।। পঞ্চমী কল্পে নাগপঞ্চমী ব্ৰত বৰ্ণনম্।।
পঞ্চমী দয়িতা রাজন্নাগানাং নন্দিবধিণী। পঞ্চম্যাং কিল নাগামাং ভবতীত্যুসরো মহান। ১।। বাসুকিস্তক্ষকশ্চৈব কালিয়ো মণিভদ্রকঃ। ঐরাবতৌ ধৃতরাষ্ট্রঃ কর্কোটকধনং জয়ৌ।। এতে প্রযচ্ছন্ত্যভয়ং প্রাণিনাং প্রাণজীবিতাম্।।২।। পঞ্চম্যাং স্নপয়ন্তীহ নাগানক্ষরিণ যে নরাঃ। তেষাং বুলে প্রযচ্ছস্তি তেহভয়প্রাণদক্ষিণাম্।।৩।। ।। পঞ্চমীকল্পে নাগপঞ্চমী ব্ৰত বৰ্ণন।।
হে রাজন্, পঞ্চমী নাগেদের আনন্দবর্দ্ধনকারিণী দয়িতা। তাই এই তিথিতে নাগেদের মহোৎসব উপস্থিত হয়।।১।।
বাসুকি, তক্ষক, কালিয়, মণিভদ্রক, ঐরাবত, ধৃতরাষ্ট্র, কর্কোটক, ধনঞ্জয় এই নাগেরা জীবিত প্রাণীদেরকে অভয় দান করে।।২।।
যে মানুষ এই পঞ্চমী তিথিতে নাগকে দুধ দিয়ে স্নান করাবেন তাঁর কুলে ঐ নাগ অভয় দান করবে।।৩।।
শপ্তা নাগা যদা মাত্রা দহ্য মানা দিবানিশম্ নির্বাপয়ন্তি স্নপনৈগবাং ক্ষীরেণ মিশ্রিতৈঃ।।৪।। যে স্নাপয়স্তি বৈ নাগাভক্ত্যা শ্রদ্ধাসমন্বিতাঃ। তেষাং কুলে সর্পভয়ং ন ভবেদিতি নিশ্চয়ঃ।। ৫।। দশন্তি যে নরং বিপ্র নাগাঃ ক্রোধসমন্বিতাঃ। ভবেৎকিং তস্য দষ্টস্য বিস্তরাদ ব্রুহি মে দ্বিজঃ।।৬।। নাগদষ্টো নরো রাজন্ প্রাপ্য মৃত্যুং ব্ৰজত্যধঃ। অধোগত্বা ভবেৎসর্পো নির্বিষো নাত্র সংশয়ঃ।।৭।। নাগদষ্টঃ পিতা যস্য ভ্রাতা বা দুহিতাপি বা। মাতা পুত্রোথ বা ভার্যা কিং কর্তব্যং বদস্ব মে।।৮।। মোক্ষায় তস্য বিপ্রেদ্র দানং ব্রতমুপোষণম্। ব্রুহি তদিবজশাদুল সেন তদ্বৈ করোম্যহম্।।৯।।
নাগমাতার শাপে দিবারাত্র দহ্যমান নাগেরা ঐ গাভীর দুধ দিয়ে স্নান করলে শাপ থেকে প্রাপ্ত দাহ শান্ত হয়।।৪।।
যে শ্রদ্ধাযুক্ত পুরুষ ভক্তিসহকারে নাগের স্নান করান তাঁর বংশে কখনও সাপের ভয় থাকবে না, এটি খুব নিশ্চিত ভাবে বলা যায়।।৫।।
হে ব্ৰাহ্মণ। যে ক্রোধ সমন্বিত সর্পেরা মানুষকে দংশন করে তার কি গতি হবে? আমাকে আপনি তা সবিস্তারে বলুন।।৬!
হে রাজন্! সপর্দষ্ট মানুষ মৃত্যুর পর অধোলোকে গমন করেন এবং সেখানে গিয়ে তিনি বিষহীন সর্পে পরিণত হন, এ বিষয়ে কোনও সংশয় নেই।।৭।।
যার পিতা, ভ্রাতা, পুত্র, স্ত্রী, পুত্রী কিংবা মাতাকে সর্প দংশন করেছে তার কি করা উচিত— এ বিষয়টি আমাকে দয়া করে বলুন।।৮।।
হে বিপ্রেন্দ্র! ওনার মোক্ষের জন্য দান, ব্রত, উপবাস কি করা উচিত। হে দ্বিজশ্রেষ্ঠ! যা থেকে ওনার মোক্ষ হব তাই আমাকে বলুন, আমি সেটিই করবো।।৯।। উপোষ্যা পঞ্চমী রাজন্নাগাণাং পুষ্টিবাধমী। ত্বমেবমেকং রাজেন্দ্র বিধানং শুনুভারত।।১০।। মাসি ভাদ্রপদে যাতু কৃষ্ণপক্ষে মহীপতে। মহাপুণ্যা তু সা প্রোক্তা গ্রাহ্যাপি চ মহীপতে।।১১।। জ্ঞেয়া দ্বাদশ পঞ্চম্যো হায়নে ভরত্যর্ভ।
চতুর্থাং ত্বেকভক্তং তু তস্যাং নক্তং প্রকীর্তিতম।।১২।। ভুবি চিত্রময়ান্নাগানথ বা কলধৌতকান্ কৃত্বা দারুময়ান্বপি অথ বা মৃন্ময়াণনৃপ।।১৩।। পঞ্চম্যা মচয়েদ ভক্ত্যা নাগানাং পঞ্চকং নৃপ। করবীরেঃ শতপত্রৈজাতীপুষৈপশ্চ সুব্রত।।১৪। তথা গন্ধৈশ্চ ধূপৈশ্চ পূজ্যং পঞ্চকমুত্তমম। ব্রাহ্মণং ভোজয়েৎ পশ্চাদ ঘৃতপায়সমোদকৈঃ।।১৫।।
নাগদের পুষ্টিবর্দ্ধিনী পঞ্চমী তিথির উপবাস করা উচিত, হে রাজেন্দ্র। হে ভারত! এই বিষয়ের একটি বিধান আছে তুমি তা শোনো।।১০।।
হে মহীপতে! ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের যে পঞ্চমী তিথি আছে তা মহা পুণ্যশালিনী বলে কথিত আছে। তা পালন করতে হবে।।১১।।
হে ভারতর্ষভ! বছরে ১২টি পঞ্চমী হয়। চারটিতে এক সময় এবং তাতে রাত্রি সময়ের কথা বলা হয়েছে।।১২।
হে নৃপ! ভূমিতে অঙ্কিত অথবা স্বর্ণনির্মিত, দড়ি দিয়ে তৈরী অথবা মাটি দিয়ে তৈরী সর্প নির্মাণ করতে হবে।।১৩।।
এই নাগপঞ্চকের পঞ্চমী তিথি ভক্তিসহ অৰ্চনা করতে হবে। হে সুব্রত! নাগের পূজাকারীকে করবী ফুল, পদ্মফুল এবং জাতিপুষ্প দিয়ে পূজা করতে হবে।। ১৪।।
নাগ পঞ্চকের গন্ধবাহী পুষ্প এবং ধূপ দিয়ে উপচার সহ পূজা করতে হবে। এই অর্চনার পরে ঘৃতমিশ্রিত পায়স এবং মিষ্টি ব্রাহ্মণদের খাওয়াতে হবে।। ১৫।।
অনন্তো বাসুকিঃ শংখঃ পখঃ কম্বল এবং চ। তথা কর্কোটকো নাগো নাগো হ্যশ্চতরো নৃপ।।১৬।। ধৃতরাষ্ট্রঃ শংখপালঃ কালিয়স্তক্ষকস্তথা। পিংগলশ্চ তথা নাগো মাসিমাসি প্রকীর্তিতা।।১৭।। বৎসরান্তে পারণাং স্যাদব্রহ্মণান্ ভোজয়েদ বহুন্। ইতিহাসবিদে নাগং গৈরিকেন কৃতং নৃপ। তথাচনা প্রদাতব্যা বাকোয় মহীপতে।।১৮।। এয বৈ নাগপঞ্চম্যা বিধিঃ প্রোক্তো বুধৈনৃপ। তব পিত্ৰাকৃতশ্চৈব পিতুমোক্ষায় ভারত।।১৯।। অন্যেপি যে করিয্যন্তি ইদং ব্রতমনুত্তমম্। দ কো মোক্ষ্যতে তেষাং শুভং স্থানমবাপস্যতি।।২০।। যশ্চেদং শূনুয়ান্নিত্যং নরঃ শ্রদ্ধাসমন্বিতঃ। কুলেতস্য ন নাগেজ্যো ভয়ং ভবতি কুত্রচিৎ।।২১।।
অনন্ত, বাসুকি, শঙ্খ, পদ্ম, কম্বল, ককোটক,অশ্বতর, ধৃতরাষ্ট্র, শঙ্খপাল, কালিয়, তক্ষক এবং পিঙ্গল এই বারোটি সাপ এক-এক মাসের বলা হয়েছে।।১৬-১৭।।
যখন বারোমাসে উপরিউক্ত নামযুক্ত নাগের অর্চনা করে এক বর্ষ পূর্ণ হয়ে যাবে তখন বর্ষের শেষে ব্রত উদযাপন করতে হবে এবং প্রচুর ব্রাহ্মণকে ভোজন করাতে হবে। হে মহীপতে! ইতিহাসবিদ ব্রাহ্মণের জন্য গৈরিক দ্বারা বিরচিত নাগ তথা তার অর্চনাবাচনকারীকে দান করতে হবে।। ১৮।।
হে ভারত! এই নাগপঞ্চমীব্রত বিধি পিতার মুক্তির জন্য বিদ্বানগণের দ্বারা কথিত হয়েছে।।।১৯।।
এছাড়া অন্য যে লোক এই সর্বশ্রেষ্ঠ ব্রত পালন করবে তাদেরও দষ্টক মোক্ষ প্রাপ্ত হয়ে শুভ স্থান লাভ করবে।।২০।।
যে সমস্ত মানুষ শ্রদ্ধার দ্বারা যুক্ত হয়ে এই ব্রতকথা নিত্য শ্রবণ করবে তাদের বংশে যে কোনও সময়ে, যে কোনও স্থানে সাপের ভয় থাকবে না।।২১।।