকাদিভ্য ন বিক্ৰীয়েৎকথঞ্চন। ৩৭। ন হরেৎ পুস্তকং চাপি ন হরেৎ ক্ষরানি ষট্। ব্রহ্মফরস্য হরণা দ্রৌরবান্ন নিবতর্তে।।৩৮।। আদ্যক্ষরস্য হরণাম্রকুষ্টী ভবেদিহ। মুখবৃত্তস্য হরণাদ্যবদাচন্দ্রতারকম্।।৩৯।। কুবলে অসিপত্রে চ পততীহ ন সংশয়ঃ। স্বাক্ষরস্য হরনে স্বমাতৃহরনেৎপি যৎ।।৪০।।
লঙ্কাকান্ড ব্যতীত আদি কান্ড লিখে কখনও ধারণ করা উচিত নয়। পরাশর বিনা ব্যাস এবং যাজ্ঞবল্ক্য বিনা মখ ব্যর্থ হয়।।৩৫।।
দক্ষ স্মৃতি বিনা শঙ্খ স্মৃতি এবং শঙ্খ স্মৃতি বিনা বৃহস্পতি স্মৃতি শ্রবণ ব্যর্থ হয়। বীষয় শ্রবণ দ্বারা যুক্তির স্থাপন করা উচিত নয়।।৩৬।।
সংস্থাপক ছাড়া এবং রাক্ষস বিনা প্রার্থকাদির জন্য কিছুও দেওয়া উচিত নয় এবং কোনও প্রকারে বিক্রয়ও করা উচিত নয়।।৩৭।।
বই কখনও হরণ করবে না এবং ষড় অক্ষরেরও হরণ করবে না। ব্রহ্মাক্ষর হরণ করলে কখনও রৌরব নরক থেকে নিবৃত্তি পাওয়া যায় না।।৩৮।।
আদ্যাক্ষর হরণ করলে তাম্রকুষ্ঠী হয়ে যায়। মুখবৃত্ত হরণ করলে যতক্ষণ সূর্য, চন্দ্র ও তারা এই ভূমন্ডলে থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত কুবল এবং অসিপত্র নরকে গিয়ে পড়ে। এতে সংশয় নেই। স্বাক্ষর হরণ করলে এবং স্বমাতৃ হরণ করলেও এই নরক প্রাপ্তি হয়। এর সাথে কোনও পুস্তক যে হরণ করেছে সে অবশ্যই নরকে যায়। ভারত বা পুরাণ যা শুধু স্তোত্র নয়। এই সব স্তোত্রের স্বরূপ।।৩৯-৪১।।
তস্মাৎ পুস্তকমাত্রং যো হরেন্নরক মাপুয়াৎ। যদ ভারতং যৎপুরাণং স্তোত্র রুপানি তানি চ।।৪১।। পরমং প্রকৃতের্গুহ্যং স্থানং দেবৈবিনির্মিতম্। পুরয়েত্তাম্রলিংগেন অথ রৈত্যময়েন বা।।৪২।। অশক্তো বিশ্বকাষ্ঠস্য তথা শ্রীপনিকস্য চ। ন কাষ্ঠস্য নরং শস্যংন লৌহং যোজয়েৎ ক্বচিৎ।।৪৩।। প্রাগারম্ভশ্লোকশতং ধর্মশাস্ত্রস্য বৈ লিখেৎ। সংহিতায়া পুরাণায়াং যুগ্মকল্পং তদধকর্ম।।৪৪।। ব্রহ্মচর্যে বিলিখেন্ন মোহাদ ব্রহ্মণঃ ক্বচিৎ। তথাপি চাখিলব্যাস লেখনাৎ সন্ততিক্ষয়ঃ।।৪৫।। অনামাত্বে হেমমুতাং বলাকং চিত্তমেব চ। ন লিখেৎখিলভাগং চ হরি বংশস্য সত্তমাঃ।।৪৬।। গাড়স্য চ স্কান্দস্য ন লিখেনমধ্যতন্ত্রকম্। লেখনং হরিবংশস্য ব্রতস্থোনিয়মেতঃ।।৪৭।।
প্রকৃতির পরম গুহ্য স্থান যা দেবতা দ্বারা নির্মিত হয়ছে তা তাম্রলিঙ্গ দ্বারা অথবা রৈত্যময় দ্বারা পূরিত করতে হবে।।৪২।।
যদি শক্তিহীনতা হয় তবে বেলকাঠ তথা শ্রী পর্ণিক কাঠ দিয়ে কর। কাঠের নব ফসল ভালো নয়। লৌহের কখনও যোজিত করা উচিত নয়।।৪৩।। প্রথমে আরম্ভে ধর্মশাস্ত্রের একশত শ্লোক লিখতে হবে। পুরাণ সংহিতায় যুগ্ম কল্প তার অর্ধভাগ লেখা আছে।।৪৪।।
লেখা ব্রহ্মচর্যের নিয়মেই করতে হবে। মোহ দ্বারা কোথাও ব্রাহ্মণ সমস্ত ব্যয়ের লেখা লিখলে সন্ততিদের ক্ষয় হয়।। ৪৫।।
অনামাত্বে হেমযুতা, বলাক এবং চিত্তের কথা লিখতে হবে না। হে সত্তম! হরিবংশের সম্পূর্ণ ভাগ লিখতে হবে না।।৪৬।।
গরুড় এবং স্কন্দের মধ্য তন্ত্র লিখতে হবে না। হরিবংশের লিখন ব্ৰতে স্থিত হয়ে এবং নিয়মের দ্বারা যুক্ত থেকে করতে হবে।।৪৭।। গৃহস্থোন লিখেদ গ্রন্থং লিখেচ্চ মথুরাং বিনা। লেখনে পারিজাতস্য মৎস্যমাংসাশিনং লিখেৎ।।৪৮।। বাল্মীকি সংহিতায়াশ্চ লেখনে চ তথা ক্বচিৎ। স্তোত্রমাত্রং লিখেদ্বিপ্রা অব্ৰতী ন লিখেৎ ক্বচিৎ।।৪৯।।
গৃহস্থের গ্রন্থ লিখতে হবে না এবং লিখলেও মথুরা বিনা লিখতে হবে লিখনে পারিজাতের মৎস্য মাংসাশী অংশ লিখতে হবে।।৪৮।।
বাল্মীকি সংহিতা কোন সময় লিখতে হলে শুধুমাত্র স্তোত্র লিখতে হে এবং বিনা ব্রত হয়ে লিখলে চলবে না।।৪৯।।